শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্সে বানানো হচ্ছে প্যারাসিটামল

ফাইল নম্বর ১০৯। এটি ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধ বানানোর ফাইল। আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতের লাইসেন্স রয়েছে এই প্রাতিষ্ঠানটির।

পুরান ঢাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে আট ধরনের ওষুধ তৈরির ছাঁচ বানিয়ে নিয়েছে ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’। এর মধ্যে এমনকি জনপ্রিয় প্যারাসিটামল ব্র্যান্ড ‘নাপা’ তৈরির ছাঁচও রয়েছে।

জানা গেছে, কেবল এই প্রতিষ্ঠানটি নয়, এমন অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান আয়ুর্বেদিক ও হার্বালের লাইসেন্স নিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নকল ওষুধ তৈরির জন্য প্রথমে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হয়। এরপর সংগ্রহ করতে হয় কিছু যন্ত্রাংশ। সবশেষে প্রয়োজন হয় ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও মোড়কজাতের লেবেল। এসব পণ্য সরবরাহের আগে ক্রেতার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে কি-না সে বিষয়টি যাচাই করে নেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত নকল ওষুধ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিটি ধাপে ওষুধ উৎপাদনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয়তা মেটাতেই নকল ওষুধ কারবারীরা সংগ্রহ করেন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের লাইসেন্স।

ওষুধের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য দেশের একমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং। এই প্রতিষ্ঠানটি এরমধ্যে ওষুধ তৈরির বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে। যার মধ্যে বেশিরভাগ নিয়েছে আয়ুবের্দিক ও ইউনানি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার আগে তাদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে যে ‘এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কোনো প্রকার নকল বা অবৈধ ওষুধ তৈরি করলে ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং দায়বদ্ধ থাকবে না।’

ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সত্ত্বাধিকারীদের একজন আব্দুর রহমান। তার দাবি, দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই একমাত্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত। এ জন্য তারা এ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরির আগে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে কি-না তা যাচাই করে নেন। পাশাপাশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি লিখিতও রাখেন ।

দেশের কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে তারা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে থাকেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে দেশীয় ইউনানি ও আয়ুবের্দিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে থাকেন।

এদিকে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবনের পরামর্শ (প্রেসক্রিপশন) দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, আগে অধিকাংশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তরল ধরনের হলেও এখন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল ধরনের হচ্ছে। এর ফলে সহজেই ইউনানি ও আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যালোপেথিক ওষুধ তৈরি করছে কিছু অসাধু কারবারী। পরে এসব নকল ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা থেকে উপজেলা, এমনকি গ্রামেও।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ.কে.এম হাফিজ আক্তার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ওষুধ আসল হোক বা নকল হোক এটি তৈরি করতে নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়। এসব যন্ত্রাংশ পুরান ঢাকার কয়েকটি ওয়ার্কশপে তৈরি হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব যন্ত্রাংশ ঢাকার বাইরে স্থাপন করে নকল ওষুধ উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ওষুধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, একজন খুনি হাতে গোনা কয়েকজনকে হত্যা করে। অন্যদিকে, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারিরা নীরবে অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তাদের রুখতে হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাকে নিয়মিত বাজার তদারকি করতে হবে। ওষুধের পাইকারি বাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে হবে।’

নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার মালিকদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার জন্ জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ব্যাপারে জনসাধারণকেও ওষুধ কেনার সময় সচেতনতার পরিচয় দিতে বলছেন। ওষুধ প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানির কি-না এবং তার মেয়াদ রয়েছে কি-না, তা দেখে কিনতে হবে বলে তারা মনে করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ডা. মো শাহ এমরান বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নকল ওষুধ উৎপাদনকারীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যান। সাধারণত যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন, তারা নকল ওষুধ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু এদের ধরলেই হবে না, এই চক্রের মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন, নকল ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও একটি ল্যাবরেটরি, অনেক ধরনের যন্ত্রাংশ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। এ জন্য মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িতসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর নজরদারী রাখা প্রয়োজন।

এদিকে ওষুধ প্রশাসনের তথ্য বলছে, মানহীন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের জন্য চলতি বছরে ৮৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে চারটি অ্যালোপেথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক।

আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের বিধান রেখে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষা আইন অনুমোদন

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে আর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা অনুমোদন নিয়ে রেখেছিলেন, তাদের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ত্রুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুমোদন স্থগিত এমনকি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হচ্ছে।’

এনএইচ/এএন

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের