শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাস্তবে কাজটা অতো সহজ ছিল না। অবশ্য খবরের কাগজে নিম্নমান কেরানি কিংবা ফাইফরমাস খাটার কাজের জন্য বিজ্ঞাপন থাকত। নাপিতের দোকানের পাশে গোয়ালিনী বারটট বেগমের একটা দোকানঘর ছিল। সেখান থেকে মাখনের গন্ধ আসত, বিশেষ করে তেলের গন্ধে যাদের নাক অভ্যস্ত তাদের কাছে গন্ধটা বেশ উপভোগ্য ছিল। যা হোক, বারটট বেগমকে নানি আগে থেকে বলে রেখেছিলেন। নানির হয়ে তিনি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন দেখে রাখতেন। কিন্তু চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে পনেরো বছর হতে হবে। তেরো বছরের জ্যাকের জন্য মিথ্যে বলাটাও অসম্ভব ছিল। তাছাড়া চাকরিদাতারা চাইতেন চাকরি-প্রার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে থেকে যাবে; অন্য কোথাও চলে যাবে না। অখ্যাত ওড়না পরা অবস্থায় নানি প্রথম যাদের কাছে জ্যাককে নিয়ে গেলেন তারা দেখলেন, তাদের কাজের জন্য জ্যাক আসলে খুব ছোট হয়ে যায়। তারা প্রায় না করেই দিলেন। কারণ মাত্র দুমাসের জন্য তাকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
নানি বললেন, তুই বলবি ওদের ওখানে থেকে যাবি।
কিন্তু সে কথা তো সত্যি নয়।
তাতে কিছু যায় আসে না। ওরা তোর কথা বিশ্বাস করবে।

জ্যাক তাদের বিশ্বাস করা না করা নিয়ে ভাবেনি। তারা তাকে বিশ্বাস করুক তাও সে চায়নি। তার কাছে বড় কথা হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলেই তো তার গলায় আটকে যাবে কথা। অবশ্য বাড়িতে মিথ্যে সে বলেছে কখনও কখনও, শাস্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য, দুপয়সা বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ভাব নিয়ে আড্ডাবাজি করার কারণে। পরিবারের মানুষদের কাছে ছোটখাটো মিথ্যে বললে সেটা ছিল মার্জনীয়। কিন্তু বাইরের কারো কাছে মিথ্যে বলা মানে মারাত্বক। কোনো এক অজানা কারণে জ্যাক বুঝতে পেরেছিল, যাদের ভালোবাসা যায় তাদের কাছে অপরিহার্য এবং গুরুতর বিষয়ে মিথ্যে কথা বলা যায় না। যদি সেরকম বিষয়ে মিথ্যে বলাই হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না, তাদেরকে ভালোবাসাও যায় না। চাকরিদাতারা তার সম্পর্কে যা কিছু জানবে সব তার মুখে শুনেই জানবে। সুতরাং সে যদি মিথ্যে বলে তাহলে তারা তাকে ঠিক মতো চিনতেই পারবে না। মিথ্যেটা ধ্রুব হয়েই থাকবে। একদিন বারটট বেগম খবর দিলেন, আঘা ডিসট্রিক্ট এলাকার একটা বড় ধাতব সামগ্রীর দোকানে অল্পবয়সী একজন ফাইলিং কেরানি চেয়েছে। নানি তার ওড়নার গিট বাঁধতে বাঁধতে বললেন, চল যাই। কেন্দ্রীয় ডিসট্রিক্টের দিকে যেসব ঢাল উঠে গেছে সেগুলোর একটার পাশেই ছিল দোকানটা। মধ্য জুলাইয়ের সূর্যটা রাস্তাটাকে ভাজাভাজা করে চলছে এবং রাস্তা থেকে উঠে আসা প্রস্রাবের আর অ্যাসফল্টের গন্ধটা আরো তীব্র করে তুলছে। রাস্তার সমান উচ্চতায় একটা সরু তবে গভীর গুদামঘর জাতীয় দোকান। মাঝখানের একটা কাউন্টার লম্বা পথটাকে দুভাগ করেছে। লোহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, হুড়কা ইত্যাদির নমুনা রাখা হয়েছে কাউন্টারে। দেয়ালের অনেকটা জুড়ে অনেকগুলো ড্রয়ার। ড্রয়ারগুলোতে রহস্যময় সব লেবেল লাগানো। প্রবেশ পথের ডান দিকে কাউন্টারের ওপরে জানালার সঙ্গে ক্যাশিয়ারের জন্য পেটা লোহার গ্রিল বসানো হয়েছে। গ্রিলের অপর পাশ থেকে দিবাস্বপ্নে বিভোর এক মহিলা জ্যাকের নানিকে দ্বিতীয় তলায় অফিসে যেতে বলল। দোকানের শেষ মাথায় একটা কাঠের সিঁড়ি একটা বড় অফিসরুমের মাথা পর্যন্ত চলে গেছে। দোকানের চেহারার সঙ্গে অফিসের চেহারায় পুরোপুরি সাদৃশ্য আছে। রুমের মাঝখানে একটা বড় টেবিলে পাঁচ ছয়জন নারী পুরুষ কর্মী বসে আছে। বড় রুমের এক পাশে একটা দরজা ম্যানেজারের রুমের দিকে গেছে।

প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে ওঠা শরীরে ম্যানেজার কলার খোলা শার্ট পরে আছেন। তার পেছন পাশে একটা জানালা; জানালা দিয়ে উঠোন দেখা যায়। সেখানে বেলা দুটোর সময়েও রোদ পড়েনি। লোকটার চেহারা মোটাসোটা তবে খাটো। তার ঘাড়ের ওপরে গলানো ফিতা বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে উঁচু করে ধরে আছেন। লোকটার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না, তবে নিশ্বাস আটকানো মুখের ভেতর থেকে জ্যাকের নানির বসার আহ্বান বের হয়ে এল। জ্যাকের মনে হলো, গোটা ভবনে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে। জ্যাক বুঝতে পারল, ম্যানেজারের অনড় অবস্থায় বসে থাকা মানে লোকটা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখছে। ভয় জাগানিয়া চেহারার ক্ষমতাধর লোকটার সামনে মিথ্যে বলতে হবে ভাবতেই জ্যাকের পা কাঁপা শুরু করল। নানির চেহারা দেখে জ্যাক বুঝতে পারল, নানির মধ্যে কোনো রকম কাঁপাকাঁপি নেই। তখনকার আসল কথা হচ্ছে, জ্যাকের বয়স পনেরো বছর হতে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়িই চাকরিটা তার চাই। ম্যানেজারের মন্তব্য অনুসারে জ্যাকের চেহারা পনেরো বছরের বলে মনে হয় না। তবে সে বুদ্ধিমান হলে..... আর তার কি সার্টিফিকেট দু এদুতেস আছে? না, বৃত্তি আছে। কিসের বৃত্তি? ডলসের। ও, তাহলে সে লিসেতে পড়ছিল? কোন ক্লাসে? চতুর্থ বর্ষে। সে তাহলে লিসে ছেড়ে আসবে? ম্যানেজার আরো অনড় হয়ে বসলেন; এবার মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে। তার গোলাকার দুধেল রঙের চোখ এবার নানির ওপর থেকে জ্যাকের ওপর চলে এল। তার চাহনির নিচে জ্যাক কেঁপে উঠতে লাগল।
নানি বললেন, হ্যাঁ। আমরা খুব গরিব মানুষ।

বোঝা যায় কি যায় না এমনভাবে নরম হলেন ম্যানেজার। তিনি বললেন, খুব দুর্ভাগ্যের কথা। ছেলে তো মেধাবী। অবশ্য ব্যবসায়েও ভালো পদবী পাওয়া যেতে পারে।
আবার একথাও সত্য ‘ভালো পদবী’ শুরুতে ছোটখাটোই থাকে। দিনে আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে ১৫০ ফ্রাঁ পাবে জ্যাক। পরের দিনই কাজ শুরু করতে পারে।
পথে বের হয়ে নানি বললেন, দেখলি, ওরা আমাদের কথা বিশ্বাস করেছে!
কিন্তু চাকরি ছেড়ে যাওয়ার সময় সব সত্য কীভাবে ব্যাখ্যা করবো তাদের কাছে?
ওটা আমার ওপর ছেড়ে দে।

হাল ছেড়ে দিয়ে জ্যাক বলল, ঠিক আছে। মাথার ওপরে গ্রীষ্মের আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগল অফিসের কথা: সেখানে লোহার গন্ধ ছড়িয়ে আছে অফিসজুড়ে; সবটাজুড়ে ছায়া। আগামীকাল তাকে ভোরে উঠতে হবে। তার ছুটি শুরু না হতেই শেষ হয়ে গেল।
পর পর দুবছর জ্যাক গ্রীষ্মের ছুটির সময় চাকরি করে ফেলল। প্রথমে যন্ত্রপাতির দোকানে, তার পরে একটা জাহাজের দালালি প্রতিষ্ঠানে। দুজায়গাতেই ১৫ সেপ্টেম্বর নিয়ে তার ভয় ছিল। ওই দিনই তাকে চাকরি ছাড়ার কথা জানাতে হয়েছিল।

কাজ শেষ হয়ে গেছে সেটাই বড় কথা। অবশ্য গ্রীষ্ম আগের মতো কড়া তাপ বিকিরণ করেছে, প্রচণ্ড একঘেয়েমি শরীর মনের ওপর চেপে বসেছে। তবে আগে গ্রীষ্মকে যে সব বিষয় আদর্শ রূপদান করেছে সেসব বিষয় গ্রীষ্মের ভেতর থেকে হারিয়ে গেছে বলে মনে হয়ে জ্যাকের। গ্রীষ্মের আকাশ, খোলা পরিসর এবং কলরব কোনো কিছু আর আগের মতো মনে হয়নি তার। পাড়া মহল্লার লাগামহীন দারিদ্রের মধ্যে আর জ্যাক দিন যাপন করেনি। তার সময় কেটেছে শহরের নিম্নাঞ্চলে যেখানে দরিদ্রদের ছোট পাথরের প্লাস্টারের পরিবর্তে ধনীদের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে বাড়িগুলোকে আলাদা এবং ধূসর ও বিষন্ন চেহারা দান করার জন্য। সকাল আটটার সময় জ্যাক যখন লোহার গন্ধ আর আবছা অন্ধকার দোকানে প্রবেশ করল তার মনের ভেতর থেকে একটা আলো নিভে গেল। আকাশটা বিলীন হয়ে গেল। ক্যাশিয়ারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সে দ্বিতীয় তলার আবছা আলোকিত অফিসে উঠে গেল। প্রধান টেবিলে তার জন্য আর ফাঁকা জায়গা ছিল না। সারাদিন হাতে বানানো সিগারেট টানতে টানতে প্রধান হিসাবরক্ষকের গোঁফ হলুদ হয়ে গেছে। সহকারী হিসাবরক্ষকের মাথার অর্ধেকখানি টাক হয়ে গেছে, মুখ এবং বুকের গড়ন ষাঁড়ের মতো। অল্পবয়সী দুজন কেরানির মধ্যে একজনের চেহারা হালকা পাতলা, চুল বাদমী, সোজা সাপটা চেহারায় তার মধ্যে পৌরুষের ছাপ বেশ স্পষ্ট। অফিসে ঢোকার সময় প্রতিবারই দেখা গেছে তার শার্ট ভিজে গায়ের সঙ্গে লেপ্টে আছে। তার শরীর থেকে সমুদ্রের ঘ্রাণ বের হতো। কারণ অফিসের মধ্যে নিজেকে সারাদিনের জন্য পুঁতে ফেলার আগে তিনি সাঁতার অনুশীলন করে আসতেন। আরেকজন ছিলেন মোটা এবং সদাহাসিখুশি। নিজের হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল ভাব তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না। সর্বশেষ জন বেগম রাসলিন, তিনি ম্যানেজারের সহকারী, মুখের গড়ন ঘোড়ার মতো লম্বা হলেও মজবুত সুতি আর পশমি পোশাকে হাসিখুশি বলেই মনে হতো। সব সময় গোলাপী রঙের পোশাক পরতেন। জগতের প্রতি চাহনি যেন খুব কড়া ছিল তার। নিজেদের ফাইলপত্র, হিসাবরক্ষণ খাতা এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা সবাই টেবিলের সবটুকু জায়গা দখল করেছিল। সুতরাং জ্যাকের জায়গা হলো ম্যানেজারের রুমের দরজার ডান পাশের একটা চেয়ারে। তার কাজ হলো চালান কিংবা ব্যবসায়িক চিঠিপত্র জানালার উভয়পশের কার্ডসূচির একটা ফাইলে তুলে রাখা। ঠেলা দিয়ে খোলা এবং বন্ধ করা যায় এমন ড্রয়ার খুলে জ্যাক কার্ডগুলোর কাগজ এবং আঠার গন্ধ শুকত। প্রথম দিকে ভালো লাগলেও পরে সে গন্ধটা তার কাছে একঘেয়ে মনে হতো। কখনও কখনও তাকে সবগুলো কার্ড ভালো করে আরেকবার পরীক্ষা করে দেখতে বলা হতো। এই কাজটা সে করত চেয়ারে বসে কাজের জিনিসগুলো কোলের ওপর ফেলে। মাঝে মাঝে সহকারী হিসাবরক্ষক সংখ্যা মেলানোর কাজে তাকে সাহায্য করতে বলতেন। জ্যাক তার পাশে দাঁড়িয়ে মেলাত আর তিনি বিষণ্ন মুখে সংখ্যাগুলো নিচু স্বরে বলে যেতেন যেন তার সহকর্মীদের বিরক্তি উৎপাদন করতে চান না। জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তা এবং রাস্তার ওপারের বাড়িঘর দেখা যেত। তবে আকাশ দেখা যেতো না। মাঝে মধ্যে জ্যাককে বাইরের কাজেও পাঠানো হতো: কখনও নিকটস্থ দোকান থেকে অফিসের কোনো জিনিসের সরবরাহ আনতে যেতে হতো। মাঝে মাঝে মানি অর্ডার পাঠাতে পোস্ট অফিসে যেতে হতো। কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস ছিল দুশো মিটার দূরত্বের মধ্যে। বন্দর থেকে ওপরের দিকে যে পাহাড়ের ওপরে শহর অবস্থিত সেই পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত প্রশস্ত প্রধান সড়কের ওপরে অবস্থিত ছিল পোস্ট অফিসটা। ওই সড়কে আসলে জ্যাক পুনরায় আবিষ্কার করতে পারত ফাঁকা জায়গা এবং আলো। একটা বড় গোলাকার দালানে অবস্থিত পোস্ট অফিসটায় আলো আসত তিনটা দরজা এবং একটা ছোট গম্বুজের ভেতর দিয়ে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায়ই জ্যাককে পোস্ট অফিসে যেতে হতো দিনের শেষে অফিসের কাজ শেষ করার পর। তার মানে তাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হতো। পোস্ট অফিসের দিকে দৌড়ে যেতে হতো। কারণ তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসত। সেখানে অনেক লোকের ভীড়ে তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো। অর্থাৎ তার কর্মদিবস আরও দীর্ঘ হয়ে যেত। গ্রীষ্মের লম্বা সময়টা জ্যাকের এভাবেই কোনো রকম আলোর ছটার ছোঁয়া ছাড়াই তুচ্ছ কাজ করে কেটে যেত।

নানি বলতেন, কাজ না করে তো তুই আলস্যে সময় পার করতে পারিস না। কিন্তু জ্যাকের মনে হতো, অফিসে সে যে সব কাজ করে সেগুলো কোনো কাজই নয়। সে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিল তা তো নয়; তবে সমুদ্রে যাওয়া কিংবা কুবাতে খেলতে যাওয়ার স্থলে অন্য কিছুকে আনা যাবে না। তার মতে, আসল কাজ বলতে যা বোঝায় সেগুলো তার মামার কারখানার উৎপাদনশীল কাজের মতো হতে হবে। কাজের মধ্যে থাকবে দীর্ঘ সময়ের শারীরিক প্রচেষ্টা, হাতের দ্রুত এবং কঠিন সঞ্চালনের দ্বারা দক্ষ এবং যথাযথ কাজের ধারাবাহিকতা। কর্মী নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবে তার পরিশ্রম একটা নির্দিষ্ট আকার নিচ্ছে: যেমন কোনো রকম ফাটল কিংবা দাগ ছাড়াই একটা নতুন পিপার মতো কিছু। সে জিনিসটা নিয়ে কর্মী আগে থেকে পরিকল্পনা পর্যন্ত করে রাখতে পারবে।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে আপন চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রিরামের ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাপিয়া জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামেরভিটা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে৷

শনিবার সকালে নিহত পাপিয়ার চাচা রাব্বী মিয়া তার লোকজন নিয়ে পাপিয়াদের পূর্বের বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক গাছ রোপন করতে যায়। এতে পাপিয় সহ পরিবারের লোকজন বাধা দিলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচা রাব্বির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়াকে আঘাত করে৷ এতে পাপিয়া গুরুতর জঘম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাপিয়ার মৃত্যু হয়৷ ঘাতক রাব্বি একই গ্রামের চান্দু খলিফার ছেলে৷

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার বলেন, আমরা এ ঘটনায় পারভিন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত

প্রতিকি ছবি

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ও সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০)।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের

জায়েদ খান-নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। কার্যকরী সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার যথাযথ কারণ তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, লন্ডন থেকে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার।

অভিনেত্রী বলেন, স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

এরপর নিপুণ বলেন, শুধু কাজ করলেই হবে না। জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিপুণের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে কমিটির সহসভাপতি ডি এ তায়েব বলেন, নিপুণের এমন মন্তব্য সত্যিই হতাশাজনক। তিনি শুধু ডিপজলকেই ছোট করেননি বরং সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পীদের হেয় করেছেন। আমরা তার এমন মন্তব্যের জন্য একটি নোটিশ দেবো। যথাযথ উত্তর না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ