শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বসবাসের অযোগ্য ঢাকা

পরিত্রাণের উপায় নিয়ে যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ঢাকা। সবদিক থেকেই শহরটির অবস্থা মৃতপ্রায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের মতে, বসবাসের অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ৪ নম্বরে।

ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট বলছে, ঢাকার চেয়ে খারাপ অবস্থা শুধু পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোরেসবি, নাইজেরিয়ার লেগোস এবং সিরিয়ার দামেস্ক। ১০০ এর মধ্যে ঢাকা পেয়েছে মাত্র ৩৩ দশমিক ৫।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবগুলো সূচকেই ঢাকার অবস্থা খুবই খারাপ। যানজট দিনের পর দিন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে ২০২৫ সালে গাড়ির গতি হাঁটার গতির চেয়েও কম হবে। ঢাকা শহরের পরিবেশ বিশ্বের অন্য শহরগুলোর চেয়ে সবচেয়ে খারাপ। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ঢাকা শহর শীর্ষে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও নাগরিকদের আয়ের নিশ্চয়তা দিন দিন কমছে।

এখন ঢাকার বাসযোগ্য ফিরিয়ে আনার উপায় নিয়ে বিস্তর কথা হচ্ছে। বৃহৎ প্রকল্পগুলো নিয়েও অনেক কথা হচ্ছে। প্রকল্পগুলো করা যুক্তিসঙ্গত নাকি বৃত্তাকার রেলপথ ও নৌপথ করে দিলে ঢাকার ওপর চাপ কমত এমন কথাবার্তাও হচ্ছে।

যানজট নিরসনে বড় প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন

যানজট নিরসনে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ফ্লাইওভার করা হয়েছে। মেট্রোরেল করা হচ্ছে। কিন্তু যানজট পরিস্থিতি দিন দিন খারাপই হচ্ছে। এখন অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, বড় বড় প্রকল্পগুলোর আদৌ দরকার ছিল কীনা। খোদ সরকারি লোকজনই এমনটা বলছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলছেন, যানজট নিরসনে পরিকল্পনামাফিক আগানো হয়নি। উদাহরণস্বরূপ বনানীর যানজটের কারণ হিসেবে দুটি সরকারি ভবনকে দায়ী করে তিনি বলছেন, সেতু ভবন ও বিআরটিএ ভবন কেন রাস্তার ওপরে? এই ভবন দুটোর কারণে যানজট লেগে থাকে এই এলাকায়।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বলেন, সবচেয়ে অযোগ্য, সবচেয়ে দূষিত শহর ঢাকা। দুটি অপবাদ ঘাড়ের ওপর। এটাকে মাথায় রেখেই ঢাকাকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ঢাকা শহর নিয়ে আমাদের লজ্জায় থাকতে হয়।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, যেকোনো শহরে রাস্তা থাকতে হয় ২৫ ভাগ। কিন্তু ঢাকায় রাস্তা আছে মাত্র ৮ ভাগ। এই ৮ ভাগেরও অর্ধেক অব্যবহৃত থাকে দখল ও অবৈধ পার্কিংসহ নানা কারণে। এছাড়া ফুটপাত দখলে থাকার কারণে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হয়। এটাও যানজটের একটি কারণ।

ঢাকা শহরের মাত্র ১৭ শতাংশ মানুষের জন্য রাস্তা নষ্ট করে মেট্রোরেলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম পাতাল রেলেও পর একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেন, ২০২৫ সালে গাড়ির গতি মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম হবে। একটি শহরের জন্য ফুটপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মেট্রোরেলের সিঁড়ি কীভাবে ফুটপাতে ওপর হতে পারে? যে কনসালট্যান্ট এগুলো করেছেন তিনি সরেজমিন যাননি।

মেট্রোরেলের এমন ডিজাইন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, ফুটপাতে মেট্রোরেলের কোনো ধরনের ল্যান্ডিং হতে পারবে না। নিরাপদ ফুটপাতে বিঘ্ন ঘটবে। এর চেয়ে প্রথমেই যদি মাটির নিচ দিয়ে পাতাল রেল করা যেত। তাহলে রাস্তার জমি নষ্ট হতো না।


বিকেন্দ্রীকরণ এবং ঢাকা ঘিরে রেল ও নৌপথের ওপর গুরুত্ব

ঢাকা শহরে নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে ঢাকা থেকে মানুষের চাপ কমানোকে সমাধান বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে অফিস সময়ের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে ট্রেনের ব্যবস্থা করলে ঢাকার আশাপাশের জেলায় চলে যেত মানুষ। অর্থাৎ রেলপথের আধুনিকায়ন করলে ঢাকার ওপর মানুষের চাপ কমত।

সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা দেওয়া হলে ঢাকা শহর ছাড়ত মানুষ এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এক্ষেত্রে বৃত্তাকার নৌপথ ও বৃত্তাকার রেলপথ খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের যে মনোযোগ সে তুলনায় এই উদ্যোগুলো নিয়ে কেন জানি কথা খুব কম হয়।

পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বৃত্তাকার নৌপথ করতে গেলে আমাদের যে সুবিধা ছিল সেটা হলো ঢাকার চারপাশেই নদী রয়েছে। ঢাকা শহরের চারপাশ ঘিরে আছে ৬০ কিলোমিটারেরও বেশি নদনদী। অন্যান্য বড় শহরে নদী থাকে একটি কিন্তু ঢাকায় নদী রয়েছে চারটি। কিন্তু নদীগুলো দখলে-দূষণে জর্জরিত।

দেশের সব নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা ঘোষণা করে হাইকোর্ট একটা রায় দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কোনো উদ্যোগ নেই। বিআইডব্লিউটিএ শুধু নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও নদী দূষণ এবং ময়লা অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোনো পদক্ষেপ।
ক্লিন রিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সোহাগ মহাজন এ প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, হাইকোর্ট ১৭টি দিকনির্দেশনা দিয়েছিল এবং সেটি ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু একবছরে বেশি সময় অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না।

বিভিন্ন সময় বুঙিগঙ্গার দূষণরোধ এবং ময়লা অপসারণে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও তা শুরু না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থা বুড়িগঙ্গার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বর্জ্য অপসারণ এবং নদীর সঙ্গে সংযুক্ত স্যুয়ারেজ লাইন অপসারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।

বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের নতুন সদস্যসচিব মিহির বিশ্বাস ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আদালত পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের সময় বেঁধে দিচ্ছে যে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্তত এই কাজটুকু করুন। তারপরও আমরা দেখতে পাই সেটুকুও করা হয় না।

একই অবস্থা ঢাকার চারপাশ ঘিরে থাকা বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীরও। শতবছর আগের নদীর সিএস জরিপ অনুযায়ী যে সীমানা ছিল দখলদারিত্বের কারণে তার এখন অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। বুড়িগঙ্গা ও বালু নদের সীমানার মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্থাপনা।

বিভিন্ন ভবন গড়ে তোলা হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে। আর তুরাগ দখল করে গড়ে উঠেছে একের পর এক ইটভাটা। নদীর পার দখল করে বসতবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বিআইডব্লিটিএ উচ্ছেদ করে দিলে কয়েকঘণ্টা পর আবার দখল হয়ে যায়।

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বায়ু দূষণ রোধে তৎপর হওয়ার উপর গুরুত্ব

বায়ু দূষণে শীর্ষে থাকার দিল্লির পরে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা। পরিবেশবিদরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে দূষণের কারণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেবে। দূষণের ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, বায়ুদূষণকে এখনই প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। এক হিসেবে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর বায়ুদূষণজনিত কারণে মারা যাচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, এই অবস্থাটি একদিনে হয়নি। নির্মাণকাজ করার সময় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশনাটিও উপেক্ষিত হচ্ছে। বায়ুদূষণকে অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
সবচেয়ে দূষিত শব্দের শহর ঢাকা

সহনীয় মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি শব্দ ঢাকা শহরে। শব্দ দূষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। শহরের বাসিন্দারা শব্দদুষণজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।

সড়কে যারা নিয়মিত বের হন তারা ভয়াবহ শব্দ দূষণের শিকার। শিশু আর বৃদ্ধরা ভোগেন সবচেয়ে বেশি। এদের কেউ কেউ ভুগছেন দীর্ঘস্থায়ী শ্রবণসমস্যায়। কারও কারও চিরসঙ্গী হচ্ছে মাথাব্যথা।

বাংলামটর মোড়ে কথা হয় স্কুলশিক্ষার্থী অন্তুর সঙ্গে। সে জানায়, তার মাঝে মাঝে মাথাব্যথা করে শব্দের কারণে। বাংলামটর মোড়েই সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা লাব্বাইক বাসের চালক শহিদ বলেন, হর্ন দেই নানা কারণে। কিন্তু আমার নিজেরও মাথাব্যথা করে হর্নের শব্দে।

এই শব্দের আগুনে ঘি ঢালছে হাইড্রোলিক হর্ন। নিষিদ্ধ হলেও যানবাহনগুলো হাইড্রোলিক হর্নই বেশি। এ ব্যপারে পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।

এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদ হাসান পাটোয়ারি বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে অধিদপ্তর নিয়মিত মোবাইল কোর্ট চালাচ্ছে। আশা করছি দূষণের মাত্রা আস্তে আস্তে কমে আসবে।
নাগরিকদের রোজগার বাড়ানোর মতো প্রকল্প নিতে হবে সরকারকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও ৬ শতাংশ বেড়ে যাবে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে গেছে।

একদিকে, মানুষের আয় কমছে কিন্তু বাড়ছে ব্যয়। ফলে বেশি চাপে পড়ছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। ক্যাবের গবেষণা বলছে, ২০২০ সালেই রাজধানীতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং পানি ও গ্যাসের খরচ বেড়েছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালের চালের দাম বেড়েছে ২০ ভাগ। এর সঙ্গে রয়েছে বাড়িভাড়া। গত ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, গত ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৪০০ শতাংশ। ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশের উপরে ভাড়া থাকে। অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই।

জানতে চাইলে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়রোজগারের ব্যবস্থা করা। বড় কোনো প্রকল্প নতুন করে গ্রহণ না করে যাতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে, ভোক্তার আয়উন্নতি হয় সেইদিকে যেন নজর দেওয়া হয়। 

তেল, চিনি বা নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো হুঁশিয়ারিই কাজে আসছে না। গত দেড় বছরে বাড়তি খরচ মেটাতে না পেরে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। গবেষণা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে শুধু খাদ্যপণ্যের পেছনেই বাড়তি ব্যয় করতে হচ্ছে দরিদ্র মানুষকে।

 

আরইউ/

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ