রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কাগজের মূল্যবৃদ্ধি: একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬ প্রস্তাবনা

কাগজের মূল্যবৃদ্ধিতে সংকটে রয়েছে প্রকাশনা শিল্প। আর তাই আগামী বছরের একুশে বইমেলা নিয়ে ১৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের উদ্যোগে পাঠক সমাবেশ কাঁটাবন কেন্দ্রে 'কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটে প্রকাশনা শিল্প: একুশে বইমেলা ২০২৩ নিয়ে আমাদের প্রস্তাবনা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিষদের আহ্বায়ক শ্রাবণ প্রকাশনীর রবীন আহসান ১৬ দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন। সদস্য সচিব কবি ও সংগঠক নীলসাধুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, এক রঙা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর শিমুল আহমেদ, কথাসাহিত্যিক নির্মাতা রেজা ঘটক, আনন্দম প্রকাশনীর শ্রাবণী, উত্তরণ প্রকাশনী আহমেদ মাসুদুল হক, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অমর একুশে বইমেলা দেশের বই, পাঠক, লেখকসহ বাঙালির জন্য একটি বিশেষ উপলক্ষ। একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। ফেব্রুয়ারিজুড়ে এই মেলা শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বেই এখন একটি অনন্য ঐতিহ্য।

তারা বলেন, গত দুটি বইমেলা করোনা মহামারির কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লেখক, পাঠক, প্রকাশকসহ সবার জন্যই এই সময়কাল কঠিন ছিল। সম্প্রতি আবার অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করার প্রাক্কালে আমাদের অনেক বিষয়াদি বিবেচনায় নিতে হবে। কাগজ সংকটের কারণে দেশে এখন মুদ্রণ কাজই থমকে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর বইয়ের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল। গত ৬ মাসের মধ্যে পাইকারিতে প্রতি টন কাগজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ হাজার টাকা। গত বছর যে কাগজের রিম ১ হাজার ৭০০ টাকা ছিল, এবার সেটি ৩ হাজার ৪০০ টাকা হয়ে গেছে। অন্য কোনো সেক্টরে পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়নি, অথচ কাগজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বই-পাঠক-প্রকাশক-লেখক তথা সংস্কৃতজনদের মাঝে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। আয়োজক বাংলা একাডেমিকে তাই একুশে বইমেলা আয়োজন সফল করতে বাংলাদেশ পুস্তক, প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতিসহ সমমনা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে।

প্রস্তাবনাগুলো হলো-

১. করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক মন্দায় প্রকাশনা শিল্পের ক্ষতির কথা বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন একুশে বইমেলায় স্টল ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি আমরা।

২. আমরা দেখেছি বইমেলা আর পাঠ্যবই ছাপার সময় এলে মিলমালিকরা একত্রিত হয়ে কাগজের দাম বাড়াতে থাকে। এর অবসান হওয়া উচিত। সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

৩. গত তিন বছর করোনা মহামারির ফলে দেশের প্রকাশনা শিল্প ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রভাবও পড়েছে দেশে। কাগজসহ প্রকাশনা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সবকিছুর (প্লেট, ছাপা, বাঁধাই) মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বইমেলায় প্রকাশকরা আছেন লোকসান ও ক্ষতির মুখে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদের প্রস্তাবনা হচ্ছে আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ছোট পরিসরে আয়োজন করতে হবে।

৪. করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, ডলারের অস্বাভাবিক দাম, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে পাঠক, লেখক, প্রকাশক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। দৈনন্দিন দ্রব্যাদি ও অন্যান্য সাংসারিক প্রয়োজন মিটিয়ে বই কেনার সামর্থ্য এবার কতজনের থাকবে সেটা একটি প্রশ্ন। পাঠকদের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে প্রকাশকরা বইয়ের মূল্য নির্ধারণ করবেন। একজন পাঠক যেন তার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারে এটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. কাগজ সংকট ও অন্যান্য কারণে বই প্রকাশের সংখ্যা কমে গেলে লেখক, কবি সাহিত্যিক যারা আছেন তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বাংলাদেশে রয়্যালটি প্রদান নিয়ে লেখকদের নানা আপত্তি রয়েছে। বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক পরিষদ আশা করে প্রকাশনা সংস্থাগুলো লেখকদের রয়্যালটি প্রদানে স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন।

৬. একুশে বইমেলা-২০২৩ এর একটি খসড়া লে-আউট প্রদর্শন করছি। এই লে-আউটটিকে আদর্শ ধরে নিয়ে মেলার ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেলার পরিসর ছোট হয়ে আসবে এবং পাঠক ও মেলায় আগতদের জন্য স্টল ও পুরো মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ বাড়বে। প্রকাশকরা সবাই লাভবান হবে।

৭. বইমেলায় নিরাপত্তার ইস্যুটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতে হবে এবং মেলায় আগতদের প্রবেশ ও বাহির পথে চারদিকে ট্রাফিক কন্ট্রোল সুশৃঙ্খল যথাযথ করতে হবে। ছুটির দিনে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ইত্যাদি যানবাহন পার্কিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৮. উদ্যানের পূর্ব পাশে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটের পাশে কোনো বইয়ের স্টল বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। গত দুটি মেলায় সেই স্থানে যেসব প্রকাশকরা স্টল বরাদ্দ পেয়েছিলেন তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

৯. প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।

১০. সব প্রকাশনার জন্য একটি নির্দিষ্ট সাইজের (১৬ ফুট বাই ৮ ফুট) স্টল বরাদ্দ করতে হবে।

১১. বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে টিএসসির গেট ও বাংলা একাডেমির গেটটিকে প্রাধান্য দিয়ে মেলার লে আউট করতে হবে।

১২. বইমেলা চলাকালীন ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিআরটিসির বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

১৩. স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বই এবং সাহিত্য নিয়ে উৎসাহমূলক নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

১৪. শিশুদের জন্য মেলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বতন্ত্র আঙিনা বরাদ্দ করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে যথেষ্ট জায়গা নিয়ে শিশুদের উপযোগী করে সুশৃঙ্খল ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে।

১৫. লিটল ম্যাগের জন্য স্বতন্ত্র জায়গা বরাদ্দ রেখে লিটল ম্যাগ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।

১৬. বইমেলায় খাবারের দোকান নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সেই এলাকার বাইরে অন্য কোথাও খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।

এসজি

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে একই ম্যাচে লিটন ও তামিমের জোড়া সেঞ্চুরির দুর্দান্ত প্রদর্শনী

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর লিটন দাস যেন নিজের ব্যাটেই তার জবাব দিলেন। দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করে, যেখানে ফর্মহীনতার কারণে জায়গা পাননি লিটন। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন সেই সময় ফর্মের ঘাটতিকেই লিটনের বাদ পড়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে সন্ধ্যায় বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে লিটন যা করলেন, তাতে সেই ফর্ম নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের অবসান ঘটল।

লিটন দাস রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নেমে মাত্র ৪৪ বলেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন, যা তার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে লিটন দেখালেন তার সক্ষমতা। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৫ বলে ১২৫ রান করে, যেখানে ১০টি চার ও ৯টি বিশাল ছক্কা ছিল। ১০৪ রানে থাকা অবস্থায় একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু সানজামুল তা নিতে ব্যর্থ হন। শেষ বলটি উড়িয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দুর্দান্ত ইনিংসটি শেষ করেন লিটন।

তবে রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকার জয়োল্লাসের গল্প শুধু লিটনেই থেমে থাকেনি। তার ওপেনিং সঙ্গী তানজিদ হাসানও ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। ৬৪ বলে ১০৮ রান করেন তানজিদ, যেখানে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা ছিল। বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দল দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি উপভোগ করল। লিটন-তানজিদের উদ্বোধনী জুটি গড়ল ২৪১ রানের নতুন রেকর্ড। এমন জুটি এর আগে বিপিএলে দেখা যায়নি।

ঢাকা ক্যাপিটালসের দলীয় স্কোরও ছুঁয়ে ফেলল ইতিহাসের নতুন উচ্চতা। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ১ উইকেটে তুলল ২৫৪ রান, যা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

রাজশাহীর বোলাররা পুরো ম্যাচজুড়ে ছিলেন লিটন ও তানজিদের দাপটের সামনে অসহায়। বিশেষ করে লিটনের বিধ্বংসী ইনিংসের সামনে তাদের কোনো কৌশলই কার্যকর হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়ার চাপ ও হতাশা ঝেড়ে ফেলে লিটন যেন নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার মঞ্চ বানালেন। তার এই ইনিংস শুধু ব্যক্তিগত ফর্মের জবাব নয়, বরং দলীয় সাফল্যের নতুন রেকর্ডের ভিত্তি গড়ে দিল।

এই ইনিংস লিটনের ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে এবং ক্রিকেট ভক্তদের মনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেবে।

Header Ad
Header Ad

বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দেশে শীর্ষে ঢাবি, দ্বিতীয় ড্যাফোডিল, তৃতীয় বুয়েট

বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দেশে শীর্ষে ঢাবি, দ্বিতীয় ড্যাফোডিল, তৃতীয় বুয়েট। ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের সংখ্যায় শীর্ষে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। প্রায় ৯০০ প্রকাশনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আছে তৃতীয় স্থানে। 

স্কোপাসের গবেষণা ডেটাবেজে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনলাইন সাময়িকী সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কোপাস তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নথিপত্র নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

স্কোপাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ১ হাজার ৫০০টি প্রকাশনা নিয়ে দেশে গবেষণায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪১০টি।

১ হাজার ১০০-র বেশি প্রকাশনা নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আগের বছর ড্যাফোডিলের এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০টি।

প্রায় ৯০০ প্রকাশনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ অবস্থানে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার র‍্যাঙ্কিংয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পঞ্চম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ষষ্ঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অষ্টম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নবম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দশম অবস্থানে আছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার প্রধান বিষয়গুলো ছিল প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান।

প্রতিবেদনটিতে প্রবন্ধের পাশাপাশি কনফারেন্স পেপার, রিভিউ, বইয়ের অধ্যায়, চিঠি, ভুল সংশোধনী, নোট, সম্পাদকীয়, ডেটা পেপার, বই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা নথি স্থান পেয়েছে।

তবে ২০২৪ সালে কোনো পেটেন্ট নিবন্ধিত হয়নি। এছাড়া গত বছর প্রথমবারের মতো টেক্সটাইল গবেষণায় প্রকাশনা দেখা গেছে। ২০২৪ সালে গবেষণায় অর্থায়ন করা শীর্ষ ১৫ সংস্থার মধ্যে ১১টিই ছিল বিদেশি সংস্থা।

জাতীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অর্থায়নে প্রথম (সার্বিক তালিকায় দ্বিতীয়) অবস্থানে ছিল। শীর্ষ ১৫ অর্থায়ন সংস্থার তালিকায় একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বুয়েট এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশি গবেষকদের প্রবন্ধ প্রকাশ করা শীর্ষ জার্নালগুলো হলো: হেলিয়ন, প্লস ওয়ান, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস, আইইইই অ্যাকসেস, হেলথ সায়েন্স রিপোর্টস, সাসটেইনেবিলিটি সুইজারল্যান্ড, আরএসসি অ্যাডভান্সেস, এনভায়রেনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ।

স্কোপাস ডেটাবেজ অনুসারে, ২০২৪ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম ১০৬টি নিবন্ধ প্রকাশ করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এম খালিদ হোসেন এবং তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিনাজপুর-এর আকবর হোসেন।

২০২৪ সালে ১৫ হাজার ৪১৩টি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের প্রকাশনা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার সংখ্যা বাড়লেও প্রকাশনার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনও ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে, যদিও তিন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা প্রায় একই। বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অবস্থান প্রথম ও পাকিস্তান দ্বিতীয়।

Header Ad
Header Ad

উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসিতে সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয়

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চকর মুহূর্তে ভরা, যেখানে কাঁধে ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও নজর কাড়ে। সিলেটের তানজিম সাকিব মোহাম্মদ নাওয়াজকে আউট করার পর ঘটে এই ঘটনাটি, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে বিরাট কোহলি ও স্যাম কনস্টাসের ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের স্থানীয় দুই ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ও রনি তালুকদার দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। তাদের ১০৬ রানের জুটি দলের ভিত্তি গড়ে তোলে। জাকির ৪৬ বলে ৭৫ রান করে মাঠ ছাড়েন, যা সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে একটি রেকর্ড ইনিংস। রনি ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন। অধিনায়ক আরিফুল হকের ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস শেষে সিলেট স্কোরবোর্ডে তোলে ১৮২ রান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে খুলনার ব্যাটসম্যানরা শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার রোসিস্টো ৪৩ রান করলেও তার ইনিংস ছিল ধীরগতির। মিডল অর্ডারে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খুলনাকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। তবে তানজিম সাকিবের স্লোয়ারে আউট হয়ে গেলে খুলনার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

তবুও শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যায় খুলনা। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৬ বলে ২৮ এবং আবু হায়দার রনি ৬ বলে ১৪ রান করেন। তবে রুয়েল মিয়ার নিয়ন্ত্রিত শেষ ওভারে খুলনার জন্য প্রয়োজনীয় ১৯ রান তুলতে ব্যর্থ হয় দলটি।

এই জয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স বিপিএলে নিজেদের অবস্থান আরও সুসংহত করলো, অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় হার নিয়ে বিপাকে খুলনা টাইগার্স।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিপিএলে একই ম্যাচে লিটন ও তামিমের জোড়া সেঞ্চুরির দুর্দান্ত প্রদর্শনী
বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দেশে শীর্ষে ঢাবি, দ্বিতীয় ড্যাফোডিল, তৃতীয় বুয়েট
উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসিতে সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হল থেকে আগুনে পোড়া কোরআন উদ্ধার, বিক্ষোভ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন
‘অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি’
রাবিতে কোরআন পুড়ানোর ঘটনায় ছাত্রদলের নিন্দা প্রকাশ
রাজউকের প্লট জালিয়াতি, শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নওগাঁয় নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট, অভিযোগের তীর প্রতিবেশির দিকে
বিরামপুরে অগ্নিকাণ্ড ৩টি দোকান পুড়ে ছাই
ইংল্যান্ডে দুপুরের খাবারসহ বিনা টিকিটে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছেন টিউলিপ: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন
প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়
‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় করেছেন ৩০ কোটি!
কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত
বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাবিতে ছাত্রীহল নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু নিয়ে যা বললেন বিমান বাহিনী প্রধান
‘আগে জাতীয় নির্বাচন, পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন’  
দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত