বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধা ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০

ছবি : সংগৃহীত

দেশে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ জন। ৩৫টি ক্যাটাগরিতে এ সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মুক্তিযোদ্ধার এই বিপুল সংখ্যাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী। 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৩৫টি ক্যাটাগরিতে চলতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হয় তিন লাখ ৮৬ হাজার ৫৫ জনের। একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অর্ন্তভূক্ত হওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা ও লাল মুক্তিবার্তায় অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার নাম দুইবার থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এই সব তালিকা সমন্বয় করে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭৭০ জনকে চুড়ান্ত সংখ্যা হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তবে এই সংখ্যাটিও আরো বাড়তে পারে। উপজেলা পর্যায়ের যাচাই-বাছাইয়ের আপিল প্রক্রিয়া শেষ হলে আরো কিছু মুক্তিযোদ্ধার নাম যুক্ত হবে তালিকায়। 

৩৫টি ক্যাগাটরি হলো- ভারতীয় তালিকা, বেসামরিক গেজেট, শহিদ বেসামরিক গেজেট, সশস্ত্র বাহিনী শহিদ গেজেট, শহিদ বিজিবি গেজেট, শহিদ পুলিশ গেজেট, যুদ্ধাহত গেজেট, খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট, মুজিবনগর গেজেট, বিসিএস ধারণাগত জেষ্ঠ্যতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গেজেট, বিসিএস  গেজেট, সেনাবাহিনী গেজেট, বিমান বাহিনী গেজেট, নৌ বাহিনী গেজেট, নৌ কমান্ডো গেজেট, বিজিবি গেজেট, পুলিশ বাহিনী গেজেট, আনসার বাহিনী গেজেট, স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দ সৈনিক গেজেট, বীরঙ্গনা গেজেট, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গেজেট, ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী গেজেট, লাল মুক্তিবার্তা, লাল মুক্তিবার্তা স্মরণীয় যারা বরণীয় যারা, মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (নৌ, সেনা ও বিমান বাহিনী), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (পদ্মা), মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় তালিকা (মেঘনা), বীরঙ্গনা সামরিক সনদ, যুদ্ধাহত পঙ্গু (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) গেজেট, যুদ্ধাহত (বর্ডারগার্ড) বাংলাদেশ) গেজেট, মুক্তিযোদ্দাদের ভারতীয় তালিকা (সেক্টর), বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়োজিত/দায়িত্বপালনকারী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট, যুদ্ধাহত সেনা গেজেট, প্রবাসে বিশ্ব জনমত গেজেট এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলাওয়ারী মুক্তিযোদ্ধাদের যে সংখ্যা চূড়ান্ত করা হয়েছে, এরমধ্যে সিলেট বিভাগের সিলেটে চার হাজার ২৯৬ জন, সুনামগঞ্জে চার হাজার ২২ জন, মৌলভীবাজারে এক হাজার ৪৯৫ জন ও হবিগঞ্জে দুই হাজার ৬৭ জন। রাজশাহী বিভাগে বগুড়ায় তিন হাজার ২০৪ জন, জয়পুরহাটে ৭৯৩ জন, নওগাঁ তিন হাজার ৬৯ জন, নাটোরে এক হাজার ৫৫৮ জন, চাপাইনবাবগঞ্জে দুই হাজার ১১৩ জন, পাবনায় দুই হাজার ৬৪২ জন, রাজশাহীতে দুই হাজার ৩২৭ জন ও সিরাজগঞ্জে তিন হাজার ১২৫ জন।

রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে দিনাজপুরে তিন হাজার ৭৩৩ জন, গাইবান্ধায় দুই হাজার ৮০ জন, কুড়িগ্রামে চার হাজার ২৮৪ জন, লালমনিরহাটে এক হাজার ৯১৪ জন, নীলফামারীতে ৯১৬ জন, পঞ্চগড়ে এক হাজার ৯৭০ জন, রংপুরে এক হাজার ৩২২ জন ও ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৫০৯ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ১২ হাজার ৯২৬ জন। এরমধ্যে জামালপুরে দুই হাজার ৭৮০ জন, নেত্রকোণায় তিন হাজার ৫৮ জন, ময়মনসিংহে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন ও শেরপুরে ১৩৫৯ জন।

বরিশাল বিভাগে এপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ১৫ হাজার ৬০২ জন। এরমধ্যে বরগুনায় এক হাজার ২৫৮ জন, বরিশালে ছয় হাজার ৮১১ জন, ভোলায় ১৪৯১ জন, ঝালকাঠিতে এক হাজার ৯৮৯ জন, পটুয়াখালীতে এক হাজার ২৫৬ জন ও পিরোজপুরে দুই হাজার ৭৯৭ জন।

খুলানা বিভাগে মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ২৩ হাজার ৩৫৫ জন। বাগেরেহাটে চার হাজার ৪৯৯ জন, চুয়াডাঙ্গায় এক হাজার ৫২৬ জন, যশোরে দুই হাজার ৮২৯ জন, ঝিনাইদহে দুই হাজার ১০৪ জন, খুলনায় এক হাজার ৮৭৫ জন, কুষ্টিয়ায় তিন হাজার ৭৬ জন, মাগুরায় এক হাজার ৭১৫ জন, মেহেরপুরে এক হাজার ১২৮ জন, নড়াইলে দুই হাজার ৩৬৪ জন, সাতক্ষীরায় দুই হাজার ২৩৯ জন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন ৩৭ হাজার ৭৮৫ জন। এরমধ্যে বান্দরবানে ৮২ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ছয় হাজার ৬৭৪ জন, চাঁদপুরে তিন হাজার ৮৭৮ জন, চট্টগ্রামে সাত হাজার ৯৬৮ জন, কুমিল্লায় আট হাজার ২৮১ জন, কক্সবাজারে ৩৮৪ জন, ফেনীতে দুই হাজার ৯৪৭ জন, খাগড়াছড়িতে ৫৪৯ জন, লক্ষীপুরে এক হাজার ৮৯৩ জন, নোয়াখালীতে চার হাজার ৯৮৭ জন এবং রাঙ্গামাটিতে ১৪২ জন।     

ঢাকা বিভাগে মুক্তিযোদ্ধার মোট সংখ্যা হচ্ছে ৪৭ হাজার ৭৯৯ জন। এরমধ্যে ঢাকা জেলায় পাঁচ হাজার ৪৭ জন, ফরিদপুরে তিন হাজার ৯৭৮ জন, গাজীপুরে তিন হাজার ৬০ জন, গোপালগঞ্জে পাঁচ হাজার ৭৯৪ জন, কিশোরগঞ্জে তিন হাজার ৫৯৬ জন, মাদারীপুরে দুই হাজার ৯১৯ জন, মানিকগঞ্জে এক হাজার ৯২০ জন, মুন্সিগঞ্জে দুই হাজার ৪৪৮ জন, নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার ২৬১ জন, নরসিংদীতে চার হাজার ৮৩৬ জন, রাজবাড়ীতে এক হাজার ২৪৫ জন, শরীয়তপুরে দুই হাজার ২৫৯ জন এবং টাঙ্গাইলে আট হাজার ৪৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম চূড়ান্ত তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৬৪ জেলায় ৩৫টি শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৯০৬ জন। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে নয় হাজার ৮৬৪ জনের নাম চূড়ান্ত করে একটি তালিক দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন, খেতাবপ্রাপ্ত গেজেটে ৬৭৬ জন, শহিদ বেসামরিক তিন হাজার ৩৬৪ জন, যুদ্ধাহত গেজেট দুই হাজার ৪৮২ জন, সশস্ত্র বাহিনী শহিদ গেজেট এক হাজার ৬০৩ জন, পুলিশ শহিদ গেজেট ৪১১ জন, বিজিবি শহিদ ৮১৯ জন, যুদ্ধাহত বিজিবি ৩১৭ জন এবং যুদ্ধাহত সেনা ১৯২ জন।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত সংখ্যা দুই লাখের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার এই সংখ্যা অস্বাভাবিক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিবার্তর লাল বই করেছিলাম। তখন পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। যাচাই-বছাই শেষে এক লাখ ৫৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।

আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলেন, লাল বইকে ভিত্তি ধরে কাজ করলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে এতো সমস্যা হত না। এ ভাবে প্রকৃত তালিকাকে বার বার বিতর্কিত করা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অবমাননা।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া