বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যুবদলে অনিশ্চিয়তা

পূর্ণাঙ্গ নাকি নতুন কমিটি

রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ‘মাইম্যান’ বলয় তৈরিতে সময় অতিবাহিত করছে যুবদল। সংগঠন গোছাতে নেতৃত্ব নির্বাচন সংগঠনটির ‘পকেট’ কমিটিতে পরিণত। আঞ্চলিকতার ‘ইজম’ তৈরিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উভয় নেতা যতটা সক্রিয় সংগঠনের কার্যক্রম উত্তোরণে ততটাই নিষ্ক্রিয়। কেন্দ্রীয় কমিটি কবে কখন পূর্ণাঙ্গ হবে নাকি নতুন কমিটি হবে সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের ভাষ্য-মাঠে কমিটি গঠন ঘিরে আলোচনা আছে, কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ড থেকে এখনো সুনিদিষ্ট কোনো বার্তা নেই। তাই কমিটি হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে রাজী নয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেজন্য সাবেক ছাত্র-নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে যোগ্য, ত্যাগীদের সমন্বয় করে যুবদলের কমিটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সংগঠনটির স্বার্থে সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

২০১৭ সালে ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি সাইফুল আলম নিরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে (০৩) বছরের জন্য ‘সুপার-ফাইভ’ কমিটির অনুমোদন হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান।

এদিকে যুবদলের বর্তমান কমিটির নেতারা নির্ধারিত তিন বছরের জায়গায় পাঁচ বছর অতিক্রম করছেন। কিন্তু কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার একমাস পূর্বে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দলীয় ফোরামে জমা দেন। কিন্তু যাচাই-বাছাই করে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি ১১টি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি যুবদল।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রদলের সভাপতি থাকাবস্থায় গড়ে তোলা ‘নিজস্ব বলয়’ থেকে ছাত্র-নেতাদের যুবদলে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন টুকু। তিনি বড় ভাই আব্দুস সালাম পিন্টুর রাজনৈতিক অর্জনকে পুঁজি বানিয়ে পদ ধরে রেখেছেন। আর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় যে ‘নিজস্ব বলয়’ গড়ে তুলে ছিল তাদেরকে কমিটিতে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন নিবর। যদিও ইতোমধ্যে আংশিক কমিটিতে তার বলয়ের অধিকাংশ নেতাদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। তারপরও তিনি সভাপতির পদ ধরে রাখতে চাচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দলে তার রাজনীতির মূলশক্তি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সঙ্গে ঘনিষ্টসম্পর্কতা। অপরদিকে টুকু সভাপতির পদে যেতে চাচ্ছেন নতুন কমিটি। পূর্ণাঙ্গ ও নতুন কমিটি এই দুইয়ে আটকে রয়েছে যুবদলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব। আর কমিটি গঠন বিলম্ব হওয়ায় দিনদিন বাণিজ্যিক দোকান হয়ে উঠছে যুবদল।

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে নাকি নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে সেই সিদ্ধান্ত বিএনপির হাইকামন্ড নিবেন। আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি, তাই যে কোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই তারপরও আমরা সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখে থেকে প্রায় সকল জেলা কমিটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ৮০% কমিটির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুত যুবদল তাদের কমিটি পাবে।’

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে- ‘যুবদলের কমিটিকে নিয়ে দুই কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। একদিকে নিবরকে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে যাওয়া, টুকুকে সভাপতি পদে নিয়ে আসা। অন্যদিকে নিরব-টুকুকে সরিয়ে যুবদল থেকেই যুবদলের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা। সাবেক ছাত্র-নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। সেক্ষেত্রে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান এদের মধ্যে থেকে সভাপতি এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বা আকরামুল হাসান মিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে আসা হতে পারে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সম্ভাবনা যেমন আছে তেমনি আছে নতুন কমিটির সম্ভাবনা। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন তারেক রহমান। সেই লক্ষ্যে তিনি যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে মতামত নিচ্ছেন। আশা করছি স্বল্পসময়ের মধ্যে যুবদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চিয়তার অবসান হবে।

যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন হলো। কমিটি গঠন নিয়ে একবার শুনি পূর্ণাঙ্গ হবে, আবার শুনি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি হবে। বিচ্ছিন্নভাবে এ সব শোনা যায় কমিটি গঠন হবে। আসলে এর কোনো ভিত্তি নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন চাইবেন তখন কমিটি হবে সেটা যে কমিটিই ঘোষণা করা হোক।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করি সংগঠনের জন্য কাজ করছি। যদি নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় সেক্ষেত্রে আমি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। আশা করছি হাইকমান্ডের মাধ্যমে কাজের মূল্যায়ণ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক যুবদলের একজন সহ-সভাপতি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নিরব-টুকু ব্যক্তি স্বার্থে সংগঠন পরিচালনা করছেন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল থাকলেও কমিটি গঠনে উভয় নেতার বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই পূর্ণাঙ্গ নয়, নতুন কমিটির নেতৃত্ব ছাড়া স্বকীয়তায় ফিরবে না যুবদল। এদের রেখে সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। বুমেরাং হওয়ার শঙ্কা নিয়েও ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নিরব-টুকু ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে অনেকটাই রাজারহালে জীবনযাপন করছেন। তারা পদ ধরে রাখতে যতটা সক্রিয়, ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরিতে সংগঠনে ততটাই নিষ্ক্রিয়। সংগঠনের অভ্যন্তরে অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করছে, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিটি হচ্ছে না বলে কর্মীরা দিনদিন বিছিন্ন হয়ে পড়ছেন। প্রতিনিয়ত সংগঠন সাংগঠনিকভাবে ঐক্য হারাচ্ছে।’

যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কমিটি যতদ্রুত হবে সংগঠন ততদ্রুত সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে। নেতৃত্ব তৈরি করে সংগঠনকে গতিশীল রাখতে কমিটির প্রয়োজনীয়তা আছে। কার্যকর কমিটি একটি সংগঠনকে অধিকার আদায়ে রাজপথ আন্দোলন-সংগ্রামে সঠিক পথ দেখায়, সাফল্য এনে দেয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাকি নতুন কমিটি করা হবে সেই সিদ্ধান্ত হাইকমান্ড নিবেন।

তিনি বলেন, ‘পদ প্রত্যাশা সবার থাকে আমারও আছে। যদি সংগঠনে আমার চেয়ে সিনিয়র কাউকে নেতৃত্বে না আনা হয় তাহলে আমি শীর্ষপদ (সভাপতি) প্রত্যাশা করছি।’

যুবদলের নেতৃত্বে যেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন যারা

যুবদলের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক পদে যুবদলের দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, যুবদল নেতা শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম হিরো নাম আলোচনায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার চার দশক পেরিয়ে গেলেও এপর্যন্ত কমিটি হয়েছে মাত্র ৬টি। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হয়েছে ৩টি। বাকিগুলো প্রেস রিলিজের মাধ্যমে করা হয়েছে।

 

এমএইচ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত