শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মর্গ ব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা, পিবিআই'র ১১ সুপারিশ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বলছে, বিভিন্ন মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অধিকাংশ মামলার ক্ষেত্রে দেশের মর্গ ব্যবস্থাপনায় বেহাল অবস্থা দেখা গেছে। সম্প্রতি মর্গের এমন দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে নির্ভুল ময়নাতদন্তের স্বার্থে পিবিআই কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ১১টি সুপারিশ করেছে।

অধিকাংশ হত্যা বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় থানা পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও আদালতে ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআইয়ের গত দেড় বছরের তদন্তে অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে এসেছে। বিভিন্ন আত্মহত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই বলছে, অধিকাংশ সময় আত্মহত্যা বলা হলেও ওই সব মামলা তদন্তের পর জানা গেছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পিবিআই জানায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ কারণে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার আগে ভিকটিমকে বিভিন্ন ভাবে হতাশার মধ্যে রাখা হয়। পরে ভিকটিম বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটায়।

পিবিআই জানায়, গত দেড় বছরে বিভিন্ন ঘটনার মামলার মধ্যে অন্তত ২৪টি আত্মহত্যার মামলা পেয়েছে তারা, যেগুলোর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিন্নতাও পাওয়া গেছে।

পিবিআইয়ের সদরদপ্তর ও পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পিবিআইয়ের একটি তথ্য বলছে, পিবিআই পুলিশ সদরদপ্তরে যে সুপারিশ দিয়েছে সেগুলো ৭২ পৃষ্ঠার। এ প্রতিবেদনে পিবিআই’র পক্ষ থেকে ১২টির ও বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করেছে পিবিআই

সুপারিশ এর বরাত দিয়ে পিবিআই বলছে, কিছু মামলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ বলে মতামত দিয়েছিলেন। যার ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই প্রমাণ পেয়েছে সেগুলো ছিল হত্যাকাণ্ড। তবে, সামান্য কয়েকটি ঘটনা হচ্ছে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার প্ররোচনা। দেশের বর্তমান ময়নাতদন্ত কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে।

ওই প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, মর্গগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, আলোর ব্যবস্থা, আধুনিক অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির অভাব আছে। বর্তমানে অনেক জেলায় দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে ময়নাতদন্ত করতে হয়। মর্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলের অভাব ও ময়নাতদন্ত বিষয়ে মর্গ সহকারী বা ডোমদের কোনো মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। এছাড়াও ঢাকাসহ ব্যস্ত মর্গগুলোতে ডোম স্বল্পতাও অত্যন্ত প্রকট। লাশ সংরক্ষণের পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব আছে।

মৃতদেহের বিভিন্ন নমুনা বা ভিসেরা সংরক্ষণে মর্গগুলোতে আলাদা কোনো জায়গা নেই। এগুলো সংরক্ষণের জন্য কন্টেইনার বা প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক সরবরাহ অপ্রতুল, ফলে আলামত নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেশি। সংগৃহীত নমুনা বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। এসব ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট আসতেও বিলম্ব হয়। সেখানে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার অভাবের কথাও বলছে পিবিআই।

সুপারিশে আরও বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ প্রচলিত নিয়মে হিমঘরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। অল্প সংখ্যক মর্গে ফ্রিজিং বা মর্চুয়ারি কুলার সিস্টেম থাকলেও সেগুলো প্রায়ই নষ্ট থাকে, যার কারণে গরমে লাশ দ্রুত পচন ধরে। এ প্রক্রিয়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বা তাগাদা নেই।

মেডিকেল কলেজগুলোতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকদের কাজ করার আগ্রহ কম এবং অধিকাংশ স্থানে ‘জোড়াতালি’ দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়; যে কারণে চিকিৎসা শিক্ষায় এ শাখাটি অত্যন্ত অবহেলিত বলেও পিবিআই তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

পিবিআই তাদের এ সুপারিশমালায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হওয়ার নয়টি সম্ভাব্য কারণও উল্লেখ করেছে। এগুলোর মধ্যে আছে- ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের একটি বৃহৎ অংশের ফরেনসিক বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা। ব্যস্ত মর্গগুলোতে লাশের সংখ্যার আধিক্যের কারণে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত কাজ সম্পাদন করা।

ময়নাতদন্ত সম্পাদনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ স্থাপনা-অবকাঠামো না থাকা, ময়নাতদন্ত কাজে সহায়তাকারী ডোম স্বল্পতা ও তাদের সুনির্দিষ্ট নিয়োগবিধি না থাকা। ডোমদের মৌলিক প্রশিক্ষণের অভাব ও তাদের ওপর ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তাদের অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা। চাঞ্চল্যকর ও জটিল মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত না করা, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত আলামত যথাযথ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকাকেও দুর্বল ময়নাতদন্তের কারণ হিসেবে দেখছে পিবিআই।

পিবিআই বলছে, একটি হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত থেকে শুরু করে বিচারকাজ চলা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একসময় লাশের ময়নাতদন্ত দিনের আলোয় করার বাধ্যবাধকতা ছিল, এখন বৈদ্যুতিক আলোতে তা করা হয়। কিন্তু কার্যক্রমের দিক থেকে বছরের পর বছর লাশকাটা ঘর অন্ধকারে রয়ে গেছে।

পিবিআই বলছে, ময়নাতদন্তের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসকদের কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। যেসব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ নেই, সেসব শহরে আরএমও বা মেডিকেল অফিসাররা ময়নাতদন্ত করে থাকেন। যাদের প্রায় সবার এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না।

পিবিআই’র সুপারিশ- জেলা হাসপাতালগুলোতে ময়নাতদন্তের কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় আলাদা পদ তৈরি বা সমন্বয় করে আগ্রহী চিকিৎসকদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দিয়ে ওই পদের বিপরীতে পদায়ন করা যেতে পারে; যারা ময়নাতদন্তের বাইরে হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবায় নিয়োজিত থাকবেন এবং সাধারণ নিয়মে পদোন্নতি পাবেন।

ময়নাদন্তের চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময়ে ডোমদের সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ ডোমদের দায়িত্ব মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুত করে ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করা এবং পুনরায় নির্ধারিত স্থানে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা। কিন্তু এ ডোমদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। অভিজ্ঞতা দিয়ে তারা কাজ করেন।

সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে চিকিৎসকদের সহায়তা করার জন্য দুইটি করে ডোমের পদ আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত বা ডেপুটেশনে অন্য বিভাগে কর্মরত থাকেন।

পিবিআই বলছে, দেশের মর্গগুলোতে নারী মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য নারী মর্গ সহকারী নেই। সব ক্ষেত্রেই পুরুষ মর্গ সহকারীদের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত হয়, যা নৈতিকতার দৃষ্টিতে আপত্তিকর। ময়নাতদন্ত স্বচ্ছরূপে সম্পাদন ও মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একজন মর্গ ইনচার্জের নেতৃত্বে নারীসহ পর্যপ্ত মর্গসহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকা প্রয়োজন বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে, সাপে কামড়ানো হত্যাদি মৃত্যু ছাড়া ফাঁসি, বিষ প্রয়োগ, আগুনে দগ্ধ ইত্যাদি সন্দেহজনক মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে একাধিক বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করারও সুপারিশ করা হয়।

যেসব ক্ষেত্রে বাদীর অভিযোগ বা প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের সাথে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বা রাসায়নিক পরীক্ষকের মতামত ভিন্নরূপ হয়, সে ক্ষেত্রে বিশেষ বোর্ড স্থাপন করে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদনে কোন বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ, কোনগুলো অপ্রাসঙ্গিক সেগুলোর বিষয়ে সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক করণীয়, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত শব্দ ও শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা সেমিনার আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়।

এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা ও কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ণের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি আদালতের প্রয়োজনে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করার কথা উল্লেখ করে মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে আদালতের আইটি বিভাগের সমন্বয় সাধনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় সুপারিশে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শাখার প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় মর্গের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এসছে। এজন্য আমরা সম্প্রতি ১১টি সুপারিশ করেছি। আমাদের এই সুপারিশগুলো বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরে রয়েছে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ মজুমদার আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশে বেশকিছু মামলার অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ত্রুটির প্রমাণ পেয়েছি এবং যেগুলোতে চিকিৎসক আত্মহত্যা বলছে সেগুলো তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিলেছে। তাই ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছি। এবার অফিসিয়ালি মতামত দিয়েছি।'

২০১১ সালে পুলিশ অ্যাক্ট এর একটি ধারার ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে পিবিআই গঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি আধুনিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা হিসাবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৯৭০ জন জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে পিবিআই এর ইউনিটসমূহ জিআর ও সিআর মামলা সমূহ তদন্ত করে আসছে।

পিবিআই একজন ডিআইজির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। অপারেশনাল কার্যক্রম অনুসারে পিবিআই পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল এ দুইটি অঞ্চলে বিভক্ত। দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে এ দুটি অঞ্চল পরিচালিত হয়। এছাড়া কাজের সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অপরাধ বিভাগ ও ৭৪ টি জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিট একজন পুলিশ সুপার দ্বারা পরিচালিত হয়। পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর অধীনে এসআই এন্ড ও, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, সিটিইউ ও অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট পরিচালিত হয়।

কেএম/এএস

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত