বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নতুন ড্যাপে ‘মহামন্দা’ রাজধানীর জমি ব্যবসায়

গুলশানে প্লট কিনতে চেয়েছিল একটি সুপরিচিত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। সবকিছু ঠিকঠাক। বাগড়া বাধল নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রজ্ঞাপন নিয়ে। প্রজ্ঞাপনের পর কোম্পানিটি জমি কিনতে অস্বীকৃতি জানাল।

কোম্পানির নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিনিধি তৌহিদুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাধারণত কোম্পানি জমি কেনে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। আমরা জমি নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে কত বর্গ ফুট ভবন হবে সেটি নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু নতুন ড্যাপে যে নিয়ম করা হয়েছে তাতে ভবনের পরিমাণ অর্ধেক কমে যায়।

তৌহিদুর রহমান বলছেন, এ কারণে আমরা বিক্রেতাকে বলেছি, যদি ড্যাপ সংশোধন হয় তাহলে আমরা জমিটি কিনব। সংশোধন না হলে প্রকল্প স্থগিত থাকবে।

জমিটির মালিক মোতালেব হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এমনিতেই এখন জমি কেনাবেচা হয় খুবই কম। যখন একটা বায়ার রেডি হলো তখন এই ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি হলো। এটাকে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি-ই-বা বলতে পারি।

জসিম উদ্দিন নামে জমি কেনাবেচার একজন ব্যবসায়ী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এমনিতেই জমিজমার ব্যবসা মন্দা। যাদের কাছে টাকা আছে তারা জমি কিনবে না। আবার যাদের জমি লাগবে তাদের কাছে টাকা নেই। অবস্থা এমন হয়েছে যে অনেক দলিল লেখক পেশা পরিবর্তন করতে চাইছেন। যদিও দিনে দুয়েকটা দলিল হতো, ড্যাপের প্রজ্ঞাপনের পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এটাকে আপনি মহামন্দা বলতে পারেন।

রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমণ্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার জমির ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, এমনিতেই ঢাকা শহরে জমির দাম বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এত দামী জমি কিনে অর্ধেক ছেড়ে দিয়ে নির্মাণ কাজের বিধান করায় জমি কেনাবেচাই প্রায় থেমে গেছে।

গত ২৩ আগস্ট ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনের যে জায়গায় বিপত্তি বাধে সেটি হলো, ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় অর্ধেক জমি ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া ছোট জমির ক্ষেত্রে পরিকল্পনাই দেওয়া হবে না। ছোট জমির মালিকরা কয়েকজন মিলে এক হয়ে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন।

এ অবস্থায় ড্যাপের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিটে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও রাজউকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

জানতে চাইলে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নতুন গেজেট অনুযায়ী অন্যদের মতো আমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমার ৫ কাঠার একটি প্লট রয়েছে যেটা ২০১০ সালের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমার প্লট ড্যাপের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি।

ড্যাপের এই নিয়মের কারণে নতুন করে আবাসন কোম্পানিগুলোও কোনো প্রকল্প হাতে নিচ্ছে না। আগের প্রকল্পগুলোই শেষ করছে। কারণ নতুন ড্যাপ মেনে প্রকল্প করলে ফ্ল্যাটের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাবে যা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।

জানতে চাইলে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সহসভাপতি কামাল মাহমুদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাধারণ জমির মালিক যাদের ছোট ছোট জমি আছে তারা বেশি সমস্যায় আছে। কারণ এখনো ৭০ ভাগ বাড়িই ৩ থেকে ৪ তলা।

এক প্রশ্নের জবাবে কামাল মাহমুদ বলেন, ভাইয়ে ভাইয়েই বিবাদ লেগে থাকে। সেখানে অন্যের সঙ্গে জমি শেয়ার করে কীভাবে প্লট করবে? এটা একটা জুলুমের মতো হয়ে গেছে।

কামাল মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পূর্বাচলে বরাদ্দ পাওয়ার পর ৩/৪ কিস্তি দিয়েই সেটি এক কোটি টাকা কাঠা বিক্রি করা যাচ্ছে। সেই প্লটে কবে বাস করা যাবে তার ঠিক নেই। অথচ যে প্লটে মানুষ বংশ পরম্পরায় বসবাস করছে সেই প্লটে আপনি ২/৩ তলার উপরে করতে পারবেন না এটা কেমন কথা?

অবশেষে ড্যাপ সংশোধনের ইঙ্গিত
এ অবস্থায় ড্যাপ সংশোধনের ইঙ্গিত দিয়ে প্রকল্প পরিচালক রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলছেন, নগরবাসী ও আবাসন শিল্পের কল্যাণে আলোচনার মাধ্যমে ড্যাপ সংশোধনের সুযোগ এখনো আছে।

৭ নভেম্বর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে এক বৈঠকে আশরাফুল ইসলাম এমন অবস্থানের কথা জানান। রাজউকের এমন অবস্থান আগের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।

ড্যাপের প্রজ্ঞাপনের পর থেকেই এটির সংশোধনের দাবি ও হাইকোর্টে রিট হওয়ার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, রিয়েলটরদের দাবি সঠিক না। ড্যাপের প্রস্তাবনাসমূহের সঠিক বাস্তবায়ন করা হলে এই শহরে নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য লক্ষাধিক আবাসিক ইউনিট তৈরি করা সম্ভব হবে দাবি করে তিনি বরাবরই বলছিলেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণকাজ করার আন্তরিকতা থাকলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক