বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণমূলক কাজে গলদ

বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। যা তিন বছরে শেষ করার কথা। নিদিষ্ট সময়ে তো হয়নি, পাঁচবার সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে সাড়ে সাত বছর। ব্যয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ১৫ কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাড়ে ১০ বছর পর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত জুনে; কিন্তু তারপরও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন না করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গলদ থেকে গেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সম্প্রতি একটি নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাতেই এ প্রকল্পের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে।

 

  • প্রকল্প পরিচালক ছিলেন ১৫ জন
  • বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন হয়নি ৩ কমপ্লেক্সে
  • নষ্ট হয়ে গেছে নাটোর কমপ্লেক্সের টাইলস
  • ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে দুটির

 

উল্লেখ্য, জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে প্রথমে ৪৮ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন দেয় সরকার। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।

মূল ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুসারে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে সেটি বাড়িয়ে ধরা হয় ১৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা। সর্ব শেষ প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে ২৬৭ শতাংশ, আর ব্যয় বাড়ে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয় ১৩৩ কোটি টাকা বা ৮৭ শতাংশ।

সব জেলায় একটি করে পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের উপর তিনতলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে নিচতলায় দোকানের মাধ্যমে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা, দ্বিতীয় তলায় কমিউনিটি সেন্টার ও তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসের ব্যবস্থা করা।

প্রথমে শুধু প্রকল্প পরিচালকের রুমে যন্ত্রপাতি রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সংশোধনের সময় সব উপজেলা কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ও ফার্নিচার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের বই ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রথম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১১ সালের ২ মে থেকে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মজিবুল হক। আর ২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট থেকে ১৫তম পিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সচিব ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ।

কাজের গুণগত মান দেখার জন্য মন্ত্রণালয়ে বছরে চারটি করে পিআইসি ও পিইসি মিটিং করার কথা। কিন্তু গত ১০ বছরে মাত্র ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ও ৮টি প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিইসি) মিটিং হয়েছে। এরফলে প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেলেও গলদ থেকে গেছে কাজে। তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস করা হলেও ওঠানামার জন্য কোনো লিফটের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রকল্পের পরিকল্পনাতেই ত্রুটি ধরা পড়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বারবার প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিলেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে টেন্ডার ডকুমেন্টের চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সটি ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অথচ ঠিকাদারকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র দেখভাল করার কোনো লোকবল নেই।

বান্দরবান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা ভবনের সম্পূর্ণ ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। লিফটের জায়গায় ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। ভবনের ভেতর-বাহিরের রং মানসম্মত না হওয়ায় দেয়াল থেকে তা খসে পড়ছে। ভবনে বৈদ্যুতিক ও পানির ব্যবস্থা নেই। দরজার পাল্লায় লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণে অভাবে সেনেটারী, প্লাম্পিং ও ফ্লোরের টাইলস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নাটোর কমপ্লেক্স ভবনের বিভিন্ন স্থানে টাইলসও ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। মূল নকশা অনুযায়ী নিচ তলায় ৯টি দোকানের ব্যবস্থা করা হয়। কোনো কোনো ভবনে ১৯টি দোকান করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রেতা বা ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি।

রাজশাহী কমপ্লেক্সের নিচতলায় যাদের দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে তারা নকশা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত অংশ বাড়িয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবান কমপ্লেক্সের প্রথম থেকে তৃতীয় তলার সব ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও সিলেট, বগুড়া, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করা হয়নি। রাজশাহী, মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অনেক ভবনে র‍্যাম নেই। শুধু তা-ই নয়, খুলনা কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ভবনের সামনে যানবাহন পার্কিং করার জন্য কোনো জায়গাও নেই। যেসব ভবন ভাড়া দেওয়া যায়নি, সেসব ভবনের কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। অনেক ভবনে ইতিমধ্যে ফাটলও দেখা দিয়েছে। ২৫টি কমপ্লেক্সের মধ্যে ১২টি দোকান ফাঁকা পড়ে আছে। ২৫ জেলায় ১২ শ মুক্তিযোদ্ধা, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এতো গলদ কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইএমইডি’র সদ্য সাবেক সচিব এবং পকিল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির বীর। তাদের কল্যাণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু ডিপিপি অনুযায়ী কাজ হয়নি। বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে। এটা দুঃখজনক। যারা এসব কাজ করেছে ঠিক করেনি। নিবিড় পরিবীক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কোথায় কোথায় ত্রুটি ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে।’

প্রকল্প পরিচালক ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্প যখন শেষ পর্যায়ে তখন আমি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আইএমইডি যে রিপোর্ট করেছে তা খারাপ হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমার দ্বিমত আছে। যেমন–ডিজাইনের ব্যাপারে যে ত্রুটি ধরা হয়েছে। যখন এটা প্রণয় করা হয়েছিল তখন বলা উচিত ছিল। কাজ শেষে বলে লাভ কী? আগেই মনিটরিং করা দরকার ছিল। রিপোর্টে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে সংশোধনের সুযোগ ছিল। কেন ঠিকমতো ডিজাইন করা হয়নি তাও আমার জানা নেই।’ পিসিআর রির্পোট হয়নি। তাই সব তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়নি বলেও জানান তিনি।

এসএ/

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪