শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চৌদ্দগ্রামের জুয়েলের হাতের অস্ত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার উপর হামলার পর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে অপর এক যুবলীগ নেতার ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার নালঘর বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্র হাতে থাকা ওই ব্যক্তির নাম মনিরুজ্জামান জুয়েল। স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জুয়েল এলাকায় ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নালঘর বাজারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদারের ওপর হামলা চালায় জুয়েলসহ অন্যরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। হামলায় শাহজালাল মজুমদার ছাড়াও তার গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন আহত হয়েছেন। হামলায় শাহজালাল মজুমদারের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

এদিকে হামলার ঘটনার পর অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান জুয়েলের হাতে থাকা একটি এমপি-ফাইভ মডেলের মেশিনগানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, মনিরুজ্জামান জুয়েল একই উপজেলার মিয়াবাজারস্থ গ্রীণ ভিউ রেস্টুরেন্টের সামনে মেশিনগানটি একহাতে নিয়ে আরেকহাতে সিগারেট টানছেন। এ ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সময় তার আরেকটি ছবিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, সেনাবাহিনী বা বিশেষায়িত বাহিনীর ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র কিভাবে একজন সাধারণ মানুষের হাতে আসলো?

ইন্টারনেটের বদৌলতে এবং বিভিন্ন ভিডিও গেমের মাধ্যমে অস্ত্র সম্পর্কিত তথ্য এখন আর অজানা নয়। ভাইরাল হওয়া ছবির আগ্নেয়াস্ত্রটি দেখতে অবিকল জার্মানির হেকলার অ্যান্ড কচ কোম্পানির তৈরি এমপি-ফাইভ-এ-থ্রি মডেলের মত।

কোম্পানির ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, এমপি-ফাইভ-এ-থ্রি একটি ৯ মিলিমিটার সাবমেশিনগান (এসএমজি)। এই মডেলটির প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যপী এই অস্ত্রের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী সোয়াট।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষায়িত বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্স দেওয়া হয় কি না? এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নুরুল আনোয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'বাংলাদেশে তিন ধরণের অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়, রিভলবার বা পিস্তল; শটগান ও পয়েন্ট টুটু (.২২) বোরের রাইফেল (পাখি শিকার ও স্পোর্টস এর কাজে ব্যবহৃত রাইফেল)। এর বাহিরে যুদ্ধক্ষেত্র বা মিলিটারি ইউজের কোনো অস্ত্রের লাইসেন্স ব্যক্তি পর্যায়ে প্রদান করা হয় না।

একই প্রশ্নের উত্তরে সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে পিস্তল, শটগান ও পয়েন্ট টুটু (.২২) বোরের রাইফেল ছাড়া আর কোনো আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ নেই।'

এদিকে জুয়েলের হাতে থাকা যে অস্ত্রের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেটি লাইসেন্স করা বলে দাবি করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা। তিনি বলেন, 'অলরেডি লাইসেন্সের কাগজপত্র আমাদের হাতে চলে এসেছে, আমরা মিলিয়ে দেখেছি অস্ত্রের সাথে লাইসেন্সের কপির মিল আছে। অস্ত্রটি মেশিনগান কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এটি জার্মানিতে তৈরি একটি অত্যাধুনিক রাইফেল।' লাইসেন্স করা হলেও জনসম্মুখে কেউ এমনভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারেন কিনা- জানতে চাইলে ওসি আরও বলেন, 'বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবসরপ্রাপ্ত এক উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা জানান, ভাইরাল হওয়া অস্ত্রটি দেখতে অবিকল এমপি-ফাইভ এর মত। ছবিতে অস্ত্রের আকৃতি যা বুঝা যাচ্ছে তাতে তা পয়েন্ট টুটু বোরের রাইফেল হবার সম্ভাবনা কম। তবে আসলে অস্ত্রটি সাবমেশিনগান কী না তা জানতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে পরীক্ষা করতে হবে।

হেকলার অ্যান্ড কচ কোম্পানির ওয়েবসাইট সূত্রে আরও জানা গেছে, এমপি-ফাইভ সিরিজের একটি পয়েন্ট টুটু বোরের পিস্তল আছে যা দেখতে একই রকম। এই মডেলটিরও প্রস্তুতকারক যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এর বাজারজাত শুরু হয়। তবে অবিকল দেখতে আরও একটি অস্ত্র রয়েছে যেটি জার্মান স্পোর্টস গান এর তৈরী। সেটির মডেল জিএসজি-৫। জিএসজি কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে এই অস্ত্রটি মূলত শুটিং স্পোর্টস এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাপনগর গ্রাম থেকে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেয়ে আসার পথে মনিরুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী আমার গাড়ি গতিরোধ করে হামলা চালায়। তাদের সবার হাতেই অস্ত্র ছিলো। এসময় আমি গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে নালঘর বাজারের পার্শবর্তী সামাদ মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নেই। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা একত্রিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মনিরুজ্জামান জুয়েল একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে সবসময় এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করে। এমনকি চায়ের দোকানে চা খেতে বসলেও সে অস্ত্রটি প্রদর্শন করতে থাকে। তার কাছে নিশ্চয়ই আরো অনেক অস্ত্র রয়েছে, এগুলো উদ্ধার করা প্রয়োজন। তার ভয়ে মানুষ আতঙ্কে থাকে। এর আগেও সে কয়েকবার আমার উপর হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেও সে আমার উপর হামলা চালায়। জুয়েল আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কেউ না। কোনো কমিটিতে তার কোনো কোনো পদ-পদবী নাই। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় গ্রেফতার থেকে বাঁচতে সে যুবলীগের পরিচয় বহন করছে।

শাহজালাল মজুমদারের দাবি, মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে না।

মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে সে এলাকায় থাকে না, ঢাকায় থাকে। হঠাৎ হঠাৎ এসে আবার চলে যায়। তবে শাহজালাল মজুমদার যে অভিযোগ এনেছেন, তা সঠিক নয়। আমরা জানতে পেরেছি, জুয়েল আগে শাহজালাল মজুমদারের সাথেই চলাফেরা করতেন। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরেই আজকের এই পরিস্থিতি। এছাড়া বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এ পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তার হাতে যে অস্ত্রের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে- সেটি লাইসেন্স করা। অলরেডি লাইসেন্সের কাগজপত্র আমাদের হাতে চলে এসেছে, আমরা মিলিয়ে দেখেছি অস্ত্রের সাথে লাইসেন্সের কপির মিল আছে।

বৈধ অস্ত্র দিয়ে কারও উপর হামলার করা যায় কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমরা তদন্তে জানতে পেরেছি কালকে (বৃহস্পতিবার) তিনি কোনো অস্ত্রই বের করেননি, ভাইরাল হওয়া ছবিটি আগের। তাদের যখন সখ্য ছিলো, সে সময়ে তোলা ছবিটা কালকে হয়তো শাহজালাল মজুমদার পোস্ট করেছেন। ঘটনার পরপরই আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা ত্রি-নাথ সাহা ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন, স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কোনো অস্ত্রই জুয়েল বের করেন নাই।

মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে একটি চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেফতারী পরোনা রয়েছে উল্লেখ করে শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, আমরা তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আদালতের ওই মামলাটি ছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় আর কোনো মামলা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শাহজালাল মজুমদার। শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে শাহজালাল মজুমদার বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মনিরুজ্জামান জুয়েল সবসময় অস্ত্র হাতে এলাকায় ঘুরাঘুরি করেন। তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে; তারপরও রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। তাই থানা-পুলিশের উপর আমার আস্থা নেই। রবিবার (১৭ জুলাই) আমি কুমিল্লার আদালতে মামলা করব।

অস্ত্রের ছবি ও হামলার সম্পর্কে বক্তব্য জানতে মনিরুজ্জামান জুয়েলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইফোনও বন্ধ রয়েছে।

এএস/এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত