বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মর্গ ব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা, পিবিআই'র ১১ সুপারিশ

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বলছে, বিভিন্ন মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অধিকাংশ মামলার ক্ষেত্রে দেশের মর্গ ব্যবস্থাপনায় বেহাল অবস্থা দেখা গেছে। সম্প্রতি মর্গের এমন দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে নির্ভুল ময়নাতদন্তের স্বার্থে পিবিআই কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে ১১টি সুপারিশ করেছে।

অধিকাংশ হত্যা বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় থানা পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেও আদালতে ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। পিবিআইয়ের গত দেড় বছরের তদন্তে অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে এসেছে। বিভিন্ন আত্মহত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই বলছে, অধিকাংশ সময় আত্মহত্যা বলা হলেও ওই সব মামলা তদন্তের পর জানা গেছে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পিবিআই জানায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ কারণে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার আগে ভিকটিমকে বিভিন্ন ভাবে হতাশার মধ্যে রাখা হয়। পরে ভিকটিম বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটায়।

পিবিআই জানায়, গত দেড় বছরে বিভিন্ন ঘটনার মামলার মধ্যে অন্তত ২৪টি আত্মহত্যার মামলা পেয়েছে তারা, যেগুলোর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিন্নতাও পাওয়া গেছে।

পিবিআইয়ের সদরদপ্তর ও পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পিবিআইয়ের একটি তথ্য বলছে, পিবিআই পুলিশ সদরদপ্তরে যে সুপারিশ দিয়েছে সেগুলো ৭২ পৃষ্ঠার। এ প্রতিবেদনে পিবিআই’র পক্ষ থেকে ১২টির ও বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে যা উল্লেখ করেছে পিবিআই

সুপারিশ এর বরাত দিয়ে পিবিআই বলছে, কিছু মামলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ বলে মতামত দিয়েছিলেন। যার ওপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাগুলোর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই প্রমাণ পেয়েছে সেগুলো ছিল হত্যাকাণ্ড। তবে, সামান্য কয়েকটি ঘটনা হচ্ছে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার প্ররোচনা। দেশের বর্তমান ময়নাতদন্ত কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে।

ওই প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, মর্গগুলোতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, আলোর ব্যবস্থা, আধুনিক অবকাঠামো ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির অভাব আছে। বর্তমানে অনেক জেলায় দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে ময়নাতদন্ত করতে হয়। মর্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবলের অভাব ও ময়নাতদন্ত বিষয়ে মর্গ সহকারী বা ডোমদের কোনো মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই। এছাড়াও ঢাকাসহ ব্যস্ত মর্গগুলোতে ডোম স্বল্পতাও অত্যন্ত প্রকট। লাশ সংরক্ষণের পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার অভাব আছে।

মৃতদেহের বিভিন্ন নমুনা বা ভিসেরা সংরক্ষণে মর্গগুলোতে আলাদা কোনো জায়গা নেই। এগুলো সংরক্ষণের জন্য কন্টেইনার বা প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক সরবরাহ অপ্রতুল, ফলে আলামত নষ্ট হওয়ার প্রবণতা বেশি। সংগৃহীত নমুনা বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। এসব ল্যাবরেটরি থেকে রিপোর্ট আসতেও বিলম্ব হয়। সেখানে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার অভাবের কথাও বলছে পিবিআই।

সুপারিশে আরও বলা হয়, বিদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ প্রচলিত নিয়মে হিমঘরে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। অল্প সংখ্যক মর্গে ফ্রিজিং বা মর্চুয়ারি কুলার সিস্টেম থাকলেও সেগুলো প্রায়ই নষ্ট থাকে, যার কারণে গরমে লাশ দ্রুত পচন ধরে। এ প্রক্রিয়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা বা তাগাদা নেই।

মেডিকেল কলেজগুলোতে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসকদের কাজ করার আগ্রহ কম এবং অধিকাংশ স্থানে ‘জোড়াতালি’ দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়; যে কারণে চিকিৎসা শিক্ষায় এ শাখাটি অত্যন্ত অবহেলিত বলেও পিবিআই তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

পিবিআই তাদের এ সুপারিশমালায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হওয়ার নয়টি সম্ভাব্য কারণও উল্লেখ করেছে। এগুলোর মধ্যে আছে- ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের একটি বৃহৎ অংশের ফরেনসিক বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা। ব্যস্ত মর্গগুলোতে লাশের সংখ্যার আধিক্যের কারণে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত কাজ সম্পাদন করা।

ময়নাতদন্ত সম্পাদনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও হিমাগারসহ স্থাপনা-অবকাঠামো না থাকা, ময়নাতদন্ত কাজে সহায়তাকারী ডোম স্বল্পতা ও তাদের সুনির্দিষ্ট নিয়োগবিধি না থাকা। ডোমদের মৌলিক প্রশিক্ষণের অভাব ও তাদের ওপর ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তাদের অতিমাত্রায় নির্ভরশীলতা। চাঞ্চল্যকর ও জটিল মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত না করা, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য সংগৃহীত আলামত যথাযথ সংরক্ষণের সুবিধা না থাকাকেও দুর্বল ময়নাতদন্তের কারণ হিসেবে দেখছে পিবিআই।

পিবিআই বলছে, একটি হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত থেকে শুরু করে বিচারকাজ চলা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একসময় লাশের ময়নাতদন্ত দিনের আলোয় করার বাধ্যবাধকতা ছিল, এখন বৈদ্যুতিক আলোতে তা করা হয়। কিন্তু কার্যক্রমের দিক থেকে বছরের পর বছর লাশকাটা ঘর অন্ধকারে রয়ে গেছে।

পিবিআই বলছে, ময়নাতদন্তের জন্য নির্ধারিত চিকিৎসকদের কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। যেসব জেলা শহরে মেডিকেল কলেজ নেই, সেসব শহরে আরএমও বা মেডিকেল অফিসাররা ময়নাতদন্ত করে থাকেন। যাদের প্রায় সবার এ বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না।

পিবিআই’র সুপারিশ- জেলা হাসপাতালগুলোতে ময়নাতদন্তের কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় আলাদা পদ তৈরি বা সমন্বয় করে আগ্রহী চিকিৎসকদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দিয়ে ওই পদের বিপরীতে পদায়ন করা যেতে পারে; যারা ময়নাতদন্তের বাইরে হাসপাতালের স্বাভাবিক সেবায় নিয়োজিত থাকবেন এবং সাধারণ নিয়মে পদোন্নতি পাবেন।

ময়নাদন্তের চিকিৎসকরা অধিকাংশ সময়ে ডোমদের সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ ডোমদের দায়িত্ব মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুত করে ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করা এবং পুনরায় নির্ধারিত স্থানে মৃতদেহ সংরক্ষণ করা। কিন্তু এ ডোমদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। অভিজ্ঞতা দিয়ে তারা কাজ করেন।

সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে চিকিৎসকদের সহায়তা করার জন্য দুইটি করে ডোমের পদ আছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত বা ডেপুটেশনে অন্য বিভাগে কর্মরত থাকেন।

পিবিআই বলছে, দেশের মর্গগুলোতে নারী মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করার জন্য নারী মর্গ সহকারী নেই। সব ক্ষেত্রেই পুরুষ মর্গ সহকারীদের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত হয়, যা নৈতিকতার দৃষ্টিতে আপত্তিকর। ময়নাতদন্ত স্বচ্ছরূপে সম্পাদন ও মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি হাসপাতালে একজন মর্গ ইনচার্জের নেতৃত্বে নারীসহ পর্যপ্ত মর্গসহকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকা প্রয়োজন বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে, সাপে কামড়ানো হত্যাদি মৃত্যু ছাড়া ফাঁসি, বিষ প্রয়োগ, আগুনে দগ্ধ ইত্যাদি সন্দেহজনক মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে একাধিক বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করারও সুপারিশ করা হয়।

যেসব ক্ষেত্রে বাদীর অভিযোগ বা প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের সাথে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বা রাসায়নিক পরীক্ষকের মতামত ভিন্নরূপ হয়, সে ক্ষেত্রে বিশেষ বোর্ড স্থাপন করে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

এদিকে সুরতহাল প্রতিবেদনে কোন বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ, কোনগুলো অপ্রাসঙ্গিক সেগুলোর বিষয়ে সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক করণীয়, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত শব্দ ও শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কে মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা সেমিনার আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করার কথাও বলা হয়।

এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতিমালা ও কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ণের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি আদালতের প্রয়োজনে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ভার্চুয়াল সাক্ষ্য প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করার কথা উল্লেখ করে মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে আদালতের আইটি বিভাগের সমন্বয় সাধনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয় সুপারিশে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শাখার প্রধান, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় মর্গের ব্যবস্থাপনার বিষয়টি এসছে। এজন্য আমরা সম্প্রতি ১১টি সুপারিশ করেছি। আমাদের এই সুপারিশগুলো বর্তমানে পুলিশ সদরদপ্তরে রয়েছে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ মজুমদার আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশে বেশকিছু মামলার অধিকতর তদন্ত করতে গিয়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ত্রুটির প্রমাণ পেয়েছি এবং যেগুলোতে চিকিৎসক আত্মহত্যা বলছে সেগুলো তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিলেছে। তাই ময়নাতদন্তের বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছি। এবার অফিসিয়ালি মতামত দিয়েছি।'

২০১১ সালে পুলিশ অ্যাক্ট এর একটি ধারার ক্ষমতাবলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে পিবিআই গঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের একটি আধুনিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা হিসাবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৯৭০ জন জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে পিবিআই এর ইউনিটসমূহ জিআর ও সিআর মামলা সমূহ তদন্ত করে আসছে।

পিবিআই একজন ডিআইজির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। অপারেশনাল কার্যক্রম অনুসারে পিবিআই পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল এ দুইটি অঞ্চলে বিভক্ত। দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে এ দুটি অঞ্চল পরিচালিত হয়। এছাড়া কাজের সুবিধার্থে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অপরাধ বিভাগ ও ৭৪ টি জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিট একজন পুলিশ সুপার দ্বারা পরিচালিত হয়। পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স এর অধীনে এসআই এন্ড ও, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, সিটিইউ ও অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিট পরিচালিত হয়।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার মতো এমন অপকর্মের সাহস পেত না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিএনপির আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ইসরায়েল কেবল ফিলিস্তিন নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। একে যদি এখনই প্রতিহত করা না যায়, তাহলে একে একে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে তারা ধ্বংস করবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে, আমরাও তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এমনকি সুশীল সমাজ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।

তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় মানবতার পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা মুসলমান, আমরা মানবিক—এই ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থেকেও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো উচিত।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ন্যায়ের পক্ষে, মানবতার পক্ষে। ফিলিস্তিন সম্পর্কে অন্তর্বর্তী সরকারের এখনও আলাপ পাইনি। অনেক সুশীল রয়েছে, তাদের সাড়া মিলছে না।’

মুসলিম বিশ্বের দ্বিধাবিভক্তির কারণে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন চলছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও রয়েছে।’

বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে সবাই ব্যস্ত, কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যস্ত নয় বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দননগর এলাকার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন - বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।

থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ও লালচানের বুধরিয়া এলাকায় পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুল ইসলামের বাবা তাদের জায়গাতে গাছ লাগালে জমিজমা মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে। গাছ সাইফুলের বাবা লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে সাইফুল গতকাল বুধবার মেহগনি গাছ কাটলে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আজ সকালে সাইফুল ইসলামকে দেখতে পেয়ে লালচান তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বললে সাইফুল ব্যস্ত আছে জানালে লালচান, কাশেম হাজীসহ ২০-২২ জন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৮-১০ জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি

আহম্মদ হোসেন মাসুম (বামে) এবং মো. আসাদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের প্রশাসন-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন উপসচিব কামরুল হাসান।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) আহম্মদ হোসেন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে রেলওয়ে (পশ্চিম)-এর প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মো. আসাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক (প্রকৌশল) হিসেবে।

এছাড়া প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, আহম্মদ হোসেন মাসুম রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন-২ শাখার ২০ নভেম্বর ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী খুলনা থেকে মংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে যেভাবে নিযুক্ত ছিলেন, সেই দায়িত্ব আগের মতোই বহাল থাকবে।

একইভাবে, মো. আসাদুল হকও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, সেটিও বহাল থাকবে।

জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ
এসএসসির ফল ৬০ দিনে প্রকাশের চেষ্টা করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
পূর্বাচলে প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যমুনা নদী বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ জনকে কারাদন্ড
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় ৪ বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত
মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে জানে না মৃত্যুর খবর
‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নয়, ‘বাংলাদেশ জনকল্যাণ রাষ্ট্র’ নাম চায় ইসলামী আন্দোলন
৩১৩ জনকে ডিঙিয়ে আগাম জামিন পেলেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে ছাড়াতে চাওয়া স্ত্রী তামান্না
নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি প্রবাসীসহ মেয়ের মৃত্যু
ভারতের মত অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের এতটা মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি