বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

জামায়াত নিয়ে সিদ্ধান্তহীন বিএনপি

১৯৯৯ সালে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে এখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে অন্যতম শরীকদল। নির্বাচন কমিশন কৃর্তক নিবন্ধন আইনি জটিলতায় দলটির দৃশ্যত কোনো কার্যক্রম নাই বললেই চলে। তবে বিএনপির কার্যক্রম সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদের আলোচনা-সমালোচনায়ও ঘুরে ফিরেই জামায়াতে ইসলামীর নামটি সামনে উঠে আসছে। দলটির নেতাদের দাবি- জামায়েত ইসলামী শত প্রতিকূল পরিবেশেও দলের সাংগঠনিক কাযক্রম অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে কাজ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সঙ্গে জোটভুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে রাখা হলে কী সুবিধা এবং না থাকলে কী অসুবিধা হতে পারে এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু বৈঠকে জামায়াত ইসলামীকে না রাখার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। বরং জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে ইসলামী সমমনা ইসলামিক দল ও ইসলামিক চিন্তাবিদদের সঙ্গে কিভাবে সখ্যতা গড়ে তোলা যায় সেই বিয়ষটিতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে জামায়াত ইসলামীর সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একটি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাজ হচ্ছে সরকারবিরোধী দেশের সকল (নিববিন্ধত-অনবিন্ধিত) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা। আরেকটি অংশের কাজ জোটভুক্ত ২০ দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা। যার উপর ভিত্তি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বাম, ডান ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে দলীয় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবে দলটির নেতারা। এছাড়া অতীতের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

বৈঠক সূত্র মতে- বিএনপি এই মুহুর্তে সরকার বিরোধী দেশের সকল রাজনৈতিক দল (নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত) গুলোর সঙ্গে আলোচনার পথে হাটঁবে। সেক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটকে পাশে রেখে প্রয়োজনে কিছুটা নিষ্ক্রিয় করে হলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে পাশে চাইবে বিএনপি। যারা যারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিবে তারাই হবে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের সহযোদ্ধা কিংবা জোটভুক্ত রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী যদি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে অবদান রাখে, তখন হয়তো তাদের বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বিএনপি নেতৃত্বকে। তাছাড়া এক সঙ্গে চলতে শুরু হলে অনেক কিছু উঠে আসবে, পরিস্থিতিই বলে দিবে যুগপৎ আন্দোলনে কোন কোন রাজনৈতিক দল এক প্ল্যাটফর্মে থাকবে। তাই তড়িঘড়ি করে এই মুহুর্তে জামায়াত ইসলামীকে জোট ত্যাগের কথা বলার প্রশ্নই উঠছে না। একইসঙ্গে বৃহত্তর ঐক্যে গঠন প্রক্রিয়ার শুরুতে জামায়াত ইস্যুটিকে নিয়ে সময়ক্ষেপণ অপ্রাসঙ্গিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ’২০ দলীয় জোট মূলত দুই দলের জোট। একটি বিএনপি অপরটি জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলের রয়েছে ভোট, জনসমর্থন, সমর্থক। জোটভুক্ত ২০ দলের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে অনেকটাই কাগজে বাঘ।’

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বর্তমান সম্পর্ক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটি পরিবারের অভিভাবকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে পরিবারটির অন্য সকল সদস্যদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক খুব একটা হয় না। তেমনি জোট প্রধান খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে অনুপস্থিতিতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক দৃশ্যত দূরত্ব মনে হতে পারে তবে কার্যত পক্ষে তা নয়। সম্পর্কের ধরণের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে, সেটাও কৌশলগত। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক মতাদর্শে সম্পর্ক আগের মতোই। ফলে জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা আসছে কিভাবে? বরং আমরা জোট ছাড়তে চাইলেও বিএনপি আমাদেরকে জোট থেকে ছাড়তে চাইবে না। রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াত ইসলামী তার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েই বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সাময়িক সম্পর্ক স্থাপনে কোনো রাজনৈতিক দল বা কারও কথায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি জোট সম্পর্ক ত্যাগ করবে, এতো বড় ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এটা ভাবনার কিছু নাই। জামায়াত ইস্যুতে আলোচনায় যা উঠে আসে তা খন্ডিত শব্দচয়ন তাছাড়া কিছু নয়।’

দলটির কর্মপরিষদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিএনপি যেভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তেমনিভাবে জামায়াতে ইসলামীও হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ে বেশি হচ্ছে জামায়াতের ওপর। কারণ ভোটের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে চিড় ধরাতে সক্ষম হচ্ছে না। একদিকে সরকারের চাপ অন্যদিকে রাজনৈতিক কৌশল এই দু'য়ে জামায়াতের রাজনীতি চলমান। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ জামায়াতের রাজনীতির বয়স ৫০।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দল নয় যে তাদের সঙ্গে উঠা-বসা, আলাপ-আলোচনা করা যাবে না। বিএনপি যদি জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে জামায়াতকে পাশে টেনে নিবে না এর কোনো নিশ্চয়তা আছে কী? রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, শঙ্কা তো থাকেই। অতীতে তো ক্ষমতাসীনরা জামায়াত কে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তখন কী জামায়াত ভালো ছিল? এখন বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় তারা দোষী হয়ে গেল বিষয়টা এমন নয় কী?

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মুখরোচক আলোচনা নতুন কিছু নয়। তারা সব সময় জনদৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে একেক সময় একেক ধরণের মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়। একাদশ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি যখন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছিল তেমনি দলটি এখন বৃহত্তর ঐক্য গঠনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তখন ক্ষমতাসীনরা আবারো বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে নানা ধরণের আলোচনায় জোট ত্যাগ, জোট গঠনে জামায়াত ইসলামী প্রধান অন্তরায় এমন অবান্তর ইস্যুর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

এদিকে বিএনপির তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য- সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা প্রতিনিয়ত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে। বিএনপিকে দুর্বল করতেই সরকারি দল বিএনপি ও জামায়াতকে নিয়ে নানা অপপ্রচার করছে- যাতে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যে ফাটল ধরানো যায়। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত যেহেতু একটি ফ্যাক্ট; সেহেতু বিএনপি জোট থেকে জামায়াতকে বের করতে পারলে বিএনপির ভোট ব্যাংক দুর্বল করা যাবে। পাশাপাশি জামায়াতকে সরকারি দলের বগলদাবা করা সহজ হবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যদি জামায়াতকে কাছে টানতে না-ও পারে ২০ দল থেকে জামায়াতকে আলাদা করতে পারাও তাদের বড় সাফল্য বলে ধরা হবে।

এএস

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীর চলমান নৃশংসতায় শিশুসহ গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মানববন্ধন করেছে উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, উপজেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা সনাতন ধর্মাবলম্বী সংঘের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তাপস নারায়ণ দে সরকার প্রমুখ।

এ সময় ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, শিক্ষিকা তাপসী বসাক, সাংবাদিক আব্দুর রশিদ, মাসুদ, ফরমান শেখ, তৌফিকুর রহমান, মাহমুদুল হাসান প্রমুখসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।



Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স