শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কারওয়ান বাজারের আতঙ্ক ‘পিচ্চি’ গ্রুপ

সাত-আটজনের একটি দল। বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। সবাই মাদকসেবী। রাতের বেলায় তারা দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সড়কের নিরিবিলি অংশে কাউকে পেলেই হামলে পড়ে। মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। কেউ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। তরুণ অপরাধীদের এই চক্রটির হোতা সুমন হোসেন ওরফে পিচ্চি শুভ।

সম্প্রতি এক রাতে পরপর দু’টি ছিনতাই করে পালানোর পথে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে একাধিক চক্রের অপকর্মের নানা তথ্য। এরমধ্যে রয়েছে মুরগি, সবজি ও মাছ চুরির আলাদা আলাদা চক্র। চক্রের সদস্যরা রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারওয়ানবাজার এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৪৩ শিশুকে আটক করে সংশোধাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপকর্মে যুক্ত আরও একাধিক শিশুকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে।

তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, সম্প্রতি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজারের মাঝামাঝি অংশে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন এক সংবাদকর্মী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় পুলিশ। এর মধ্যে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ এক ছিনতাইকারী ও চোরাই মোবাইল ফোনের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
 
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের জড়িত এসব পথশিশুরা দিনের বেলায় বিভিন্ন ঝুপড়ি ঘরে ঘুমিয়ে থাকে। রাতে তারা বের হয়ে খামারবাড়ি থেকে শুরু করে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এ ধরনের কাজে জড়িত একাধিক শিশুকে আটক করে সংশোধানাগারে পাঠানো হয়েছে। অপকর্মে যুক্ত আরো একাধিক শিশুর সন্ধান করা হচ্ছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, কারওয়ানবাজার কেন্দ্রিক অন্তত শতাধিক পথশিশু বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে এ ধরনের পথে পা দিয়েছে। আবার অনেকের অবিভাবক না থাকার কারনে থাকা ও খাওয়ার টাকা জোগাড় করতে অপরাধে নাম লিখিয়েছেন। আবার অনেকের বাবা না থাকার কারনে মা ও ছোট ভাইবোনের খরচ জোগাতেও খারাপ পথে পা বাড়িয়েছেন।

পুলিশের ভাষ্যমতে, রাতে এসব শিশুরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে কারওয়ানবাজার ফার্মগেট ও খামার বাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। মাছ-সবজি ও মুরগীর গাড়ি যানজটে পড়লেই চক্রের এক সদস্য লাফিয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়ে। এরপর ধারালো কার্টার দিয়ে সবজির বস্তা কেটে দেয়। এতে সবজি রাস্তায় পড়লেই চক্রের অন্য সদস্যরা তা নিয়ে পালিয়ে যায়। একই ভাবে তারা মাছ ও মুরগির চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়ে মালামাল লুট করে চলে যায়। একইভাবে চলন্ত সিএনজি অটোরিক্সার পেছতে উঠে কার্টার দিয়ে সিএনজির প্লাস্টিকের ছাউনি কেটে যাত্রীদের মোবাইল ফোন মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বাস অথবা অন্য যানবাহনের জানালা দিয়েও ছো মেরে মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এসব চক্রের বাইরে সরাসরি ছিনতাই করে একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের সদস্যরা বেশি ভয়ঙ্কর।

সম্প্রতি ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ফিরোজ আহমেদ নামে এক সংবাদকর্মী জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথে ডেইলি স্টার ভবন সংলগ্ন ফুটওভারব্রিজে ওঠার পর সাত-আটজন তাকে ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে মারধর শুরু করে দুর্বৃত্তরা। তারা ইট দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। একপর্যায়ে তারা ছুরিকাঘাত করতে উদ্যত হলে তিনি প্রাণভিক্ষা চান এবং সঙ্গে থাকা টাকা-মোবাইল ফোন নিয়ে নিতে বলেন। এরপর তার ৪০ হাজার টাকা দামের ফোন, কিছু নগদ টাকা ও পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজ তেজগাঁও থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান। তার অভিযোগ লিখে নিয়ে পুলিশের একটি দল তাকে সঙ্গে নিয়েই ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে বের হয়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই রাতে আমি হাতিরঝিল সংলগ্ন রেইনবো ক্রসিং এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে চার তরুণের একটি দল দাঁড়িয়েছিল। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমি পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে এগিয়ে যাই। আমাকে দেখে তারা একেকজন একেক দিকে দৌঁড় দেয়। শেষপর্যন্ত ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলি। প্রথমে সে কিছুই স্বীকার করেনি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, সে কারওয়ান বাজার কেন্দ্রিক ছিনতাইকারী চক্রের হোতা পিচ্চি শুভ। তার কাছে লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

পরে জানা যায়, সেটি এক সংবাদকর্মীর। এটি ছিনতাইয়ের আগে ওই রাতেই ৩৫ হাজার টাকা দামের আরেকটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে তারা। সেটি কারওয়ান বাজারের একটি দোকানে বিক্রি করে পাঁচ হাজার টাকা পায়। সেই টাকা নিয়ে তারা মগবাজার এলাকার একটি বারে গিয়ে মদ পান করে। এরপর আবার ছিনতাইয়ে নামে। দ্বিতীয় দফায় তারা সংবাদকর্মীর ফোনটি ছিনতাই করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার চোরাই মোবাইল ফোনের ক্রেতা সাইফুদ্দিনকে কারওয়ান বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তার মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকান রয়েছে। সে এই চক্রটিকে চুরি-ছিনতাইয়ে উৎসাহ দেয়, যাতে সস্তায় দামি ফোন কিনতে পারে। ঘটনাস্থল তেজগাঁও থানার আওতাধীন হওয়ায় পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলেও জানান এসআই আমিনুল ইসলাম।

তেজগাঁও থানার এসআই সুমন চন্দ্র শীল বলেন, চোরাই মোবাইল ফোন কেনাবেচার অভিযোগে সাইফুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার পিচ্চি শুভ ছোটবেলা থেকেই নানারকম অপরাধে জড়িত। তার মা কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে পড়ে যাওয়া সবজি কুড়িয়ে বিক্রি করেন। অনেক আগেই তার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়েছে। এই চক্রের অপর সদস্যরাও ভাসমান। তারা ফুটপাত বা ফুটওভারব্রিজে থাকে। মূলত মাদকের টাকা যোগাতেই তারা ছিনতাই করে।


এনএইচ/

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি