বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারবিরোধী দলগুলোকে কাছে টানার চেষ্টায় ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’

দ্বাদশ নির্বাচনের আগে দেশের রাজনীতিতে নানান পরিবর্তন আসবে। এমনটা ধরে নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ চলছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে নেই এমন বাম-গণতান্ত্রিক ধারার দলগুলোর সঙ্গেও মতবিনিময় শুরু করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। শুরুতেই মতবিনিময় করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে। মঙ্গলবার মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের

সূত্র জানায়, নির্দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ‘যুগপৎ আন্দোলনে’ যুক্ত হওয়ার কথা ভাবছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

মঞ্চের নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র মঞ্চ যে প্রক্রিয়ায় যুক্ত যুগপৎ আন্দোলনে হতে চাচ্ছে, সে বিষয়ে অন্যদলগুলোর সঙ্গে তারা মতবিনিময় করছেন। তারা দলগুলোকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।

যদিও বিএনপি বলেছিল ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ রূপরেখা তৈরি করার জন্য ফের সবার সঙ্গে বসবে। গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এখনো আলোচনা শুরু না করলেও তাদের জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে রূপরেখা দেওয়ার কথা সেটাও এখনো ঘোষণা করতে পারেনি বিএনপি।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে শুধু সরকারের বিদায় এবং একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই যথেষ্ট নয়। বিদ্যমান শাসনব্যবস্থাও বদলাতে হবে। সে লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কী ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা বা চুক্তিতে তারা পৌঁছেছেন, মতবিনিময়ে সে বিষয়গুলো খোলাসা করবেন মঞ্চের নেতারা। তারা চাচ্ছেন যুগপৎ আন্দোলনে আরও বেশি সংখ্যক দলকে যুক্ত করা এবং আন্দোলনের শক্তি বাড়ানো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যেসব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দুই পর্যায়ের দলই রয়েছে। অনিবন্ধিত হলেও কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমাজে গুরুত্ব ও প্রভাব রয়েছে। তাই সরকারবিরোধী বৃহত্তর আন্দোলনে যত দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করা যায়, সে চেষ্টার অংশ হিসেবে তারা বিএনপির বাইরে আলাদা করে এই রাজনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনসহ কিছু সাংবিধানিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কারে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে ‘যুগপৎ আন্দোলনে’ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।

প্রথম দফায় বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠক হলেও এবার তারা বিএনপির সঙ্গে পাল্টা বৈঠকে বসবেন। যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্য ও ভিত্তি কী হবে, আন্দোলনের ধরন কী হবে? বৈঠকে এসব চূড়ান্ত করা হবে। তবে এ বৈঠকের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি নির্ধারণে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছে। কারণ, ক্ষমতাসীন সরকার আরেকটি ব্যর্থ ও অকার্যকর নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে, যা দেশকে গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। অথচ আরেকটা ব্যর্থ ও অকার্যকর নির্বাচনের দায় বহন করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি মতবিনিময়ে এগিয়ে এসেছে। এবার গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে মতবিনিময় শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাসদ ও গণফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। রাজপথে গণজাগরণের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে বিদায় করা হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক, মানবিক, জবাবদিহিতার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে ভুলে গিয়ে আওয়ামী লীগ একটা সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।’

৮ আগস্ট (সোমবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র মঞ্চ’র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলো হলো; জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এই সাতটি দলের মধ্যে পাঁচটি দল বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সংলাপে অংশ নিয়েছে। জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শরিক হিসেবে ঐক্যফ্রন্টেও ছিল। গণতন্ত্র মঞ্চের ঘোষণা দিয়ে আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চ হলো জনগণের সমস্ত অধিকার আদায়ের মঞ্চ। আজকে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এই জোট নানা ইস্যুতে সরকার বিরোধি আন্দালনে মাঠে নামবে।

অবশ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে সবর থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও গণতন্ত্র মঞ্চের কার্যক্রম এখন অনেকটা ধীরে চলো নীতিতে চলছে। যদিও সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গড়ে উঠা নতুন এই রাজনৈতিক জোটের অধিকাংশ দলের নিবন্ধন নেই। তাই কর্মসূচির পাশাপাশি নিবন্ধন ইস্যুতে ব্যস্ত সময় কাটছে দলগুলোর। অবশ্য নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে দলগুলোর নেতারা কোনো প্রকার নিশ্চিয়তা পাননি । আ স ম আবদুর রবের জেএসডি এবং সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়া কারো নিবন্ধন নেই। নাগরিক ঐক্যকে নিবন্ধন দিয়েও আবার বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। জোনায়েদ সাকি নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলেও কমিশন সেটা তোয়াক্কা করেনি।

ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হকদের গণঅধিকার পরিষদও নিবন্ধনের জন্য গত রবিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করেছে। তবে দলটির নেতারা বলছেন; রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে যে সমস্ত ক্যাটাগরি/শর্ত থাকে সবকিছু পরিপূর্ণ করেই তারা অগ্রসর হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারপরও নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টদলগুলোর নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক গণতন্ত্র মঞ্চের দায়িত্বশীল একজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা মুখের কথায় যাই বলি না কেন; সরকারবিরোধী আন্দোলনে এককভাবে রাজপথে দাঁড়ানোর কোনো উপায় বা শক্তি নেই। তাই ইচ্ছা না থাকলেও আমাদেরকে আন্দোলনের জন্য বিএনপির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। বেশ কয়েকবার রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিল। তাদের যতটুকু সক্ষমতা আছে গণতন্ত্র মঞ্চের সেটা নেই। জোটে টানতে সংসদে থাকা বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’

বাংলাদেশ জাসদ কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, বর্তমান সরকারের সীমাহীন লুটপাট-অর্থ পাচারের ফলে জনগণের যে নাভিশ্বাস উঠেছে, তার বিরুদ্ধে ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন তারা।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন করার জন্য যে সমস্ত অবস্থা তৈরি করা দরকার আমার সেভাবেই কাজ করছি। শর্ত হচ্ছে-এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, এই নির্বাচন কমিশন থাকতে পারবে না, এই সংসদ বাতিল করতে হবে এবং ইভিএম চলবে না। এই কয়টা শর্তের কোনোটার সঙ্গে কোনো ছাড় নাই। আমরা প্রশাসনকে ঢেলে সাজাব, নির্বাচন করবার উপযুক্ত করব এবং দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি বলব, গণতান্ত্রিক জনতার জয় হবেই হবে। বিএনপি বলেছিল ‘যুগপৎ আন্দোলনের’ রূপরেখা তৈরি করার জন্য সবার সঙ্গে বসবে। এর আগে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়ার কথা। সেটা এখনো ঘোষণা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চ সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মী সম্মেলন ও সুধী সমাবেশের কর্মসূচি শুরু করবে। নভেম্বর মাসেই তা শুরু হবে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এ মুহূর্তে তাদের লক্ষ্য যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে সমমনা অন্য দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া বাড়িয়ে তোলা এবং তাদের আন্দোলনে যুক্ত করে সরকারবিরোধী ঐক্যমঞ্চকে বিস্তৃত করা।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি চলছে, একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেই আমরা আলোচনা করব। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে একটি যৌক্তিক অবস্থানে নিয়ে যেতে ভিত্তি তৈরিতেই আলোচনা করা হচ্ছে।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত