শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৫১

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বেলা দুটোর সময় উপরের খিলানের কোথা থেকে যেন সামরিক বাজনায় ফরাসি জাতীয় সংগীত বাজানো হতো। উপস্থিত সব ছাত্র এবং অভিভাবক সবাই উঠে দাঁড়াত। তখন প্রধান শিক্ষক এবং একজন উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষক প্রবেশ করতেন। আয়তাকার টুপি আর লম্বা গাউন পরা সবাই। তাদের গাউনের রং দেখে বোঝা যেত কে কোন বিভাগের শিক্ষক।

উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সাধারণত ঔপনিবেশিক সরকারের কোনো আমলা হয়ে থাকতেন, তাকে ওই অনুষ্ঠানের জন্য পাঠানো হত। আরেকবার সামরিক বাজনা বাজত শিক্ষকদের আসন গ্রহণের জন্য। অনতিবিলম্বে উচ্চপদস্থ কর্তা বক্তব্য শুরু করতেন। তার বক্তব্যের বিষয় থাকত সাধারণভাবে ফ্রান্স এবং বিশেষভাবে শিক্ষা। ক্যাথরিন করমারি কানে কিছু না শুনলেও মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করতেন। তার ধৈর্যচ্যুতি কিংবা ক্লান্তির কোনো ছাপ দেখা যেত না। জ্যাকের নানি শুনতে পারতেন। কিন্তু খুব পরিষ্কার কিছু বুঝতেন না। তার মেয়ের উদ্দেশে তিনি বলতেন, উনি খুব চমৎকার কথা বলেছেন। তার মেয়ে তার কথায় সায় দিয়ে মাথা ঝাঁকাতেন। তখন নানি তার বাম পাশে বসা অন্য অভিভাবকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হাসি ছড়িয়ে দিয়ে মাথা ঝাঁকাতেন। প্রথম বছরেই জ্যাক খেয়াল করেছে, শুধু তার নানিই মাথা এবং কাঁধ ঢেকে রাখার জন্য পুরনো দিনের স্পেনীয় ওড়না পরেছেন। বিষয়টা জ্যাকের জন্য বিব্রতকর মনে হয়েছে। সত্যি কথা হলো, এই অহেতুক লজ্জার বিষয়টা সারা জীবন জ্যাকের পিছু ছাড়েনি। কারণ পরে জ্যাক নানিকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে ওড়নার বদলে একটা ক্যাপ পরলে ভালো। নানি বলেছেন, ক্যাপ কিনে বাজে ব্যয় করার মতো পয়সা তার নেই। বরং ওড়নায় তার কানের পাশটা উষ্ণ থাকে। কিন্তু অনুষ্ঠানে বসে নানি যখন পাশের কোনো মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন জ্যাকের লজ্জার সীমা থাকেনি। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হলে কনিষ্ঠতম শিক্ষক বক্তব্য শুরু করতেন। তিনি সাধারণত ফ্রান্স থেকে আগত নতুন শিক্ষক হয়ে থাকতেন এবং আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের দায়িত্ব থাকত তার উপরেই। তার বক্তব্য ত্রিশ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়ে থাকত। ওই নবীন শিক্ষাবিদ তার বক্তব্যের মধ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়ের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উল্লেখ করতেন এবং সূক্ষ্ম মানবিক বিষয়াদির অনুপ্রবেশ ঘটাতে ভুল করতেন না। এতে করে তার বক্তব্য আলজেরীয় শ্রোতাদের কাছে পুরোপুরিই দুর্বোধ্য হয়ে উঠত। অত্যাধিক তাপের কারণে শ্রোতাদের মনোযোগ নেতিয়ে পড়ত এবং তাদের হাতের পাখা ঘন ঘন ঘুরতে থাকত। এমনকি মনোযোগী শ্রোতা নানিও এদিক ওদিক তাকিয়ে অবসন্নতা প্রকাশ করতেন। শুধু ক্যাথরিন করমারি তার উপরে বর্ষিত পান্ডিত্ব আর প্রজ্ঞার বর্ষণ একাগ্র দৃষ্টিতে গ্রহণ করে যেতেন সামান্যতম চোখ পিটপিট করার মতো অবহেলা না দেখিয়েও। আর জ্যাক এবং পিয়েরে অন্য বন্ধুদের অনুসন্ধানে এদিক ওদিক তাকিয়ে শরীর মোচড়াতে থাকত। তাদের প্রতি ইঙ্গিত ছুড়ে দিত এবং লম্বা আলাপ শুরু করেও দিত। আলাপের মধ্যে ভেংচি কাটাও থাকত। সবশেষে বিকট করতালি ছড়িয়ে পড়ত। কারণ বক্তা যথেষ্ট দয়াপরবশ হয়ে তার বক্তব্য শেষ করেছেন। তখনই শুরু হতো পুরস্কার ঘোষণা। প্রথমে শুরু হতো উপরের ক্লাসের এবং প্রথম দিকে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের পুরস্কার বিতরণ। তার ক্লাসের পুরস্কার বিতরণ শুরু হওয়া পর্যন্ত জ্যাকের নানি এবং মা অধীর অপেক্ষা করতেন। যারা পড়াশোনায় পরম উৎকর্ষ দেখাতে পারত তাদের পুরস্কার প্রদানের সময় অদৃশ্য থেকে সংগীতের বিশেষ দামামা বেজে উঠত। পুরস্কারের পালা বড় থেকে ছোটদের দিকে আসত। পুরস্কার প্রাপ্তরা উঠোনের একপাশ দিয়ে হেঁটে মঞ্চে উঠত, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রশংসাসূচক বাক্যে অভিসিক্ত হতো, তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করত। তারপর প্রধান শিক্ষক তাদের হাতে তুলে দিতেন বইয়ের বান্ডিল। মঞ্চের নিচে বই বোঝাই একটা ঠেলা গাড়ি দাঁড় করানো থাকত, সেখান থেকে একজন পরিচারক প্রধান শিক্ষকের হাতে বইয়ের বান্ডিল ধরিয়ে দিত এবং শেষে তিনি ছাত্রদের হাতে তুলে দিতেন বই। বিপুল করতালি আর সংগীতের মুর্ছনার মাঝে পুরস্কার বিজেতা চারপাশে তাকাতে তাকাতে আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে হেঁটে নেমে আসত। তার অনুসন্ধানী চোখ তার গর্বিত অভিভাবকদের দিকে। তখন তারা আনন্দের অশ্রু মুছতে ব্যস্ত। আকাশের নীল রং ততক্ষণে একটুখানি ফিকে হয়ে এসেছে। তাপমাত্রা কমেছে আরেকটু। সমুদ্রের উপরে কোথাও অল্প একটু ফাটল পেয়ে আকাশ হয়ত সেখানে তাপ ঢেলে দিয়েছে খানিক। পুরস্কার বিজেতারা একে একে মঞ্চের দিকে যাচ্ছে আসছে। সঙ্গে সংগীতের দামামা চলছে এভাবে দর্শকদের মধ্যে ভীড় কমে আসছে। আকাশ আরেকটু মিশ্র নীলাভ হয়ে গেলে আসত জ্যাকের পুরস্কার গ্রহণের পালা। তার ক্লাসের পুরস্কারের ঘোষণা শুনলেই জ্যাক হাসি তামাশা থামিয়ে গম্ভীর হয়ে যেত। নিজের নাম ঘোষিত হলে জ্যাক উঠে দাঁড়াত। মাথার ভেতরে তখন কেমন যেন ভনভন শব্দ করে উঠছে। তার এগিয়ে যাওয়া দেখে মা জিজ্ঞেস করতেন, করমারি কথাটা বলেছে নাকি? তখন পেছনে মায়ের দিকে তাকানোর আর অবসর নেই জ্যাকের।

নানি বলতেন, হ্যা, বলেছে। নানির মুখটা তখন আনন্দে উত্তেজনায় রাঙা হয়ে উঠেছে।

প্রথম দিন সিমেন্টের পথ পাড় হয়ে মঞ্চে পৌঁছনো, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কোট এবং ঘড়ির চেইন, প্রধান শিক্ষকের মিষ্টি হাসি, মঞ্চের ভিড়ের মধ্যে কোনো শিক্ষকের আন্তরিক চাহনি এসব শেষ করে তারপর দর্শকদের বসার মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা মা এবং নানির কাছে ফিরল জ্যাক। মা তার দিকে তাকিয়ে আছেন বিস্মিত আনন্দের দৃষ্টিতে। জ্যাক মায়ের হাতে তুলে দিল বিজয়ীদের নামের মোটা তালিকা। নানি তার আশপাশের দর্শকদের দিকে গর্বের দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাদের আহ্বান করলেন জ্যাকের কৃতিত্ব দেখার জন্য। বিকেলের ওই সময়ের মধ্যেই এতসব কিছু ঘটে গেল দ্রুত। জ্যাক তখন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব, বাড়ি গিয়ে পুরস্কার হিসেবে পাওয়া বইগুলো দেখতে হবে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম।

বাড়ি ফেরার সময় তারা পিয়েরে এবং তার মায়ের সঙ্গে ফিরল। জ্যাকের নানি আড় চোখে দেখে নিলেন কার বইয়ের বান্ডিলটা বেশি উঁচু হয়েছে। বাড়িতে পৌঁছে জ্যাক মায়ের কাছ থেকে পুরস্কারের তালিকাটা নিলে নানি তাকে যে সব পৃষ্ঠায় তার নাম এসেছে সেসব পৃষ্ঠার কোণা ভাঁজ করে রাখতে বললেন যাতে পরিবারের আর সবাইকে এবং প্রতিবেশীদের তিনি ভালো করে দেখাতে পারেন। তারপর নিজের কী কী অর্জন হলো তার একটা তালিকা তৈরি করতে বসল জ্যাক। কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেখতে পেল মা আসছেন। ততক্ষণে মায়ের পোশাক বদলানো হয়ে গেছে, স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে ব্লাউজের বোতাম লাগাতে লাগাতে আসছেন। জানালার কাছে চেয়ার টেনে নিতে নিতে জ্যাকের দিকে তাকিয়ে মা হাসলেন। বললেন, খুব ভালো করেছিস। এরপর তাকিয়ে থাকতে থাকতে মৃদু মাথা ঝাঁকাতে লাগলেন। এভাবে কখনও মাকে তাকিয়ে থাকতে দেখেনি সে। জ্যাক মায়ের তাকানোর উত্তরে ফিরে তাকিয়ে দেখল, মা রাস্তার দিকে তাকিয়েছেন। জ্যাক বুঝতে পারল, মা এখন লিসে থেকে অনেক দূরে। আরও এক বছর মাকে এভাবে আর দেখতে পাবে না। আস্তে আস্তে ঘরের ভেতরটা অন্ধকার ছেয়ে ফেলল। বাইরে রাস্তার প্রথম আলো জ্বলে উঠল। সেখানে কারা হেঁটে যাচ্ছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। শুধু পথচারীদের হেঁটে যাওয়া দেখা যাচ্ছে।
জ্যাক কল্পনায় দেখতে পেল, তার মা লিসে এক নজর দেখার মতো দেখে চলে এসেছেন। নিজেকে সে শেষবারের মতো আবার ফিরিয়ে নিয়ে এল পরিবার এবং প্রতিবেশের মাঝে।

ছুটির দিনগুলো জ্যাককে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসত, বিশেষ করে প্রথম বছরগুলোর ছুটির দিনগুলো। তার পরিবারের কারো কোনো রকম ছুটির দিন ছিল না। তারা সারা বছর কাজ করত কোনো রকম বিশ্রাম ছাড়াই। কোনো বীমাকৃত কারখানায় কাজ করতে গেলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার পড়লে শুধু সেটাই ছুটি বলে মনে হতো। একবার আর্নেস্ট মামা এরকম একটা জায়গায় কাজ করার সময় ক্লান্তিতে হাতের তালুর খানিক মাংস কেটে ফেলেছিল। সেই ঘটনাকে মামা বলত নিজেকে ‘বীমায় ফেলে দেওয়া’। পাড়ার অন্যান্য বউঝিদের এবং জ্যাকের মায়ের যেসব কাজ করতে হতো সেখানে কোনো বিরতি থাকত না। তাদের সামনে খুব পরিষ্কার যুক্তি ছিল, কাজের মাঝে বিশ্রাম মানেই পরিবারের সবার জন্য খাবারের ঘাটতি পড়া। তাদের বেকারত্বের বিপরীতে কোনো বীমা ছিল না। কাজেই তারা কর্মহীনতাকে বিপর্যয়ের মতো ভয় করত। সে কারণেই পিয়েরের পরিবারের এবং জ্যাকের পরিবারের পুরুষেরা যারা পরিশ্রমের দিক থেকে সবচেয়ে কষ্টসহিষ্ণু ছিল তারাও পরিশ্রমের ব্যাপারে বিদেশিদেরকেও ভয় পেত। তারা মনে করত ইতালিয়, স্পেন, ইহুদি, আরব এবং সর্বোপরি সারা পৃথিবীর মানুষই তাদের কাজ চুরি করে নিতে পারে। যেসব বুদ্ধিজীবি সর্বহারা সম্প্রদায়ের পক্ষে তত্ত্ব প্রচার করে থাকেন তাদের জন্য এই মানুষগুলোর এরকম মনোভাব বিব্রতকর মনে হলেও আসলে কিন্তু মানবিক এবং সমর্থন পাওয়ার যোগ্য। পৃথিবীর প্রভূত্ব অর্জন কিংবা সম্পদের সুবিধা অর্জনের জন্য এই জাতীয়তাবাদী মানুষগুলো অন্যান্যাদের জাতীয়তাবাদের প্রতি বিদ্বেষী ছিল না। তারা শুধু দাসত্ব করার অধিকার চাইত। তাদের কাছে কাজ মানে কোনো বিশেষ গুণ নয়, কাজ মানে প্রয়োজনীযতা। টিকে থাকার জন্যই কাজের দরকার। আর এই কাজই তাদের ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেত।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৫০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান:পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

এর আগে ৩ মে সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মামুনুল হক।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে তখন হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এরপর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

 

অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে শফির উদ্দিন (৭২) নামে এক কৃষকের ঝুলন্ত মরদহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (১৮ মে) সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে মরদহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত কৃষক উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ছোটডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত কৃষক শফির উদ্দিন শনিবার সকালে পরিবারের সবার অজান্তে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ ঝুলন্ত দেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনের উপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।’

ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেফার রহমানের নতুন ইংরেজি গান ‘স্পাইসি’। গানটিতে নার্গিস আক্তারের গাওয়া ‘সোনা বন্ধু তুই আমারে’ গানের দুই লাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এই অংশ নিয়ে নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন জেফার।

গণমাধ্যম অনুযায়ী, এ প্রসঙ্গে জেফার বলেছেন, ‘যে অংশটুকু নিয়ে সমালোচনা করছেন, সেটুকু কিন্তু আমার লেখা, কিংবা সুর করা নয়। লিরিকটা কিন্তু ফুয়াদ ভাইও লেখেন নাই।

এটা অনেক আগের গান। নার্গিস নামের একজনের গাওয়া। ইউটিউবে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। ২০০৬ সালে সেই গানটি ফুয়াদ ভাই কানিজ সুবর্ণাকে নিয়ে প্রথম করেন।

সেই রেফারেন্সটাই ২০২৪ সালে আমার ইংরেজি গানে আনা হয়েছে। অনেকে বুঝতে পারছেন, অনেকে আবার বুঝছেন না। যারা ফুয়াদ ভাইয়ের গান শোনেন, তারা বুঝতে পারছেন।

যারা নতুন বা বয়সে ছোট, তারা বুঝতে পারছে না গানের অংশটুকু রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেই সময়ে আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত সহজলভ্য ছিল না বিধায় তখন এত কথা হয়নি। এখন মানুষের বলার সুযোগ বেড়েছে।’

ট্রল হওয়া নিয়ে গায়িকার ভাষ্য, ‘একদমই না। ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না। আমার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি জানি। আমি কী করতে পারি, সেটা কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণ করে আসছি। সামনেও কাজ দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই। তাই সমালোচনা নিয়ে আমি কখনো ভাবি না।

তবে আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো এই ট্রল নিয়ে নড়েচড়ে যেত। আমাকে এইসব ভাবায় না। আমার চেহারা যেহেতু পরিচিত, তাই সমালোচনাটা আমার ঘাড়ে পড়ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত নই।’

সর্বশেষ সংবাদ

হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১