মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫ | ১৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সোহেলকে ঘিরেই আটকে আছে ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারির তদন্ত!

ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও অনলাইনে অবৈধ বহুস্তর বিপণন ব্যবসা (এমএলএম) চালিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর গ্রাহকদের হতাশা কাটছে না। ইভ্যালির বিষয়ে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনায় আশা দেখছেন গ্রাহকরা কিন্তু ই-অরেঞ্জ প্রতারণা আটকে আছে তদন্তে। তবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে তারা জমা দিয়েছেন। প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকদের প্রশ্ন— ই-অরেঞ্জ কেলেঙ্কারি তদন্তের অগ্রগতি কতদূর, দেশে কি ফেরত আসবে টাকা ও অপরাধী?

তথ্য মতে, ই-অরেঞ্জ এর মাধ্যমে প্রায় হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। বর্তমানে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কেউ জেলে, কেউ পলাতক। কেউবা জামিনে মুক্ত আছেন। অনেকে বলছেন, এ সবের নেপথ্যের মূল হোতা বনানী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সোহেল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে গ্রেপ্তার হন। সোহেল এখন কোচবিহারের একটি কারাগারে। গ্রাহকরা বলছেন, তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় কি ব্যর্থ হচ্ছে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ঘটনায় যে সব মামলা হয় তার তদন্তে বিশেষ কোনো অগ্রগতি নেই বলে মনে করছেন গ্রাহকরা। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জের মতো প্রতারণা করছে এমন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটাও কাগজে কলমে থেকে গেছে বলে মনে করেন গ্রাহকরা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রাহকদের কি পরিমাণ অর্থ কোথায় সরানো হয়েছে তা সোহেল ভালো বলতে পারবেন। যে কারণে সোহেলকে ঘিরেই আটকে আছে তদন্ত। তবে বেশ কিছু মামলার তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

২০২১ সালের ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে তাহেরুল নামের এক ব্যক্তি প্রথম মামলা দায়ের করেন। এরপর এক এক করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অন্তত ২৪টির বেশি মামলা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ও মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কোনো মামলার তদন্তের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

ই-কমার্স প্রতারণার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিউলি আক্তার বলেন, নতুন কাউকে আপাতত গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান রয়েছে। তাছাড়া সোহেল রানা গ্রেপ্তার হলে অনেক কিছু জানা যাবে।

এ সব বিষয়ে পুলিশের বিশেষ শাখা সিআইডি ও পিবিআইর কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, ই-কমার্সের নামে প্রতারণা ও অনলাইনে অবৈধ বহুস্তর বিপণন ব্যবসা (এমএলএম) চালিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪১টিরও বেশি মামলা চলছে। এ সব মামলায় প্রায় ১১০ থেকে ১৫০ জন আসামি রয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাত রয়েছে অনেক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বিশেষ টিম ২৯টির বেশি মামলা তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। মামলাগুলোর বেশ কিছু তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা আছে। তা ছাড়া সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা দেশে ফিরে এলে এ সব প্রতারণার আসল তথ্য পাওয়া যাবে।

শুধু গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। এমনটা জানিয়ে সিআইডি বলছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, টোয়েন্টিফোর টিকিট লিমিটেড, এসপিসি ওয়ার্ল্ড এবং সমবায় প্রতিষ্ঠান এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্তে ৫০০ কোটি টাকা অপরাধলব্ধ আয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সব ঘটনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) আইনে আলাদা আলাদা মামলা হয়। মানি লন্ডারিং আইনে হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। তবে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রায় শেষ, আদালতে প্রতিবেদনও জমা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের আগ্রহ দেখছে না মামলার বাদী ও সাধারণ গ্রাহকরা। মামলার তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না থাকায় হতাশায় ভুগছেন তারা। তাদের দাবি, সব টাকা ফেরত পাবেন কি না তা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অনেকেই। একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা বাদী এম ফরহাদ বলেন, মামলার বিষয়ে এখন আর পুলিশের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

অন্য একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা নাম বলতে অনিচ্ছুক আরেক ব্যক্তি বলেন, নিজের জমানো ও স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ৪৮ লাখ টাকার পণ্য কিনেছিলাম। টাকা ফেরত পায়নি। এখন আমার জীবন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, সোহেলকে ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় পুলিশের এলসিবি শাখায় কয়েকটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তারা কোনো চিঠির জবাব দেননি। পরে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সোহেলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আমাদের সিআইডির বিভিন্ন সময়ে বিশেষ কিছু অভিযানে ই-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় বেশকিছু প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা যে কোনো প্রতারণার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা বেড়ে গেছে এরমধ্যে অনলাইন প্রতারণাটা বেশি। ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা বা যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি রেখে আমাদের বিশেষ বিশেষ টিম কাজ করছে।

এদিকে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি-প্রশিক্ষণ) এনসিবির তৎকালীন এআইজি মহিউল ইসলাম বলেছেন, এনসিবির দায়িত্বে থাকাকালে সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের এনসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। তবে এই বিষয়টি এখন কী অবস্থায় আছে সেটি এখন বলতে পারছি না।

এদিকে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ই-কমার্স ও অনলাইনে প্রতারণা ঠেকাতে কঠোরভাবে কাজ করছে তারা।

জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ই-কমার্স ও অনলাইনসহ মানি লল্ডারিংয়ের মামলাগুলো বেশ আমলে নিয়ে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইনে বিনিয়োগসহ ঋণ প্রদানের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজারো কোটি টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগে ২৬টির বেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সিআইডি এ সব প্রতারণা ঠেকাতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নজরদারি চলমান রেখেছে। তিনি বলেন, সিআইডি যেসব মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল প্রায় অধিকাংশ মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে বলে জানতে পেয়েছি।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’

উপস্থাপক হানিফ সংকেত। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র ঈদের বিশেষ পর্ব আজ (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর প্রচারিত হবে। হানিফ সংকেতের রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় নির্মিত এই বিশেষ পর্বে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। বরাবরের মতোই অনুষ্ঠানের শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে থাকছে দেশাত্মবোধক গান, যেখানে কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন আরও ১০ জন তরুণ শিল্পী। সংগীত পরিবেশনায় থাকছেন হাবিব ওয়াহিদ ও প্রীতম হাসান। এ ছাড়া সিয়াম আহমেদ ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিও গানে অংশ নিয়েছেন। বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় চার অভিনেত্রী সাফা কবির, সাদিয়া আয়মান, সামিরা খান মাহি ও পারসা ইভানা।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে তিন জনপ্রিয় তারকা দম্পতি—শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী, এফ এস নাঈম ও নাদিয়া আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার ও বিজরী বরকতউল্লাহ গানে গানে অনলাইন কেনাকাটার মজার অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে নির্মিত মিউজিকাল ড্রামাতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, আনোয়ার শাহী ও র‍্যাপ শিল্পী মাহমুদুল হাসান।

বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে তৌসিফ মাহবুব ও শবনম বুবলির নৃত্য পরিবেশনা। পাশাপাশি, ‘গুজব’ নামের ছোট নাটিকায় বিদেশি অভিনয়শিল্পীদের অংশগ্রহণ দর্শকদের জন্য বাড়তি চমক হয়ে আসবে। এছাড়াও নিয়মিত চরিত্র নাতি ও কাশেম টিভির রিপোর্টার, সামাজিক অসঙ্গতি ও সমসাময়িক ঘটনাও উঠে আসবে ‘ইত্যাদি’র বিশেষ পর্বে।

অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছে ফাগুন অডিও ভিশন এবং রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় রয়েছেন হানিফ সংকেত। ঈদের আমেজে ভরা ‘ইত্যাদি’র এই বিশেষ পর্ব দর্শকদের জন্য চমক ও বিনোদনে ভরপুর হতে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রতিদিন যানজটে নাকাল রাজধানীবাসীর জন্য ঈদের ছুটিতে ঢাকা যেন এক অন্য রকম শহর। কর্মব্যস্ত এই নগরী এখন শান্ত, ফাঁকা ও যানজটমুক্ত। যারা ঈদে ঢাকায় রয়ে গেছেন, তারা উপভোগ করছেন এক ভিন্ন পরিবেশ।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ ছিল কম। অলস দুপুরে ফাঁকা রাস্তায় হালকা বাতাসে খেলা করছিল রোদের ছায়া। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এলাকায় মানুষের চলাচল বাড়তে দেখা গেছে।

ঈদে যারা ঢাকায় থেকে গেছেন, তারা অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়িয়েছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। মিরপুর চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, জিয়া উদ্যান, শ্যামলী ওয়ান্ডারল্যান্ডসহ বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব হাসান জানান, "ঈদের ছুটিতে ঢাকার ফাঁকা রাস্তাগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর দারুণ সুযোগ পাওয়া যায়। গতকাল বন্ধুদের সঙ্গে বাইকে পুরো শহরটা ঘুরেছি, দারুণ লেগেছে।"

তবে, কর্মজীবীদের জন্য এই ফাঁকা ঢাকা যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, "সারা বছর এই যানজট নিয়ে অফিস করতে হয়। কিন্তু ঈদের ছুটিতে ঢাকাকে অন্য রকম মনে হয়। যদি সারা বছর এমন থাকত, তাহলে জীবন আরও সহজ হতো।"

যাত্রী কম থাকায় আয় কমে গেছে রিকশাচালকদের। সায়েন্সল্যাবে অপেক্ষমাণ রিকশাচালক মোহাম্মদ আরিফ জানান, "যাত্রী নেই বললেই চলে। আয় কমেছে, তবে ভালো দিক হলো জ্যাম নেই, রিকশা চালানো সহজ লাগছে।"

অন্যদিকে, সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে আসা চালক লোকমান বলেন, "গুলিস্তান ও বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি, তবে বাকি রাস্তা ফাঁকা ছিল।"

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বাসাবাড়ি ও অফিস-আদালত ফাঁকা থাকায় অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, "সাইবার মনিটরিংসহ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।"

সরকারি চাকরিজীবীরা এবারের ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি উপভোগ করছেন। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে অফিস-আদালত খুলবে। তবে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর আগেই খুলবে, ফলে ধীরে ধীরে রাজধানী আবার কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে।

Header Ad
Header Ad

মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২

ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ের সংলগ্ন সাহেববাজার সড়কে বিপরীতমুখী তিনটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে চার যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, নাওডোবা গোলচত্বর থেকে সাহেববাজার সড়কে তিনটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। গুরুতর আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, দুর্ঘটনাটি জাজিরা থানার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি শিবচরের সীমানা সংলগ্ন। তিনি বলেন, "ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুই যুবক।"

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২
থানায় জিডি করলেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল
রাশিয়া আমাদের চিরকালের বন্ধু, কখনো শত্রু নয়: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান খালেদা জিয়ার
দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ
ভারতে প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত, পাইলট আহত
এপ্রিলে ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল
জাপানে মেগা ভূমিকম্পের শঙ্কা, প্রাণহানি হতে পারে ৩ লাখ
জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক পুরস্কার নিয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল
রাজধানীতে মেট্রোরেল ও সারা দেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু
যমুনা সেতু দিয়ে একসপ্তাহে ২ লাখ ৪৭ হাজার যানবাহন পারাপার, ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ঈদের দিনে সড়কে মৃত্যুর মিছিল: ১০ জেলায় নিহত ২১
টঙ্গিবাড়ীতে ঈদের দিনে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি, উপকৃত ৪২০ পরিবার
ঈদের দিনেও তাপপ্রবাহ অব্যাহত, এক বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
যশোরের শার্শা সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক ১