বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্সে বানানো হচ্ছে প্যারাসিটামল

ফাইল নম্বর ১০৯। এটি ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর ওষুধ বানানোর ফাইল। আয়ুর্বেদিক ওষুধ প্রস্তুতের লাইসেন্স রয়েছে এই প্রাতিষ্ঠানটির।

পুরান ঢাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে আট ধরনের ওষুধ তৈরির ছাঁচ বানিয়ে নিয়েছে ’হেলমো ফার্মাসিউটিক্যালস’। এর মধ্যে এমনকি জনপ্রিয় প্যারাসিটামল ব্র্যান্ড ‘নাপা’ তৈরির ছাঁচও রয়েছে।

জানা গেছে, কেবল এই প্রতিষ্ঠানটি নয়, এমন অন্তত দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান আয়ুর্বেদিক ও হার্বালের লাইসেন্স নিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নকল ওষুধ তৈরির জন্য প্রথমে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হয়। এরপর সংগ্রহ করতে হয় কিছু যন্ত্রাংশ। সবশেষে প্রয়োজন হয় ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও মোড়কজাতের লেবেল। এসব পণ্য সরবরাহের আগে ক্রেতার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছে কি-না সে বিষয়টি যাচাই করে নেয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। মূলত নকল ওষুধ তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রতিটি ধাপে ওষুধ উৎপাদনের লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয়তা মেটাতেই নকল ওষুধ কারবারীরা সংগ্রহ করেন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের লাইসেন্স।

ওষুধের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য দেশের একমাত্র অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং। এই প্রতিষ্ঠানটি এরমধ্যে ওষুধ তৈরির বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে। যার মধ্যে বেশিরভাগ নিয়েছে আয়ুবের্দিক ও ইউনানি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার আগে তাদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে যে ‘এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে কোনো প্রকার নকল বা অবৈধ ওষুধ তৈরি করলে ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং দায়বদ্ধ থাকবে না।’

ফাতেমা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সত্ত্বাধিকারীদের একজন আব্দুর রহমান। তার দাবি, দেশি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারাই একমাত্র ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত। এ জন্য তারা এ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরির আগে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে কি-না তা যাচাই করে নেন। পাশাপাশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি লিখিতও রাখেন ।

দেশের কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে তারা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে থাকেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশ থেকে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে দেশীয় ইউনানি ও আয়ুবের্দিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে থাকেন।

এদিকে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সেবনের পরামর্শ (প্রেসক্রিপশন) দিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য বলছে, আগে অধিকাংশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তরল ধরনের হলেও এখন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল ধরনের হচ্ছে। এর ফলে সহজেই ইউনানি ও আয়ুর্বেদিকের লাইসেন্স ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে জনপ্রিয় বিভিন্ন অ্যালোপেথিক ওষুধ তৈরি করছে কিছু অসাধু কারবারী। পরে এসব নকল ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জেলা থেকে উপজেলা, এমনকি গ্রামেও।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ.কে.এম হাফিজ আক্তার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ওষুধ আসল হোক বা নকল হোক এটি তৈরি করতে নির্দিষ্ট কিছু যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়। এসব যন্ত্রাংশ পুরান ঢাকার কয়েকটি ওয়ার্কশপে তৈরি হয়ে থাকে। পরবর্তীতে এসব যন্ত্রাংশ ঢাকার বাইরে স্থাপন করে নকল ওষুধ উৎপাদন করে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ওষুধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, একজন খুনি হাতে গোনা কয়েকজনকে হত্যা করে। অন্যদিকে, নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারিরা নীরবে অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। তাদের রুখতে হবে। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাকে নিয়মিত বাজার তদারকি করতে হবে। ওষুধের পাইকারি বাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে হবে।’

নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানার মালিকদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার জন্ জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ব্যাপারে জনসাধারণকেও ওষুধ কেনার সময় সচেতনতার পরিচয় দিতে বলছেন। ওষুধ প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানির কি-না এবং তার মেয়াদ রয়েছে কি-না, তা দেখে কিনতে হবে বলে তারা মনে করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ডা. মো শাহ এমরান বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নকল ওষুধ উৎপাদনকারীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যান। সাধারণত যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন, তারা নকল ওষুধ বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু এদের ধরলেই হবে না, এই চক্রের মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি আমাদের কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন, নকল ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও একটি ল্যাবরেটরি, অনেক ধরনের যন্ত্রাংশ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল প্রয়োজন হয়। এ জন্য মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িতসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ওপর নজরদারী রাখা প্রয়োজন।

এদিকে ওষুধ প্রশাসনের তথ্য বলছে, মানহীন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতের জন্য চলতি বছরে ৮৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে চারটি অ্যালোপেথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাকিগুলো ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক।

আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের বিধান রেখে ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক শিক্ষা আইন অনুমোদন

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে আর অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা অনুমোদন নিয়ে রেখেছিলেন, তাদের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ত্রুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুমোদন স্থগিত এমনকি স্থায়ীভাবে বাতিল করা হচ্ছে।’

এনএইচ/এএন

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া