বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিকল্প কৌশলে নির্বাচনে যেতে মরিয়া জামায়াত!

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মরিয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ জন্য নানা কৌশল খুঁজছে দলটি। দলের নিবন্ধন ফেরত পেতে আইনি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে। সম্ভব না হলে ভিন্ন নামে নিবন্ধনের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী দলটি। তবে নিবন্ধন পেতে ব্যর্থ হলে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে নিজেদের করে নিয়ে সেই দলের প্রার্থী হওয়ার বিষয়েও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন জামায়াতের নেতারা। দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলোন, নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রেখেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য দলকে পাশে টানছে বিএনপি। তবে আপাতত ২০ দলীয় জোটকে কিছুটা নিষ্ক্রিয় রাখা হচ্ছে সরকারবিরোধী অন্যান্য দলকে কাছে টানার লক্ষ্যে।

এদিকে, ভোটের মাঠে জামায়াত ইসলামীকে ফ্যাক্টর ধরে গোপনীয়তার সঙ্গেই বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দলটির রাজনীতির কৌশল জানতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।

জানতে চাইলে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ বিরোধী দল যুগপৎ ধারার আন্দোলনের পক্ষে। আমরাও যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করি। এ জন্য জনগণকে নিয়ে আমরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি।

তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কাজেই আমরাও আইনি প্রক্রিয়াকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে অনেকেই বিভিন্ন সময়ে নতুন দল গঠন করছেন। কখনো বলছেন তারা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, আবার কখনো বলা হচ্ছে এটা জামায়াতের নিবন্ধন পাওয়ার বিকল্প কৌশল। আমাদের বক্তব্যে হচ্ছে, যারা নতুন সংগঠন বা দল করছেন তারা কি জামায়াতের রাজনীতি করেন? নাকি দল ছেড়ে নতুন দল গঠন করছেন, এই জবাব একমাত্র তারাই ভালো দিতে পারবেন। অপেক্ষা করুন, সময় হলে আপনারাও জানতে পারবেন।

হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দলটির নেতারা।

এদিকে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বিকল্প পথে এগোচ্ছেন। এরই মধ্যে প্রক্রিয়াটি অনেক দূর এগিয়েছে। জানা গেছে, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (অলি আহমদ), বাংলাদেশ লেবার পার্টি (ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম) নেতৃত্বাধীন দলগুলোর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলছেন জামায়াতের নেতারা। যদিও জামায়াতের সঙ্গে নিজেদের সখ্যতাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলেন, আমাদের দলে জামায়াতের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের দায় বহন করব না।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ দল নয়। দলের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে করা মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অনেকে না বুঝে নতুন দলটি জামায়াতের বলে উদ্দেশ্যমূলক প্রচার চালাচ্ছে। নতুন দলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নতুন দল গড়তে চাইলে ঘোষণা দিয়ে করত জামায়াতে ইসলামী।

এদিকে বিএনপি-জামায়াতের জোট বহাল থাকলেও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। বিজয়ী হয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দলটির তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সেই প্রেক্ষাপটে অনেকটাই রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল জামায়াত। আর সংগঠন হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকায় হাইকোর্টের রায় মেনে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। যা এখন আদালতে বিচারাধীন।

তবে প্রকাশ্য কর্মসূচি খুব একটা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে বেশ সুসংগঠিত বলে দাবি করছেন জামায়াত নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে নেওয়া বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য সংগঠনের মজলিসে শূরার সদস্যদের কাছে পাঠানো হয়। এরপর শূরা সদস্যদের অভিমতের ভিত্তিতেই নতুন নামে দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়। অবশ্য ওই কমিটি গঠনের তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন লন্ডনে অবস্থানরত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার হন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজিবুর রহমান মঞ্জু।

জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও মুজিবুর রহমান মঞ্জু। পরে ২০২০ সালের মে মাসে তারা ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি' বা ‘এবি পার্টি' নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এ দলটিও এবার নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। কমিশনে আবেদন জমা দেওয়া জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নামে আরেকটি দলেও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন। সবশেষ নতুন করে জমা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি) নেতারাও আগে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দায়িত্বশীল একজন জামায়াত নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াত ইস্যূতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী তৎপরতা চলছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন ও নির্বাচনে যেকোনো উপায়ে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী দলগুলোকে যেমন পাশে চায় বিএনপি; তেমনিভাবে ভিন্ন কৌশলে বিএনপির কাছ থেকে দূরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল।

তিনি বলেন, সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে।

দেশে ধর্মভিত্তিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ছিল। বারবার সে সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে বিএনপি। ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করে তারা ক্ষমতায় আসে। তবে এর পরই এই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াতের সঙ্গে কৌশলগত ঐক্য গড়ে আওয়ামী লীগ। যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি সরকারের পতন ঘটায়।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর