শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কারওয়ান বাজারের আতঙ্ক ‘পিচ্চি’ গ্রুপ

সাত-আটজনের একটি দল। বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। সবাই মাদকসেবী। রাতের বেলায় তারা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সড়কের নিরিবিলি অংশে কাউকে পেলেই হামলে পড়ে। মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। কেউ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। তরুণ অপরাধীদের এই চক্রটির হোতা সুমন হোসেন ওরফে পিচ্চি শুভ।

সম্প্রতি এক রাতে পরপর দু’টি ছিনতাই করে পালানোর পথে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একাধিক চক্রের অপকর্মের নানা তথ্য। এরমধ্যে রয়েছে মুরগি, সবজি ও মাছ চুরির আলাদা আলাদা চক্র। চক্রের সদস্যরা রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারওয়ানবাজার এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৪৩ শিশুকে আটক করে সংশোধাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপকর্মে যুক্ত আরও একাধিক শিশুকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে।

তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, সম্প্রতি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারের মাঝামাঝি অংশে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন এক সংবাদকর্মী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ এক ছিনতাইকারী ও চোরাই মোবাইল ফোনের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
 
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের জড়িত এসব পথশিশুরা দিনের বেলায় বিভিন্ন ঝুপড়ি ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। রাতে তারা বের হয়ে খামারবাড়ি থেকে শুরু করে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এ ধরনের কাজে জড়িত একাধিক শিশুকে আটক করে সংশোধানাগারে পাঠানো হয়েছে। অপকর্মে যুক্ত আরো একাধিক শিশুর সন্ধান করা হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, কারওয়ানবাজার কেন্দ্রিক অন্তত শতাধিক পথশিশু বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে এ ধরনের পথে পা দিয়েছে। আবার অনেকের অবিভাবক না থাকার কারনে থাকা ও খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে অপরাধে নাম লিখিয়েছেন। আবার অনেকের বাবা না থাকার কারনে মা ও ছোট ভাইবোনের খরচ জোগাতেও খারাপ পথে পা বাড়িয়েছেন।

পুলিশের ভাষ্যমতে, রাতে এসব শিশুরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে কারওয়ানবাজার ফার্মগেট ও খামার বাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। মাছ-সবজি ও মুরগীর গাড়ি যানজটে পড়লেই চক্রের এক সদস্য লাফিয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর ধারালো কার্টার দিয়ে সবজির বস্তা কেটে দেয়। এতে সবজি রাস্তায় পড়লেই চক্রের অন্য সদস্যরা তা নিয়ে পালিয়ে যায়। একই ভাবে তারা মাছ ও মুরগির চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়ে মালামাল লুট করে চলে যায়। একইভাবে চলন্ত সিএনজি অটোরিক্সার পেছতে উঠে কার্টার দিয়ে সিএনজির প্লাস্টিকের ছাউনি কেটে যাত্রীদের মোবাইল ফোন মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বাস অথবা অন্য যানবাহনের জানালা দিয়েও ছো মেরে মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এসব চক্রের বাইরে সরাসরি ছিনতাই করে একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের সদস্যরা বেশি ভয়ঙ্কর।

সম্প্রতি ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ফিরোজ আহমেদ নামে এক সংবাদকর্মী জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথে ডেইলি স্টার ভবন সংলগ্ন ফুটওভারব্রিজে ওঠার পর সাত-আটজন তাকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মারধর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। তারা ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। একপর্যায়ে তারা ছুরিকাঘাত করতে উদ্যত হলে তিনি প্রাণভিক্ষা চান এবং সঙ্গে থাকা টাকা-মোবাইল ফোন নিয়ে নিতে বলেন। এরপর তার ৪০ হাজার টাকা দামের ফোন, কিছু নগদ টাকা ও পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজ তেজগাঁও থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। তার অভিযোগ লিখে নিয়ে পুলিশের একটি দল তাকে সঙ্গে নিয়েই ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে বের হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই রাতে আমি হাতিরঝিল সংলগ্ন রেইনবো ক্রসিং এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে চার তরুণের একটি দল দাঁড়িয়েছিল। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমি পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে এগিয়ে যাই। আমাকে দেখে তারা একেকজন একেক দিকে দৌঁড় দেয়। শেষপর্যন্ত ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলি। প্রথমে সে কিছুই স্বীকার করেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, সে কারওয়ান বাজার কেন্দ্রিক ছিনতাইকারী চক্রের হোতা পিচ্চি শুভ। তার কাছে লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

পরে জানা যায়, সেটি এক সংবাদকর্মীর। এটি ছিনতাইয়ের আগে ওই রাতেই ৩৫ হাজার টাকা দামের আরেকটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা। সেটি কারওয়ান বাজারের একটি দোকানে বিক্রি করে পাঁচ হাজার টাকা পায়। সেই টাকা নিয়ে তারা মগবাজার এলাকার একটি বারে গিয়ে মদ পান করে। এরপর আবার ছিনতাইয়ে নামে। দ্বিতীয় দফায় তারা সংবাদকর্মীর ফোনটি ছিনতাই করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার চোরাই মোবাইল ফোনের ক্রেতা সাইফুদ্দিনকে কারওয়ান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তার মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকান রয়েছে। সে এই চক্রটিকে চুরি-ছিনতাইয়ে উৎসাহ দেয়, যাতে সস্তায় দামি ফোন কিনতে পারে। ঘটনাস্থল তেজগাঁও থানার আওতাধীন হওয়ায় পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান এসআই আমিনুল ইসলাম।

তেজগাঁও থানার এসআই সুমন চন্দ্র শীল বলেন, চোরাই মোবাইল ফোন কেনাবেচার অভিযোগে সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার পিচ্চি শুভ ছোটবেলা থেকেই নানারকম অপরাধে জড়িত। তার মা কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে পড়ে যাওয়া সবজি কুড়িয়ে বিক্রি করেন। অনেক আগেই তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়েছে। এই চক্রের অপর সদস্যরাও ভাসমান। তারা ফুটপাত বা ফুটওভারব্রিজে থাকে। মূলত মাদকের টাকা যোগাতেই তারা ছিনতাই করে।


এনএইচ/

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক। শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ৮৮ এসএসসি ব্যাচ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী অভিযোগ করেন, সচিবালয়ের মতো নিরাপদ সরকারি দপ্তরে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। এর মধ্যে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত সাবেক কেবিনেট সচিবের ফাইল, যার ওপর তদন্ত চলছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, “শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের ফাইল তলব করার পরপরই কেন এমন ঘটনা ঘটল? এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত।”

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শেখ হাসিনার সহযোগীদের প্রশাসনে বসিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চলছে। যারা অতীতে গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলছে। তিনি অভিযোগ করেন, “এটি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন আমলের ষড়যন্ত্রের মতো। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। আনুপাতিক হারে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি জটিল এবং সরাসরি ভোটাধিকারের বিরোধী।”

রিজভী আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট নগরীর ২৫ এলাকায় শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, জরুরি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং কিছু এলাকায় সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।

এ বিষয়ে সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর প্রকৌশলী শামস-ই-আরেফিন বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১১ কেভি মুক্তিরচক ও ধোপাদিঘীরপাড় ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে মেন্দিবাগ, নোয়াগাঁও সাদিপুর, বোরহানউদ্দীন রোড, কুশিঘাট, মীরেরচক, মুক্তিরচক, মুরাদপুর, পীরেরচক, উপশহর রোড, সোবহানীঘাট বিশ্বরোড, ডুবড়ী হাওর, সবজিবাজার, ফুলতলী মাদরাসা, হাফিজ কম্প্লেক্স, নাইওরপুল পয়েন্ট, ওসমানী শিশু পার্ক, ধোপাদিঘীরপাড় ও আশপাশের এলাকা।

অন্যদিকে, ১১ কেভি সোবহানিঘাট ও কালিঘাট ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো কাস্টঘর, চালিবন্দর, আমজাদ আলী রোড, মহাজনপট্টি, লালদিঘীরপাড়, হকার্স মার্কেট, বন্দরবাজার রোড, জেল রোড এবং আশপাশের অঞ্চল।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজ শেষ হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিভাগটি এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

Header Ad
Header Ad

গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির

সুখরঞ্জন বালি। ছবি: সংগৃহীত

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে নিখোঁজ হন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুখরঞ্জন বালি।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ভারত থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে তিনি নিজের ওপর ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তার এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে গুম, নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।

২০১২ সালের ৫ নভেম্বর সকালে ঢাকার আদালতে যাওয়ার সময় সুখরঞ্জন বালিকে অপহরণ করা হয়। তিনি জানান, সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি অচেনা স্থানে নিয়ে যায়। চোখ বেঁধে তাকে অন্ধকার একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। সেখানে তাকে মাঝে মাঝে খাবার দেওয়া হলেও কোনো আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারত না।

এরপর তাকে আরেকটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে জোরপূর্বক সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তিনি জানান, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে শারীরিক নির্যাতন, বৈদ্যুতিক শক এবং ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণা দেওয়া হয়।

অপহরণের কয়েকদিন পর তাকে বিজিবি ও পুলিশের সহায়তায় ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ তাকে প্রচণ্ড মারধর করে এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার স্বরূপনগর থানায় হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাকে বশিরহাট ও পরবর্তীতে দমদম কারাগারে পাঠানো হয়।

দমদম কারাগারে পাঁচ বছর কারাবাসের সময় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তার সাক্ষাৎকার নেয়। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ২০১৮ সালে তিনি মুক্তি পান এবং দেশে ফিরে আসেন।

সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে অপহরণ করে এবং বিজিবি’র সহায়তায় বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। তিনি বলেন, "বাংলাদেশের একজন নাগরিককে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কিভাবে অন্য একটি দেশের বাহিনীর হাতে তুলে দেয়?"

বিএসএফের হাতে নির্যাতনের দাগ এখনো তার শরীরে দৃশ্যমান। তিনি জানান, দমদম কারাগারে থাকা অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন।

দেশে ফিরে আসার পর তিনি পিরোজপুরে নিজের গ্রামে ফিরে যেতে সাহস পাননি। নিরাপত্তার কারণে বাগেরহাটে আত্মীয়দের আশ্রয়ে দিন কাটিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, গুম এবং পাঁচ বছরের কারাবাসের কারণে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম হয়েছেন।

২০১৮ সালে মুক্তির পর তিনি রাষ্ট্রের কাছে বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১,৬৭৬টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অভিযোগে তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক ভাষণে বলেন, "গুম কমিশনের প্রতিবেদন মানুষ মানুষের প্রতি কী পরিমাণ নৃশংস হতে পারে তার দলিল।" তিনি আরও বলেন, "গুমের শিকার ব্যক্তিদের ভয় আজও কাটেনি।"

 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই