বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’

সাকিবুল, সাদিয়া, মিম, সম্রাট, সানজিদ, স্বর্ণা, ঝুমুর, কাউসার এবং রুম্মান। কী সুন্দর সুন্দর একেকটা নাম! অথচ এরা সবাই সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র শিশু। এদের আরেক পরিচয় পথশিশু কিংবা স্ট্রিট চিলড্রেন। বলা যায়, এদের বেড়ে ওঠা নগরীর রাস্তাঘাট, বস্তি, ফুটপাত আর পার্কে। ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে হাত পেতে পাওয়া টাকা দিয়েই তারা জীবন ধারণ করে। আবার কেউ কেউ জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে।

এমন অনিশ্চিত জীবনের দিকে ধাবিত এসব শিশুদেরই আলোর পথ দেখাচ্ছে সামাজিক সংগঠন ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’।

রাজধানীর শ্যামলীর একটি বাড়িতে ছয়াতল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে পথশিশুদের আলোর ঠিকানা ‘ছায়াতল বিদ্যাপীঠ’। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যাপীঠে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছে পথশিশুদের। শুধু শ্যামলীতেই নয়, মোহাম্মদপুরের গাবতলী বিজিবি মার্কেট, পুলপাড় বটতলা এবং চাঁদ উদ্যানে রয়েছে আরও তিনটি ক্যাম্পাস। সবমিলিয়ে চারটি ক্যাম্পাসে পথশিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে সামজিক সংগঠন ছায়াতল।

গত সপ্তাহের বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীর জহুরি মহল্লায় ছায়াতলের প্রধান কার্যালয়ে যেতেই কমলা রঙের জামা পরা একদল শিশু এসে হাজির সামনে। সালাম বিনিময় অতপর হ্যান্ডশেক করে নিয়ে গেল শ্রেণি কক্ষে। সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধান সোহেল রানা এবং শিক্ষিকা মেহেবুবা আক্তার সিতু।

প্রায় প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে কোমলমতি শিশুরা প্রাণখোলা আনন্দে গল্পে গল্পে নিজেদের নাম পরিচয় জানালো। একইসঙ্গে এই প্রতিবেদেকের পরিচয় জানতেও তারা ভুল করেনি। তাদের মুখের হাসি আর আনন্দ বলে দিচ্ছিল তারা বিদ্যালয়ে পড়ে ভীষণ খুশি।

প্রথম শ্রেণির সাকিবুল আর সোনিয়া বলছিল তারা বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায়। মানবতার সেবায় নিজেদের সমর্পণ করতে চায়। তাদের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণির সম্রাট, সানজিদ, মিম কিংবা পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির মিতু, আয়েশা, জাকিয়া, সুলতানারাও স্বপ্ন দেখছে আগামী দিনে নিজেদের সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো অফিসের উচ্চ পদে আসীন হয়ে দেশের সেবা করবে। মানুষের সেবা করবে।

তাদের সবার চোখে মুখেই যেন ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নেও আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। ছায়াতলে যারা পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছে এবং তুমুল উৎসাহ নিয়ে পড়ালেখা করছে তাদের মধ্যে যারা মেয়ে তাদের বেশির ভাগই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ, অষ্টম শ্রেণির পর পরই তাদের মায়েরা দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চায়। অনেক চেষ্টা করেও সেটা রোধ করা যাচ্ছে না।

ছায়াতল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা বলছিলেন, আমরা চেষ্টা করছি সুবিধাবঞ্চিত এই পথশিশুদেরকে একটা রাস্তা দেখাতে। কিন্তু এই শিশুদের বেশির ভাগের মায়েরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করেন। তারা মনে করে, অষ্টম শ্রেণির পর মেয়েদের বিয়ে দিতে হবে। আর পড়া লেখার প্রয়োজন নেই। আমরা চেষ্টা করলেও খুব একটা ফল পাওয়া যায় না।

যেভাবে ছায়াতলের যাত্রা শুরু

কুষ্টিয়ার ছেলে বিএম সোহেল রানা। লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগে। তিনি বলছিলেন, ‘প্রায়ই বিকালে শ্যামলী পার্কে বসে বন্ধু-বান্ধবরা মিলে আড্ডা দেই। ২০১৬ সালের এক শীতের বিকালে শ্যামলী শিশুপার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছি। পার্কে ঘুরতে থাকা ছিন্নমূল শিশুরা এসে বার বার টাকা চাচ্ছে কিছু খাওয়ার জন্য।

এই শিশুদের একজনকে কাছে নিয়ে তিনি বলেন, ‘তুমি যদি পড়ালেখা করো, স্কুলে যাও তাহলে টাকা দেব। কিন্তু শিশুটি জানাল, তার মা দরিদ্র এবং মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালায়। তাই তার আর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

মূলত শিশুটির কথা শোনার পরই এই শিশুদের জন্য কিছু একটা করার পরিকল্পনা মাথায় ঢোকে। ভেবেচিন্তে পরিকল্পনাটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাজে লেগে যাই, বলছিলেন সোহেল রানা।

তিনি বলেন, এরপর পরই শ্যামলী শিশু পার্কে খোলা আকাশের নিচে পাটি বসিয়ে শিশুদের পাঠদান দিতে শুরু করি। প্রায় বছর দেড়েক এভাবেই চলে। এরই মধ্যে আমরা নাম ঠিক করি ‘ছায়াতল বাংলাদেশ’।

সোহেল রানা বলেন, বছর দেড়েক পর আমরা একটা ভাড়া বাসায় উঠি। সেখানে অফিস এবং শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে পাঠদান শুরু করি। এখন পর্যন্ত এই ভবনেই আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর সমস্ত খরচ চলছে মানুষের অনুদানে। বিত্তশালী, শিক্ষানুরাগী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান আর্থিক অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানিটিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

রানা জানান, তাদের স্বপ্ন ও একমাত্র ছায়াতল‘কে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যেখানে বঞ্চিত শিশুরা সবধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে।

বর্তমানে ছায়াতল বাংলাদেশ’র চারটি ক্যাম্পাসে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ২৩৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র হচ্ছে ১১৩ জন এবং ছাত্রী ১২৪ জন। শ্যামলী ক্যাম্পাসে আছে ৬৪ জন। বাকিরা অন্য তিন ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করছে।

ছায়াতল এর শিক্ষিকা মেহবুবা আক্তার সিতু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা সবাই স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছি। শুধুমাত্র যাতায়াত খরচটা প্রতিষ্ঠান থেকে দিচ্ছে।’

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষক রায়েবা বশরী বলেন, ‘এই শিশুদের পড়াতে দারুণ লাগে। অনেক এনজয় করছি।’

আরেক শিক্ষক ঝুম্পা সরকার বলেন, ‘আমি পাশেই নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা করছি। এরই ফাঁকে এখানে এসে ক্লাস নেই। এই সময়টা খুবই ভালো ও আনন্দে কাটে।’

সোহেল জানালেন, ছায়াতল বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে গভর্নিং বডির মাধ্যমে। তিনি নিজে চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহিনুর আক্তার সোহানা। এ ছাড়া, বাকি সবাই গভর্নিং বডির বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার এ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এদিন তাকে এই মামলা থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন শফিক রেহমান। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শুনানি শুরু হয়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালত আপিলের শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা সাজা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে পরে তারিখ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এ সাংবাদিক ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন আদালত।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিতের আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এ মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কোনো একসময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে যোগসাজশ করে শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

এ অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Header Ad

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার

ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

নিজ নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর থেকে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।

এর আগে নিজ এলাকায় যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর পিংড়ি এলাকায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে শাহজাহান ওমর ও তার গাড়ি চালক আহত হন।

শাহজাহান ওমরের সফরসঙ্গী বাবুল মৃধা রিপনসহ একাধিক অনুসারী জানান, ৫ আগস্টের পর তিনি বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসার পথে কয়েকজন যুবক তার গাড়িতে হামলা করে। এ সময় গাড়ির গ্লাস ভেঙে শাহজাহান ওমরের হাতে পড়ে রক্তাক্ত হন। এ সময় তার গাড়ির চালকসহ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর তিনি নিজ বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে থানায় যান। এরপর তিনি থানা হেফাজতে ছিলেন।

এদিকে তিনি থানায় আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ছাত্রদল ও যুবদল থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।

রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, কাঠালিয়ায় বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মামলায় সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সঙ্গে প্রায় ৪০ বছরের রাজনীতিক সম্পর্ক শেষ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন শাহজাহান ওমর। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন তিনি। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।

Header Ad

মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া

মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর ও মহাখালীতে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন অটোরিকশা চালকরা। তারা রেললাইনে বসে পড়ায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। এ অবস্থায় তাদের সরিয়ে দিতে ধাওয়া দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অটোরিকশা চালকদের ধাওয়া দেয়া হয়। পাল্টা জবাবে আন্দোলনকারীরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে। এঘটনায় সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বরে অবস্থান নেয়া রিকশাচালকদের ধাওয়া দেয় সেনাবাহিনী। পরে তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছে।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীতে রেললাইনে রিকশা ফেলে অবরোধ পালন করছেন চালকরা। এমন অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া রাজধানীর সবগুলো মূল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের উদ্যোগ নেয়। এতে ক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। এতে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তি পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বসিলা, শিয়া মসজিদ, আগারগাঁও, মিরপুর, মাজার রোডসহ বেশিরভাগ সড়কই অবরোধ করছেন তারা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, বিশেষ মোনাজাতের মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু
সেন্টমার্টিনে যেতে নিবন্ধনসহ যা করতে হবে পর্যটকদের
সিটি কলেজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ ৯ দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
ট্রাইব্যুনাল চাইলে বিচার কাজের অডিও ভিজ্যুয়াল প্রচার করতে পারবে
বিসিবির ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ বুঝে পেলেন সাবিনারা
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৩৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশাল নিয়োগ, নেবে ৫৩০ জন
খোদা বকশ-আলী ইমামরা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন : রিজভী