বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সমন্বয়হীনতায়’ আটকে আছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন

নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে কোমর বেঁধে আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারবিরোধী আরও বেশ কয়েকটি সমমনা রাজনৈতিক দল। যাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। কিন্তু সঠিক সমন্বয়হীনতার কারণে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সঙ্গে পথচলা বা যুগপৎ আন্দোলন গতি পাচ্ছে না কিছুতেই। বরং বৈঠকের পর বৈঠকেই আটকে থাকছে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন।

একে অপরের প্রতি চাওয়া পাওয়ার বিষয়টিও আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ। যদিও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, যুগপৎ আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে কাজ করছে দলগুলোর লিয়াজোঁ কমিটি। শিগগিরই এক দফা কর্মসূচিতে মাঠে নামবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী দলগুলো।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, বিএনপির ১০ দফা, গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা, গণফোরামের ৮ দফা। এই সবগুলো মিলিয়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা দেওয়া হবে। দফাগুলোকে সমন্বয় করে আন্দোলনে যেতে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। যা মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হতে পারে।

এখন ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গেও বিএনপির অনেকের ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনা চলছে। ইতোমধ্যে অনেকে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে আগ্রহী হয়েছে। তবে তারা আরও কিছুদিন সময় নিতে চাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমে খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছে না বিএনপি। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরাও চাচ্ছে বিএনপিকে এককভাবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে। নেতা-কর্মীদের কিছুটা আশ্বস্ত করতেই হঠাৎ করে এবার সরকারবিরোধী একটি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছে বিএনপি। সরকার হটাতে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারকে সরাতেই হবে। তৃণমূলে আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদের পতন ঘটাতে হবে। রংপুর বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে তিনি এ সব কথা বলেন।

১০টি মতবিনিময় সভার অন্যগুলো অনুষ্ঠিত হবে— ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা বিভাগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট ও খুলনা বিভাগ, ১ মার্চ বরিশাল বিভাগ, ২ মার্চ ঢাকা বিভাগ, ৫ মার্চ ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ, ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগ, ১৫ মার্চ রাজশাহী বিভাগ এবং ১৬ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগ।

২৪ ফেব্রুযারি ১২ দলীয় জোট, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট এবং এলডিপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আগের দিন বৈঠক করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটি। ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে গতানুগতিক। কার্যকর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ১০ দফা কিংবা ২৭ দফা কে রাষ্ট্র মেরামতের দফা মেনে নিয়েই আন্দোলনকে কীভাবে এক দফায় নিয়ে আসা যায় এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপাতত ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে মাঠে থাকা হবে। রাজপথে চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে উঠবে রোজার শেষে কোরবানি ঈদের আগে। অর্থাৎ রোজা ও কোরবানি ঈদের মাঝে যে সময় সেটাকেই আন্দোলনের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে মনে করছেন বিএনপি নেতারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমালোচনা করে জোট নেতারা বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চ শুধু রূপরেখা তৈরি করে কিন্তু রুপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে হয়, হবে সে ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্যে নেই। প্রস্তুতিও নেই। তারা আন্দোলনের রূপরেখা নয়, বেশি ব্যস্ত রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা তৈরিতে। অথচ তাদের কারণেই বিএনপির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে দীর্ঘদিনের ভোট-জোটের প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী। আসল কথা হচ্ছে বিএনপি গণতন্ত্র মঞ্চকে যতটুকু মূল্যায়নের প্রাপ্য তারচেয়ে কিছুটা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। অতীতেও তাদের সমন্বয়ে গঠিত ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়ে খেসারত দিয়েছে। এখনো যদি সেই পথেই হাঁটে তাহলে বিএনপিকে আবারো চরম মূল্য দিতে হবে। আমরা এই বিষয়ে বিএনপি নেতাদের অবহিত করেছি।

১২ দলীয় জোটের একাধিক নেতারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ নেতারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, শুধুমাত্র গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হচ্ছে না, হবে না। যে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে অবশ্যই সবাইকে অবহিত করা হবে। যুগপৎ আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে এবার আগামী ৪ মার্চ এবং ১১ মার্চ আবারো পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি প্রতিটি মহানগরের থানায় থানায় পালন করা হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নানাবিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া সবাই এক দফা আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়ে নীতিগতভাবে ঐক্যেমতে পৌঁছেছেন। যদিও তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রকার রূপরেখা তৈরি করব না। ১২ দলীয় জোট বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং ২৭ দফার সবকিছুতে সমর্থন দিয়েই কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ দলীয় জোটের একজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, সত্য কথা বলতে গেলে রাজপথে দাবি আদায়ের আন্দোলনে যেতে বিএনপি এখনো নিজেরাই প্রস্তুত নয়। যারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে তারাই যদি প্রস্তুতি না নেয় সেক্ষেত্রে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো শত চেষ্টা চালিয়েও কাজের কাজ কিছুই হবে না। যে যাই বলুক বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল, যারা একাধিকবার রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যারা বিএনপির সঙ্গে দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অবর্তীর্ণ হতে প্রস্তুতি নিচ্ছি তাদের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা কতটুকু। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমান বিএনপি পরিচালনা করছেন। খালেদা জিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতেন, সিদ্ধান্ত তিনি নিলেও ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের কাছে পরামর্শ জানতে চাইতেন। কিন্তু তারেক রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন- চাইলেও সাক্ষাৎ করা যাচ্ছে না। তবে তিনি চাইলে স্কাইপিতে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এতে অনেক কিছুর অবসান হয়। কারণ বিএনপির নেতারা তারেক রহমান ইস্যুতে অনেকটাই ঠেকে পড়ে ঐক্যবদ্ধ বলে প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি দেওয়া ছিল। কিন্তু বিএনপি কারো সঙ্গে কথা না বলে সময় পরিবর্তন করে কর্মসূচি পালন করেছে। যা আমাদেরক ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতিতে কিছুটা ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে গতানুগতিক কর্মসূচি চলমান থাকবে। রমজানের পর বড় আকারে কর্মসূচিতে মাঠে নামা হবে। এককথায় দাবি আদায়ের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার প্ল্যার্টফর্ম তৈরিতে আরও সময় লাগবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ১২ দলীয় জোট বিভাগীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে শিগগিরই সফরে বের হব। এখন যুগপৎভাবে বিএনপির সঙ্গে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। এখন তো অনেক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নানামুখী কথাবার্তা বলছেন। বিএনপিও সেগুলোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে আমি মনে করছি। তবে সময় বলে দেবে বিএনপির সঙ্গে কে বা কারা শেষ পর্যন্ত দাবি আদায়ে মাঠে থাকে।

এনএইচবি/আরএ

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’