বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

তলে তলে সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত

প্রকাশ্য রাজনীতিতে দেখা না গেলেও তলে তলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশব্যাপী নিজেদের সংগঠিত করছে। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে। গত কয়েক বছরে জামায়াতে ইসলামী প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করেনি। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলটি। যদিও রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে অনেক আগে।

জামায়াতের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটিকে এখন ভিন্ন কৌশলে ভিন্ন নামে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নিচ্ছেন দলটির নেতারা।

জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের নানা দমন পীড়নের পরও সক্রিয় জামায়াত ইসলামী। দলটি তার নিজস্ব গতিধারা বজায় রেখেই সামনে এগিয়ে যাবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত তারা প্রকাশ্য রাজনীতিতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকবে। মিছিল-মিটিং বা সভা-সমাবেশের মতো কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাবে না। শুধু সংগঠন গোছানোর কাজে মনোযোগ দেবে। অস্তিত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাম পরিবর্তনের চিন্তা করছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতীত ভুলের জন্য প্রয়োজনে ক্ষমা চেয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চায় জামায়াতের তরুণ নেতারা। তাদের যুক্তি হচ্ছে, তখন যুদ্ধাপরাধের তীর আর তাদের বিদ্ধ করতে পারবে না, বরং লাভবানই হবে। কারণ শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলটির সেই সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দক্ষতা এখনো অটুট রয়েছে।

২০ দলীয় জোট, দলের নিবন্ধন ও নতুন নামে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। যখন কোনো কিছু বলার মতো হবে, তখন অবশ্যই জানানো হবে। এমন কিছু হলে তো আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই করব। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।’

পরবর্তীতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম এর সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বেশকিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিএনপি জোটের সঙ্গে তারা আর নেই ৷ তবে যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে ৷ তিনি জামায়াতের এই জোটে না থাকার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন ৷ কিন্তু কয়েকজন জামায়াত নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেছেন, ‘ডা. শফিকুর রহমান এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে জোট প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ৷ দলের আমীরের এটা অফিসিয়াল বক্তব্য হলে তো আমরা প্রেস রিলিজ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানাতাম।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি। আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।’

জানা যায়, রাজনৈতিক দল হিসেবে আদালত কর্তৃক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হচ্ছে, যদিও এখন পর্যন্ত সরকারের তরফে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই নিবন্ধন বাতিল হলেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় রয়েছে। তবে নিবন্ধন না থাকায় তারা দলীয় ব্যানার ও প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অবশ্য বেনামে বা স্বতন্ত্র পরিচয়ে বা অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে জামায়াতের নেতারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেই দিক বিবেচনায় নিয়েই জামায়াত কৌশলগত কারণেই এখন প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেই। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যানারে দলের নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা একেক এলাকায় একেক কৌশলে কাজ চালাচ্ছে। কোথাও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে, আবার কোথাও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জামাযাতে ইসলামী।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হয়। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শুধু দেশের বিরোধীতাই করেনি, পাক বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামানসহ অনেকের মৃত্যুদণ্ড হয়। একই অপরাধে এখনো একাধিক জামায়াত নেতা কারাগারে বন্দি আছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতাদের বিচারের রায়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণে আদালত জামায়াতে ইসলামীকেও যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। তবুও রাজনীতিতে জামায়াত আছে বিএনপির ছত্রছায়ায়। এটা আরও পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের সমালোচনা, বিভিন্ন মহলের চাপ কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত কেউ কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়েনি। সমালোচনা বরং একে অপরকে কাছে টানছে। কৌশলগতভাবেও জামায়াত বিএনপির তুলনায় অনেক এগিয়ে। তাই বিএনপিকে জামায়াতীকরণ করার কাজ তারা এগিয়ে নিতে পেরেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রচারণায় থাকাও জামায়াতের আরেকটি কৌশল। ইতিবাচক-নেতিবাচক যে কোনো বিষয়েই আলোচনায় থাকতে চায় জামায়াত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের প্রভাবশালী একজন নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ভিন্ন নামে জামায়াত ইসলামী একটি নতুন সংগঠন গড়ে তোলার বিষয়ে আজ থেকে প্রায় দুই বছর পূর্বে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিষয়টি তখন আটকে যায়। তবে সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আবারো বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নেতাদের।’

তিনি বলেন, ‘দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে নিবন্ধন ইস্যুতে আইনগতভাবে যত প্রকারের উদ্যোগ বলেন, পদক্ষেপ বলেন সেটা করেও কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত আসবে না। ফলে জামায়াতে ইসলামীকে স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আর সেক্ষেত্রে অনেকের মতে বিএনপিই জামায়াতের জন্য সেই নিরাপদ স্থান। তাই যে যাই বলুক, জামায়াতে ইসলামী জোটে আছে, ভোটে আছে এমনকি যুগপৎ আন্দোলনেও থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘সংলাপ ইস্যুতে ২০ দলীয় জোটে সৃষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াত-বিএনপি জোটে থাকা না থাকা এটা জামায়াতের নীতিগত অবস্থান নয়, কৌশলগত। শুধু মাত্র জামায়াত কিংবা বিএনপি নয়, সম্মিলিতভাবেই উভয় দলই রাজনৈতিকভাবে কৌশল নিয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারও চায় বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের বিচ্ছেদ ঘটুক। দুই দলের সম্মিলিত শক্তি তাদের জন্য ভোট ও আন্দোলনের মাঠে বিপজ্জনক, আলাদা হলে ঠিক তার উল্টো। তাই অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ে জামায়াতকেই সরকার তাদের গলার কাঁটা হিসাবে দেখছে। এই মুহূর্তে বিএনপিকে সরকার যতটা চাপে রাখতে চায়, জামায়াতকে হয়ত ততটা নয়।’

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘আমাদের কে বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত আর জামায়াতকে বলা হয় যুদ্ধাপরাধীর দল, আমিও তা স্বীকার করি। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন অথচ বেআইনি ঘোষণা করলেন না। তার মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ-জামায়াত তলে তলে সম্পর্ক বজায় রাখছে। তাই এখন থেকে আওয়ামী জামায়াত হবে, বিএনপি জামায়াত হবে না।’

অবশ্য জামায়াত এক বিবৃতিতে বলেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার ইঙ্গিত লুকিয়ে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও বেআইনি ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কথা ও মর্মবেদনায় জনগণের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, কার স্বার্থে এবং কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি এ বক্তব্য প্রদান করেছেন?

এদিকে জামায়াত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, জামায়াত যদি নতুন নামে পুনর্গঠিত হওয়ার কথা ভাবে তাহলে হয়তো জামায়াতের একটি বড় অংশ বিএনপিতে বিলীন হবে। কারণ বিএনপি হলো জামায়াতের স্বাভাবিক মিত্র। তা ছাড়া জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হচ্ছে না। জামায়াত মাঠ ছাড়বে না। আর্থিকভাবে যতদিন দুর্বল না হবে ততদিন দলটি কৌশলের খেলা অব্যাহত রাখবেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ভুল বারবার করলেও জামায়াত ভুলের পুনরাবৃত্তি কম করে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি