শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রভাবশালীরা নিয়ম ভেঙেও পার পান, মামলা খান দুর্বলরা

রাজধানী ঢাকার সড়কে নিয়ম না মানায় যানবাহনের বিরুদ্ধে হরহামেশা মামলা করছে ট্রাফিক পুলিশ। এ সব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে নিরীহ ও দুর্বল গাড়ির চালক ও মালিকদের বিরুদ্ধে। যারা প্রভাবশালী, উল্টো পথে গাড়ি চালান তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয় না। সব আইন দুর্বলদের জন্য। এমন অভিযোগ মামলার শিকার যানবহানের চালক ও মালিকদের।

অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ট্রাফিক পুলিশকে হেয় করার জন্য এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকলে, ট্রাফিক আইন না মানলেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে।

রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রতিটি সড়কে অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা, ভিআইপিদের উল্টো পথে চলা, গণপরিবহনের বিশৃঙ্খলার কারণে নগরবাসী অতিষ্ঠ। ট্রাফিক ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণে যানজট বৃদ্ধি পেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাফিক পুলিশের আগ্রহ যেন মামলাতেই বেশি দেখা যাচ্ছে।

ট্রাফিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত আট মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৫৬২টি মামলা হয়েছে। আর ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এ সব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট নয় লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এ সব মামলায় ২২১ কোটি সাত লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

কিন্তু এত কিছুর পরও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না। উল্টো ভোগান্তি আগের চেয়ে বেড়েছে— অভিযোগ নগরবাসীর।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মূল সড়কে বেড়েছে অবৈধ স্থাপনা। সঙ্গে আছে অবৈধ পার্কিং। যা মূল সড়কের অনেকটাই দখলে রেখেছে। যদিও সিগন্যালগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশদের। যানজট নিরসনে নয়, মামলা দিতেই ব্যস্ত থাকেন তারা।

ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনভিজ্ঞ ও মেয়াদবিহীন লাইসেন্সের চালক— সবাই যেন নেমে পড়ে সড়কে। এ সব কারণে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে চালকরা বলছে, এ সব হলো অতিরিক্ত মামলা।

শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, মোড়ের প্রায় সবক’টি রাস্তার মুখেই রাইড শেয়ারিং এর অসংখ্য মোটরবাইক দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীর অপেক্ষায়। কিন্তু রাস্তাগুলোতে যানবাহনের ব্যাপক চাপে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

রাস্তায় মোটরবাইকের চালকদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান,মোড়ে না দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রী পাওয়া যায় না। অনেক সময় অনলাইনের যাত্রীরা লোকেশন চেনেন না, এজন্য মূলত প্রতিটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

ঢাকায় অনিয়মিত থাকেন রাইড শেয়ারিং চালক মাগুরার মুজিবুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাফিক পুলিশ আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। মাঝে মাঝে ধরে জোর করে মামলা দেয়। কিন্তু জীবিকার তাগিদে কিছু কিছু সময় আমরা আইন ভঙ্গ করি। তিনি বলেন, অনেক সময় আমরা ট্রাফিক কনস্টেবলদের ম্যানেজ করে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী বহন করি।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় পাঠাও চালক মো. রবিনের সঙ্গে। তিনি বলেন,কোথাও যাত্রী নিয়ে গেলে পুলিশ ৩/৪ বার রাস্তায় থামিয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখে। অনেক সময় ট্রাফিক জোর করে মামলা দিয়ে বলে ছোট একটি মামলা দিয়েছি। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, ভিআইপিরা উল্টা রাস্তায় গেলেও ট্রাফিক পুলিশ তাদের দেখে না। তারা আমাদের মতো শ্রমিক, দিন মজুর এবং দুর্বলদের বেশি মামলা দিচ্ছে ।

তেজগাঁও এলাকায় নিয়ম মেনে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন পাঠাও চালক ও শিক্ষার্থী আরিক আকন। পুলিশ তাকে থামিয়ে কাগজপত্র হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করে আগের কোনো মামলা আছে কি না? জবাব দেওয়ার আগেই এক হাজার টাকার মামলা দেওয়ার কথা বলে দুই হাজার টাকার মামলা দেয়। এর পর আরিক আকন ওই ট্রাফিকের কাছে তার অপরাধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় চললে মাঝে মাঝে এমন মামলা হয়। এ সময় আরিক আকন অভিযোগ করে বলেন, আপনার সামনে দিয়ে উল্টা পথে ভিআইপি একটি গাড়ি চলে গেল তাদের কেনো ধরলেন না, আমার অপরাধ কি? এ সময় পুলিশ বলে, আপনি ট্রাফিক অফিসে গিয়ে ছাত্র বললে ডিসি স্যার বিষয়টি দেখবেন এবং আপনার জরিমানা হয়ত কমিয়ে দেবেন।

আরিক আকন বলেন, ভিআইপিদের নয়, দুর্বলদের বেশি মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ।

ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

পলাশী মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট খায়রুল আলম বলেন, রাস্তায় অনিয়ম করলে মামলা দেওয়া হয়। কোনো গাড়িকে টার্গেট করে মামলা দেওয়া হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারণটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। চালকরা অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, ভিআইপিরাও অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ সব সময় পাবলিক নিয়ে কাজ করে। আইনের চোখে সবাই সমান। তিনি বলেন, সড়কে আইন অমান্য করা চালকদের যানবাহনের নামে মামলা দেওয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় অনেক সময় তারা ট্রাফিক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে মামলা বা বিভিন্ন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। এজন্য সাধারণ মানুষ পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, ভিআইপিরা যখন উল্টোপথে চলাচল করে তখন ট্রাফিক পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। সাধারণ যানবাহনের চালকদের অনিয়ম বা অন্য বিষয় নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। রাইড শেয়ার চালকদের আটক করে বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়। যার কারণে চালকরা ট্রাফিক পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ। অনেক সময় দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের মামলার আগ্রহ বেশি হওয়ায় সড়কে যানজট তৈরি হয়।

এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ভিআইপিদের নয় দুর্বলদের বেশি মামলা দেয়, চালকদের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু চালকরাও যে ঠিকমতো ট্রাফিক আইন মানেন সেটাও নয়। অনেক চালক আছেন যারা নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন সেক্ষেত্রে ট্রাফিকে দায়িত্বরতরা মামলা দিতে বাধ্য হন। তিনি মনে করেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।একই সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। চালকদেরও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার জানতে চাওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, ৯৯৯ থেকে কখনোই কোনো ব্যক্তির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নাম্বার জানতে চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ৯৯৯ নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে থাকে।

মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক বিমানের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে মিলছে অবৈধ সোনা। বিমানে এসব সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে দেওয়া চিঠিতে দেশি-বিদেশি বিমানে চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

তবে, এ সতর্কতার পরও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বিমানের একটি সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ২০টি সোনার বার উদ্ধার করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অংশে সোনা লুকিয়ে আনা হয়। ধরা পড়লে স্বর্ণ আটক করা হলেও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

তবে, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কর্মী বা কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে চোরাচালানের এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়া অসম্ভব। তাই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

উড়োজাহাজে সোনা লুকানোর জন্য সিটের নিচ, বাথরুম, পাইপের ভেতর, কেটারিং এরিয়া বা লাগেজ সংরক্ষণস্থল ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের কর্মীদের সহযোগিতা থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু এরপরও চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

এই ঘটনায় দুবাইফেরত একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নং ভবনে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অবকাঠামো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে অগ্নি নির্বাপণকর্মী সোহানুর জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের মতো একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। এ ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি, এই ঘটনার পরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংস্কার কার্যক্রমকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ তৎপরতা চলছে। সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো দাখিল করার আগে এ ধরনের অস্থিরতা এবং কমিশনের কাজে প্রতিবন্ধকতা রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যহত করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট নানা মহল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এর আগে পদোন্নতিতে কোটা সংক্রান্ত সুপারিশ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে ক্যাডারদের মাঝে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার