সাক্ষাৎকার: পর্ব-২
ঈদুল ফিতরের পর ঝাঁপায়া পড়ব: নানক
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আওয়ামী লীগের ২২তম দশম জাতীয় কাউন্সিল। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করবেন। এরই মধ্যে ডিসেম্বরের কাউন্সিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এবারের কাউন্সিলের পর পরই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। তাই নির্বাচনে মাঠে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে দলকে শক্তিশালী করা আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। এবারের কাউন্সিলে বিভিন্ন পদে নতুন মুখ আসতে পারে বলে জানা গেছে দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে। কাউন্সিল উপলক্ষে কেমন প্রস্তুতি সেসব বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এবারের কাউন্সিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল যথা সময়ে হবে কি না?
জাহাঙ্গীর কবির নানক: নেত্রী কাউন্সিলের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ। যথা সময়েই কাউন্সিল হয়, এবারও তাই হবে। কাউন্সিলের ব্যাপারের আমরা ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করেছি। রমজানের কারণে একটু ধীর গতিতে যাচ্ছি। ঈদের পর সারা দেশে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিচ্ছি। নেত্রীর সে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। সমস্ত উপজেলা, জেলায় সম্মেলন করার জন্য ঝাঁপায়া পড়ব। কাউন্সিলের আগেই উপজেলা, জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করতে পারব।
ঢাকাপ্রকাশ: আওয়ামী লীগের যেসব সহযোগী সংগঠনের মেয়াদপূর্ণ হয়েছে সেগুলোর কী অবস্থা?
নানক: আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই সহযোগী সংগঠনগুলোর কাউন্সিল হয়। সহযোগী সংগঠনগুলো চায় নেত্রীর উপস্থিতিতে কাউন্সিল হোক। তাই নেত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পেলেই সব সংগঠনের কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ হবে। সহযোগী সংগঠনগুলোতে প্রধান অতিথি থাকেন নেত্রী শেখ হাসিনা। গেল দুই বছর করোনাকালীন কেউ সাংগঠনিক কাজ করতে পারেনি। কাজেই সেক্ষেত্রে নেত্রী কী বিবেচনা করবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি আগামীতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বুঝতে পারব।
ঢাকাপ্রকাশ: এখন সবাই আওয়ামী লীগ। আগামীতে কি হাইব্রিড মুক্ত আওয়ামী লীগ হবে?
নানক: এটি যে শুধু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে তা তো না। প্রশাসনেও একই অবস্থা, রাজনৈতিক অঙ্গনেও। সব জায়গায় সবাই এখন আওয়ামী লীগ, কেউ আওয়ামী লীগ ছাড়া নেই। এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক। বার বার নেত্রী সতর্ক সংকেত দিচ্ছেন, সতর্ক হওয়ার জন্য কঠিন নির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্দেশনা অনুসরণ করা মাঠের নেতাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ঢাকাপ্রকাশ: আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতি কী?
নানক: আগামী নির্বাচন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। নির্বাচনে ভোট যুদ্ধ মোকাবিলা করার জন্য দলকেও সেভাবেই সাজাবেন নেত্রী।
ঢাকাপ্রকাশ: আপনি বললেন আগামী নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে, সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জিংটা কাদের জন্য হবে? জোট মহাজোট বাড়বে কি না?
নানক: মাহজোট তো আমাদের রয়েছেই। এটি আদর্শিক জোট। জোটের কোনো বিকল্প নেই। এ জোটটি কোনো ক্ষমতা কেন্দ্রিক জোট নয়, এটি হলো আদর্শিক জোট। কাজেই এ জোট থাকছে, থাকবে। আর একটি হলো মহাজোট হবে কি না, সেটি নির্বাচন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। মহাজোট হয়ে কোনো মহাশক্তিকে মোকাবেলা করব, না যার যার নির্বাচন করব সেটা তখনই বলা যাবে।
ঢাকাপ্রকাশ: জাতীয় পার্টি তো বলছে এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে না। তাতে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে কি না?
নানক: তারা অবশ্যই বলতে পারেন। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে শক্তিশালী দল জাতীয় পার্টি, তারা তো বলতেই পারে, আমরা নিজেরাই ৩০০ আসনে নির্বাচন করব। আমরা স্বাগত জানাব। আওয়ামী লীগ এটিকে কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করে না। বরং মনে করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর বিকাশের একটি সুবর্ণ সুযোগ।
এসএম/এসএন