বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খালেদা জিয়ার রাজনীতি: সরকারের ভেতরেই দুই মত

খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। সরকারের একাধিক মন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ নিজ নিজ অবস্থান থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না শর্তে সেটা আছে কি না সেটা আমার মনে পড়ছে না। তবে যতদূর মনে পড়ছে, শর্তে এ রকম কিছু নেই।’

তার এই বক্তব্যের পর গত কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারি দলের নেতাদের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তারা জবাব দিচ্ছেন।

অবশ্য দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, প্রথমে যে শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা করার ‍সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। যদি না এই শর্ত শিথিল হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা সঠিক। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন। যদি কোনো শর্ত না থাকে। তবে নির্বাচন করতে পারবেন না।’

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা কৃষিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই। তিনি জেলে থেকেও দল পরিচালনা করতে পারবেন, বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে আইন অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বর্তমান নির্বাচনী আইনে যা আছে, তাই মানতে হবে। এখানে সরকার বা নির্বাচন কমিশনসহ কারও কিছু করার নেই।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের কাছে সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি খালেদা জিয়া যে শর্তে বাসায় আছেন তাতে তার রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘কে কী বললেন সেটা বিষয় না, তাকে যে শর্তসাপেক্ষে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাতে খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কেউ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে তার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন সেটা আইনমন্ত্রী বলেননি। তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিলস্) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আবারও বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়ে কোনো আইনি বাধা নেই। তবে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তিনি বলেন, ‘আইনগত বাধা কোথায় থাকে? খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। তার কারণ তিনি দণ্ডিত। কিন্তু রাজনীতি করতে পারবেন না, এ রকম কথা তো কোথাও নাই। বাস্তব অবস্থা হলো তিনি তার যে দণ্ডাদেশ সেটা স্থগিত করেছিলেন। কারণ তিনি অসুস্থ। এটা মনে রাখতে হবে। এখন বাস্তব অবস্থাটা কী সেটাও আপনারা জানেন।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, তার ভাই যে আবেদনটা করেছেন; সে আবেদনের মধ্যে বলা আছে তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার যদি আরও ভালো চিকিৎসা না হয় তার জীবন বিপন্ন। তখন মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দিয়েছেন। যিনি অসুস্থ তিনি রাজনীতি করতে পারবেন কি না সেটা আমি বার বার আপনাদের বলছি। সেটা আপনারা বিবেচনা করে দেখেন। স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করে তিনি অসুস্থ রাজনীতি করতে পারবেন না। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা।’

তিন মন্ত্রীর তিন রকম বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নানান আলোচনা হচ্ছে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না। চলছে বিতর্ক।

শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে কারাগারের বদলে বাসায় থাকা খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আইনগতভাবে তার সাজা স্থগিত রেখে জেলে না রেখে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছে সরকার। সরকারের সেই ক্ষমতাটা আছে এবং সেটা করতে হলে যেকোনো ধরনের শর্ত আরোপ করা যায়।

জানা মতে, তার সাজা যখন স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন যে শর্তটা আরোপ করা হয়েছিল তাতে উল্লেখ ছিল যে, তিনি কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন না। আমার জানা মতে, সরকারের পক্ষ থেকে সে শর্তটা শিথিল করা হয়নি। এখন যদি শিথিল করা হয়ে থাকে সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি যত দূর জানি, আগের শর্তটা এখনো আছে, যোগ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। সাজাপ্রাপ্ত আসামি নির্বাচন করতে পারেন না।’

অপরদিকে, রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন কি, করবেন না সেটা তিনি যে জামিনে মুক্ত আছেন তার শর্তের উপর নির্ভর করে। যেহেতু আইনমন্ত্রী বলেছেন ও আমি তার বক্তব্য শুনেছি তাতে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘৪০১-এ তাকে প্যারোলে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি শর্ত দেওয়া থাকে তাহলে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। কারণ, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেটা নৈতিক স্খলনজনিত।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া