শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবছে জাতীয় পার্টি

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকতে চায় না। দলটির শীর্ষ নেতারা বিকল্প ভাবার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে চাপ দিচ্ছেন।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় পার্টির নেতারা যতই হুঙ্কার দিন না কেন, শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। কারণ তারা মূলত ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়। তাছাড়া গত ৩২ বছরে জাতীয় পার্টি মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে পারেনি। তার উপর নেতৃত্ব নিয়ে আবার দলে অভ্যন্তরে রয়েছে বহুমুখী সংকট। সব কিছু মিলিয়ে দলটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতার অবসান ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর। এরপর আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসতে পারেননি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বা তার হাতে গড়া দল জাতীয় পার্টি। তবে সরাসরি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলেও ক্ষমতার ছায়ায় থেকেছে কয়েক দফা।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী জোট করে ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতার সাধ নিচ্ছে দলটি। সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।

গত প্রায় ১৩ বছর ধরে সরকারে এবং সংসদের বিরোধী দলে থেকেও মাঠপর্যায়ে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারেনি বা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারেনি জাতীয় পার্টি। এমনকি পর পর দুই বার সুযোগ পেয়েও সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পারেনি দলটি।

২০০৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে নবম সংসদে জাতীয় পার্টি আসন পেয়েছিল ২৪টি। ওই সংসদে বিএনপির আসন ছিল ২২টি।

নবম সংসদে জাতীয় পার্টি ছিল প্রধান বিরোধী দল। একই সঙ্গে মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায়ও প্রতিনিধিত্ব ছিল দলটির।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দরকষাকষি করেও জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১টি। অর্থাৎ নবম সংসদের তুলনায় আসন বেড়েছিল মাত্র পাঁচটি। কিন্তু একাদশ সংসদে গিয়ে ১১টি আসন কমে জাতীয় পার্টির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২০টিতে। এ নিয়েই দলটি সংসদের প্রধান বিরোধী দল।

আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো বিএনপির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে মাত্র ৬টি।

সংসদ নির্বাচনের এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মাঠের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কতটা শক্তিশালী। অথচ সর্বশেষ তিনটি সংসদেই জাতীয় পার্টি ছিল সংসদে প্রধান বিরোধী দল এবং প্রথম দুই বার সরকারের অংশীদার। তারপরও মাঠপর্যায়ে যেমন দলকে শক্তিশালী করতে পারেনি, তেমনি সংসদে দলের প্রতিনিধিত্বও বাড়াতে পারেনি স্বৈরশাসক এরশাদের হাতে গড়া দলটি।

বর্তমানে নানাভাগে বিভক্ত জাতীয় পার্টি। এত বিভক্তির মধ্যেও এখনও পার্টিতে ঐক্য নেই, নানামুখী সংকট চলছে। এরশাদের ছোট ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের বর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হচ্ছেন রওশন এরশাদ। অর্থাৎ পার্টির নেতৃত্বে জি এম কাদের থাকলেও পার্টিতে যে অনৈক্য বিরাজ করছে সেটা স্পষ্ট।

অপরদিকে, জি এম কাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি মামলা করেছেন মূল জাতীয় পার্টির দাবিদার এরশাদ পত্নী বিদিশা এরশাদ।

নানা সংকটে জাতীয় পার্টির যখন ত্রাহি অবস্থা তখন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে হুংকার দিচ্ছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তারা বিভিন্ন সময় বলে আসছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর নির্বাচনী জোট করবেন না। এমনও বলেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যারাই জোট করেছে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিকল্প ভাবার কথা বলছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে এত খাতির করলাম, তিন বার চারবার জোট করলাম। নির্বাচন করলাম ক্ষমতায় আনলাম, আসলাম। আর সেই আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা যদি জিয়াউর রহমানকে গালি দিতে গিয়ে এরশাদকে গালি দেন তাহলে আর যাই কোথায়? তাহলে তো নতুন করে ভাবতে হবে। কি করব, কোথায় যাব? সম্প্রতি আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ভালো লাগে না, লাগবে। সময় আসতাছে চিন্তা কইরেন না’।

জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের নতুন করে ভাবনার বিষয়টিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এবার হয়ত জাতীয় পার্টি অন্য হিসাবে কষছে। তবে সেই হিসাবের চূড়ান্ত ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। কারণ জাতীয় পার্টির অতীত ইতিহাস বলে তাদের শেষ সিদ্ধান্ত বলে কিছু নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় পার্টির একটা অংশ চায় আওয়ামী লীগ ছাড়তে। আরেকটা অংশ আছে যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকেই দর কষাকষি করে আসন বৃদ্ধি করে নেওয়ার পক্ষে।

তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতীয় পার্টি নিয়ে যেভাবে বিষোদগার করছে তাতে তাদের মন গলানো বেশ কঠিন।

তারা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে বড় কোনো জোট বা শক্তি এখন পর্যন্ত দেশে গড়ে উঠেনি। তাই আওয়ামী লীগকে ছেড়ে বিএনপির সঙ্গে জোট করতে গেলে জাতীয় পার্টির অনেক বেশি চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। কারণ জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এরশাদকে জেল খাটিয়েছে বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো এখন যেসব কথা বলছে শেষ অব্দি এই অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে। নিজেদের মূল্য বাড়ানোর জন্য অনেক সময় ছোট দলগুলো বড় হুংকার দিয়ে থাকে। গত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ বলা যায়। তাই তারা আসলে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়। যে কারণে শেষ পর্যন্ত যে জোট বা দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি থাকবে সেদিকেই ঝুঁকতে পারে দলটি।'

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত