রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত

দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত । ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের পর নতুন উপদ্রবের নাম ‘হিউম্যান মেটা নিউমো ভাইরাস’ বা (এইচএমপিভি)। করোনার মতো এবারও চীনে প্রথম শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীন, জাপান ও ভারতের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো আতঙ্ক ছড়ানো এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী।

আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী, যার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে। আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এক কর্মকর্তা জানান, শনিবার (১১ জানুয়ারি) আমরা নতুন করে একজনের দেহে এইচএমপিভি সংক্রমণের একটা রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি এইচএমপিভিতে আক্রান্তের পাশাপাশি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত। তিনি রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা যতটুকু জেনেছি আগের চেয়ে খানিকটা ভালো।

তিনি বলেন, তিনি দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন, কারণ তার কোনো বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। এটা খুবই স্বাভাবিক। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। সুতরাং এটা নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই।

নতুন করে ২০২৫ সালে এসে আতঙ্ক ছড়ালেও এইচএমপিভি নামক ভাইরাসটিতে প্রতিবছরই দু-চারজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন।

তিনি বলেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটা শুধু চীনেই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের উপস্থিতি আরও আগে থেকেই আমরা পেয়েছি। কাজেই এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়।

তাহমিনা শিরীন আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যখন সর্বপ্রথম এই পরীক্ষাটি করেছি, তখনই কয়েকজন শনাক্ত পেয়েছিলাম। হয়তো এর আগেই যদি পরীক্ষা করা হতো, তাহলে আগেই শনাক্ত হতো। সুতরাং ঠিক কবে এই ভাইরাসটি দেশে এসেছে, সেটি বলা সম্ভব নয়। তবে প্রতিবছরই কমবেশি শনাক্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্তমানে এইচএমপিভির চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি,এইচএমপিভি ২০০১ সাল থেকেই বাংলাদেশে আছে। এমনকি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়েছে। যে কারণে করোনাভাইরাসের মতো এই ভাইরাস নিয়ে এতো ভয়ের কিছু নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, ২০০১ সালে বিশ্বে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়ত আরো অনেক যুগ আগে থেকেই এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে। কেউ কেউ বলছেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই রোগটা আছে বলেও যোগসূত্র পাওয়া যায়।

 

Header Ad
Header Ad

ইংল্যান্ডে দুপুরের খাবারসহ বিনা টিকিটে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছেন টিউলিপ: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ হুট করেই ক্রিকেট সম্পর্কিত একটি বিতর্কে জড়িয়েছেন।

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ওভাল এবং লর্ডস স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ বিনা টিকিটে দেখার অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ম্যাচগুলো ছিল বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, টিউলিপ এবং তার ভাই-বোনেরা ম্যাচগুলোতে সৌজন্য টিকিটে উপস্থিত ছিলেন। টিকিটগুলোতে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ছিল ৩৫৮.৮০ পাউন্ড (বাংলাদেশি প্রায় ৫৪ হাজার টাকা)।

ম্যাচ দুটিতে টিউলিপের সঙ্গী ছিলেন কাজী নাবিল আহমেদ, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এবং বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি।

বাংলাদেশে উপহার বা সৌজন্য টিকিট গ্রহণ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে, যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে, সরকারি পদে থেকে বিনা মূল্যে এমন সুবিধা গ্রহণ করলে তা নৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই ঘটনার পর টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আইনের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, যা তার রাজনৈতিক অবস্থানের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়

প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়। ছবি: সংগৃহীত

একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে গান গেয়ে সর্বমহলে পরিচিত লাভ করেন সাবরিনা পড়শী। এরপর একে একে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট গান। দেখতে দেখতে গানে গানে পেরিয়ে গেছে তার ১৬ বছর। বর্তমানে স্টেজ শো ও নতুন নতুন গান নিয়ে বেশ ব্যস্ততা তার।

‘ক্ষুদে গানরাজ’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবরিনা পড়শীর বিয়ের খবর এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রেমের সম্পর্কের পর গাটছড়া বেঁধেছেন ‘ক্ষুদে গানরাজ’-এর আরেক নিলয়ের সঙ্গে। জীবনের নতুন অধ্যায়ে একে অন্যের হাত ধরলেও শুরুটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছিল পড়শী-নিলয়ের।
২০০৮ সালে পড়শী-নিলয় দুজনেই ক্ষুদে গানরাজের একই আসরে নাম লিখিয়েছিলেন। ওই আসরে প্রতিযোগিতাকালীন নিলয়ের কণ্ঠ বেশ সাড়া ফেলে। তার গাওয়া কয়েকটি গান পায় জনপ্রিয়তা।

তবে প্রতিযোগিতাকালীন নিলয় নাম করলেও পরে শ্রোতাদের মন জয় করেন পড়শী। অসংখ্য জনপ্রিয় গান দেন উপহার। ততদিনে শ্রোতাদের স্মৃতি থেকে ম্লান নিলয়ের নাম। কেননা ২০১০ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান নিলয়।

তবে সংগীতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও একই আসরের প্রতিযোগী পড়শীতে আটকে যান তিনি। একে অন্যের মনে দোলা দেন তারা। শুরু হয় প্রেম। গত বছর নিলয়ের পরিবার বাংলাদেশে আসে। ছিল কয়েক মাস।

এরপর পড়শী ও নিলয়ের পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেন। তারপর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়া হয়। এক সময়ের দুই প্রতিযোগী হাতে হাত রেখে শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। তবে বিয়ে নিয়ে আপাতত দুই পরিবারের কেউই খবর প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না।

 

Header Ad
Header Ad

‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় করেছেন ৩০ কোটি!

ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কে জমজমের পানি বলে ট্যাপের পানি বিক্রি করে এক ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে আয় করেছেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ওই ব্যক্তি প্রতিদিন ২০ টন ভুয়া জমজমের পানি বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

বিলাল নামের এক ব্যক্তি পাঁচ মাস ধরে তুরস্কের বাজারে ট্যাপের পানি জমজমের পানি বলে বিক্রি করছিলেন। বোতলের গায়ে জমজমের পানির লেবেল লাগানো থাকায় সাধারণ মানুষ তা জমজমের পানি ভেবে কিনতেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পানি আসলে তুরস্কের আদানার ওয়্যারহাউজ থেকে নেওয়া।

বিলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানতে পারে, তুরস্কে জমজমের নামে বিক্রি হওয়া পানির বেশিরভাগই ট্যাপের পানি। কিছু বিক্রেতা অল্প পরিমাণ আসল জমজমের পানি মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার ভুয়া জমজমের পানি উদ্ধার করে। বোতলগুলো বিভিন্ন আকারের এবং আরবি লেখা সম্বলিত। এ ধরনের বোতল তুরস্কের বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

কিছু বিক্রেতার দাবি, পানির একটি অংশ জমজম থেকে আনা হলেও তাতে ট্যাপের পানি মেশানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জমজমের পানির প্রকৃত উৎস নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। জমজমের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের প্রতারণা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইংল্যান্ডে দুপুরের খাবারসহ বিনা টিকিটে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছেন টিউলিপ: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন
প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়
‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় করেছেন ৩০ কোটি!
কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত
বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাবিতে ছাত্রীহল নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু নিয়ে যা বললেন বিমান বাহিনী প্রধান
‘আগে জাতীয় নির্বাচন, পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন’  
দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি: বরখাস্তকৃত সেই দুদক কর্মকর্তা
ছাত্র আন্দোলনে নিহত, কাপড় দেখে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করলেন স্ত্রী
জামালপুরে গরু চুরি করে ভূরিভোজ, বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার
বিজিবি এবং স্থানীয়দের শক্ত অবস্থানে ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে  
সাকিব-লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
জবি শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু
বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপানের মত গাজাকে গড়ার আহ্বান ইলন মাস্কের  
হাসিনা আমাদের জন্য অনেক করেছে, তাঁকে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত: কংগ্রেস নেতা
রাজনীতিতে যোগ দিতে চাই না, আমার লক্ষ্য কুরআনের খেদমত করা: আজহারী
নির্বাচন কমিশনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে উঠলো 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’