বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘গরু-খাসি তো আগেই বাদ, এখন মুরগিও কিনতে পারব না’

‘দেশে কি দুর্ভিক্ষ লেগে গেছে। যে যার মতো দাম নিচ্ছে। কয়েক দিন আগে যে মুরগি ১৬০ টাকা কেজি কিনেছি। বর্তমানে তা ২৩০ টাকা। তাহলে আমরা খাব কী? গরু, খাসিতো ঈদ ছাড়া চোখে দেখি না। এখন তো দেখছি মুরগিও কিনতে পারব না।’

মোহাম্মদপুরের স্বপ্নধারা হাউজিংয়ের বাসিন্ধা রিকশাচালক আবুল কালাম বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে এমন করেই নিজের হতাশা প্রকাশ করছিলেন।

বাংলামটরের বাসিন্ধা এন্তাজ উদ্দিন। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৪০ টাকার মুরগি আজকে (সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি) ২২০ টাকা কেজি কিনতে হলো। খুবই খারাপ অবস্থা। দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাও কমিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে এন্তাজ বলেন, ‘আগের মতো কিনতে পারি না। আগে প্রতি সপ্তাহে ৫/৬ কেজি কিনতাম। এখন অর্ধেক হয়ে গেছে। জীবনে কখনো এত দাম বৃদ্ধি দেখিনি। এই দাম থাকলে তো আমার মতো ক্রেতারা নিরুপায়। হাত পা বাঁধা। কী করব।’

শুধু এন্তাজ উদ্দিনিই নয়, এই অবস্থা তার মতো আরও বহু পরিবারের। ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এই আমিষও চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। রাজধানীর কাপ্তান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে এসে সেই মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২০৫ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। অর্থাৎ সাধারণ ক্রেতাদের হাতে যেতে যেতে প্রতি কেজি মুরগিতে দাম বেড়েছে ৬০ টাকা।

অপরদিকে, সোনালি মুরগি হিসেবে পরিচিত কক মুরগি খামার পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৭০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে ১০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদেরকে কিনতে হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে কেজিতে ৭০ টাকা বেশি।

ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে মুরগির মাংস। গরু ও খাসির মাংস তো আগেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এখন মধ্যবিত্তের শেষ অবলম্বন মুরগির মাংসও হাতছাড়া।

গত কয়েকদিন ধরেই ব্রয়লার মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাইকারি থেকে খুচরা সব পর্যায়ে বিক্রেতারা ইচ্ছামত দাম আদায় করছে। কিন্তু কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। খামার থেকে শুরু করে রাজধানীর আড়ত, পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এবং সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মুরগির বাজারের অস্থিরতার এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

সারা দেশের খামারগুলোতে মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে কাজী ফার্মস, প্যারাগন, নারিশসহ অসংখ্য কোম্পানি। খামারিরা সেই বাচ্চা বড় করে কেজি দরে বিক্রি করে। আগে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হলেও এখন সেই দামে আর পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সারা দেশে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে থাকি। খামারিরা তা বড় করে বিক্রি করে। আগে ফার্মে ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি ব্রয়লার বিক্রি করা হলেও বিভিন্ন কারণে দাম বেড়ে বর্তমানে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারিতে তা ১৯০ টাকা কেজি। তবে এলাকা ভেদে একটু হেরফের হতে পারে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুরগি কেন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অন্যায্য, অযৌক্তিক। এটা হতে পারে না। সরকারকে তা দেখা দরকার। কারণ, একদিকে করোনার পর উৎপাদন কমে গেছে। অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আগে প্রতিদিন এক কোটি ৬০ লাখ মুরগি উৎপাদন হলেও বর্তমানে সেই উৎপাদন কমে এসেছে এক কোটি ২০ লাখে। অন্যদিকে, খুচরা বিক্রেতারা অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। এভাবে চলতে থাকলে এই নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কেনা মানুষ বন্ধ করে দেবে। যেমনটা গরু ও খাসির মাংস বন্ধ হয়ে গেছে। তখন নতুন প্রজন্ম আমিষহীন হয়ে পড়বে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনালি মুরগি আমাদের সংগঠনের বাইরের হিসেব। তারপরও সংগঠন থেকে একটা মূল্য তালিকা করা হয়। সেখানে দেখা যায় গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলাতে পাইকারি পর্যায়ে সোনালি মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটের আদর্শ চিকেন হাউজের ম্যানেজার সেরাজুল ইসলাম জানান, সোনালি মুরগি (পাকিস্তানি) ৩৩০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এটা ১৫ দিন আগে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। ১০-১৫ দিন থেকে দাম বেশি। বেশির ভাগ নরসিংদী থেকে আনা। তিনি জানান, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে কেনা। কাপ্তান বাজারে নগদে কিনতে হয়, আবার দামও বেশি। তাই অন্য জায়গা থেকে বাকিতে আনা হয়। আর ব্রয়লার মুরগি কেনা হয় ২১০ থেকে ২১২ টাকা কেজি। বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। পার্থক্য ৩০ থেকে ৫০ টাকা।

এতবেশি লাভ কেন জানতে চাইলে সেরাজুল বলেন, খরচ আছে না। বর্তমানে ব্রয়লারে ১০ টাকা, আর অন্যটাতে ২০ টাকা লাভ হয়। তারপরও আগের চেয়ে এই লাভ কম। কারণ আগে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা লাভ হতো। মূল্য তালিকায় ব্রয়লার ২৩০ টাকা, পরিচিত হলে ১০ টাকা কমিয়ে ২২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। যারা দাম করে না বা কম নেয় এমন ক্রেতাদের কাছে তালিকা অনুযায়ী দাম নেওয়া হয়।

কারওয়ানবাজারের ব্রাদার্স চিকেনের ম্যানেজার মো. হাসান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রহিম, আনোয়ার ও ব্রাদার্স পোল্ট্রি হাউজ বিভিন্ন জায়গা থেকে মুরগি নিয়ে আসে। পোল্ট্রি বিক্রি করা হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। ১০ থেকে ১২ দিন থেকেই এই বাড়তি দাম।

কেনা কত করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানি না। মহাজন কামাল জানে। আমার কেনা দাম জানা নেই। মহাজন শুধু বিক্রির কথা জানায়। বাড়তি দামের ব্যাপারে হাসান আরও বলেন, অর্ডার বেশি, কিন্তু মাল কম। তাই দাম বেশি।

একই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সুমন বলেনমুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে গেছে। আগে যে ৫ কেজি কিনত, এখন আড়াই কেজি কিনছে। বিক্রি অর্ধেকে নেমে গেছে।

দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান, শব-ই বরাত ঘনিয়ে আসছে। এ ছাড়া, বিয়ে শাদী, বিভিন্ন উৎসব বেশি হচ্ছে। চাহিদা বাড়ছে। তাই দাম আরও বাড়তে পারে। তবে ৫ থেকে ১০ রোজা পর্যন্ত দাম আবার কমবে। কারণ ওই সময়ে চাহিদা কমে যাবে।

কারওয়ানজাবারে কথা হয় একাধিক ক্রেতার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকে কর্মরত রাফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, আগে দেশি মুরগি কিনেছি ৫০০ টাকা কেজি। আজ কিনলাম ৫২০ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাও কমিয়ে দিয়েছি। আগে সপ্তাহে একসঙ্গে ১২টা কিনলেও এখন কিনছি অর্ধেক। তিনি আরও বলেন, বিক্রেতারা চালাকি করে পাকিস্তানিটা দেশি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ধরা খুব মুসকিল। এতে তারা আরও বেশি করে লাভ করছে।

দনিয়া থেকে আসা বাহাউদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, মুরগি কেনা অর্ধেকে নামিয়ে দিয়েছি। আগে ৭ থেকে ৮টা কিনতাম। এখন তিনটা কিনলাম। এত দাম কী করব। উপায় নেই। আয় বুঝে ব্যয় করতে হচ্ছে।

মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট ও টাউনহল বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা বেশি দামে কেনার কথা বললেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বিভিন্ন ফার্ম থেকে কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে পোল্ট্রি, সোনালি ও লাল এবং দেশি মুরগি।

মনির হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ‘মুরগির দাম তো বাড়ছেই। বেশি দাম হওয়ায় কেনা কঠিন হয়ে গেছে। এখন খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে। কারণ, আয় তো আর বাড়েনি। তাই আগের আয়ে আগের মতো মুরগি কেনা সম্ভব না।’

ভোক্তা আইনে সব পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টাঙিয়ে রাখার নিয়ম থাকলেও মুরগি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। তারা শুধু বিক্রয় মুল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্ত কতো দামে কেনা তা লিখেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সব জায়গায় পণ্যের ক্রয়-বিক্রয় মূল্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পোল্ট্রি শিল্প প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তাই এটা নিয়ে অতো কাজ করা হয়নি। তবে ফার্ম থেকে পাইকারি ও খুচরা মূল্যের এত বেশি ফারাক হতে পারে না। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এর আগে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে এটা দেখা দরকার। কারণ, মুরগির এমআরপি তো দেওয়া হয় না। কে কত লাভ করতে পারবে এটা তাদের বলা ও দেখা দরকার। এরপর কেউ বেশি দাম নিলে আমরা তখন ধরতে পারব।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪