ড্র-ই যথেষ্ট ইকুয়েডরের, জিততে হবে সেনেগালের
নেদারল্যান্ডস নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব। বিদায় দিয়েছে কাতার। পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের মাঝে থাকা ইকুয়েডর আর সেনেগাল বাঁচিয়ে রেখেছে বিশ্বকাপে টিকে থাকার আশা। আগামীকাল (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় খলিফা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। বিশ্বকাপ অভিযান অব্যাহত রাখতে ম্যাচটিতে ড্র-ই যথেষ্ট ইকুয়েডরের, জিততে হবে সেনেগালের।
‘এ’ গ্রুপে সমান ২ ম্যাচ শেষে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে ইকুয়েডর। গোল ব্যবধানে সমানে সমান দুই দল। তৃতীয়স্থানে থাকা সেনেগালের পয়েন্ট ৩। টানা দুই হারে টেবিলের তলানিতে স্বাগতিক কাতার।
যেহেতু জয় ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ খোলা নেই, তাই সেরা একটি দল মাঠে নামানোর অপেক্ষায় সেনেগাল। কোচ আলিউ সিসে বলেছেন, ‘আমরা অভিজ্ঞ এবং তরুণদের একত্রিত করতে যাচ্ছি। আমরা একটি সমজাতীয় দল তৈরি করেছি যা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যকে একত্রিত করে। আমি জানি যে আগামীকাল তাদের মাঝে লড়াকু মনোভাব
থাকবে।’
বিশ্বকাপের সবশেষ অঘটনের জন্ম দিয়েছে মরক্কো। বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে তারা। তাদের জয়ই এখন সেনেগালের শক্তির উৎস এমনটা উল্লেখ করে সিসে বলেন, ‘বেলজিয়ামের বিপক্ষে খুব ভালো জয়ের জন্য মরক্কোকে অভিনন্দন জানাই আমরা। এটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস, যাদের অবশ্যই জিততে হবে।’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে সেনেগাল কোচ আরও বলেন, ‘এই দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে যেতে আমাদের জিততে হবে। তারা (ইকুয়েডর) এমন একটি দল যাদের আমরা সম্মান করি, তবে আমরা জয়ের আশা করছি। চাপ কীভাবে সামলে নিতে হয় তা আমাদের জানা। আমরা অভিযান চালিয়ে যেতে চাই।’
ইকুয়েডর কোচ গুস্তাফো আলফারোর বিশ্বাস, সেনেগালের আশার প্রদীপ নিভিয়ে দেবে তার শিষ্যরা, ‘অতীতে যা করেছি তা সব অকেজো হয়ে যাবে আগামীকাল (জিততে না পারলে)। আমরা জিততে চাই। আশা করছি আগামীকাল আমরা সেনেগালের বিপক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী এবং ভাগ্যবান হব, কারণ এটি (নকআউট খেলার টিকেট) আমাদের প্রাপ্য।’
ম্যাচ ফ্যাক্ট
* সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের দুই সাক্ষাতে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সেনেগাল: ২০০২ সালে মে’তে ১-০ এবং ২০০৫ এর ডিসেম্বরে ২-১ গোলে।
* বিশ্বকাপে আফ্রিকান দেশের বিপক্ষে এটাই প্রথম ম্যাচ ইকুয়েডরের। অন্যদিকে, একই মঞ্চে লাতিন অঞ্চলের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই ম্যাচের দুটোই হেরেছে সেনেগাল।
* ইকুয়েডর যদি ড্র করতে পারে তাহলে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের নকআউট খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে দলটি। ২০০৬ সংস্করণে প্রথমবার নকআউট খেলেছিল তারা।
* বিশ্বকাপে সেনেগাল তাদের সবশেষ ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। টুর্নামেন্টে প্রথমবার গ্রুপপর্বে ব্যাক-টু-ব্যাক জয়ের খোঁজে তারা। এর আগে অবশ্য বিশ্বকাপের এক সংস্করণে টানা দুই জয় পেয়েছে দলটি। তবে সেটা গ্রুপপর্ব এবং দ্বিতীয় রাউন্ড মিলিয়ে।
* ২০০২ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে নকআউট খেলার সুযোগ সেনেগালের সামনে। সেবার ব্রুনো মেতসুর কোচিং খেলেছিল আফ্রিকান দলটি। ওই সংস্করণে সেনেগালের ৫ ম্যাচের ৪টিতে খেলেছিলেন আলিউ সিসে, যার কোচিংয়ে কাতার বিশ্বকাপে লড়ছে সেনেগাল।
এসজি