শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপির জাতীয় সরকার ভাবনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ

আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে জাতীয় সরকার গঠন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সে লক্ষ্যে জাতীয় সরকার গঠনের ‘রূপরেখা’ দিয়েছে দলটি। তাদের এই ‘রূপরেখা’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিএনপির ওই রূপরেখা আওয়ামী লীগের ভাবনাতেই নেই। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনে করছে এটা তাদের রাজনৈতিক স্ট্যান্ড। বিএনপির এই প্রেসক্রিপশন জনগণ খাবে না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

টানা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র পরিচালনার বাইরে থাকায় বিএনপি নিজেদের রাজনৈতিক মেরুকরণ ঠিক করতে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন রূপরেখা নিয়ে আসছে। এবার বিএনপির প্রধান টার্গেট সরকার বিরোধী বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাবের রাজনৈতিক দলগুলোকে কাছে টানা। সেই ধারণা থেকে নতুন টোপ দিয়েছে বিএনপি। অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো যারা দীর্ঘ দিন রাজনীতি করলেও রাষ্ট্রক্ষমতার আশপাশে যেতে পারেনি তারাই হবে বিএনপির প্রধান তুরুফের তাস।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন এটা নতুন কিছু না। জাতীয় সরকার হোক আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হোক নির্বাচনটা হতে হবে সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন। সেক্ষেত্রে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক তাদের ভূমিকা হতে হবে পক্ষপাতহীন। গণতন্ত্রের পাহারাদার হচ্ছে জনগণ। আর সেই জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়েই গঠিত রাজনৈতিক দল। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে কোনোভাবেই কোনো সরকার গণতান্ত্রিক পথে হাটতে পারে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এজন্য নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট সব মহলের ভূমিকা হতে হবে পক্ষপাতহীন।

বিএনপির জাতীয় সরকারের ধারণা হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপিসহ মিত্রজোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাদের নিয়েই জাতীয় সরকার গঠন হবে। নির্বাচনে মিত্র-দলগুলো জিতলেও সরকারে থাকবে, হারলেও থাকবে। অর্থাৎ নির্বাচনে যদি দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দলের কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতা হেরেও যান, তবু তাদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বিএনপির এই প্রস্তাবনায় স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে মিত্রদলগুলো। বিশেষ করে বিএনপি দলীয় জোটের সঙ্গে যারা আছেন তারা জাতীয় সরকারের রূপরেখাকে টার্গেট ধরে রাজনৈতিক মাঠ গরম করার চেষ্টা করছেন। তবে যাদের মাথায় বিষয়টি বেশি থাকা দরকার তাদের ভাবনাতেই নেই। বিএনপির এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের জাতীয় সরকারের ভুত মাথায় ঢুকেছে, আসলে বিএনপি কি চায় তা নিজেরাও জানে না। তাই বিএনপি নেতাদের বলব, এদিক-ওদিক না ঘুরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, অনেক ষড়যন্ত্র করেও গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোনো লাভ হয়নি। বাকি সময়েও লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।’

বিএনপির জাতীয় সরকার ভাবনা আওয়ামী লীগের চিন্তাতেই নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক নেতা। তারা মনে করেন এটা রাস্তার আলোচনা। এগুলো নিয়ে বেশি দূর আগানো যাবে না। তারা যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাতে জনগণের অংশগ্রহণ কোথায়? জনগণ কি বিএনপির জাতীয় সরকার নিয়ে ভাবছে, প্রশ্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, জাতীয় সরকারের কোনো কনসেপ্ট আমরা বিশ্বাস করি না। জাতীয় সরকারের কোনো কনসেপ্ট সংবিধানে বিদ্যমান নেই। সুতরাং প্রশ্নই ওঠে না। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সবাইকে আসবার আহ্বান জানাই গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে সমুন্নত রাখার জন্য। আমরা নাকচ করে দিয়েছি।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বিএনপি কত কিছুই পরিকল্পনা করে। দেখতে হবে তারা যা চায় তাতে কি দেশবাসীর সায় আছে? জনগণের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে? তারা যেটা বলেছে সেটা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন, নাকি বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রয়োজন, কোনটা তাদের উদ্দেশ্য? রাজনৈতিক ফায়দা লুটা। বিএনপির প্রত্যেকটা কাজই থাকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটা। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আরও শক্তিশালী হবে।’

বিএনপির এই ফরমুলা নিয়ে আওয়ামী লীগকে চিন্তায় ফেলল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) কর্মকাণ্ড তাদেরই দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তাদের অপরাজনীতির কারণে আস্তে আস্তে বিস্মৃতির তলায় হারিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থে রাজনীতি করে এদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে সুতরাং বিএনপির ফর্মুলায় আওয়ামী লীগের সংশয়ের কোনো কারণ নেই। অপরাজনীতির সঙ্গে বা অপরাজনীতিবিদদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কখনই আপোষ করেনি, করবেও না। কাজেই আওয়ামী লীগের সংশয় বা দুশ্চিন্তার কিছু আছে বলে আওয়ামী লীগ কখনই মনে করে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘জাতীয় সরকারের এটা নতুন কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হলে এক পক্ষের মতো করে হবে না। কোনো একটা দল ৫০ বছর ক্ষমতায় আছে এই জন্য তাকে ফেলে দিতে হবে এটা কোনো কাজের কথা না। কিংবা কোনো একটা বিরোধী দল অনেক বছর ক্ষমতার বাইরে আছে তাকে ক্ষমতায় নিতে হবে এটাও বিবেচ্য না। বিবেচ্য হচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ যাকে খুশি তাকে নির্বাচিত করবে, এটাই হলো কথা। সর্ব মহলকে চেষ্টা করতে হবে ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বৈশ্বিকভাবে পরীক্ষিত স্বীকৃতি গণতান্ত্রিক ইতিহাসে যেভাবে নির্বাচন হয় সেই কাঠোমতে নির্বাচন হতে হবে। বিএনপির জাতীয় সরকার পরিকল্পনা ‘এটা এ পর্যন্তই’। জাতীয় সরকারই করতে হবে কেন? বাংলাদেশে তো গৃহযুদ্ধ হচ্ছে না।’

এসএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সারাদেশে দায়ের হওয়া একের পর এক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার নিয়ে বিতর্ক ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এখন থেকে এসব মামলায় কাউকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, এবং গ্রেফতারের জন্য উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত প্রমাণ পেশ করাও হবে বাধ্যতামূলক।

গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রুজু করা মামলাগুলোর অধিকাংশেই এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অত্যাধিক। এসব মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে তদন্তে প্রাপ্ত প্রমাণ যেমন—ভিকটিম, বাদী, প্রত্যক্ষদর্শী, ভিডিও, অডিও, স্থিরচিত্র, মোবাইল কললিস্ট (সিডিআর) ইত্যাদি সংগ্রহ করে, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে। অনুমোদন ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।

শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে এই বিষয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, “কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড়া না পান—সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।”

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক হারে মামলা দায়ের করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই একেকটি মামলায় হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি—এমন তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক অনুসন্ধানে।

এই ধরনের মামলায় শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, এমনকি ব্যক্তি বিরোধ বা প্রতিপক্ষতার জেরে নাম জুড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। আসামি করার বিনিময়ে আর্থিক লেনদেন বা “মামলা বাণিজ্য”-এর কথাও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যে।

এর আগেও, পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলারে বলা হয়েছিল, সঠিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকি প্রাথমিক তদন্তে কোনো ব্যক্তির সম্পৃক্ততা না থাকলে, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বারবার জানানো হয়েছে—“মামলা হলেই গ্রেফতার করতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”

Header Ad
Header Ad

‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রক্তমাখা ভূমির প্রতি সংহতি জানাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমেছে ইতিহাসের আরেকটি দৃশ্য। ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হাজারো মানুষের ঢল যেন শুধু একখণ্ড প্রতিবাদ নয়—এ এক ঐক্যের বয়ে চলা নদী।

এই কর্মসূচিকে নিছক একটি পদযাত্রা হিসেবে দেখছেন না বিশিষ্ট ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিছক কোনো পদযাত্রা নয়। এটি আমাদের এই অঞ্চলের মুসলিমদের ঐক্যের এক নতুন সেতু বন্ধন রচনা করবে ইনশাআল্লাহ।”

এর আগে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা হয়েছেন আলোচিত ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারি ও ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। কর্মসূচিতে যোগ দিতে সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

এদিন সকালে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তারা এই আহ্বান জানান।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে, এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন প্রিয়জনদের সাথে নিয়ে।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি ‘মার্চ ফর গাজা’র পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন সন্তানকে সাথে নিয়ে।’

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান বিকালে হলেও সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি গেটেই মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকেই ছোট-বড় মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের হাতে রয়েছে লাল সবুজ পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

Header Ad
Header Ad

ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে শুধু টাকা-পয়সা নয়, দান করা হয়ে থাকে মানুষদের না বলা গল্প, ব্যক্তিগত প্রার্থনা, আর কিছু অসমাপ্ত স্বপ্নের চিরকুটও। এবার এমনই একটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে একজন সাধারণ নাগরিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার জন্য আকুতি জানিয়েছেন আল্লাহর দরবারে।

সেখানে নাম পরিচয়হীন অজ্ঞাত এক ব্যক্তির দেওয়া চিরকুটে লেখা- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়।

অন্যান্যবারের মতো এবারও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলে এই কার্যক্রম। সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, এপিপিএন—সব বাহিনীই ছিল সতর্ক অবস্থানে। গণনার জন্য যুক্ত হন প্রায় চার শতাধিক শিক্ষক, ছাত্র ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

মসজিদ কমিটি জানায়, ৪ মাস ১২ দিন পর দানবাক্স খোলা হলো, আর এবার বের হয়েছে ২৮ বস্তা টাকা! সেই সঙ্গে উঠে এসেছে নানা ধরণের চিঠি ও আকুতি—যার মধ্যে ড. ইউনূসকে ঘিরে সাধারণের চাওয়া মিশে গেছে ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, মসজিদের দোতলায় বসে গণনার কাজ এখনো চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি গ্রেফতারে লাগবে ঊর্ধ্বতনের অনুমতি: ডিএমপি
‘মার্চ ফর গাজা’ নিছক কোনো পদযাত্রা নয়, এটি মুসলিমদের ঐক্যের সেতু: আজহারি
ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি
আল-আকসার ইমামকে ৭ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিলো ইসরায়েল
হাসিনার দোসররা ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী
১০ জনের পরিবারের সবাইকে হত্যা করল ইসরায়েল
পিএসএল না খেলেই দেশে ফিরছেন লিটন
পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমেছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের
স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
মার্চ ফর গাজা: প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, আসছে মানুষ-জনসমুদ্রের অপেক্ষা
চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার