শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আলোর সন্ধানে গিয়ে মেলে অন্ধকার জীবন

শরীয়তপুরের নাজমা বেগম। বয়স ৩৮। অভাবের সংসার তার। স্বামী আক্কাস আলী শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন কর্মহীন রয়েছেন। এমন সময় স্থানীয় এক দালালের কাছ থেকে সৌদি আরবে ভালো বেতনে চাকরির প্রস্তাব পান। ভালো উপার্জনের আশায় স্বামী-সন্তান দেশে রেখে পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। এরপর সবকিছু ওলট-পালট হতে শুরু করে। আলোর সন্ধানে গিয়ে মেলে অন্ধকার জীবন।

নাজমা বেগম জানান, মধ্যপ্রাচ্যে ভালো কাজের কথা বলে তাকে গিয়ে দাসত্বের শৃংখল পরানো হয়েছে। যেখানে ভালো খাবারের আশা ছিল তার, সেখানে জুটেছে বৈদ্যুতিক শকসহ শারীরিক নানা নির্যাতন। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ তৎপরতায় নাজমা বেগম দেশে ফিরতে পারলেও এখনও সেখানে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে দিন পার করছেন দীপ্তি আক্তার ও মোছা. রোকসানা আক্তার নামের দুই নারী।

নাজমার ভাষ্য অনুযায়ী, ওই দুজন শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ এবং তাদের পক্ষে সাধারণ চলাফেরা করাও অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন পাচারের পর ফিরে আসা এই নারী।

ভালো কাজের চুক্তিতে সৌদি আরব যাওয়া এবং সেখানে অবস্থানকালীন ৬ মাস ১৬ দিনে তার সঙ্গে কি কি হয়েছে ঢাকাপ্রকাশের কাছে তা তুলে ধরেন নাজমা। তিনি জানান, সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারেন তাকে পাঁচ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন রিয়াদের এক পরিবার। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াদে। সেখানে তাকে প্রথমে একটি বাসায়, তারপর আরেকটি বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে তার ওপর চলে নির্মম নির্যাতন।

নাজমা জানান, তাকে সেখানে খাবার দেওয়া হতো না। বাথরুম ব্যবহার করতে দেওয়া হতো না। নিয়মিত বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হতো তাকে, করা হতো নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন!

নির্মম নির্যাতনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজমা। প্রাণ বাঁচাতে ওই বাসা থেকে পালিয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হন। কিন্তু তাতেও রক্ষা পাননি তিনি। সৌদি আরবের যে প্রতিষ্ঠান তাকে বিক্রি করেছিল, নাজমাকে তাদের হেফাজতে দেওয়া হয়। এরপর নাজমার ওপর শুরু হয় আরেক দফা নির্যাতন! পরে কৌশলে নির্যাতনের বিষয়টি দেশে তার পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে।

র‌্যাবের তৎপরতায় নাজমা দেশে ফিরতে পারলেও তিনি সেখানে রেখে আসা দুই নারী দীপ্তি আক্তার এবং রোকসানা আক্তারের কথা ভুলতে পারছেন না। তাদের শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে নাজমা বলেন, ‘একের পর এক বিক্রি হয়ে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন ওই দুজন। বর্তমানে তারা দুজন শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ এবং তাদের পক্ষে সাধারণ চলাফেরা করা অসম্ভব।’

নাজমাকে ফিরিয়ে আনার পর র‌্যাব জানায়, তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ তিন নারীকে দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর ফলশ্রুতিতে আল-আরাফা ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করে নাজমা বেগমকে বাংলাদেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। অন্য দুই নারীকেও ফেরত আনার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

পাচার হওয়া কমবয়সী নারীদের গন্তব্য দুবাইয়ের ডিজে পার্টি

আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের দেশীয় এজেন্টরা চষে বেড়ান জেলা থেকে উপজেলা, গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সন্ধান করেন দরিদ্র পরিবারের তরুণীদের। এরপর দুবাইতে গার্মেন্টে চাকরির কথা বলে তাদের নিয়ে আসেন ঢাকায়। এখানে চলে কয়েক দিনের গ্রুমিং সেশন। সৌন্দর্য্য চর্চার পাশাপাশি শেখানো হয় নাচ-গান।

সকল সেশন শেষ হওয়ার পর এসব তরুণীকে পাঠানো হয় দুবাইয়ে। সেখানে এই আন্তর্জাতিক চক্রের অন্য সদস্যরা আগে থেকে অপেক্ষা করেন। তারা মূলত দেশ থেকে পাঠানো কমবয়সী নারীদের রিসিভ করে নিয়ে যান সেইফ হাউজে। এরপর তাদের দুবাইয়ের বিভিন্ন হোটেলে ডিজে পার্টিসহ অনৈতিক বিভিন্ন কাজে লিপ্ত করেন।

সম্প্রতি এই চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার নাম মো. শামসুদ্দিন। বাড়ি নারায়াণগঞ্জে। গ্রেপ্তারের আগে তিনি শতাধিক তরুণীকে এই প্রক্রিয়ায় দুবাই পাঠিয়েছেন বলে র‌্যাবের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের এই সদস্যকে গ্রেপ্তারের সময় পাচারের অপেক্ষায় থাকা এক নারীসহ চার জনকে উদ্ধার করা হয়। পাচারের অপেক্ষায় থাকা ওই তরুণী জানান, তাকে দুবাইয়ের এক গার্মেন্টে লাখ টাকা বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় আনেন শামসুদ্দিন। পরে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় রাখা হয়। নেওয়া হয় বিউটি পার্লারে। এরপর শেখানো হয় নাচ-গান। বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি শামসুদ্দিনের কাছে এসবের কারণ জানতে চান। তখন শামসুদ্দিন তাকে বলেন, দুবাই অনেক সুন্দর দেশ, সেখানে যেতে হলে সুন্দর হয়ে যেতে হয়। এ জন্য এসব প্রস্তুতি।

শামসুদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, নারী পাচারের এই আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতার নাম জিয়া। তিনি দুবাই থাকেন। তার হয়ে দেশ থেকে তরুণী সংগ্রহের কাজটি করে থাকেন শামসুদ্দিন। জিয়া মূলত এসব তরুণীদের দুবাইয়ের বিভিন্ন হোটেলে ডিজে পার্টিসহ অন্য অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করেন।

দুবাইয়ে নারী পাচারের আন্তর্জাতিক এই চক্রের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, শামসুদ্দিন এ পর্যন্ত শতাধিক নারীকে বিদেশে পাচার করেছেন। এ চক্রটি দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং ভারতে নারী এবং পুরুষদের পাচার করে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নারী পুরুষকে পাচার করেছে এ চক্রটি। যেসব নারী বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। অন্যদিকে পুরুষদের কাছ থেকে নেওয়া হতো জনপ্রতি তিন থেকে চার লাখ টাকা করে। দুবাইতে ড্যান্স ক্লাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো তরুণীদের। এ চক্রটি জাল এম্প্লয়মেন্ট কার্ড ও বিএমইটি কার্ড তৈরি করত কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াই।

পাচার হওয়া কম বয়সী নারীদের নেওয়া হয় প্রতিবেশী দেশের হোটেলে

কম বয়সী মেয়েদের মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের দেশগুলোতে পাচার করতে গেলে পাসপোর্ট ও ভিসার জটিলতা তৈরি হয়। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে কম বয়সী নারীদের পাচার করা হয় প্রতিবেশী দেশে। সেখানে বিভিন্ন হোটেলে তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হয় বলে তথ্য পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্যমতে, নারী পাচারের চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে দরিদ্র পরিবারের নারীদের টার্গেট করে। এদের মধ্যে কম বয়সী নারীদের পাচার করা হয় প্রতিবেশী দেশে। পাচারের আগে তাদের ঢাকায় এনে নাচ-গান শেখানো হয়। তারপর তাদের নেওয়া হয় সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহে। এরপর তাদের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সেফ হাউজে নিয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে সুবিধাজনক সময়ে লাইনম্যানের মাধ্যমে অরক্ষিত এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করানো হয়। পরে পার্শ্ববর্তী দেশের এজেন্টরা তাদের গ্রহণ করে সীমান্ত নিকটবর্তী সেফ হাউজে রাখে। সেখান থেকে সুবিধাজনক সময়ে কলকাতার সেফ হাউজে পাঠানো হয় এসব কম বয়সী নারীদের। এর পরের ধাপে কলকাতা থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বেঙ্গালুরু নিয়ে সেখানে বিভিন্ন হোটেলে তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হয়।

ভারতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুতে নতুন করে বিষয়টি সামনে আসে। ওই ঘটনায় ভারতের পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে, যার মধ্যে রয়েছে ঢাকার মগবাজারের বাসিন্দা রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয়। পরে পুলিশ ও র‌্যাব নারী পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। শুধু এই দুই চক্র পাঁচ বছরে প্রায় দুই হাজার নারীকে ভারতে পাচার করেছে বলে পুলিশ ও র‌্যাব জানায়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্য বলছে, এ বছরের প্রথম দশ মাসে সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ৯২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৩ জন নারী, পুরুষ ৪১ জন এবং শিশু ৮ জন। এ সময় ১৬ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়। মামলা দেওয়া হয় ৩৪টি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পাচার চক্রের সদস্যরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সুন্দরী তরুণীদের ঢাকায় নিয়ে আসত। পরে নাচ-গান শেখানোর পাশাপাশি তাদের বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তুলত। এরপর ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করত। পাচারের পর তাদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করান হতো। পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

 

এনএইচ/এএন

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের