শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০

ছবি : সংগৃহীত

দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ জন। ৩৫টি ক্যাটাগরিতে এ সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মুক্তিযোদ্ধার এই বিপুল সংখ্যাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৩৫টি ক্যাটাগরিতে চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হয় তিন লাখ ৮৬ হাজার ৫৫ জনের। একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্ন্তভূক্ত হওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা ও লাল মুক্তিবার্তায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার নাম দুইবার থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এই সব তালিকা সমন্বয় করে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ জনকে চুড়ান্ত সংখ্যা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তবে এই সংখ্যাটিও আরো বাড়তে পারে। উপজেলা পর্যায়ের যাচাই-বাছাইয়ের আপিল প্রক্রিয়া শেষ হলে আরো কিছু মুক্তিযোদ্ধার নাম যুক্ত হবে তালিকায়। 

৩৫টি ক্যাগাটরি হলো- ভারতীয় তালিকা, বেসামরিক গেজেট, শহিদ বেসামরিক গেজেট, সশস্ত্র বাহিনী শহিদ গেজেট, শহিদ বিজিবি গেজেট, শহিদ পুলিশ গেজেট, যুদ্ধাহত গেজেট, খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট, মুজিবনগর গেজেট, বিসিএস ধারণাগত জেষ্ঠ্যতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গেজেট, বিসিএস  গেজেট, সেনাবাহিনী গেজেট, বিমান বাহিনী গেজেট, নৌ বাহিনী গেজেট, নৌ কমান্ডো গেজেট, বিজিবি গেজেট, পুলিশ বাহিনী গেজেট, আনসার বাহিনী গেজেট, স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দ সৈনিক গেজেট, বীরঙ্গনা গেজেট, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গেজেট, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী গেজেট, লাল মুক্তিবার্তা, লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (নৌ, সেনা ও বিমান বাহিনী), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (পদ্মা), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (মেঘনা), বীরঙ্গনা সামরিক সনদ, যুদ্ধাহত পঙ্গু (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) গেজেট, যুদ্ধাহত (বর্ডারগার্ড) বাংলাদেশ) গেজেট, মুক্তিযোদ্দাদের ভারতীয় তালিকা (সেক্টর), বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োজিত/দায়িত্বপালনকারী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট, যুদ্ধাহত সেনা গেজেট, প্রবাসে বিশ্ব জনমত গেজেট এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলাওয়ারী মুক্তিযোদ্ধাদের যে সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে সিলেট বিভাগের সিলেটে চার হাজার ২৯৬ জন, সুনামগঞ্জে চার হাজার ২২ জন, মৌলভীবাজারে এক হাজার ৪৯৫ জন ও হবিগঞ্জে দুই হাজার ৬৭ জন। রাজশাহী বিভাগে বগুড়ায় তিন হাজার ২০৪ জন, জয়পুরহাটে ৭৯৩ জন, নওগাঁ তিন হাজার ৬৯ জন, নাটোরে এক হাজার ৫৫৮ জন, চাপাইনবাবগঞ্জে দুই হাজার ১১৩ জন, পাবনায় দুই হাজার ৬৪২ জন, রাজশাহীতে দুই হাজার ৩২৭ জন ও সিরাজগঞ্জে তিন হাজার ১২৫ জন।

রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে দিনাজপুরে তিন হাজার ৭৩৩ জন, গাইবান্ধায় দুই হাজার ৮০ জন, কুড়িগ্রামে চার হাজার ২৮৪ জন, লালমনিরহাটে এক হাজার ৯১৪ জন, নীলফামারীতে ৯১৬ জন, পঞ্চগড়ে এক হাজার ৯৭০ জন, রংপুরে এক হাজার ৩২২ জন ও ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৫০৯ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ১২ হাজার ৯২৬ জন। এরমধ্যে জামালপুরে দুই হাজার ৭৮০ জন, নেত্রকোণায় তিন হাজার ৫৮ জন, ময়মনসিংহে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন ও শেরপুরে ১৩৫৯ জন।

বরিশাল বিভাগে এপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার ৬০২ জন। এরমধ্যে বরগুনায় এক হাজার ২৫৮ জন, বরিশালে ছয় হাজার ৮১১ জন, ভোলায় ১৪৯১ জন, ঝালকাঠিতে এক হাজার ৯৮৯ জন, পটুয়াখালীতে এক হাজার ২৫৬ জন ও পিরোজপুরে দুই হাজার ৭৯৭ জন।

খুলানা বিভাগে মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ২৩ হাজার ৩৫৫ জন। বাগেরেহাটে চার হাজার ৪৯৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় এক হাজার ৫২৬ জন, যশোরে দুই হাজার ৮২৯ জন, ঝিনাইদহে দুই হাজার ১০৪ জন, খুলনায় এক হাজার ৮৭৫ জন, কুষ্টিয়ায় তিন হাজার ৭৬ জন, মাগুরায় এক হাজার ৭১৫ জন, মেহেরপুরে এক হাজার ১২৮ জন, নড়াইলে দুই হাজার ৩৬৪ জন, সাতক্ষীরায় দুই হাজার ২৩৯ জন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন ৩৭ হাজার ৭৮৫ জন। এরমধ্যে বান্দরবানে ৮২ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ছয় হাজার ৬৭৪ জন, চাঁদপুরে তিন হাজার ৮৭৮ জন, চট্টগ্রামে সাত হাজার ৯৬৮ জন, কুমিল্লায় আট হাজার ২৮১ জন, কক্সবাজারে ৩৮৪ জন, ফেনীতে দুই হাজার ৯৪৭ জন, খাগড়াছড়িতে ৫৪৯ জন, লক্ষীপুরে এক হাজার ৮৯৩ জন, নোয়াখালীতে চার হাজার ৯৮৭ জন এবং রাঙ্গামাটিতে ১৪২ জন।     

ঢাকা বিভাগে মুক্তিযোদ্ধার মোট সংখ্যা হচ্ছে ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে ঢাকা জেলায় পাঁচ হাজার ৪৭ জন, ফরিদপুরে তিন হাজার ৯৭৮ জন, গাজীপুরে তিন হাজার ৬০ জন, গোপালগঞ্জে পাঁচ হাজার ৭৯৪ জন, কিশোরগঞ্জে তিন হাজার ৫৯৬ জন, মাদারীপুরে দুই হাজার ৯১৯ জন, মানিকগঞ্জে এক হাজার ৯২০ জন, মুন্সিগঞ্জে দুই হাজার ৪৪৮ জন, নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ২৬১ জন, নরসিংদীতে চার হাজার ৮৩৬ জন, রাজবাড়ীতে এক হাজার ২৪৫ জন, শরীয়তপুরে দুই হাজার ২৫৯ জন এবং টাঙ্গাইলে আট হাজার ৪৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম চূড়ান্ত তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ জেলায় ৩৫টি শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নয় হাজার ৮৬৪ জনের নাম চূড়ান্ত করে একটি তালিক দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন, খেতাবপ্রাপ্ত গেজেটে ৬৭৬ জন, শহিদ বেসামরিক তিন হাজার ৩৬৪ জন, যুদ্ধাহত গেজেট দুই হাজার ৪৮২ জন, সশস্ত্র বাহিনী শহিদ গেজেট এক হাজার ৬০৩ জন, পুলিশ শহিদ গেজেট ৪১১ জন, বিজিবি শহিদ ৮১৯ জন, যুদ্ধাহত বিজিবি ৩১৭ জন এবং যুদ্ধাহত সেনা ১৯২ জন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত সংখ্যা দুই লাখের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার এই সংখ্যা অস্বাভাবিক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিবার্তর লাল বই করেছিলাম। তখন পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। যাচাই-বছাই শেষে এক লাখ ৫৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।

আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেন, লাল বইকে ভিত্তি ধরে কাজ করলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে এতো সমস্যা হত না। এ ভাবে প্রকৃত তালিকাকে বার বার বিতর্কিত করা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননা।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের