বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

জয়দেবপুর-এলেঙ্গা চার লেন সড়ক

শেষ হয়েও হচ্ছে না শেষ

কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। বেশ কয়েকবার সংশোধনীর পর আগামী জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না। মির্জাপুরের গোড়াই ওভারপাসসহ বিভিন্ন স্থানে ধীরগতির পৃথক লেনের কাজ এখনও বাকি। তাই এবার পঞ্চম বারের সংশোধনীতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হচ্ছে। পাঁচ বছরে পুরো কাজ শেষ করতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। সেই ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৪ কোটি টাকায়।

যেনতেন কোনো প্রকল্প নয়, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য ‘জয়দেবপুর-এলেঙ্গা চার লেন সড়ক'র বাস্তব চিত্র হচ্ছে এটি। শুধু তা-ই নয়, অত্যন্ত ব্যস্ত এই সড়কের কিছু জায়গায় গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। যা যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ওভারপাসের র‍্যাম লাগানোসহ অন্যান্য কাজ চলছে। এ জন্য মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের পর থেকেই দীর্ঘ যানজট। সড়কের মাঝে ওভারপাসের কাজ চলমান থাকায় দুই দিকে ধীরে গতিতে গাড়ি চলছে। শফিপুরেও চলছে কাজ।

হানিফ বাসের চালক সোহেল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'নয় বছর ধরে এই সড়কের কাজ হচ্ছে। এখনো শেষ হচ্ছে না। গোড়াই বাজারে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হয়। অনেক সময় চলে যায়। তবে যেখানে কাজ শেষ হয়েছে সেখানে দ্রুত গাড়ি চালানো যাচ্ছে।'

মির্জাপুরের জামুকি এবং সোহাগপুরেও 'ধীরগতির পৃথক লেন'র কাজ শেষ হয়নি। রোলার দিয়ে মাটি সমান করা হচ্ছে। আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. ইসহাক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। ফিজিক্যালি অগ্রগতি ৯৯ শতাংশ। তবে আর্থিক অগ্রগতি একটু কম, তা ৮৬ শতাংশ। ঠিকাদারের বিল পরিশোধ বাকি থাকায় এ খ্যাতে অগ্রগতি একটু কম। মির্জাপুরের গোড়াই (হাটুভাঙ্গা), শফিপুর ও ঢাকা বাইপাস এলাকাসহ তিনটা ওভারপাসের কাজ চলমান। ঠিকাদারের সমস্যার কারণে গোড়াইতে একটু দেরি হচ্ছে।'

তবে জুন মাসেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই প্রকৌশলী।

তাহলে সংশোধন করে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কিছু এলাকায় জায়গা পেতে দেরি হওয়ায় অল্প স্থানে ধীরগতির পৃথক লেনের কাজে একটু দেরি হচ্ছে। এছাড়া সাতটি ফ্লাইওভার, দুইটি ওভারপাস ও ১১টি আন্ডারপাসে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সব কিছু পরিচ্ছন্ন দেখা যায়। যা আগে ডিপিপিতে ছিলো না।'

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যস্ত এই সড়কের শফিপুর, চন্দ্রাসহ কয়েকটি এলাকায় গাড়ি পার্কিং করে রাখা হচ্ছে, গোবর রাখা হচ্ছে সেটা তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করতে সড়ক ও পরিবহন অধিদপ্তর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলাপ্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে সেমিনার করা হবে। এই সড়কটি দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। চায়না থেকে হাইব্রিড ফুলের গাছ এনে আইল্যান্ডে লাগানো হয়েছে।'

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প: জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলঙ্গা সড়ক (এন-৪) চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালে। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান। যা ২০১৮ সালে শেষ করার কথা। কিন্তু নয় বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৮৩ শতাংশ। বাস্তব অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। তাই বাকি কাজ শেষ করতে পঞ্চমবারের মতো সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা যায়, ঢাকা থেকে গাজীপুর-টাঙ্গাইল হয়ে মহাসড়কটি যাবে লালমনিরহাটের বুড়িমারী পর্যন্ত। আরেকটি মহাসড়ক যাবে দিনাজপুর হয়ে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত।

এই মহাসড়ক ধরেই বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানে যাওয়া যাবে। তাই সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্প: জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক (এন-৪) চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণে উদ্যোগ নেয় সরকার। তাতে মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৭৮৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিদেশি ঋণ ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করার কথা। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মার্চে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার জন্য সরকার ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল অনুমোদন দেয়।

পরে ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রকল্প সংশোধন করে ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ধরা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৪ সালের ৯ জানুয়ারি তা সংশোধন করে। তাতে সম্পূর্ণ কাজ হবে না উল্লেখ করে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ আবার বিশেষ সংশোধন করা হয়। তাতে ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চতুর্থবারের মতো প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন নাগাদ করা হয়। এরপর ২০২০ সালের ৮ মে ব্যয় ছাড়া সংশোধন করা হয়। তাতে প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬ হাজার ২১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের জুন ধরা হয়েছে। ফলে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে ৬ হাজার ২১৪ কোটি টাকা হয়েছে। এতে মূল প্রকল্প থেকে সংশোধিত প্রকল্পে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা বেড়েছে।

জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা সড়কের কাজ হচ্ছে। কিন্তু শেষ হচ্ছে না। তাই এবার পঞ্চম বারের মতো সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে। তাতে সময় বাড়ানো হচ্ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে গত ২২ আগষ্ট পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কিছু ব্যাপারে আপত্তি করা হয়। করোনার জন্য বিদেশি প্রশিক্ষণ বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় কমছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এভাবে ছোট কয়েকটি খাতে সামান্য ব্যয় কমেছে। তাতে মোট ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় কমে দাঁড়াচ্ছে ৬ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। তা পুনর্গঠন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি)। সব প্রক্রিয়া শেষে একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে ৭০ কিলোমিটার চার লেন, ২ হাজার ৮০৯ মিটার সেতু নির্মাণ, যার মধ্যে ৫৩টি ব্রিজ রয়েছে। ৫ হাজার ১৬৫ মিটার ফ্লাইওভার ও ওভার পাস নির্মাণ। তাতে ১১টি আন্ডারপাস, ৭টি ফ্লাইওভার, ২টি রেলওয়ে ওভারপাস থাকবে। প্রকল্পের পুরো কাজ করতে প্রায় ৬৯ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ, প্রায় ৬০ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ। এছাড়া ৩১ হাজার ৮০ বর্গমিটারের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটিতে ৩ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এবং আবুধাবী ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট। এর সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করা হয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে। সে অনুযায়ী প্রকল্পের অ্যাপ্রাইজাল প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে। তারপরও সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে বাজেটে ৯১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকল্প এলাকা হচ্ছে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর ও কালিহাতি। এছাড়া প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য ঢাকা জেলার তেজগাঁও ছিল প্রকল্পের আওতাভূক্ত এলাকা।

/এএস

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি

ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলা ইউএস এলএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ জানিয়েছেন, ২০ হাজার কোটি টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

রাজধানী ঢাকায় ৪ দিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে এই যুগান্তকারী বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন তিনি।

মুমতাজুর রহমান দাউদ বলেন, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পকারখানা স্থাপন। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে বছরে ৫ হাজার প্রশিক্ষিত নার্স রপ্তানি এবং চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে, যেখানে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ড. দাউদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই উদ্যোগে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বিনিয়োগকারী গ্রুপে রয়েছেন চেয়ারম্যান মিস্টার ফ্র্যাঙ্ক জাও, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা হিসেবে সুপরিচিত। এ ছাড়াও দলটিতে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. স্যাম বেটেটা, যিনি ফিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি
ইয়েমেন থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি আরবে পড়েছে, লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল