শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের শীর্ষে পদ্মা সেতু

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বড় বড় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। যা ফাস্ট-ট্র্যাক (মেগা প্রকল্প) নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে। দ্রুত বাস্তবায়নে প্রতি অর্থবছর অনেক অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্প অধিকাংশ বর্তমানে দৃশ্যমান।

বাস্তবায়নের শীর্ষে পদ্মা সেতু। ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৮৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এরপরই পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ৮৩ শতাংশ। তারপর এগিয়ে রয়েছে ঢাকা মেট্রো রেল-৬ এর কাজ। প্রায় শেষের পথে, ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৭৪ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বব্যাংককে জবাব দিয়ে শীর্ষে পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে এক সময়ে বিদেশি অর্থের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অপবাদ সরকারকে চরমভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে। কারণ, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অজুহাতে মুখ ফিরিয়ে নিলে এডিবিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাও সরে যায়। তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেন, যেভাবেই হোক নিজস্ব অর্থেই করা হবে এটা। এর কাজও শুরু হয় ২০১৪ সালে। সাত বছরের ব্যবধানে সবাইকে তাক লাগিয়ে বর্তমানে দৃশ্যমান হয়ে গেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৮৯ দশমিক ৫০ শতাংশ।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণে ২০০৭ সালের আগস্টে সরকার অনুমোদন দেয়। তখন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। বিভিন্ন কারণে এর ভৌত কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। সাত বছরের ব্যবধানে সবাইকে তাক লাগিয়ে বর্তমানে দৃশ্যমান হয়ে গেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। তবে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা বা ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

বাস্তবায়নকাল ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে কয়েক দফা সংশোধন করে বাড়ানো হয়েছে। গত জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু আবারও এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী জুনে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। কাজকে এগিয়ে নিতে চলতি অর্থবছরে বাজেটে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

পায়রা গভীর বন্দর: বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা গভীর বন্দরের ভৌত কাজের অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৩ শতাংশ। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত বন্দরটির কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে তিন হাজার ২৬৬ কোটি টাকা বা ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কাজকে দ্রুত এগিয়ে নিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭০ কোটি টাকা।

মেট্রোরেল-৬: হাটিহাটি পা পা করে নতুন প্রযুক্তির মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৭ দশমিক ২৬ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে চালুর জন্য উত্তরা হতে আগারগাঁও পর্যন্ত ধরা হয়েছে। তবে আগারগাঁও হতে মতিঝিল অংশের কাজও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনকে আমলে নিয়ে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশে ভূমি অধিগ্রহণ ও ডিটেইল ডিজাইনসহ প্রাথমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে প্রথম অংশ চালু হবে স্বপ্নের এ প্রকল্প। কাজ শেষ করতে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন হাজার ৪৭০ কোটি টাকা।

রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট: আরেকটি ফাস্ট-ট্র্যাক প্রকল্প হচ্ছে-রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। ডিসেম্বর পর্যন্ত এর ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৭৪ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা প্রায় ৭৪ শতাংশ। প্রকল্পটির আওতায় বাগেরহাটের রামপালে একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।

মাতারবাড়ি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র: মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের আরেকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার প্রকল্পটির মোট ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি ৫২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৯ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। যা ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা।

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার-রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটির ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ছয় হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা প্রায় ৩৫ শতাংশ। চীনের ঋণে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১০ সালে জুলাই শুরু হয়েছে। সংশোধন করে সময় বাড়িয়ে তা শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে চলতি অর্থবছরে বাজেটে দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প: এটি ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে। ২০২২ সালের জুনে তা শেষ করতে বলা হয়েছে। ৩৯ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরে বাজেটে বেশি করে বরাদ্দও দিচ্ছে সরকার। এবারও তিন হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি হয়েছে ৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২০ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা বা ৫১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: রাশিয়া সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের ২০১৬ সালের জুলাইতে শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ১২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা বা ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সরকার চলতি অর্থবছরে এডিপিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১৫ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এক লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালে শেষ হবে।

কর্ণফুলি ট্যানেলের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে: ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলি ট্যানেলের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৫ সালের নভেম্বরে শুরু করেছে। শেষ হবে ২২ সালের ডিসেম্বরে। ২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি খনন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কাজ দ্রুত শেষ করতে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে চীন সরকার।

জেডএ/এমএসপি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত