শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ

সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রতিবেশি ভারত ও মিয়ানমার থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আধুনিক ইকুইপমেন্টের অভাবে দেশীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স কোন অনুসন্ধান চালাতে পারছে না। যার ফলে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও অনুসন্ধান সেভাবে শুরুই করেনি বাংলাদেশ।

অথচ এই সময়ের মধ্যে মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্যাসের সন্ধানও পেয়েছে। শুধু তাই নয়, মিয়ানমার ইতিমধ্যে গ্যাস উত্তোলনও শুরু করেছে।

ভারতও তাদের সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেছে। একটি ব্লকে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধানও পেয়েছে দেশটি। ভারতের আশা, ২০২৩ সালেই তারা ওই ব্লক থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করতে পারবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায়ও গ্যাসের সম্ভাবনা অতি উজ্জ্বল। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস অনুসন্ধানে তেমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে বাংলাদেশকে এখন চাহিদা পূরণে উচ্চমূল্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলছেন, পুরো আমদানি নির্ভর হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশে জ্বালানি খাত। বাংলাদেশকে অবিলম্বে গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ শুরু করতে হবে। ২০১২ সালে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। এরপর মিয়ানমার তাদের সীমায় জোরালো অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়ে বড় আকারের গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কার করেছে।

অনুসন্ধানের পূর্বাপর

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি উভয় দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। এই রায়ের আগে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ভারত স্ব স্ব সমুদ্রসীমার কাছাকাছি তেল গ্যাস অনুসন্ধান সংক্রান্ত বিরোধে লিপ্ত ছিল।

বিরোধ নিষ্পত্তির পর থেকে ভারত ও মিয়ানমার তাদের অফশোর ব্লকে দক্ষ তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারীদের সম্পৃক্ত করে সক্রিয় কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তারা সফলতাও পেয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ যেকোন অফশোর অনুসন্ধান কর্মসূচিতে উদ্যোগী হওয়ার ক্ষেত্রে ধীর এবং কম সক্রিয় ছিল। ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি এখন বিশ্বাস করা হয় যে সমুদ্রসীমায় তিন দেশের সমস্ত অফশোর ব্লকগুলো সম্ভাব্য তেল এবং গ্যাস কাঠামো ধারণ করে।

পেট্রোলিয়াম পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সীমানার উভয় পাশে একটি একক গ্যাস আবিষ্কার হলে, যে দেশ প্রথমে সেখানে খনন করবে তারা এটি থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ যদি দেরিতেও গ্যাস পায় তাহলে ভারত-মিয়ানমারের তুলনায় কম লাভবান হবে।

২০১২ সালে ঘোষিত বাংলাদেশ বিডিং রাউন্ডটি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো (আইওসি) থেকে শুধু উষ্ণ প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল। বাংলাদেশ তখন ১১টি অফশোর ব্লকের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল।

২০১৪ সালে শুধুমাত্র ৩টি অগভীর সমুদ্র ব্লক আইওসি’কে দেওয়া হয়েছিল এবং গভীর সমুদ্রের ব্লকগুলোর জন্য কোনও কোম্পানি পাওয়া যায়নি। বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত তেল জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর কোনটাই আবেদন করেনি।

আইওসি প্রতিনিধিদের মতে, অফশোরে অনুসন্ধানের জন্য আইওসিগুলোর জন্য প্রণোদনা তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। গ্যাসের দাম নিয়ে আইওসি এবং সরকারের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

মিয়ানমারের রাখাইন অববাহিকায় শ্বে, শোয়ে ফু এবং মিয়া গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে কোরিয়ান দাউই অয়েল এবং ভারতীয় ওএনজিসি’র কনসোর্টিয়াম। ভারতও দক্ষিণে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে কৃষ্ণ-গোদাবরী অববাহিকায় গ্যাস আবিষ্কার করেছে।

ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন অফশোর অববাহিকা এবং বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অফশোর ব্লকগুলি (টেকনাফ-চট্টগ্রাম উপকূল থেকে) ভূতাত্ত্বিকভাবে একই কাঠামোগত এককের অন্তর্গত যা ভাঁজ বেল্ট নামে পরিচিত। সুতরাং, রাখাইন অববাহিকায় যে ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলো বৃহৎ গ্যাস পুল তৈরি করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী অফশোর ব্লকগুলোতেও কাজ করা উচিত।

বাংলাদেশের অফশোর ব্লক এসএস-৯, এসএস-১০, এসএস-১১ এবং এসএস-১২ গ্যাসের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রাখে। এছাড়াও, অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় অফশোর ব্লকগুলিতে হাইড্রোকার্বন থাকার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের এখন ২৬টি অফশোর ব্লক রয়েছে যার মধ্যে ১১টি অগভীর সমুদ্র এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তির পর থেকে, বাংলাদেশ আইওসি’র সঙ্গে প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) এর অধীনে মাত্র ৩টি অগভীর সমুদ্র এবং ২টি গভীর সমুদ্র ব্লক সক্রিয় করেছে।

এই ৫টি ব্লক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনোকোফিলিপস, অস্ট্রেলিয়ান স্যান্টোস, সিঙ্গাপুরভিত্তিক ক্রিস এনার্জি এবং ভারতীয় ওএনজিসি’র হাতে রয়েছে। এর মধ্যে কনোকোফিলিপসের রয়েছে দুটি ব্লক। এই কোম্পানিটি গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি তোলে এবং বনিবনা না হওয়ায় ২০১৪ সালে চলে যায়।

এখন মাত্র তিনটি অফশোর ব্লক সক্রিয় রয়েছে। ২৩টি ব্লক ‍উন্মুক্ত রয়ে গেছে এখনো। এটি কোন মান দ্বারা একটি যুক্তিসঙ্গত অনুসন্ধান প্রচেষ্টা নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নোত্তরে বলেন, পেট্রোবাংলার আওতাধীন দেশীয় অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের স্থলভাগে সক্ষমতা থাকলেও সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন বিশেষভাবে প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়বহুল হওয়ায় সে সক্ষমতা নেই।

পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, বাকি ব্লকগুলো ইজারা দেওয়ার জন্য করোনার আগে দরপত্র আহ্বান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে আবার সেই প্রক্রিয়া পিছিয়েছে।

এগিয়ে ভারত-মিয়ানমার

২০১২ সালে বিরোধ নিষ্পত্তির পর মিয়ানমার দ্রুত তাদের ব্লকগুলোতে অনুসন্ধান শুরু করে। ২০১৬ সালেই থালিন-১ গ্যাস ব্লকে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা দেয় মিয়ানমার। এই গ্যাসক্ষেত্রে সাড়ে চার ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। মিয়ানমার এখান থেকে গ্যাাস উত্তোলন শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে এই গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের মুজদ বাড়তে পারে।

বঙ্গোপসাগরের ভারতীয় সীমায় কৃষ্ণা-গোদাভরি বেসিনে প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ থাকতে পারে। ভারতের সমুদ্রসীমায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি, গুজরাট এস্টেট পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কাজ করছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে পারবে বলে আশা করছে ভারত।

 

আরইউ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত