শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তলে তলে সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত

প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা না গেলেও তলে তলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী নিজেদের সংগঠিত করছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে। গত কয়েক বছরে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করেনি। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে অনেক আগে।

জামায়াতের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটিকে এখন ভিন্ন কৌশলে ভিন্ন নামে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন দলটির নেতারা।

জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের নানা দমন পীড়নের পরও সক্রিয় জামায়াত ইসলামী। দলটি তার নিজস্ব গতিধারা বজায় রেখেই সামনে এগিয়ে যাবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত তারা প্রকাশ্য রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকবে। মিছিল-মিটিং বা সভা-সমাবেশের মতো কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবে না। শুধু সংগঠন গোছানোর কাজে মনোযোগ দেবে। অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতীত ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চায় জামায়াতের তরুণ নেতারা। তাদের যুক্তি হচ্ছে, তখন যুদ্ধাপরাধের তীর আর তাদের বিদ্ধ করতে পারবে না, বরং লাভবানই হবে। কারণ শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলটির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এখনো অটুট রয়েছে।

২০ দলীয় জোট, দলের নিবন্ধন ও নতুন নামে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। যখন কোনো কিছু বলার মতো হবে, তখন অবশ্যই জানানো হবে। এমন কিছু হলে তো আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই করব। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।’

পরবর্তীতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম এর সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বেশকিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিএনপি জোটের সঙ্গে তারা আর নেই ৷ তবে যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে ৷ তিনি জামায়াতের এই জোটে না থাকার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন ৷ কিন্তু কয়েকজন জামায়াত নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেছেন, ‘ডা. শফিকুর রহমান এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে জোট প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ৷ দলের আমীরের এটা অফিসিয়াল বক্তব্য হলে তো আমরা প্রেস রিলিজ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানাতাম।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি। আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।’

জানা যায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে আদালত কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হচ্ছে, যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই নিবন্ধন বাতিল হলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় রয়েছে। তবে নিবন্ধন না থাকায় তারা দলীয় ব্যানার ও প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অবশ্য বেনামে বা স্বতন্ত্র পরিচয়ে বা অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে জামায়াতের নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেই দিক বিবেচনায় নিয়েই জামায়াত কৌশলগত কারণেই এখন প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেই। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে দলের নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা একেক এলাকায় একেক কৌশলে কাজ চালাচ্ছে। কোথাও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে, আবার কোথাও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জামাযাতে ইসলামী।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হয়। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শুধু দেশের বিরোধীতাই করেনি, পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামানসহ অনেকের মৃত্যুদণ্ড হয়। একই অপরাধে এখনো একাধিক জামায়াত নেতা কারাগারে বন্দি আছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের বিচারের রায়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণে আদালত জামায়াতে ইসলামীকেও যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তবুও রাজনীতিতে জামায়াত আছে বিএনপির ছত্রছায়ায়। এটা আরও পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা, বিভিন্ন মহলের চাপ কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়েনি। সমালোচনা বরং একে অপরকে কাছে টানছে। কৌশলগতভাবেও জামায়াত বিএনপির তুলনায় অনেক এগিয়ে। তাই বিএনপিকে জামায়াতীকরণ করার কাজ তারা এগিয়ে নিতে পেরেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারণায় থাকাও জামায়াতের আরেকটি কৌশল। ইতিবাচক-নেতিবাচক যে কোনো বিষয়েই আলোচনায় থাকতে চায় জামায়াত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের প্রভাবশালী একজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভিন্ন নামে জামায়াত ইসলামী একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে আজ থেকে প্রায় দুই বছর পূর্বে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিষয়টি তখন আটকে যায়। তবে সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আবারো বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নেতাদের।’

তিনি বলেন, ‘দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে নিবন্ধন ইস্যুতে আইনগতভাবে যত প্রকারের উদ্যোগ বলেন, পদক্ষেপ বলেন সেটা করেও কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত আসবে না। ফলে জামায়াতে ইসলামীকে স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অনেকের মতে বিএনপিই জামায়াতের জন্য সেই নিরাপদ স্থান। তাই যে যাই বলুক, জামায়াতে ইসলামী জোটে আছে, ভোটে আছে এমনকি যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘সংলাপ ইস্যুতে ২০ দলীয় জোটে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত-বিএনপি জোটে থাকা না থাকা এটা জামায়াতের নীতিগত অবস্থান নয়, কৌশলগত। শুধু মাত্র জামায়াত কিংবা বিএনপি নয়, সম্মিলিতভাবেই উভয় দলই রাজনৈতিকভাবে কৌশল নিয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও চায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিচ্ছেদ ঘটুক। দুই দলের সম্মিলিত শক্তি তাদের জন্য ভোট ও আন্দোলনের মাঠে বিপজ্জনক, আলাদা হলে ঠিক তার উল্টো। তাই অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ে জামায়াতকেই সরকার তাদের গলার কাঁটা হিসাবে দেখছে। এই মুহূর্তে বিএনপিকে সরকার যতটা চাপে রাখতে চায়, জামায়াতকে হয়ত ততটা নয়।’

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমাদের কে বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত আর জামায়াতকে বলা হয় যুদ্ধাপরাধীর দল, আমিও তা স্বীকার করি। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন অথচ বেআইনি ঘোষণা করলেন না। তার মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ-জামায়াত তলে তলে সম্পর্ক বজায় রাখছে। তাই এখন থেকে আওয়ামী জামায়াত হবে, বিএনপি জামায়াত হবে না।’

অবশ্য জামায়াত এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কথা ও মর্মবেদনায় জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, কার স্বার্থে এবং কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এ বক্তব্য প্রদান করেছেন?

এদিকে জামায়াত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, জামায়াত যদি নতুন নামে পুনর্গঠিত হওয়ার কথা ভাবে তাহলে হয়তো জামায়াতের একটি বড় অংশ বিএনপিতে বিলীন হবে। কারণ বিএনপি হলো জামায়াতের স্বাভাবিক মিত্র। তা ছাড়া জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হচ্ছে না। জামায়াত মাঠ ছাড়বে না। আর্থিকভাবে যতদিন দুর্বল না হবে ততদিন দলটি কৌশলের খেলা অব্যাহত রাখবেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ভুল বারবার করলেও জামায়াত ভুলের পুনরাবৃত্তি কম করে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) আমিনুল ইসলামের বক্তব্যকে তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) আইএসপিআরের পরিচালকের পক্ষে সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আমিনুল ইসলাম এসসিপিও (জেসিও)-এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি টিম মোতায়েন করা হয়। এ সময় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের নিকট আমিনুল ইসলাম একটি বিবৃতি প্রদান করেন যা তার একান্ত ব্যক্তিগত মন্তব্য। বিবৃতিটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অফিসিয়াল বিবৃতি নয়।

Header Ad
Header Ad

৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ক্লোন করে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার জানতে চাওয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার শেয়ার না করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, ৯৯৯ থেকে কখনোই কোনো ব্যক্তির মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের (বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি) পিন নম্বর অথবা ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পিন নাম্বার জানতে চাওয়ার কোন সুযোগ নেই। ৯৯৯ নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে থাকে।

মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকের কার্ডের পিন নাম্বার কারো সাথে শেয়ার করবেন না। এ ধরনের প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকা ও তাদের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানা বা ৯৯৯ নম্বরে জানাতে জনগণকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক বিমানের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে মিলছে অবৈধ সোনা। বিমানে এসব সোনা চোরাচালান প্রতিরোধে দেড় মাস আগেই এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করেছিল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গত ১১ নভেম্বর সংস্থাটির মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের স্বাক্ষরে দেওয়া চিঠিতে দেশি-বিদেশি বিমানে চোরাচালান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

তবে, এ সতর্কতার পরও বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বাংলাদেশ বিমানের একটি সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ২০টি সোনার বার উদ্ধার করে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে উড়োজাহাজের বিভিন্ন অংশে সোনা লুকিয়ে আনা হয়। ধরা পড়লে স্বর্ণ আটক করা হলেও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

তবে, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কর্মী বা কর্মকর্তারা জড়িত না থাকলে চোরাচালানের এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়া অসম্ভব। তাই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

উড়োজাহাজে সোনা লুকানোর জন্য সিটের নিচ, বাথরুম, পাইপের ভেতর, কেটারিং এরিয়া বা লাগেজ সংরক্ষণস্থল ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে এয়ারলাইনসের কর্মীদের সহযোগিতা থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমরা এয়ারলাইনসগুলোকে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু এরপরও চোরাচালানের ঘটনা ঘটায় বিমান জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলছে।

এই ঘটনায় দুবাইফেরত একটি উড়োজাহাজ জব্দ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জেসিও আমিনুল ইসলামের বক্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত: আইএসপিআর
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান!
আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা, ব্যবস্থা নেয়নি বিমানের কর্তারা
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং  
ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি