শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫২

দ্য ফার্স্ট ম্যান

আলজেরিয়ার গ্রীষ্মকাল খুব কঠিন ছিল। আমলা শ্রেণির লোকেরা এবং স্বচ্ছল লোকেরা স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য ‘ফরাসি হাওয়া’ খেতে যেত। ফিরে এসে কেউ কেউ অবিশ্বাস্য সব গল্প ফাঁদত। নয়নাভিরাম মাঠের বর্ণনা দিত। সেখানে নাকি আগস্ট মাসের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে পানি প্রবাহিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। দারিদ্রপীড়িত এলাকায় কোনো পরিবর্তন ঘটত না। নিচের অঞ্চলগুলোতে কখনও কখনও অর্ধেক খালি হওয়ার কথা শোনা গেলেও তাদের এলাকায় জনসংখ্যা দেদারসে বাড়তেই থাকত, রাস্তায় বাচ্চাদের ঢল দেখে তার প্রমাণ পাওয়া যেত।

জ্যাক এবং পিয়েরের কাছে ছুটির দিন মানে গরমের সময় কাপড়ের তৈরি দড়ির তলাঅলা জুতো, সস্তা ট্রাউজার এবং গোল গলাঅলা গেঞ্জি পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। সর্বশেষ বৃষ্টি নামত এপ্রিল মাসে, কিংবা বড়জোর মে মাসে। সপ্তাহ জুড়ে, মাস জুড়ে রোদ চড়া হতে থাকত। সূর্য আরও গরম হয়ে পড়ত। কড়া সূর্যালোক আশপাশের দেয়ালগুলো শুকিয়ে ভাজা ভাজা করে ফেলত। রাস্তার মাটি, টালি আর পাথরগুলোকে মিহি ধূলো বানিয়ে ফেলত। পাগলা বাতাসের কারণে দোকানপাট, রাস্তাঘাট এবং গাছের প্রতিটা পাতার ওপরে ধুলোর পুরু স্তর পড়ে যেত। জুলাই মাসে জ্যাকদের বাড়ির আশপাশের গোটা এলাকা ধূসর-হলুদ রঙের গোলকধাঁধায় পরিণত হয়ে যেত। দিনের বেলা জনমানবহীন; ভয়ঙ্কর সূর্যালোকের শাসনে বাড়িগুলোর সব ঘরের ঝাঁপ সতর্কতার সঙ্গে বন্ধ রাখা হতো। বাড়ি ঘরের দরজার সামনে কুকুর বিড়ালগুলো ভূপাতিত হয়ে পড়ে থাকত। জীবন্ত সবকিছুই দেয়ালের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকার চেষ্টা করত। আগস্ট মাসে তাপে দগ্ধ হয়ে যাওয়া আকাশের ফেঁসোর মতো মেঘের আড়ালে চলে যেত সূর্য। ভারী, আর্দ্র আকাশ থেকে সাদা আলো ছড়িয়ে পড়ত। চোখের পক্ষে সহ্য করা কঠিন। সে আলো রাস্তার রঙের শেষ বিন্দুটা পর্যন্ত মুছে দিয়ে যেত। সমবায় সমিতির শ্রমিকদের হাতুড়ির বাড়ি ধীর লয়ে নেমে আসত। শ্রমিকরা মাঝে মাঝেই কাজ থামিয়ে তাদের ঘর্মাক্ত মাথা বুক পেতে দিত পাইপ থেকে বের হয়ে আসা ঠাণ্ডা পানির সামনে। অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে পানির বোতল এবং কখনও কখনও মদের বোতল ভেজা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা হতো। জ্যাকের নানি ছায়াময় রুমের মধ্যে খালি পায়ে চলাচল করতেন। পরনে শুধু একটা কামিজ থাকত। কয়দা করে খড়ের পাখা ঘোরাতেন; কাজ করতেন বেশির ভাগ সকাল বেলায়। জ্যাককে টেনে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতেন দুপুরের ঘুমের জন্য। সন্ধ্যার প্রথম প্রহরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করতেন। এভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্ম এবং গ্রীষ্মের শিকার যারা তারা সবাই ভারী, ঘাম ঝড়ানো, শরীর ভাজা ভাজা করা আকাশের নিচে যেন হামাগুড়ি দিয়ে চলত। শেষে সবার মন থেকে যেন শীতের ঠাণ্ডা আর বৃষ্টির স্মৃতি মুছেই যেত যেন প্রবল বাতাসের কথা, তুষারের কথা কিংবা হালকা বৃষ্টির কথা পৃথিবী কখনও শোনেনি। বিশ্ব সৃষ্টির লগ্ন থেকে এই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিশয় তাপে দগ্ধ করিডরে পরিণত হওয়া এই খনিজ কাঠামো ছাড়া আর কোনো কিছুর অস্তিত্বই ছিল না। এখানে ঘর্মাক্ত এবং ধূলিধূসরিত জীবকূল কোটরাগত চোখে গতিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে এদিক ওদিক খুব আস্তে ধীরে চলাচল করত। আকাশটা সঙ্কুচিত হতে হতে এক সময় মাটির রাস্তাঘাটের ওপর যেন ভেঙে পড়ত। রাস্তার তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছে যেত। পরিমাণে অঢেল, স্বভাবে প্রবল সেপ্টেম্বরের প্রথম বৃষ্টি, গোটা শহরকে প্লাবিত করে দিত। আশপাশের সব রাস্তাঘাট, ডুমুরের গাছের পাতা, মাথার ওপরের ট্রলিরেইল সবকিছু চকচক করত। শহরের দিকে তাকিয়ে থাকা ওপরের পাহাড় বেয়ে চলে আসত দূরের মাঠের ভেজা মাটির গন্ধ, আসার সময় গ্রীষ্মের কাছে বন্দিদের জন্য বয়ে নিয়ে আসত খোলা জায়গা আর স্বাধীনতার বার্তা। বাড়িঘর থেকে বাচ্চারা ছুটে বের হয়ে আসত রাস্তায়, পরনে সামান্য কাপড় চোপড়। বৃষ্টির পানি গিলতে থাকত রাস্তার ফেনিল জলের মধ্যে হৈহুল্লোর করে। একে অন্যের কাঁধ ছুয়ে রাস্তার খানাখন্দের মধ্যেই গোলাকার হয়ে চিৎকার চেচামেচি করত। তাদের ঐকতানে অতিশয় ঘোলা জলে তৈরি হতো যেন মৌসুমের প্রথম মদ। সেটা বাস্তবের আসল মদের চেয়েও ভয়ানক রকমের কড়া।

গরমের মৌসুম আসলেই ভয়াবহ ছিল। সবাইকে মাথা খারাপ করে দিত। দিন দিন সবার স্নায়বিক শক্তি একেবারে শেষ প্রান্তে চলে আসত। চিৎকার করে কিংবা খিস্তি ঝেড়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো শক্তি পর্যন্ত কারো থাকত না। দারিদ্রক্লিষ্ট এলাকার এখানে ওখানে ফেটে পড়ার আগ পর্যন্ত কড়া তাপের মতো অসহিষ্ণুতা বাড়তেই থাকত। অত্যাধিক কড়া তাপের এরকম প্রভাবের একটা নজির জ্যাক দেখেছিল এক দিন, রিউ ডি লোইনে মারাবুট নামের আরব বসতিপূর্ণ এলাকার একেবারে প্রান্তে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা কবর স্থানের কাছে নীল পোশাক পরা মাথা ন্যাড়া একজন আরব ধুলোময় মুরীয় ক্ষৌরাগার থেকে বের হয়ে এল। জ্যাকের সামনেই ফুটপাতে কয়েক কদম হেঁটে এসে শরীর সামনের দিকে এগিয়ে দিয়ে মাথা পেছনে হেলিয়ে দাঁড়াল সে। আসলে বাস্তবে এরকম করে দাঁড়ানো কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তার মাথা পরিষ্কার করার সময় নাপিত উন্মাদ হয়ে গেছে। উপস্থিত আরবরা লক্ষ করে দেখেছে, নাপিত লম্বা ক্ষুর দিয়ে তার গলায় পোচ মেরে দিয়েছে। সেখান থেকে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। গলায় পোচ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ক্ষৌরাগার থেকে দৌড়ে বের হয়ে এসেছে। তার অবস্থা আধাখেচরাভাবে গলা কাটা হাঁসের মতো হয়েছে। উপস্থিত যারা ছিল তারা নাপিতকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেছে। এই অন্তহীন তাপের মৌসুমের মতোই উন্মাদ নাপিত তখন হাউমাউ করে চিৎকার শুরু করে দিয়েছে।

তারপর আকাশ থেকে নেমে আসা পানির প্রপাত গাছের পাতা, ঘরের ছাদ, দেয়াল, রাস্তাঘাট সবখান থেকে গ্রীষ্মের ধুলা একেবারে ঘষেমেজে পরিষ্কার করে দিত। খুব দ্রুত কাদা পানিতে ভরে যেত পয়োনালী; গলগল শব্দে জলের ধারা নামত নালার মধ্যে। বেশিরভাগ বছর নিষ্কাসনের সব ব্যবস্থা চুরমার করে দিয়ে রাস্তায় বন্যা বইয়ে দিত বৃষ্টির জল। গাড়ি এবং ট্রলিবাসগুলো চলার সময় দুপাশে জল ছিটে পড়ত খুব উচু হয়ে। আর পেছনে ক্রমহ্রাসমান ধারা দেখে মনে হতো, গাড়িটা কিংবা ট্রলিবাসটা একটা হলুদ রঙের মাছের ডানা। তটের কাছে এবং বন্দরের কাছে সমুদ্রের পানিও ঘোলাটে রং ধারণ করত। বৃষ্টির পরে প্রথম সূর্যালোকে বাড়িঘর থেকে, রাস্তা থেকে, গোটা শহর থেকে বাষ্প উঠে যেত ওপরের দিকে। তাপ আবার হয়ত ফিরে আসত। কিন্তু আগের মতো শাসন করার ক্ষমতা থাকত না। আকাশ অনেক উন্মুক্ত মনে হতো। শ্বাস নিতে কষ্ট হতো না। সূর্যের গভীর থেকে বাতাসে কম্পন ছড়িয়ে পড়ত। প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শরতের আগাম বার্তা এবং স্কুলের পড়াশোনার মৌসুম শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে আসত। নানি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতেন, গ্রীষ্ম কত লম্বা রে বাবা! শরতের আগমনকে এবং জ্যাকের বিদায়কে তিনি সমানভাবে স্বাগত জানাতেন। কারণ গরমের সময়ে জ্যাকের ঘরের মধ্যে বন্দি অবস্থা তার কাছে অসহিষ্ণু মনে হতো।

তাছাড়া বছরের একটা বিশেষ সময়ে আলাদাভাবে কোনো মানুষ কর্মহীন থাকবে সেটা তার বোধগম্য ছিল না। তিনি বলতেন, আমার কথাই বলি; আমার তো কোনো ছুটি নেই। আসলেই তার কথা ঠিক। স্কুল কী জিনিস, ছুটি কী জিনিস এসব তিনি জানতেন না। একদম ছোটবেলা থেকে তিনি কাজ করে আসছেন, কোনো রকমের আরাম বিশ্রাম নেই। সামনে বড় কোনো প্রাপ্তিযোগ হবে বলে তার নাতি যে আরও কয়েক বছর বাড়ির জন্য কোনো উপার্জন করতে পারবে না সেটা তিনি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি একেবারে প্রথম দিন থেকেই অযথা খরচ হওয়া তিন মাসের কথা বিশেষভাবে চিন্তায় এনেছেন। লিসেতে জ্যাকের চতুর্থ বছর যেবার শুরু হলো তিনি ঠিক করলেন এইবার জ্যাকের ছুটির দিনগুলো কাজে লাগাতে হবে। স্কুলের বছর শেষের দিন তিনি জ্যাককে বললেন, এবারের গ্রীষ্মে কিন্তু তোকে কাজ করতে হবে। বাড়ির জন্য কিছু উপার্জন করতে হবে। ঘরের ভেতর কাজহীন বসে থাকলে চলবে না। আসলে জ্যাক ভেবেছিল ছুটিতে তার অনেক কাজ করতে হবে সাঁতার কাটতে যেতে হবে, কুবা অভিযানে যেতে হবে; খেলাধুলা, বেলকোর্টের রাস্তায় ঘোরাঘুরি, সচিত্র কাহিনিগুলো পড়া, জনপ্রিয় উপন্যাসগুলো পড়া, ভারমটের পঞ্জিকা, সেইন্ট এতিয়েনের অফুরন্ত ক্যাটালগ সবকিছু মিলে ছুটিটা কাটাতে পারবে। বাড়ির জন্য ফাইফরমাস খাটা, নানির চাপানো কাজ এসব তার কাজের মধ্যে গণনা করেনি সে। কিন্তু জ্যাকের পরিকল্পিত কাজগুলো নানির দৃষ্টিতে মোটেও কোনো কাজ নয়। স্কুলের সময়েও জ্যাক যেরকম কাজ করত এখন সে সেরকম কাজ করছে না এবং বাড়ির জন্য কিছু উপার্জনও করছে না। কাজেই তার এই ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টা নরকের আগুনের মতো জাজ্বল্যমানভাবে অসহনীয়। সবচেয়ে সোজা সহজ কাজ বলতে নানি বুঝতেন তার একটা চাকরি জোটানো।

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পারিবারিক কলহের জেরে আপন চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রিরামের ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাপিয়া জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বিরামেরভিটা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মাস্টারের মেয়ে৷

শনিবার সকালে নিহত পাপিয়ার চাচা রাব্বী মিয়া তার লোকজন নিয়ে পাপিয়াদের পূর্বের বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক গাছ রোপন করতে যায়। এতে পাপিয় সহ পরিবারের লোকজন বাধা দিলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চাচা রাব্বির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়াকে আঘাত করে৷ এতে পাপিয়া গুরুতর জঘম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে পাপিয়ার মৃত্যু হয়৷ ঘাতক রাব্বি একই গ্রামের চান্দু খলিফার ছেলে৷

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার বলেন, আমরা এ ঘটনায় পারভিন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত

প্রতিকি ছবি

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ও সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০)।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের

জায়েদ খান-নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। কার্যকরী সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার যথাযথ কারণ তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, লন্ডন থেকে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার।

অভিনেত্রী বলেন, স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

এরপর নিপুণ বলেন, শুধু কাজ করলেই হবে না। জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিপুণের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে কমিটির সহসভাপতি ডি এ তায়েব বলেন, নিপুণের এমন মন্তব্য সত্যিই হতাশাজনক। তিনি শুধু ডিপজলকেই ছোট করেননি বরং সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পীদের হেয় করেছেন। আমরা তার এমন মন্তব্যের জন্য একটি নোটিশ দেবো। যথাযথ উত্তর না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ