রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জামায়াত নিয়ে সিদ্ধান্তহীন বিএনপি

১৯৯৯ সালে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে এখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে অন্যতম শরীকদল। নির্বাচন কমিশন কৃর্তক নিবন্ধন আইনি জটিলতায় দলটির দৃশ্যত কোনো কার্যক্রম নাই বললেই চলে। তবে বিএনপির কার্যক্রম সম্পর্কে ক্ষমতাসীনদের আলোচনা-সমালোচনায়ও ঘুরে ফিরেই জামায়াতে ইসলামীর নামটি সামনে উঠে আসছে। দলটির নেতাদের দাবি- জামায়েত ইসলামী শত প্রতিকূল পরিবেশেও দলের সাংগঠনিক কাযক্রম অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল করতে কাজ অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের সঙ্গে জোটভুক্ত জামায়াতে ইসলামীকে রাখা হলে কী সুবিধা এবং না থাকলে কী অসুবিধা হতে পারে এ নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু বৈঠকে জামায়াত ইসলামীকে না রাখার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। বরং জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে ইসলামী সমমনা ইসলামিক দল ও ইসলামিক চিন্তাবিদদের সঙ্গে কিভাবে সখ্যতা গড়ে তোলা যায় সেই বিয়ষটিতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে জামায়াত ইসলামীর সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

দুটি কমিটি গঠন করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। একটি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাজ হচ্ছে সরকারবিরোধী দেশের সকল (নিববিন্ধত-অনবিন্ধিত) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা। আরেকটি অংশের কাজ জোটভুক্ত ২০ দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা। যার উপর ভিত্তি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে বাম, ডান ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে দলীয় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরবে দলটির নেতারা। এছাড়া অতীতের বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।

বৈঠক সূত্র মতে- বিএনপি এই মুহুর্তে সরকার বিরোধী দেশের সকল রাজনৈতিক দল (নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত) গুলোর সঙ্গে আলোচনার পথে হাটঁবে। সেক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটকে পাশে রেখে প্রয়োজনে কিছুটা নিষ্ক্রিয় করে হলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে পাশে চাইবে বিএনপি। যারা যারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিবে তারাই হবে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের সহযোদ্ধা কিংবা জোটভুক্ত রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী যদি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে অবদান রাখে, তখন হয়তো তাদের বিষয়টি নিয়ে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বিএনপি নেতৃত্বকে। তাছাড়া এক সঙ্গে চলতে শুরু হলে অনেক কিছু উঠে আসবে, পরিস্থিতিই বলে দিবে যুগপৎ আন্দোলনে কোন কোন রাজনৈতিক দল এক প্ল্যাটফর্মে থাকবে। তাই তড়িঘড়ি করে এই মুহুর্তে জামায়াত ইসলামীকে জোট ত্যাগের কথা বলার প্রশ্নই উঠছে না। একইসঙ্গে বৃহত্তর ঐক্যে গঠন প্রক্রিয়ার শুরুতে জামায়াত ইস্যুটিকে নিয়ে সময়ক্ষেপণ অপ্রাসঙ্গিক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ’২০ দলীয় জোট মূলত দুই দলের জোট। একটি বিএনপি অপরটি জামায়াতে ইসলামী। দুটি দলের রয়েছে ভোট, জনসমর্থন, সমর্থক। জোটভুক্ত ২০ দলের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হচ্ছে অনেকটাই কাগজে বাঘ।’

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বর্তমান সম্পর্ক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটি পরিবারের অভিভাবকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে পরিবারটির অন্য সকল সদস্যদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক খুব একটা হয় না। তেমনি জোট প্রধান খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে অনুপস্থিতিতে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক দৃশ্যত দূরত্ব মনে হতে পারে তবে কার্যত পক্ষে তা নয়। সম্পর্কের ধরণের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে, সেটাও কৌশলগত। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক মতাদর্শে সম্পর্ক আগের মতোই। ফলে জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা আসছে কিভাবে? বরং আমরা জোট ছাড়তে চাইলেও বিএনপি আমাদেরকে জোট থেকে ছাড়তে চাইবে না। রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামে জামায়াত ইসলামী তার সক্ষমতার পরিচয় দিয়েই বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সাময়িক সম্পর্ক স্থাপনে কোনো রাজনৈতিক দল বা কারও কথায় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি জোট সম্পর্ক ত্যাগ করবে, এতো বড় ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এটা ভাবনার কিছু নাই। জামায়াত ইস্যুতে আলোচনায় যা উঠে আসে তা খন্ডিত শব্দচয়ন তাছাড়া কিছু নয়।’

দলটির কর্মপরিষদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিএনপি যেভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তেমনিভাবে জামায়াতে ইসলামীও হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ে বেশি হচ্ছে জামায়াতের ওপর। কারণ ভোটের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে চিড় ধরাতে সক্ষম হচ্ছে না। একদিকে সরকারের চাপ অন্যদিকে রাজনৈতিক কৌশল এই দু'য়ে জামায়াতের রাজনীতি চলমান। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্যবদ্ধ জামায়াতের রাজনীতির বয়স ৫০।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধ কোনো রাজনৈতিক দল নয় যে তাদের সঙ্গে উঠা-বসা, আলাপ-আলোচনা করা যাবে না। বিএনপি যদি জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দিয়ে দেয় সেক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে জামায়াতকে পাশে টেনে নিবে না এর কোনো নিশ্চয়তা আছে কী? রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, শঙ্কা তো থাকেই। অতীতে তো ক্ষমতাসীনরা জামায়াত কে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ আন্দোলন করেছে, তখন কী জামায়াত ভালো ছিল? এখন বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় তারা দোষী হয়ে গেল বিষয়টা এমন নয় কী?

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মুখরোচক আলোচনা নতুন কিছু নয়। তারা সব সময় জনদৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে একেক সময় একেক ধরণের মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়। একাদশ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি যখন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছিল তেমনি দলটি এখন বৃহত্তর ঐক্য গঠনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তখন ক্ষমতাসীনরা আবারো বিএনপি-জামায়াত প্রসঙ্গে নানা ধরণের আলোচনায় জোট ত্যাগ, জোট গঠনে জামায়াত ইসলামী প্রধান অন্তরায় এমন অবান্তর ইস্যুর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

এদিকে বিএনপির তৃণমূল নেতাদের ভাষ্য- সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা প্রতিনিয়ত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে বক্তব্য অব্যাহত রেখেছে। বিএনপিকে দুর্বল করতেই সরকারি দল বিএনপি ও জামায়াতকে নিয়ে নানা অপপ্রচার করছে- যাতে বিএনপি-জামায়াত ঐক্যে ফাটল ধরানো যায়। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত যেহেতু একটি ফ্যাক্ট; সেহেতু বিএনপি জোট থেকে জামায়াতকে বের করতে পারলে বিএনপির ভোট ব্যাংক দুর্বল করা যাবে। পাশাপাশি জামায়াতকে সরকারি দলের বগলদাবা করা সহজ হবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যদি জামায়াতকে কাছে টানতে না-ও পারে ২০ দল থেকে জামায়াতকে আলাদা করতে পারাও তাদের বড় সাফল্য বলে ধরা হবে।

এএস

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি