শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যা থাকছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখায়

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে যুগপৎ আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিএনপি। সে জন্য কৌশল নির্ধারণে সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আন্দোলন-সংগ্রামের একটা খসড়া রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে দলটি।

খসড়া রূপরেখায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, জুডিশিয়াল ও গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সমন্বয়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে।

চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম দিকেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রূপরেখা ঘোষণা করা হবে এবং বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেবে দলটি। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে রূপরেখা ধরেই বিএনপি নেতারা আগামীকাল থেকেই নতুন করে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে যেসব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল তাদের সঙ্গেই আবারও আলোচনায় বসে রূপরেখা চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকার পতনের পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের কাঠামো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার কৌশল,পরবর্তীতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের বিষয়টিও গুরুত্ত্ব পাচ্ছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখায়।

বিএনপির হাইকমান্ড মনে করছে, সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রেখে যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে যেতে একটি কার্যকর রূপরেখা তৈরি করতে হবে। এখন সেই খসড়া রূপরেখা যাচাই-বাছাই, সংযোজন-বিয়োজনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসেই সরকার বিরোধী অন্যান্য দলগুলো সঙ্গে আলোচনায় তা নির্ধারণ করা হবে।

বিএনপি সূত্র বলছে, বিএনপি সরকারবিরোধী যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে, তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন। সেই আন্দোলনে ২০ দলীয় জোট ছাড়াও সংলাপ করা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থাকা কয়েকটি দলের সম্পৃক্ত থাকার ইঙ্গিত দেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি চায়, খসড়া রূপরেখা অনুযায়ী দলগুলোকে নীতিগত ঐক্যের মধ্যে নিয়ে এসে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের কাঠামো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার কৌশল ঠিক করা হবে। পরে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। বিএনপি মনে করে, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই নির্ধারিত হবে ‘নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার’ পদ্ধতি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বৃহৎ ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, যুগপৎ আন্দোলন করব এবং আমরা সব রাজনৈতিক দলকে যুগপৎ আন্দোলনের আসার আহ্বান জানাচ্ছি। পরে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নির্ধারিত হবে।’

অবশ্য সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব জানান, জাতীয় পার্টির সঙ্গে এখনো আমরা ফরমালি কোনো আলাপ-আলোচনা করিনি। তবে যুগপৎ আন্দোলনে সব দলের জন্যই দরজা খোলা আছে। যে কেনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠন যারা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করবে তাদের নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আত্মপ্রত্যয় মনোভাব নিয়ে বিভাগীয় শহর পর্যায়ে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সম্প্রতি তৃণমূল পর্যায়ে নানান প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করাকে আগের চেয়ে ইতিবাচক ধরে নিয়েই সমাবেশের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিতে এগোচ্ছে বিএনপি। যদিও রূপরেখা চূড়ান্ত করণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির প্রতি সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়টি।

কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনের আগেই জাতীয় সরকার ইস্যুতে অস্পষ্টতা দেখছে অন্যান্য দলগুলো। বিএনপি চাচ্ছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে। কিন্তু বিএনপি জোটের বাইরের দলগুলোর বক্তব্যে হলো নির্বাচনের আগেই হতে হবে জাতীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়ার রূপরেখা। অথচ বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি বিরোধী দলগুলো আরও কাছাকাছি আসবে। নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি হবে। যা পরবর্তী কালে জাতীয় সরকার গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএনপির বাইরে অধিকাংশ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি হলো একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে তাদের আচরণ আওয়ামী লীগের মতো হবে না সেটার নিয়শ্চয়তা কী? এরপরও তারা তাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। তারা কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জোট গঠন করতে ইচ্ছুক নয়। ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। এ জন্য বিএনপির কাছ থেকে সুষ্পষ্ট ঘোষণা চান। সংবিধানের কিছু ধারা পরিবর্তন করতে হবে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, দুদক-নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করা যাবে না। এরকম আরো বেশ কিছু বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে সরকার বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে।

জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আন্দোলন, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে, সেটি হবে মূলত পরিবর্তনের কর্মসূচি। যেখানে সংবিধান, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি কর্মকমিশনসহ (পিএসসি) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় আঙ্গিকে সংস্কারের অঙ্গীকার থাকবে। রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এটা করা হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘রূপরেখা প্রস্তুত করা হচ্ছে; কিছুদিনের মধ্যে এটা প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বাম ধারার দলগুলো, ইসলামী দলগুলো এবং ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা দলগুলোকে নিয়ে ভবিষ্যত পথ চলার বিষয়ে একাধিক বিকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিএনপিতে। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কিছু দলের আপত্তির কথা উঠে আসায় জোটগত নয়, যুগপৎ আন্দোলনে দলগুলোকে পাশে রাখতে চায় বিএনপি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের পদত্যাগ চায়, এমন যে কোনো দল যুক্ত হতে পারবে তাদের আন্দোলনে। রূপরেখায় সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে।

রূপরেখা তৈরিতে কাজে যুক্ত একজন বিএনপি নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রূপরেখাকে নির্বাচনের আগে এবং পরে দুই ভাগে ভাগ করেছে দলটি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, জাতীয় সরকার গঠন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয় থাকবে আন্দোলনের রূপরেখায়।

এই রূপরেখার দ্বিতীয়ভাগে জাতীয় সরকার গঠনকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নানা সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, জুডিশিয়াল ও গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সমন্বয়।

এই নেতা বলেন, রূপরেখা অনুযায়ি মামলা-হামলা হলেও আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদনের পর এ মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী মাসের মাঝামাঝি যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরা হতে পারে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নং ভবনে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অবকাঠামো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে অগ্নি নির্বাপণকর্মী সোহানুর জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের মতো একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। এ ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি, এই ঘটনার পরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংস্কার কার্যক্রমকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ তৎপরতা চলছে। সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো দাখিল করার আগে এ ধরনের অস্থিরতা এবং কমিশনের কাজে প্রতিবন্ধকতা রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যহত করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট নানা মহল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এর আগে পদোন্নতিতে কোটা সংক্রান্ত সুপারিশ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে ক্যাডারদের মাঝে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ছবি: সংগৃহীত

৯২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনমোহন সিং। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৫১মিনিটে নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তির কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

এর আগে ২০০৯ সালে দিল্লির এআইআইএমএসে মনমোহন সিংয়ের সফল করোনারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। ২০২১ সালে মহামারির সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসরে যান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম