রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বাড়ছে বিস্ফোরণ-অগ্নিকাণ্ড

একের পর এক অগ্নিকাণ্ড আর বিস্ফোরণের ঘটনা নগরবাসীকে শঙ্কা আর আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এসি বিস্ফোরণ, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট, গ্যাসের লাইনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণসহ নানা কারণে নগরীর ভবনগুলোতে বিস্ফোরণ বেড়েই চলেছে। নিয়ম না মানা, কর্তৃপক্ষগুলোর উদাসীনতা ও সচেতনতার অভাবের কারণেই মূলত এসব বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী রাজধানী ঢাকায় ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার ভবন অগ্নিঝুঁকিসহ নানামুখী ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবন নির্মাণে নীতিমালা না মানা এবং নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার করার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া, বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস পাইপ লাইন ও সুয়ারেজ লাইনের সংস্কার না করার কারণেও ঝুঁকিতে রয়েছে অধিকাংশ ভবন।

শীতকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বন্ধ থাকে। গরমে এসি চালু করতে গেলে সার্ভিসিং করা দরকার। কারণ, গ্যাস জমে যায়। কিন্তু কয়টা টাকা খরচ হবে বলে অনেকেই এসির সার্ভিসিং করান না। বিস্ফোরণের এটাও একটা কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অনেকেই ভবন নির্মাণের সময় কিছু টাকা বাঁচাতে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি গুলশানের একটি আবাসিক বহুতল ভবনে আগুন লাগার কারণ ছিল বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবন নির্মাণে নীতিমালা মানানোর দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক)। কিন্তু রাজউকের চোখের সামনেই বড় বড় ভবন নির্মাণ হলেও তদারকি নাই প্রতিষ্ঠানটির। এই শহরে শুধু তালিকাভূক্ত ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবনই আছে ১৮১৮টি। এগুলোতে কোন অগ্নিনিরাপত্তা নাই। এ ছাড়া, রাজউকের সাত হাজার ভবনের তালিকা আছে যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। কিন্তু গত দেড় দশক ধরে সেগুলো ভাঙা যায়নি।

গ্যাস পাইপলাইন ও সুয়ারেজ লাইনে জমে থাকা গ্যাসেও ঘটছে দুর্ঘটনা। নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের একটি বড় উদাহরণ। ওই ঘটনায় ২৪ ব্যক্তি নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক। ওই দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ জানিয়েছিল, গ্যাস পাইপলাইন লিকেজের ফলে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ছিল উদাসীন। পরে একটি মামলা হয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।

২০২১ সালের এপ্রিলে ঘটে ভয়াবহ ‘মগবাজার বিস্ফোরণ’। এই ঘটনায়ও ১২ জন নিহত হন এবং আহত হন শতাধিক। এই বিস্ফোরণে আশেপাশের অন্তত আরও পাঁচটি ভবন এবং দুটি যাত্রীবাহী বাসেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তখন জানান, ভবনের কোথাও গ্যাস জমে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এরপর একে একে ছোটবড় অনেকগুলো ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রবিবার (৫ মার্চ) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে একটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়। তারও আগে ময়মনসিংহে এমন ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে তিতাসের গ্যাস সঙ্কটের কারণে সিলিন্ডার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরা জানেনই যে সিলিন্ডারের একটা মেয়াদ থাকে। তারপর ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এমন অসচেতনতার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভবন নির্মাণে নীতিমালা মানা হচ্ছে না। নির্মাণে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের দিকে নজর দেওয়া হয় না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার গ্যাসলাইনগুলো জরাজীর্ণ। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুড়ি। এই খোঁড়াখুড়ির সময় মাটির নিচের লাইনগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে লিকেজ তৈরি হয় এবং গ্যাস বের হয়। কর্তৃপক্ষগুলো যেমন কোনো তদারকি করছে না, তেমনি ঝুকি রোধে কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভবন নির্মাণে নীতিমালা মেনে চলা, মানসম্মত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার, দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে বিদ্যুতের ওয়্যারিংয়ের কাজ করাতে হবে।

গ্যাস লিকেজ বন্ধে তিতাসকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে বিএসটিআই, রাজউক, সিটি করপোরেশন, বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন।

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই শহরের অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এসব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সংযোগ। নেই কোনো সংস্কারের কাজ। নানা ধরনের গাফিলতির কারণে একের পর এক ঘটছে বহুমুখী দুর্ঘটনা। আর এসব দূর্ঘটনায় বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাতে ৬৫ হাজার থেকে ৭৫ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আছে।

ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারাও জানান, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলকায় প্রায় ৬৫-৭০ হাজারের বেশি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। এসব ভবনে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে সবাইকে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্র বলছে, নিয়ম না মেনে ভবন তৈরি, অনিরাপদ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ, ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ মেরামত না করাসহ ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটে যাওয়ার দুর্ঘটনাগুলোর মূল কারণ।

নগরপরিকল্পনা ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ঢাকা এখন খুব বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের লাইনের নকশাও নেই। তারা জানেও না কোথায় কোথায় গ্যাস লাইন রয়েছে! আবার সেগুলোর সংস্কারও করা হচ্ছে না। যদি সেগুলো বিস্ফোরণ হয়, তবে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশের মানুষ।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে ভবনে আগুন ও বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটছে তাতে বলা যায় ঢাকা শহর এখন বিস্ফোরণ ও বোমার শহরে পরিণত হতে যাচ্ছে।’

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মইন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ঢাকা শহরে প্রতিবছর গড়ে ৯০ হাজারের বেশি ভবন তৈরি হচ্ছে। ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বছরে গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার ভবনের অনুমোদন দেয়। তাহলে বাকি ভবন কীভাবে হচ্ছে? তাই যারা ভবন তৈরি করছেন, তাদের অনুরোধ করে বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) অনুযায়ী আপনারা ভবন তৈরি করবেন।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের লিস্ট করে এবং সাধারণ মানুষকে এসব বিষয়ে সতর্ক করেছি।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

সিরাজগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ৩ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের পানিতে ডুবে ৩ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে ৩ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজের একদিন পর রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাফি (১৫), কৃষ্ণ (১৫) ও সারজিল (১৬)। তারা সবাই সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার কামারখন্দ উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামের ফুলজোর নদীতে গোসলে নেমে এই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, ঝাঁটিবেলাই গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রঞ্জুর নাতি জারিফের কয়েকজন বন্ধু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল শনিবার দুপুরে ছয়জন ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে তিনজন নদীতে ডুবে যায়। অপর তিনজন সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।

কামারখন্দ উপজেলার ঝাঁটিবেলাই গ্রামের ফুলজোর নদীতে গোসলে নেমে এই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে কামারখন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে নদীর পানির গভীরতা ২৫ থেকে ৩০ ফুট হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ রোববার রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।

উল্লেখ, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঝাঁটিবেলাই গ্রামের জারিফের বাড়িতে শহর থেকে ৫ বন্ধু বেড়াতে আসে। বেড়াতে এসে তারা ৬ জন দুপুরে ফুলজোড় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে ৩ জন নদীতে ডুবে যায়। অপর ৩ জন সাঁতরে উঠে আসে।
 
নিখোঁজ হয় ঝাঁটিবেলাই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রাফি (১৫), সিরাজগঞ্জ শহরের বিশ্বনাথ নিয়োগীর ছেলে কৃষ্ণ নিয়োগী (১৫) ও ইমরুল হাসানের ছেলে সারজিল ইসলাম (১৬)। এরা সবাই সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
 
খবর পেয়ে সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। রাতে নিখোঁজ রাফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে তারা। সকালে আরও দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

 

 

Header Ad
Header Ad

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় যে ৫ খাবার

প্রতীকী ছবি

সন্তান জন্মদানের জন্য নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। অনেকক্ষেত্রে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা দুর্বল থাকার কারণে নারী সন্তান ধারণে ব্যর্থ হয়। খাদ্যাভ্যাস এক্ষেত্রে বড় একটি বিষয়। প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার প্রজনন ক্ষমতা কেমন থাকবে।

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। অনেক আগে একটা সময় ছিল যখন সন্তান না হলে তার জন্য নারীকে দায়ী করা হতো। এখন নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে মূল সমস্যা শনাক্ত করা সম্ভব হয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষও দায়ী হতে পারেন এই সমস্যার জন্য। বর্তমানে পুরুষের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বেড়ে চলেছে। কিছু খাবার রয়েছে যা পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে কাজ করে। ফলে বাড়ে প্রজনন ক্ষমতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

চলুন জেনে নেওয়া যাক ফার্টিলিটি বাড়াতে পুরুষেরা কী খাবেন-

ব্রোকলি। ছবি: সংগৃহীত

ব্রোকলি

অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সবজি শরীরের নানা উপকার করে থাকে। খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন ব্রোকলি। এই সবজিতে থাকা বিভিন্ন খাদ্যগুণ শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। ব্রকোলিতে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আপেল

প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে আপেলে থাকা খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন আপেল। এতে উপকার পাবেন। আস্ত আপেল খাওয়ার পাশাপাশি আপেলের জুস করেও খেতে পারেন।

 ফোলেট

ফোলেট ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং শুক্রাণু উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি খাদ্যতালিকায় যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ফোলেটের কিছু সমৃদ্ধ উৎসের মধ্যে রয়েছে পাতাযুক্ত সবুজ শাক, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং ফোর্টিফাইড সিরিয়াল।

কলা। ছবি: সংগৃহীত

কলা

কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু আবার সহজলভ্যও। সেইসঙ্গে এতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ শরীরের নানা উপকার করে। কলায় রয়েছে ব্রোমেলিন এনজাইম। পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে এই ফল।

ডিম

সকালের নাস্তায় ডিম রাখতে পারেন। ডিমে থাকে ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, লিউটিন ইত্যাদি। এসব উপাদান প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। ডিম দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে খেতে পারেন। সেদ্ধ ডিম খেলেও উপকার পাবেন।

 

Header Ad
Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়: উপদেষ্টা আসিফ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘খালগুলো সংরক্ষণ করতে পারলে ঢাকা শহরের চিত্র ভিন্ন হত। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা এত দ্রুত শেষ করা সম্ভব নয়। তাই আমরা কিছু পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি।’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা নর্থ মডেল পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যা হবে শহরের জন্য রোল মডেল।’

এছাড়া এদিন বর্ষার আগেই ছয়টি খালের খনন কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আগে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তবে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় এক হয়ে কাজ করছে। কাজটা শেষ করতে সময় লাগবে, তবে আমরা শুরু করে দিচ্ছি।’

প্রকল্পের অধীনে নয়, কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খাল খনন কাজ শুরু হবে আগে। এরপর পুনরুদ্ধার করা হবে। পুনরুদ্ধারের সময় অনেক বাধা আসবে, তা সবাইকে মিলে রুখতে হবে।

এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অনেক ক্ষতি করা হয়েছে। তবে এখন থেকে আমরা তা পরিবর্তন করবো।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিরাজগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ৩ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় যে ৫ খাবার
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সব সমস্যা দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়: উপদেষ্টা আসিফ
গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা
শেফিল্ড অভিষেকেই আলো ছড়ালেন হামজা চৌধুরী, হলেন ম্যাচসেরাও
ভাতা ও চিকিৎসার দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের রাস্তায় ব্যারিকেড
আখেরি মোনাজাতে শেষ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
লিবিয়ার সৈকতে ২০ জনের গলিত লাশ, সবাই বাংলাদেশি
সরকারে থেকে দল গঠন করলে জনগণ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের ‘দারিদ্র্য’ নিয়ে প্রতিবেদনে নিজ দেশেরই ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় গণমাধ্যম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‍্যালি’
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত
প্রতিটি ডলারের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে: ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী  
সেই ইমনের ব্যাটে চড়েই কোয়ালিফায়ারে চিটাগাং
সুুষ্ঠু নির্বাচনে বাঁধা দিলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির
নওগাঁয় বাড়ি ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
বই ছাপানোর আগে বাংলা একাডেমি পড়তে দেয়া হাস্যকর : ফারুকী    
ঈদ পর্যন্ত মাকে নিজের কাছে রাখতে চান তারেক রহমান  
মোটরসাইকেলে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল এক তরুনীর দুলাভাই হাসপাতালে  
বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই, জানালো বিসিবি