মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিসেম্বর ধামাকা: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নয়া চমক!

আর কয়েক দিন পর নভেম্বর পেরিয়ে ডিসেম্বর। সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতে পিকনিক, কার্নিভালসহ হাজারো মজার পসরা নিয়ে শহর কলকাতায় হাজির হয় শীত। আর সেই শীতের অপেক্ষায় দিন গোনে বঙ্গবাসী। কিন্তু এবারের ডিসেম্বরটা কি খানিকটা আলাদা হতে যাচ্ছে? ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সর্বশেষ রাজনৈতিক সমীকরণ কিন্তু সেই রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গত তিন-চার মাস ধরেই বিজেপি বলে আসছিল, ডিসেম্বরের জন্য অপেক্ষা করুন, বড় চমক আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। উল্লেখ্য, এমন একটা সময় বিজেপির রাজ্য নেতারা ডিসেম্বর ধামাকার কথা বলতে শুরু করেছিলেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। মোট উদ্ধার হয়েছিল কয়েকশো কোটি টাকা। সারা বিশ্বের মানুষ টিভির পর্দায় মন্ত্রীমশাইয়ের এই কাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছেন। সে সময়ই বিজেপি ডিসেম্বর ধামাকার কথা প্রথম বলে। আর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি এসে সেই ডিসেম্বরের কথাই বলতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদেরও দাবি, ডিসেম্বরেই বড় চমক দেখবে রাজ্যবাসী। চমক কি একটাই? নাকি একাধিক চমক? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরেফিরে আসছে পশ্চিমবঙ্গবাসীর মনে।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী, সাবেক বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সবাই বলতে শুরু করেছিলেন, ডিসেম্বর মাসেই দেখবেন সব ওলেটপালট হয়ে যাবে। এমনকী বর্ষীয়ান অভিনেতা, তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও কলকাতা সফরে এসে একই কথা বলেছিলেন। পশ্চিম বাংলায় তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অবসান ঘটতে চলেছে। কিন্তু কীভাবে? সেটা এখনো পর্যন্ত খোলসা করেনি বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ নেতৃত্ব। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এই জল্পনায় প্রথমেই রয়েছে এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ঘোষণা। গোটা দেশে একাধিক রাজ্যে বিজেপি কোনো না কোনো সময় বিরোধী সরকার ফেলে দিয়ে নিজেদের সরকার গঠন করেছে। ফলে সেক্ষেত্রে এ কথা মনে আসা স্বাভাবিক যে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকার ফেলে দিতে পারে। দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছে না। বিজেপি নেতারা যেমন প্রকাশ্যে ও পরোক্ষে বলে বেড়াচ্ছেন সাবেক শিক্ষা, বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরে আরও বড় কোনো মন্ত্রীও গ্রেপ্তার হতে পারেন। তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডির পরবর্তী টার্গেট বলে বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলে বেড়ান। তাহেল কি বড় কোনো মাথা তদন্তকারী সংস্থার জালে পড়তে চলেছে?

কে বা কারা হতে পারেন সেই নেতা-মন্ত্রীরা? বিজেপির এক শ্রেণির নেতার দাবি, অপেক্ষা করুন না, কে বলতে পারে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই গ্রেপ্তার করা হবে না? এই বিকল্পটি বেশি করে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠছে কারণ অভিষেক এবং তার স্ত্রী-শ্যালিকাসহ পরিবারের অনেককেই সিবিআই এবং ইডি একাধিক আর্থিক অনিয়মের কারণে তলব করতে শুরু করেছে। বিজেপির শাসনে কোনো অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়ার ঘটনা বিরল নয়। ফলে সেই সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি নেতারা প্রকাশেই বলছেন, ডিসেম্বর মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে পুরোপুরি অচল করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ যে সম্ভাবনাটি উঠে আসছে, সেটি হলো— তৃণমূলে বিরাট ভাঙন। দলটির বেশির ভাগ নেতা ও মন্ত্রী নিমজ্জিত হয়ে রয়েছেন পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতিতে। ফলে তদন্ত এড়াতে তারা যে কোনো মুহূর্তে দল বদল করে বিজেপিতে সামিল হতে পারেন। এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে বঙ্গ বিজেপিতে। একদা তৃণমূলের দু’নম্বর নেতা মুকুল রায়, শুভেন্দ অধিকারীসহ বেশ কিছু প্রথম সারির মন্ত্রী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। মুকুল অবশ্য পরে আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন। এই সম্ভাবনাটির কথা কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে একাধিক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে গেছেন মিঠুন চক্রবর্তীও। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের প্রায় তিরিশ-পয়ত্রিশ জন বিধায়ক তার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। যে কোনো সময় তারা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন।

অন্যদিকে তৃণমূলের তরফেও ডিসেম্বর ধামাকার কথা বলা হয়েছে। এদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে বিরাট বড় ভাঙন ঘটতে চলেছে। তার দাবি, আগামী মাসে বিজেপি থেকে বেশির ভাগ বিধায়কই তৃণমূলে চলে আসবেন। ওদের তিরিশজন বিধায়কও থাকবেন না।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা দাবি করেছেন, ডিসেম্বর মাসে বিজেপি সারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করার ছক কষেছে। যার সূত্র ধরে অশান্ত করা হবে পশ্চিমবঙ্গকেও। দেশব্যাপী সেই অশান্তির পরিবেশেই বিজেপি সরকার ভারতের সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মতো বিতর্কিত বিলটি আনতে পারে। ঘোলা জলে মাছ ধরার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে। মমতার আরও দাবি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একনায়কতন্ত্রের দিকে যেতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যেই দেশের একাধিক প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা হতে পারে বলে তার আশঙ্কা।

একই সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের দাবি, ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে দলটিকে এ বাংলায় নখদন্তহীন করে ফেলা হবে। এতগুলো সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলছে আলোচনা। সত্যি সত্যিই কি বড় চমক অপেক্ষা করছে ডিসেম্বর মাসে? নাকি শেষ পর্যন্ত পর্বতের মূষিক প্রসবই হবে? এখনই তা জানা না গেলেও, রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ যে তুঙ্গে পৌঁছে দিতে পেরেছে বিজেপি আর তৃণমূল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম