বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের

‘মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি’

ঢাকাপ্রকাশের এডিটর’স টক অনুষ্ঠানে প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামালের মুখোমুখি হন জিএম কাদের, এমপি

গোলাম মোহম্মদ কাদের জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। পিতা মকবুল হোসেন এবং মা মজিদা খাতুন। পড়াশুনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করলেও পরবর্তীতে রাজনীতিতে চলে আসেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং চার চারবারের এমপি। বর্তমানে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আজ আমরা তাঁর কাছে থেকেই শুনব তাঁর জীবনের গল্প, রাজনীতির গল্প এবং আরও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। তার সঙ্গে কথোপকথনের প্রথম পর্ব তুলে ধরা হলো।

মোস্তফা কামাল: জিএম. কাদের, আমরা আপনার শৈশব এবং কৈশোরের সময়কালটা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই।

জিএম কাদের: শৈশব বা শিশুকাল থেকে আমি রংপুর শহরে মানুষ হয়েছি। আমার জন্মটা লালমনিরহাটে না, দিনহাটা, পশিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায়। তবে একেবারে জ্ঞান হওয়া থেকেই আমার বাবা রংপুর শহরে বাড়ি করায় আমরা সেখানেই কাটিয়েছি। তখন শহরটা অনেক ছোট ছিল, গাড়ি ছিল না বললেই চলে। যানবাহনের ব্যবস্থা ছিল শুধু রিকশা। মহিলারা রিকশা ভ্রমণ করার সময় চারপাশে পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। অর্থাৎ পর্দার বিষয়টি খুব খেয়াল করা হতো তখন। ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গেই পড়াশুনা করতো, তবে খুবই শালীনতার সঙ্গে। সেই সময় জিনিসপাতির দাম খুবই কম ছিল। আমার মনে আছে, মা একবার বাবাকে বলছেন যে, চালের দাম দশ টাকা হয়ে গেছে। মানুষ কিভাবে বাঁচবে! দশ টাকা মণ চাল মানে অনেক বিশাল কিছু।

মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে বেশ আনন্দমুখর পরিবেশে আমরা বড় হয়েছি। আমার বড় ভাই, তিনি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় থাকায় আমাদের আবদার সবকিছুই ছিল তার কাছে। সেই সময় বিনোদন বলতে ছিল সিনেমা, এটি ছিল এক আনন্দের বিষয়। ভাইয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতাম।

আমার স্কুলজীবন শুরু হয়েছিল একটি গার্লস স্কুল থেকে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমরা গার্লস স্কুলেই পড়েছি। তারপর জেলা স্কুলে ভর্তি হলাম এবং ১৯৬৩ সালে এসএসসিতে আমি ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছিলাম। তখন আমার পাড়ার লোকেরা আমাকে দেখতে এসেছিল এবং একটি বিশাল আনন্দ হয়েছিল। এরপর আমি কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হই এবং ১৯৬৫ সালে কলেজ জীবন শেষ করি। তারপর ১৯৬৫ সালে ভর্তি হলাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। এই ছিল আমার শৈশব এবং কৈশোরের ঘটনা। শৈশব কৈশোরের স্মৃতি বিশেষ করে গ্রামের সবুজ পরিবেশ, পাখির বাসা–তারপর দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সুর এক স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি করত। এখনও মনে আছে।

মোস্তফা কামাল: বুয়েটের স্মৃতি নিয়ে কিছু বলেন আমাদের।

জিএম কাদের: বুয়েট থেকে আমি ১৯৬৯ সালে বের হয়েছি। খুবই ডিসিপ্লিন ছিল তখন বুয়েটে। পড়াশুনার পাশাপাশি আনন্দ-উৎসব সবই ছিল। তবে পড়াশুনার বিকল্প কিছুই ভাবতে পারতাম না। পাস করার সঙ্গে সঙ্গেই চাকরি হয়ে যেত এবং চাকরির জন্য আগে থেকেই অফার চলে আসত। তারা উৎসাহিত করত যে, তোমরা আমাদের এখানে জয়েন করো। এজন্য সবাই খুব ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করত। তবে এখনকার সময় আর তখনকার সময়ে ব্যাপক পার্থক্য দেখছি। শিক্ষার সেই গুণগত পরিবেশ নেই।

মোস্তফা কামাল: আপনার কথা থেকেই জানতে চাচ্ছি–আপনি তো বললেন যে, পাস করে বেরুলেই আপনারা চাকরি পেতেন আর এখনকার ছাত্রদের মধ্যে শুধুই হতাশা। দেশে বেকার সমস্যা প্রকট–এ বিষয়ে কিছু বলেন।

জিএম কাদের: এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ তরুণরা জাতির ভবিষ্যৎ। তা ছাড়া আমাদের মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই তরুণ। তারাই দেশের ভবিষ্যৎ, মূল চালিকাশক্তি। তারা পড়াশুনা করে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে না জীবন-যাপনের মান উন্নয়ন করতে পারবে না–এগুলো খুবই দুঃখজনক। তাদের নিয়ে আমাদের সুগভীরভাবে ভাবতে হবে। তরুণদের জন্য সঠিক পথ তৈরি করে দিতে না পারলে দেশ ও জাতির মঙ্গল সাধিত হবে না।

মোস্তফা কামাল: আপনি তো দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন, তাহলে রাজনীতিতে কেন এলেন?

জিএম কাদের: আমি যে রাজনীতি করব বা রাজনীতিতে আসব–এটা কোনো সময়ই স্বপ্ন বা কল্পনাতেও ছিল না। আমার ভাই রাজনীতিতে ছিলেন। হঠাৎ করে ১৯৯০ সালে যখন তাকে সরিয়ে দেওয়া হলো, তখন আমি আর থাকতে পারিনি। একরকম বাধ্য হয়েই রাজনীতিতে আসা। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমি কিন্তু কোনো রাজনৈতির সুবিধা নেইনি। আমি প্রফেশনাল লোক এবং আমি প্রফেশনাল হিসেবেই কাজ করেছি; কিন্তু ওই সময়ে আমাকে ওএসডি করে দিয়েছিল এবং আমার গাড়ি এবং অন্যান্য সুবিধাগুলো আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। আমি একটা দু্রূহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটিয়েছি।

যা-ই হোক, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে আমি লালমনিরহাট থেকে জয়লাভ করলাম। সাধারণ জনগণ হয়তো আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সমর্থক; কিন্তু তারা বলেছে, আমরা আপনাকেই ভোট দেব, এটা অবশ্য আমার ভাইয়ের জন্য। আবার অনেকেই বলেছে যে, উনাকে আমাদের ভালো লেগেছে তাই। ভালো লেগেছে শুনে আমার মন একেবারে ভরে গিয়েছে।
নির্বাচনের আগে আমাকে বড় ধরনের সহযোগিতা করেছে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভাই। তিনি বলেছেন যে, জিএম কাদেরকে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ দিলে দলের জন্য খুবই উপকার হবে। ইলেকশনের পর আমাকে প্রেসিডিয়াম পদ দেওয়া হয়। আমার পক্ষে আরও কাজ করেছে মিডিয়া, বিশেষ করে টেলিভিশন। আমি একটা টক শো করতাম। সংসদ থেকে আমাদের একটা ট্রেনিং দিয়েছিল, এটা আমার জন্য খুবই কাজ করেছে। টকশোতে গিয়ে আমি আল্লাহর রহমতে জনগণের কাছে খুবই পরিচিত হয়ে গেলাম। এটা হলো প্রথমত, আমার ভাইয়ের কারণে আর দুই নম্বর হলো–টক শোর কারণে দেশের লোক আমার কথা শুনেছে, আমার চেহারা দেখেছে, এতেই আমার লাভ হয়েছে এবং আমি সত্যিই সাধারণ মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি–মানুষ আমার হাত ধরে আমার সান্নিধ্যে এসে নির্ভরতা পেয়েছে। এই যে ‘ভালো মানুষ’ একটা খেতাব–আমি মানুষের কাছে পেয়েছি–সেজন্য আমি তাদের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞতা জানাই।

মোস্তফা কামাল: দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতি জীবনে, প্রায় ২৫ বছর, এর মধ্যে আপনার নিজের সম্পর্কে মূল্যায়ন কী একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে?

জিএম কাদের: দেশের ভালো করার জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করা দরকার, তা আমি করেছি এবং করে যাচ্ছি। আমার ধারণা–রাজনীতিতে পাওয়ার কিছুই নেই। দেশের সম্পদ পাওয়ার দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত নয়। আমার পাওয়ার জিনিস হলো জনগণের ভালোবাসা এবং সেটা পাওয়ার জন্য আমি সবসময়ই চেষ্টা করছি।

মোস্তফা কামাল: খুবই চমৎকার। আরও একটি প্রশ্ন, সেটা হলো–আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, মন্ত্রী-মিনিস্টার হলেই তারা রাতারাতি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। গাড়ি, বাড়ি এমনকি কোনো কিছুরই অভাব থাকে না। আপনার কী মনে হয়–মনে হয় না যে, রাজনীতি কুলষিত হয়ে গেছে বা এই রাজনীতির পরিবর্তন হওয়া দরকার?

জিএম কাদের: হ্যাঁ, এটা আমি সবসময়ই বলি। রাজনীতি অবশ্যই কুলষিত হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছে। যার জন্য অনেকেই বলে যে, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে; কিন্তু রাজনীতির অর্থই হলো–ক্ষমতার জন্য রাজনীতি। ক্ষমতা ছাড়া রাজনীতি করে কোনো ফয়দা লাভ করা যায় না। ক্ষমতা কেন চাই, কারণ ক্ষমতায় গেলে আমি দেশ এবং জনগণের জন্য ভালো কাজ করতে পারব। মানে, ক্ষমতাকে ব্যবহার করে আমি দেশ ও জনগণের জন্য ভালো কাজ করতে পারব। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কাজ করলে সেটাকে বলা হয় ক্ষমতার অপব্যবহার। এবং এই ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্যই জনগণ বলে দেশের রাজনীতি কুলষিত হচ্ছে। এই অপব্যবহারের জন্যই রাজনীতিবিদদের উপর মানুষের আস্থা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার জন্য রাজনীতিবিদদের বলা হয় ক্ষমতালোভী।

মোস্তফা কামাল: আপনি যখন মন্ত্রী ছিলেন, আপনার দ্বারা কি কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো কাজ হয়েছে বা আপনি করেছেন?

জিএম কাদের: আমার উপর একটি এলিগেশন এটাই ছিল যে, আমি এটা করিনি। আপনি তো রাজনীতিবিদ, কাজেই আপনি তো আপনার ভবিষ্যতের পজিশন ভালো করার জন্য জনগণকে বা আপনার দলের লোকদের সুযোগ-সুবিধা দেবেন। তা হলেই তো জনগণ বা দলের লোকজন ভবিষ্যতে আপনাকে বারবার এমপি পদে রায় দেবেন। যারা সমাজকর্মী বা সমাজের জন্য কাজ করতে চায়,তাদের জন্য একটি গণ্ডির ভেতর কাজ করতে হবে এবং ক্ষমতাকে ব্যবহার করে দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে হবে। ক্ষমতালোভী হলে চলবে না এবং অপব্যবহার করা যাবে না। আমি রাজনীতির ক্ষমতাটুকু যতটুকু সম্ভব কাজে লাগাতে চেয়েছি; কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার কখনও করিনি। আমার শত্রু বা যারা আমাকে অপছন্দ করে, তারাও কিন্তু এ কথাটি স্বীকার করে।

মোস্তফা কামাল: আচ্ছা, আপনি এরশাদ সাহেবের ভাই। সেই পরিচয় বাদ দিয়ে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে, এরশাদ সাহেবের ৯ বছর শাসন আমলের কথা কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

জিএম কাদের: এরশাদ সাহেব আমার ভাই সেদিক বিবেচনা করে বলছি না। নিরপেক্ষভাবে যদি বলি, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে যা করে গেছেন তার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো শাসন। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কাঠামোগত উন্নয়নও তিনি করে দিয়ে গেছেন। উনি সংস্কারমূলক অনেক কাজ করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার খুবই বড় একটা উন্নতি করেছেন। ঔষধ শিল্প, চামড়া শিল্প এবং গার্মেন্টস শিল্পসহ অনেক জনসেবামূলক কার্যক্রম চালু করেছিলেন। যার জন্য জনগণ এখন অনেক সুফল অর্জন করছেন। তার চেষ্টাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি