সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৩৬৩ দিনই অবৈধ দখলে থাকে ‘ঐতিহাসিক আমতলা গেট’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র সমাজ ১৯৫২ সালে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে যে গেট দিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিল সেই স্মৃতিবিজড়িত আমতলা গেটটি এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। বছরের ৩৬৩ দিন থাকে অবৈধ দোকানপাটের দখলে। বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই ১৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত থেকে শহীদ মিনার এবং এর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার করা শুরু হয়।

আবার ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই আগের নিয়মে ফিরে যায় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সেই জায়গাটি অবৈধ দোকানপাটের দখলে চলে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, হাসপাতাল কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক আমতলা গেটটি।

আবার হাসপাতালে কর্মচারীরা বর্হিরাগতদের দিয়ে দোকান বসিয়ে মাসোহারা নিচ্ছে। অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে গেটটি। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দেখা যায়, ইতিহাসবিজড়িত সেই গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ। পাশেই ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলা চাই স্লোগান দিয়ে ১৪৪ ধারা ভেঙেছিল ছাত্র সমাজ। সেই স্মৃতিবিজড়িত গেটসহ তার আশ পাশে চায়ের দোকান, সোহাগের পুরি-শিঙাড়ার দোকান, পান সিগারেটের দোকান, ফল-পানি-বিছানা-বালিশের দোকান।
গেটের উপরে প্লাস্টিকের সাইনবোর্ডটি না থাকলে জানার কোনো উপায় নেই যে এটি সেই ঐতিহাসিক আমতলা স্মৃতিবিজড়িত গেট। তবে উপরে থাকা ব্যানারটি দেখে মনে হচ্ছে ঝকঝকে। কেউ হয়তোবা নতুন লাগিয়েছে। সেই গেটের নিচে অবস্থান দোকানদারের সঙ্গে আলাপ হয়।

তারা জানান, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ভাষা আন্দোলন পরিষদ থেকে কয়েকজন লোক এসে ভাঙাচুরা পুরাতন সাইনবোর্ড সরিয়ে এ নতুন ব্যানারটি লাগিয়ে গেছে।সেই ব্যানারে লেখা আছে, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত আমতলার ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ থেকে। আরও লেখা আছে, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির এদিনে ছাত্র সমাজ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ আমতলা গেট দিয়েই ছাত্ররা বেরিয়ে এসেছিলেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান দিতে দিতে রাজপথে নেমে এসেছিলেন তারা। ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার অধিকার পায় বাঙালিরা। মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বীকৃতি পায়। রক্তের বিনিময় ছিনিয়ে আনা বাংলা ভাষা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ভাষা আন্দোলনের আমতলার সেই ঐতিহাসিক গেট বছরের ৩৬৩ দিন অবৈধ দোকানপাটদের দখলে থাকে। আর গেটটির কয়েকটি কক্ষে হাসপাতালের এক আবাসিক চিকিৎসক থাকেন তার পরিবার নিয়ে। বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারির এলেই প্রশাসন দুয়েক দিন আগে থেকে ঐতিহাসিক আমতলা গেটসহ শহীদ মিনার পর্যন্ত পুরো সড়কটি দুদিন ঝকঝকে করে রাখে।

দ্বিতীয় দিনের মাথায় আবার ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সেই গেটসহ হাসপাতাল কেন্দ্রিক আশপাশের ফুটপাত অবৈধ দোকানপাটের দখলে চলে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাবেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ভাষা আন্দোলনের গেটটি আমি নিজ উদ্যোগে রঙ করেছিলাম। উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম। ওই জায়গায় যেন দোকানপাট বসতে না পারে এর জন্য ফুটপাতের পাশে খালি জায়গায় লোহার ব্যারিকেড দিয়ে ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম।’

এদিকে বর্তমান ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘স্মৃতিবিজড়িত সেই গেটের নিচ থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ দোকান আমরা উচ্ছেদ করে থাকি। এ ছাড়া হাসপাতাল সংলগ্ন সড়কটি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আন্ডারে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বছর ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই স্মৃতিবিজড়িত সেই আমতলা গেটটি নিয়ে হুলুস্থুল লেগে যায়। বাকি ৩৬৩ দিন কারো কোনো খবর থাকে না। এ দৃশ্য বহু বছর ধরে দেখে আসছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক থাকলে সব কিছুই হতো। এ ব্যাপারে কেউ চিন্তাভাবনা করে না বলে আজ ঐতিহাসিক আমতলার গেটের এই বেহাল অবস্থা।

এএইচ/এমএমএ/

Header Ad

অন্তবর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

অন্তবর্তী সরকার সময় যত বেশি নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়। তাই সরকারকেই সেটি চিন্তা করতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি এবং দেব। তবে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বসে আছে। তারা সংস্কার করতে দেবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখছি না। এগুলো দৃশ্যমান করুন।

দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রোববার) আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন, ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন। আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু আজকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এটা চিন্তা করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন যে পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, ছেলেরা কি বলছে। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, যান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেলে গেছি। তারপরও শেষ লাথিটা গোলে কে মেরেছে? ছাত্ররা মেরেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) যখন সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি, তখন আমি আমার বক্তব্যে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতাম। কোথায়, আমরা তো নবীনদের দেখতে পাচ্ছি না, তরুণদের দেখতে পাচ্ছি না, ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র-তরুণরা যদি সঙ্গে না আসে, তাহলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? বুক পেতে গুলি নেয়ার প্রতীক ছাত্র, তরুণ, যুবক। যার পিছুটান নেই, যে ভ্যানগার্ড। আমরা মধ্য বয়সী, বয়স্করা পরিবারের কথা চিন্তা করি। আমরা ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করি। আমি যদি আজ গুলি খেয়ে পড়ে যাই, আমার পরিবারের কি হবে সেই চিন্তা করেছি- তাই না? কিন্তু বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকা, সাঈদ রংপুরে যেভাবে দাঁড়ালো, দ্যাট ওয়াজ দ্য টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট। এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যতদিন বেশি থাকে, তত সমস্যা তৈরি হবে। কারণ এর তো ম্যান্ডেট নেই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়। এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এ জন্যই এই সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। এমন সময় যেন না নেয়, যে সময় নিতে গেলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা হয়, যে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) থেকে যেতে চাইছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে কেন? হাসিনা পালিয়ে গেছে, তিনি চিন্তা করতে ভুল করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, দেয়ালের লিখন পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মানুষ এখন আর আপনাদের চায় না। আপনারা দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমাদের কথা তারা শোনেনি। না শুনে উল্টো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরা কেউ যেন এমন কাজ না করি, যা দেশকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।

Header Ad

ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ফুরালো দীর্ঘ তিন বছরের অপেক্ষার পালা। এই সিনেমা নিয়ে শুরু থেকেই দর্শকদের আগ্রহের পারদ ছিল তুঙ্গে। অবশেষে প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হলেন পুষ্পা’খ্যাত আল্লু অর্জুন। বহুল প্রত্যাশিত ‘পুষ্পা ২’-এর ট্রেলারেই দেখিয়ে দিলেন জাদু। এ ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের জন্য বিহারকেই বেছে নিয়েছেন আল্লু অর্জুন।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিনেমার ট্রেলার প্রকাশের পর প্রত্যাশার পারদ আরও যেন বেড়ে গেল! ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর মারকাটারি আয়োজনের মাঝে রাশ্মিকা মান্দানা-আল্লু অর্জুনের রোমান্টিক মুহূর্তের ঝলকও দেখা গেল। আল্লু অর্জুন আগেরবারের মতোই দাপুটেরূপে ফিরেছেন। বরং এবার আরও ভয়ানক, তা বলাই বাহুল্য।

ট্রেলারে চমকে দিলেন ফাহাদ ফাসিলও। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে আবারও ঝড় তোলার আভাস দিলেন তিনি। প্রথম কিস্তিতে দুই তারকার সম্মুখ যুদ্ধের আভাস মিলেছিল। এবার তাদের যুদ্ধ দেখা যাবে পর্দায়।

এদিকে ট্রেলারটি মুক্তির পর একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে। বাণিজ্য ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘পুষ্পা-২ এর ট্রেলারটি ইউটিউবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা তেলেগু সিনেমার ট্রেলার হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এটি মহেশ বাবুর গুন্টুর কারামকে ছাড়িয়ে গেছে। গুন্টুর কারাম প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.৭০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছিল। কিন্তু ‘পুষ্পা ২’ মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে এটিকে অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে ৪২ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম হয়েছে এটির।

২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশিবার দেখা ট্রেলার হিসেবে শীর্ষে এখন ‘পুষ্পা ২’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহেশ বাবুর ‘গুন্টার কারাম’ (৩৭.৭০ মিলিয়ন), তৃতীয় স্থানে প্রভাসের ‘সালার’ (৩২.৫৮), চতুর্থ স্থানে মহেশ বাবুর ‘সারকারু ভারি পাতা’ (২৬.৭৭ মিলিয়ন) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে প্রভাসের ‘রাধে শাম’ (২৩.২০ মিলিয়ন)।

্উল্লেখ্য, এ বছরের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত চলচ্চিত্র ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে নিয়েছে। আর এই বিগ বাজেটের সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আল্লু অর্জুন নিয়েছেন ৩০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক। বলতে গেলে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। এবার দেখার পালা মুক্তির পর সিনেমাহলে কেমন রেকর্ড গড়ে। আগামী ৫ ডিসেম্বর সাতটি ভাষায় মুক্তি পাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’।

Header Ad

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক

হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, শাজাহান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অন্য একটি মামলায় রিমান্ডে থাকায় আব্দুর রাজ্জাককে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় আসামিদের অনেককেই হাসি মুখে দেখা যায়। তবে এর মধ্যে হাতজোড় করে দোয়া চাইতে দেখা গেছে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হাত দিয়ে মোনাজাত ইঙ্গিত করে করে দোয়া চেয়েছেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়।

এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অন্তবর্তী সরকার যত বেশি সময় নেবে, তত বেশি সমস্যা তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
ট্রেলারেই রেকর্ড গড়ল ‘পুষ্পা ২’
হাতজোড় করে দোয়া চাইলেন জুনাইদ আহমেদ পলক
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা হাসান আরিফ, করলেন কবর জিয়ারত
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার চাইলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য
সৌদি আরবে কনসার্ট করবেন জেমস
৩০ দিনের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে অডিও বার্তা, পত্নীতলায় সুমন হত্যা ঘিরে রহস্য
গিলেস্পিই থাকছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কিসের ইঙ্গিত?
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু
অগ্রাহায়নের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
শীতকালে যেসব ইবাদতের কথা বলেছেন নবীজি (সা.)
প্রেমের টানে বিয়ের দাবিতে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে
মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি