শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

সচল ট্রাইব্যুনাল, স্থবিরতা আপিলে

ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করোনাক্রান্তির পর সচল হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তিতে স্থবিরতা কাটেনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে।

মহামারি করোনাকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারপতির মৃত্যু হয়। যার ফলে করোনার প্রভাব কমে আসার প্রেক্ষিতে বিচারাঙ্গণে গতি ফিরলেও গতিহীনই ছিল ট্রাইব্যুনাল। তবে গত ১৪ অক্টোবর একজন বিচারপতিকে ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর পূর্ণতা পায় তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে একটি রায়ও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

এর প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ট্রাইব্যুনালে সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি যোগদান করার পর এখন ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।

তবে করোনার রেশ কমে গেলেও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হওয়া আপিল মামলার ক্ষেত্রে স্থবিরতা অব্যাহতই আছে। যদিও ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এসব রায়ে অনেক আসমিই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। তবে সর্বোচ্চ আদলত বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডের আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে পুরাতন মামলাগুলোকেই প্রধান্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে। তা ছাড়া আপিল বিভাগে বিচারক সংকটও প্রবল।

আপিল বিভাগে দুটি বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম চললেও বর্তমানে চলছে মাত্র একটিতে। তা ছাড়া আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, তাতে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা কমে হবে মাত্র চারজন। যদিও আপিল বিভাগে এক সময় ১১ জন বিচারপতিও ছিলেন।

আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধীদের অনেক মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) অ্যাটর্নি জেনারেল, আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত অনেক মামলার শুনানি হয়েছে। বাকিগুলোর শুনানিও হয়ে যাবে। খুব দ্রুতই শুনানি হবে। (সুপ্রিম কোর্টের আসন্ন অবকাশ শেষে) খোলার পর শুনানি হবে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ যাবত ৪৩টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে। এসব মামলার রায়ে ৭২ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড, ২২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং খালাস পেয়েছেন একজন। তবে এসব রায়ের মধ্যে যেগুলোর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে তার মধ্যে মাত্র সাতটির আপিল নিষ্পত্তি করেছে সর্বোচ্চ আদালত। বাকি আরও ২৭টি মামলা আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুানল এ যাবত ১১৬ আসামির বিষয়ে রায় দিয়েছে। যাদের মধ্যে ১২ জন মামলার রায় হওয়ার আগেই মারা গেছেন। বাকি ১০৪ আসামির মধ্যে ১০৩ জনকে দণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর বাকি একজন মো. আব্দুল লতিফকে শিশু বয়স বিবেচনায় খালাস দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান এসব তথ্য দিয়ে ঢাকাপ্রকাশকে জানান, রায় হওয়ার আগে মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ১০ জন মারা যান কারাগারে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর অন্য দুইজন মারা যান পলাতক অবস্থায়।

প্রসিকিউশনে সংরক্ষিত তথ্য থেকে তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে ৫২ জন আটক এবং ৫২ জন পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্ত ১০৩ আসামির মধ্যে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৪ জন। সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসমি ৬ জন, যাদের মধ্যে ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর আব্দুল কুদ্দুস বর্তমানে মৃত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আটক হয়েছেন ৩৫ জন এবং পলাতক ৩৬ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটক আসামিদের মধ্যে পলাতক ১১ জন এবং আটক ১১ জন।

আপিল নিষ্পত্তি

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত হওয়া আসামিদের অনেকেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৯ জনের আপিল নিষ্পত্তি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

রিভিউ

এদিকে সাড়ে ছয় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও আপিল বিভাগে চুড়ান্ত নিষ্পত্তির (আপিল রিভিউ) অপেক্ষায় আছে দুটি মামলা। এই দুই মামলার আসামিরা হলেন সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এবং জামায়াত নেতা এটিএম আজহার। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। পরে তারা ওই রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে যাদের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ যাবত ছয় জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই ছয় মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দলটির আরও তিন কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী, আবদুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

আমৃত্যু কারাদণ্ড

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল রিভিউ নিষ্পত্তি হয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর দুই কেন্দ্রীয় নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও এটিএম আজহার এবং জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার।

মৃত্যুর কারণে আপিল বাতিল

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া এবং আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া উপরিউক্ত ৯ আসামি ছাড়া আরও তিন আসামির আপিল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করলেও আপিল নিষ্পত্তির আগেই মারা যাওয়ায় তাদের আপিল আবেদন বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত। এই তিন আসামি হলেন জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীম এবং জামায়াতের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সোবহান।

আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২৭ মামলা

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামিদের করা আপিল সর্বোচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বিচারাধীন এসব মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেন। জাপার সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার (রাজ্জাক), চাপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান, বাগেরহাটের সিরাজুল হক ও খান মো. আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোনার ওবায়দুল হক, আতা উর রহমান, মজিবুর রহমান, মহিবুর রহমান, সামসুদ্দিন আহমেদ, শাহসুল হক, এস. এম. ইউসুফ আলী, মো. সাখাওয়াত হোসেন, বিল্লাল হোসন, মো. আব্দুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদ, মো. আমির আহম্মেদ, মো. জয়নুল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস, হামিদুর রহমান আজাদ, এ গনি ওরফে এ গনি হাওলাদার, মো. ইসাহাক সিকদার, মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. রনজু মিয়া, মো. খলিলুর রহমান মীর।

এমএ/টিটি/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের