বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

যা থাকছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখায়

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে যুগপৎ আন্দোলনে রূপ দিতে চায় বিএনপি। সে জন্য কৌশল নির্ধারণে সরকার-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আন্দোলন-সংগ্রামের একটা খসড়া রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে দলটি।

খসড়া রূপরেখায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, জুডিশিয়াল ও গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সমন্বয়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে।

চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম দিকেই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রূপরেখা ঘোষণা করা হবে এবং বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দেবে দলটি। বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে রূপরেখা ধরেই বিএনপি নেতারা আগামীকাল থেকেই নতুন করে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে যেসব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল তাদের সঙ্গেই আবারও আলোচনায় বসে রূপরেখা চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকার পতনের পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের কাঠামো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার কৌশল,পরবর্তীতে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের বিষয়টিও গুরুত্ত্ব পাচ্ছে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখায়।

বিএনপির হাইকমান্ড মনে করছে, সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রেখে যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে যেতে একটি কার্যকর রূপরেখা তৈরি করতে হবে। এখন সেই খসড়া রূপরেখা যাচাই-বাছাই, সংযোজন-বিয়োজনের উদ্দ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসেই সরকার বিরোধী অন্যান্য দলগুলো সঙ্গে আলোচনায় তা নির্ধারণ করা হবে।

বিএনপি সূত্র বলছে, বিএনপি সরকারবিরোধী যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে, তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন। সেই আন্দোলনে ২০ দলীয় জোট ছাড়াও সংলাপ করা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থাকা কয়েকটি দলের সম্পৃক্ত থাকার ইঙ্গিত দেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপি চায়, খসড়া রূপরেখা অনুযায়ী দলগুলোকে নীতিগত ঐক্যের মধ্যে নিয়ে এসে পরবর্তী সময়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের কাঠামো এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার কৌশল ঠিক করা হবে। পরে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে। বিএনপি মনে করে, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই নির্ধারিত হবে ‘নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার’ পদ্ধতি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বৃহৎ ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, যুগপৎ আন্দোলন করব এবং আমরা সব রাজনৈতিক দলকে যুগপৎ আন্দোলনের আসার আহ্বান জানাচ্ছি। পরে যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নির্ধারিত হবে।’

অবশ্য সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব জানান, জাতীয় পার্টির সঙ্গে এখনো আমরা ফরমালি কোনো আলাপ-আলোচনা করিনি। তবে যুগপৎ আন্দোলনে সব দলের জন্যই দরজা খোলা আছে। যে কেনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠন যারা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করবে তাদের নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আত্মপ্রত্যয় মনোভাব নিয়ে বিভাগীয় শহর পর্যায়ে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সম্প্রতি তৃণমূল পর্যায়ে নানান প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করাকে আগের চেয়ে ইতিবাচক ধরে নিয়েই সমাবেশের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচিতে এগোচ্ছে বিএনপি। যদিও রূপরেখা চূড়ান্ত করণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপির প্রতি সরকারবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থাহীনতার বিষয়টি।

কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনের আগেই জাতীয় সরকার ইস্যুতে অস্পষ্টতা দেখছে অন্যান্য দলগুলো। বিএনপি চাচ্ছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে। কিন্তু বিএনপি জোটের বাইরের দলগুলোর বক্তব্যে হলো নির্বাচনের আগেই হতে হবে জাতীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়ার রূপরেখা। অথচ বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি বিরোধী দলগুলো আরও কাছাকাছি আসবে। নিজেদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া তৈরি হবে। যা পরবর্তী কালে জাতীয় সরকার গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএনপির বাইরে অধিকাংশ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি হলো একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেলে তাদের আচরণ আওয়ামী লীগের মতো হবে না সেটার নিয়শ্চয়তা কী? এরপরও তারা তাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। তারা কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জোট গঠন করতে ইচ্ছুক নয়। ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদেরকে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। এ জন্য বিএনপির কাছ থেকে সুষ্পষ্ট ঘোষণা চান। সংবিধানের কিছু ধারা পরিবর্তন করতে হবে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, দুদক-নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করা যাবে না। এরকম আরো বেশ কিছু বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে সরকার বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে।

জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আন্দোলন, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে, সেটি হবে মূলত পরিবর্তনের কর্মসূচি। যেখানে সংবিধান, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি কর্মকমিশনসহ (পিএসসি) রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় আঙ্গিকে সংস্কারের অঙ্গীকার থাকবে। রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এটা করা হচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘রূপরেখা প্রস্তুত করা হচ্ছে; কিছুদিনের মধ্যে এটা প্রকাশ করা হবে।

জানা গেছে, রূপরেখা চূড়ান্ত করতে বাম ধারার দলগুলো, ইসলামী দলগুলো এবং ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা দলগুলোকে নিয়ে ভবিষ্যত পথ চলার বিষয়ে একাধিক বিকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিএনপিতে। জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে কিছু দলের আপত্তির কথা উঠে আসায় জোটগত নয়, যুগপৎ আন্দোলনে দলগুলোকে পাশে রাখতে চায় বিএনপি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের পদত্যাগ চায়, এমন যে কোনো দল যুক্ত হতে পারবে তাদের আন্দোলনে। রূপরেখায় সার্বিক বিষয় তুলে ধরা হবে।

রূপরেখা তৈরিতে কাজে যুক্ত একজন বিএনপি নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রূপরেখাকে নির্বাচনের আগে এবং পরে দুই ভাগে ভাগ করেছে দলটি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, জাতীয় সরকার গঠন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয় থাকবে আন্দোলনের রূপরেখায়।

এই রূপরেখার দ্বিতীয়ভাগে জাতীয় সরকার গঠনকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নানা সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, সাংবিধানিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, জুডিশিয়াল ও গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য সমন্বয়।

এই নেতা বলেন, রূপরেখা অনুযায়ি মামলা-হামলা হলেও আন্দোলন থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে অনুমোদনের পর এ মাসের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী মাসের মাঝামাঝি যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরা হতে পারে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি