শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান

সেই প্রথম রাতে তার ভাই চাপা রাগের সঙ্গে বলল, আমি এসব দেখতে পারি না। অসহ্য!
অনিশ্চয়তার সুরে জ্যাক বলল— না, অসহ্য হলো কী করে! লুই তার দিকে হিংস্র এবং উৎসাহী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।

জ্যাক নিজেকে ঠিক করে নিল এবং তার ভয়টা তখন কিছুটা কমে এল। মুরগি আনার সময়ের এবং জবাই করার দৃশ্যের আতঙ্ক বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে তার মধ্যে যেন গর্ব ফিরে এল। শেষে সাহসের সঙ্গেই সে ভাইয়ের উদ্দেশে বলতে পারল, তুমি আসলে ভয় পাও, এটাই বড় কথা।
নানি খাবার রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললেন, ঠিক তাই। এখন থেকে জ্যাকই এই কাজটা করবে।
হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে আর্নেস্ট মামা বলল, ভালো ভালো; জ্যাকের সাহস আছে।

জ্যাক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই অনড় থেকে তার মায়ের দিকে তাকাল। মা অন্য সবার থেকে একটু দূরে বসে এক জোড়া মোজা রিফু করছিলেন। মা তার দিকে তাকিয়ে বললেন, হ্যাঁ, ঠিকই তুই সাহসী। এরপর তিনি রাস্তার দিকে ফিরে তাকালেন। জ্যাক অন্য দিকে কোনো রকম খেয়াল না করে শুধু মাকেই দেখতে লাগল। তার বুকের ভেতর একটা ভারী কিছু দলা পাকাতে লাগল।
নানি বললেন, ঘুমুতে যা। শোয়ার ঘরের আলো না জ্বালিয়েই জ্যাক কাপড় বদলাতে লাগল। খাবার রুমের আলো এসে কিছুটা আলোকিত করেছে শোয়ার ঘরটা। দুজনের শোয়ার মতো জায়গা যে বিছানাটাতে আছে সেখানে একপাশে সরে গিয়ে শুয়ে পড়ল সে যাতে ভাইয়ের গায়ের সঙ্গে ছোঁয়া না লাগে কিংবা তার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। শোয়ার সঙ্গেই ঘুম চলে এল। সারাদিন বেশ পরিশ্রম গেছে। আবেগের ধকলও গেছে। মাঝে ভাইয়ের শোয়ার সময় তার ঘুম ভেঙে যায়। জ্যাককে পার হয়ে দেয়ালের দিকে তাকে শুতে হবে। কারণ ঘুম থেকে সে জ্যাকের পরে উঠে। মাঝে মাঝে মায়ের শোয়ার সময়ও জ্যাকের ঘুম ভেঙে যায়। কাপড় বদল করার জন্য মা অন্ধকারেই আলমারি খোলেন; খোলার শব্দে জ্যাকের ঘুম ভাঙে। মা বিছানায় উঠার সময় কোনো রকম শব্দ হয় না। তার শোয়া এবং ঘুমিয়ে পড়া খুব নিঃশব্দ। মনে হয়, তিনি জেগে আছেন। জ্যাকেরও মাঝে মাঝে সেরকমই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে মাকে ডাকবে। তবে বুঝতে পেরেছে, মা শুনতে পাবেন না। তারপর মায়ের চুপচাপ পড়ে থাকার সঙ্গে নিজেও চুপ করে শুয়ে থেকেছে জ্যাক। এভাবে শুয়ে থাকতে থাকতে এক সময় সেও ঘুমিয়ে পড়েছে। ততক্ষণে হয়তো মা ও ঘুমিয়ে পড়েছেন। সারাদিন লন্ড্রি আর অন্য লোকের বাড়িতে কাজ করে মা খুব ক্লান্ত।

শুধু বৃহস্পতিবার এবং রবিবারে পিয়েরে এবং জ্যাক নিজেদের জগতে ফিরে আসতে পারত। অবশ্য কোনো কোনো বৃহস্পতিবারে ডিটেনশন ক্লাসে আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত অতিরিক্ত দুঘণ্টা লিসেতে কাটাতে হতো। কোনো কোনো সময় মারাত্মক অপরাধ করে ফেললে চার ঘণ্টাও কাটাতে হতো। একটা রুমে আরও সব অপরাধীর সঙ্গে একজন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে তাদের পড়াশোনা করতে হতো। অতিরিক্ত ওই সময়টাতে দায়িত্ব পালন করার কারণে তত্ত্বাবধায়কের মেজাজ থাকত গরম। প্রধান তত্ত্বাবধায়কের দফতর থেকে এরকম একটা ফরমে ডিটেনশন ক্লাসের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল জ্যাকের মায়ের স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। সেখানে ওই অতিরিক্ত পড়াশোনার বিষয়টিকে শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। লিসেতে পড়ার আট বছর সময়ে পিয়েরেকে একবারও ডিটেনশনে থাকতে হয়নি। জ্যাক অতিরিক্ত মাত্রায় হৈহুল্লোড়ে স্বভাবের এবং কিছুটা অহংকারী ছিল। নিজের বাহাদুরি দেখানোর জন্য প্রায়ই মজায় মত্ত থাকত এবং ডিটেনশনের পুরস্কার গলায় পড়ত। যেহেতু জ্যাক নানিকে বোঝানোর চেষ্টা করত এসব শাস্তি আচরণের জন্য দেওয়া হয় তিনি বোকামি আর খারাপ আচরণের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারতেন না। তিনি বুঝতেন, একজন ভালো ছাত্রের স্বভাব চরিত্র ভালো হয়, আচার ব্যবহারও সুন্দর হয়ে থাকে। আর সুস্বভাব মানুষকে জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং তিনি অন্ততপক্ষে প্রথম বছরে বৃহস্পতিবারগুলোর শাস্তিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতেন বুধবারে জ্যাককে আচ্ছামতো পিটুনি দিয়ে।

বৃহস্পতিবারে কোনো শাস্তি না থাকলে সেদিন এবং রবিবারগুলোতে বাড়ির আশেপাশে যে সকল ছোটখাটো কাজকর্ম থাকত সেগুলো করতে হতো জ্যাককে। বিকাল বেলা পিয়েরে এবং জ্যাক বের হয়ে পড়ত এক সঙ্গে। গরমের দিনে তারা সাবলতেস সমুদ্রতট এবং একটা প্যারেড গ্রাউন্ডে যেত। প্যারেড গ্রাউন্ডটা মোটামুটি একটা ফাঁকা জায়গা। সেখানে একটা ফুটবল মাঠও ছিল। তারা ফুটবল খেলত ন্যাকড়া দিয়ে বল বানিয়ে এবং আরব আর ফরাসি ছেলেদের সমন্বয়ে তৈরি হতো দল। তবে বছরের অন্যান্য সময়ে তারা দুজন চলে যেত কুবাতে। সেখানে তাদের বেড়ানোর জায়গাটা ছিল যুদ্ধপ্রবীণদের আশ্রমে। পিয়েরের মা পোস্ট অফিসের কাজ ছেড়ে কুবাতে প্রধান লন্ড্রির কর্মীর কাজ নিয়েছিলেন। আলজিয়ার্সের পূর্বে একটা পাহাড়ি অঞ্চলের নাম কুবা। একটা ট্রলিবাসের শেষ স্টপেজ ছিল সেখানে। আসলে আলজিয়ার্সের শহরাঞ্চল ওখানে শেষ হয়েছে এবং সেহেলের শান্ত গ্রামাঞ্চলের শুরু ওখানেই। চারপশে একই রকম পাহাড় শ্রেণি, এখানে ওখানে পানির উৎসের ছড়াছড়ি, দ্রুত বর্ধনশীল ঘাস, ক্ষুধা চাগিয়ে দেওয়ার মতো গন্ধওয়ালা লাল মাটির মাঠঘাট, মাঠের মধ্যে থেকে থেকে সাইপ্রেস কিংবা লম্বা নলখাগড়ার ঝোপঝাড়ের সারি। আঙুরলতা, ফলের গাছ, শস্য সবকিছুই অবলীলায় বেড়ে উঠত খুব একটা চেষ্টা ছাড়াই। শহরের স্যাঁতসেঁতে গরমের এলাকা থেকে যারা এখানে আসত তাদের বিশ্বাস ছিল, এখানকার জলহাওয়া বলদায়ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আলজিয়ার্সের যাদের হাতে অধুনা কাঁচা পয়সা কিংবা সম্পদ এসেছে তারা আলজিয়ার্স ছেড়ে অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক ‘ফরাসি হাওয়া’ গায়ে মাখানোর জন্য এখানে ছুটে আসত। সামান্য খানিক ঠাণ্ডা হওয়া গলাধকরণ করতে পারলেই তারা সেই হাওয়াকে ফরাসি বাতাস বলে চালিয়ে নিত। এভাবেই তারা কুবাতে এসে ফরাসি বাতাস উপভোগ করত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছিল বৃদ্ধ সৈনিকদের আশ্রম। ট্রলিবাস লাইন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত ছিল সেটা। আশ্রম তৈরি হওয়ার আগে এটা ছিল জটিল স্থাপত্যের একটা মঠ, বেশ কয়েকটা দিক খোলা, সাদা রং করা খুব পুরু সব দেয়াল, বড় বড় হলরুম এবং খিলানঢাকা, ভেতরের ছাদও খিলানের মতো বাঁকানো। তার নিচে ছিল খাবার রুম এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের জায়গা।

পিয়েরের মা ম্যাম মারলোনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লন্ড্রিটা ছিল সেই হলরুমগুলোর একটাতে। সেখানে লোহার লন্ড্রি এবং আর্দ্র লিনেনের গন্ধের মধ্যে তিনি পিয়েরে এবং জ্যাককে স্বাগত জানাতেন। তার অধীনে ছিল দুজন কর্মচারী— একজন আরব, আরেকজন ফরাসি। তাদের দুজনকেই এক টুকরো রুটি আর একটা চকলেট খেতে দিতেন পিয়েরের মা। তারপর তার সুন্দর সবল বাহুর হাতা গুটাতে গুটাতে বলতেন, পকেটে রেখে দাও। চারটের সময় খেও। এখন বাগানে বেড়াতে যাও। আমার হাতে অনেক কাজ।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব-৪৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১১

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

আরএ/

Header Ad

সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের

জায়েদ খান-নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। কার্যকরী সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তার যথাযথ কারণ তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, লন্ডন থেকে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার।

অভিনেত্রী বলেন, স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

এরপর নিপুণ বলেন, শুধু কাজ করলেই হবে না। জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট।

সাংবাদিক সম্মেলনে নিপুণের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে কমিটির সহসভাপতি ডি এ তায়েব বলেন, নিপুণের এমন মন্তব্য সত্যিই হতাশাজনক। তিনি শুধু ডিপজলকেই ছোট করেননি বরং সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পীদের হেয় করেছেন। আমরা তার এমন মন্তব্যের জন্য একটি নোটিশ দেবো। যথাযথ উত্তর না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস পর্যন্ত ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও দুই সপ্তাহ থেকে আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা। মুরগীর দামও বাড়তি।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগের ১২০ টাকা ডজনের ডিম এখন কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। কারণ, ডিমই হলো তুলনামূলক কম দামে প্রোটিন পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উৎস।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। যা মাসখানেক আগেও ৩৮ থেকে ৪০ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।

ডিম ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত কিছু দিনে সারাদেশে তীব্র দাবদাহের কারণে খামারে অনেক মুরগি মরে গেছে। এতে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

তারা আরও জানান, এক মাস আগে রমজানের সময় ডিমের চাহিদা কমে গিয়েছিল। ফলে তখন দাম কমেছিল। কিন্তু এখন ডিমের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ডিমের উত্পাদন কমেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ডিমের দামের উপর। তবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের উত্পাদন খরচ হিসেব করে বলছে, একটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১০ টাকা ৪৯ পয়সা হতে পারে। গত ১৫ মার্চ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা।

এদিকে স্বস্তি নেই মুরগির বাজারেও। ব্রয়লারের কেজি ২২০ টাকা আর সোনালী বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার মো. মোহসিন বলেন, গরমের কারণে ডিমের উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে ডিমের দামের ওপর। রমজানের সময় ডিমের চাহিদা কম থাকায় দাম কমে আসে। কিন্তু এখন বাজারে সবজি ও মাছের দাম বাড়ায় ভোক্তারা ডিমের প্রতি বেশি ঝুঁকেছে। ডিমের দাম বাড়ার এটিও একটি কারণ বলে তিনি মনে করেন।

প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম কম ছিল। তখন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজে ডিম সংরক্ষণ করেছে। এখন সেই ডিম তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। তবে ডিমের বাড়তি এই দর এখন খামারিরা পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

নিহত কলেজছাত্র মেহেদী হাসান মিশু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মেহেদী হাসান মিশু (১৮) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

শুক্রবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া নামক এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন মিশু।

নিহত মেহেদী হাসান মিশু উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মেহেদী হাসান শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে গোবিন্দাসী এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কষ্টাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায় মেহেদী।

এরপর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।

ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, গত শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আজ শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। বাদ আসর নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

সর্বশেষ সংবাদ

সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু