গুগল প্লে-স্টোর থেকে ১৭টি ক্ষতিকর অ্যাপ নিষিদ্ধ করলো
ছবি সংগৃহিত
একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির এক বড় আশীর্বাদ বলা যায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন। জীবনকে সহজ থেকে করেছে সহজতর। আর সেই পথে অন্যতম সাহায্যকারী হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ। শুধু ছবি এডিট করা কিংবা পণ্য কেনার জন্যই নয়। এখন প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সুবিধার নানান ধরনের অ্যাপ আনছে বিভিন্ন কোম্পানি।
তবে এই অ্যাপ আপনার যেমন কাজ সহজ করে দিচ্ছে তেমনি আপনার তথ্য চুরি করে অন্যদের দিয়েও দিচ্ছে। তথ্য চুরি, ফোনের ক্ষতি করা নানা কারণে গুগল বিভিন্ন সময়ে শত শত অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি ১৭ অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে গুগল। আসলের মতো দেখতে এসব অ্যাপে থাকে হ্যাকারদের নানা স্ক্যাম। এমনকি এই অ্যাপগুলো কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ফোনেও আছে।
স্মার্টফোনে সবাই অসংখ্য অ্যাপ ব্যবহার করেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অনেক ধরনের অ্যাপ। তবে জানেন কি এসব অ্যাপের মধ্যে ছদ্মবেশে থাকে অনেক ম্যালওয়্যার। হ্যাকাররা একেবারে আসল অ্যাপের মতোই ভুয়া অ্যাপ ডেভেলপ করে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে।
ভয়ংকর অভিযোগ উঠেছে ক্ষতিকারক অ্যাপগুলোর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্লে স্টোরে থেকে এই লোন অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে নজরদারি চালাচ্ছিল। দিনের পর দিন ব্যবহারকারীদের স্পর্শকাতর নানাবিধ তথ্যও সংগ্রহ করেছিল অ্যাপগুলো। আর সেই সব ডাটা দিয়ে প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের ব্ল্যাকমেল করছিল।
ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন ও ইন্টারনেট সুরক্ষা প্রদানকারী সংস্থা ইএসইটি-এর গবেষকরা সর্বপ্রথম এই অ্যাপগুলোর তালিকা প্রকাশ করে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে। মূলত আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মানুষজনকেই টার্গেট করছিল অ্যাপগুলো।
সিকিওরিটি ফার্মটি আরও জানিয়েছে যে, অ্যাপগুলোর বিষয়ে গুগলের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়। সেই মোতাবেক সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি এরই মধ্যে ওই অ্যাপগুলোকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
তবে গুগল অ্যাপগুলোকে সরিয়ে দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আপনার ফোনে থেকে গেলে এখনো প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায়। জেনে নিন ১৭টি অ্যাপ আপনার ফোনে আছে কি না।
অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-
এএ ক্রেডিট, আমোর ক্যাশ, গুয়াবাক্যাশ, ইজিক্রেডিট, কাশও, ক্রেডিটবাস, ফ্ল্যাশলোন, প্রেস্তামোক্রেডিটো, ক্রেডিট ডি ক্রেডিটো-ইউমি ক্যাশ, গো ক্রেডিটো, ইন্সট্যান্টানিও প্রেস্তামো, কার্টেরা গ্র্যান্ডে, র্যাপিডো ক্রেডিটো, ফিনিউপ ঋণ, ৪এস ক্যাশ, ট্রুনাইরা, ইজিক্যাশ।