বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যুবদলে অনিশ্চিয়তা

পূর্ণাঙ্গ নাকি নতুন কমিটি

রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ‘মাইম্যান’ বলয় তৈরিতে সময় অতিবাহিত করছে যুবদল। সংগঠন গোছাতে নেতৃত্ব নির্বাচন সংগঠনটির ‘পকেট’ কমিটিতে পরিণত। আঞ্চলিকতার ‘ইজম’ তৈরিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উভয় নেতা যতটা সক্রিয় সংগঠনের কার্যক্রম উত্তোরণে ততটাই নিষ্ক্রিয়। কেন্দ্রীয় কমিটি কবে কখন পূর্ণাঙ্গ হবে নাকি নতুন কমিটি হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের ভাষ্য-মাঠে কমিটি গঠন ঘিরে আলোচনা আছে, কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ড থেকে এখনো সুনিদিষ্ট কোনো বার্তা নেই। তাই কমিটি হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে রাজী নয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেজন্য সাবেক ছাত্র-নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে যোগ্য, ত্যাগীদের সমন্বয় করে যুবদলের কমিটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সংগঠনটির স্বার্থে সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

২০১৭ সালে ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি সাইফুল আলম নিরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে (০৩) বছরের জন্য ‘সুপার-ফাইভ’ কমিটির অনুমোদন হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান।

এদিকে যুবদলের বর্তমান কমিটির নেতারা নির্ধারিত তিন বছরের জায়গায় পাঁচ বছর অতিক্রম করছেন। কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার একমাস পূর্বে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দলীয় ফোরামে জমা দেন। কিন্তু যাচাই-বাছাই করে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি ১১টি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি যুবদল।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদলের সভাপতি থাকাবস্থায় গড়ে তোলা ‘নিজস্ব বলয়’ থেকে ছাত্র-নেতাদের যুবদলে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন টুকু। তিনি বড় ভাই আব্দুস সালাম পিন্টুর রাজনৈতিক অর্জনকে পুঁজি বানিয়ে পদ ধরে রেখেছেন। আর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় যে ‘নিজস্ব বলয়’ গড়ে তুলে ছিল তাদেরকে কমিটিতে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন নিবর। যদিও ইতোমধ্যে আংশিক কমিটিতে তার বলয়ের অধিকাংশ নেতাদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তারপরও তিনি সভাপতির পদ ধরে রাখতে চাচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দলে তার রাজনীতির মূলশক্তি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ঘনিষ্টসম্পর্কতা। অপরদিকে টুকু সভাপতির পদে যেতে চাচ্ছেন নতুন কমিটি। পূর্ণাঙ্গ ও নতুন কমিটি এই দুইয়ে আটকে রয়েছে যুবদলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব। আর কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ায় দিনদিন বাণিজ্যিক দোকান হয়ে উঠছে যুবদল।

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে নাকি নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে সেই সিদ্ধান্ত বিএনপির হাইকামন্ড নিবেন। আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি, তাই যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই তারপরও আমরা সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখে থেকে প্রায় সকল জেলা কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ৮০% কমিটির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত যুবদল তাদের কমিটি পাবে।’

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে- ‘যুবদলের কমিটিকে নিয়ে দুই কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। একদিকে নিবরকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে যাওয়া, টুকুকে সভাপতি পদে নিয়ে আসা। অন্যদিকে নিরব-টুকুকে সরিয়ে যুবদল থেকেই যুবদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা। সাবেক ছাত্র-নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। সেক্ষেত্রে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান এদের মধ্যে থেকে সভাপতি এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বা আকরামুল হাসান মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হতে পারে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি আছে নতুন কমিটির সম্ভাবনা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন তারেক রহমান। সেই লক্ষ্যে তিনি যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতামত নিচ্ছেন। আশা করছি স্বল্পসময়ের মধ্যে যুবদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চিয়তার অবসান হবে।

যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন হলো। কমিটি গঠন নিয়ে একবার শুনি পূর্ণাঙ্গ হবে, আবার শুনি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি হবে। বিচ্ছিন্নভাবে এ সব শোনা যায় কমিটি গঠন হবে। আসলে এর কোনো ভিত্তি নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন চাইবেন তখন কমিটি হবে সেটা যে কমিটিই ঘোষণা করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করি সংগঠনের জন্য কাজ করছি। যদি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় সেক্ষেত্রে আমি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। আশা করছি হাইকমান্ডের মাধ্যমে কাজের মূল্যায়ণ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক যুবদলের একজন সহ-সভাপতি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নিরব-টুকু ব্যক্তি স্বার্থে সংগঠন পরিচালনা করছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও কমিটি গঠনে উভয় নেতার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই পূর্ণাঙ্গ নয়, নতুন কমিটির নেতৃত্ব ছাড়া স্বকীয়তায় ফিরবে না যুবদল। এদের রেখে সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। বুমেরাং হওয়ার শঙ্কা নিয়েও ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নিরব-টুকু ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে অনেকটাই রাজারহালে জীবনযাপন করছেন। তারা পদ ধরে রাখতে যতটা সক্রিয়, ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরিতে সংগঠনে ততটাই নিষ্ক্রিয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করছে, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিটি হচ্ছে না বলে কর্মীরা দিনদিন বিছিন্ন হয়ে পড়ছেন। প্রতিনিয়ত সংগঠন সাংগঠনিকভাবে ঐক্য হারাচ্ছে।’

যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কমিটি যতদ্রুত হবে সংগঠন ততদ্রুত সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে। নেতৃত্ব তৈরি করে সংগঠনকে গতিশীল রাখতে কমিটির প্রয়োজনীয়তা আছে। কার্যকর কমিটি একটি সংগঠনকে অধিকার আদায়ে রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামে সঠিক পথ দেখায়, সাফল্য এনে দেয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাকি নতুন কমিটি করা হবে সেই সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড নিবেন।

তিনি বলেন, ‘পদ প্রত্যাশা সবার থাকে আমারও আছে। যদি সংগঠনে আমার চেয়ে সিনিয়র কাউকে নেতৃত্বে না আনা হয় তাহলে আমি শীর্ষপদ (সভাপতি) প্রত্যাশা করছি।’

যুবদলের নেতৃত্বে যেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন যারা

যুবদলের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক পদে যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, যুবদল নেতা শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম হিরো নাম আলোচনায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার চার দশক পেরিয়ে গেলেও এপর্যন্ত কমিটি হয়েছে মাত্র ৬টি। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হয়েছে ৩টি। বাকিগুলো প্রেস রিলিজের মাধ্যমে করা হয়েছে।

 

এমএইচ/

Header Ad
Header Ad

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর। ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর আদাবর থানায় দায়েরকৃত রুবেল হত্যা মামলায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলামের আদালত গ্রেফতার দেখানোর এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে সে আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।। সোয়া ৯ টার পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। তিন জনের মধ্যে সামনে ছিলেন শাহজাহান ওমর।

এই সময় সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে। তখন শাহজাহান ওমর বলেন, ‘এই ফটো তোলোস কেন?’ পরে তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলেন শাহজাহান ওমর। আইনজীবী-পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করেন। কখনও হেসেছেন। আইনজীবীদের কাছে মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জানতে চান তিনি এজাহারনামীয় আসামি কি না।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  

প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবিঃ সংগৃহীত

মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, সংবাদ মাধ্যমটি (বিবিসি বাংলা) যখন শেখ হাসিনার বিষয়ে লেখে, তখন তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পটভূটি বাদ দেয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উনি ভারতে চলে গেছেন এমন শব্দ ব্যবহার করতে তারা অধিকতর পছন্দ করে। বাস্তবতা হচ্ছে শেখ হাসিনা অসংখ্য শিশু হত্যা, নজিরবিহীন সহিংসতা, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

তিনি লেখেন, গত সপ্তাহে শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংস্থাটি বলছে, শেখ হাসিনা তার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে হত্যা এবং গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের কিছুই উল্লেখ ছিল না। তারা বিপ্লবের পরে গণগ্রেপ্তার নিয়ে কথা বলতে বেশি পছন্দ করে।

শফিকুল আলম লেখেন, কোনো গণগ্রেপ্তার হয়েছে? কতজনকে গত ছয় মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? আমরা জানতাম যে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর পুলিশ বিএনপির সমাবেশকে জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করেছিল। তারপর কমপক্ষে ২৫ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।

প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। গতকাল তারা একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে যে, হাসিনা নয়াদিল্লি থেকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘বাংলার কসাইয়ের’ জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম! এটি কি কখনো নির্বাসিত বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে একই রকম প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে? হাসিনার স্বৈরশাসনের আমলে তারেক রহমান লন্ডনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছিলেন সে সম্পর্কে লিখেছিল? এটি কি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল?

Header Ad
Header Ad

কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন ও

পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  

বাংলাভিশন টেলিভিশনের সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন। ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাভিশন টেলিভিশনের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরনকে বেধড়ক কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

মিরনের শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, অন্য হাতের কব্জি ঝুলে গেছে। মাথা, কপাল ও পেটে গুরুতর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভায় নিজ বাসার সামনে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়।

মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মিরনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মিরনের পরিবার জানায়, তিনি ঢাকা থেকে রাতে কুয়াকাটা ফিরেছিলেন। কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনে পৌঁছামাত্র দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। চিৎকার দিয়ে মিরন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।

মিরনের শরীরে অসংখ্য কোপের চিহ্ন রয়েছে। এক হাতে রগ কেটে দেয়া হয়েছে, অন্য হাতের কব্জি ঝুলে গেছে। মাথা, কপাল ও পেটে গুরুতর আঘাতের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন  
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেফতার  
জাবিতে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের ঘোষণা  
মুসলিম লীগ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হবে : সলিমুল্লাহ খান
ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৮ বুয়েট শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার  
জীবননগর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি যুবক আটক
নগদের সাবেক চেয়ারম্যান-এমডিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ৬৪৫ কোটি টাকা জালিয়াতির মামলা
৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে নতুন মার্কিন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ক্যাম্পাসের মসজিদে কোরআন পুড়িয়েছে রাবি ছাত্র, জানা গেল পরিচয়
মার্কিন ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আটক
পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন
বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে ২১ কোম্পানির বাস চলবে টিকিট-কাউন্টার ভিত্তিতে