শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণমূলক কাজে গলদ

বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। যা তিন বছরে শেষ করার কথা। নিদিষ্ট সময়ে তো হয়নি, পাঁচবার সংশোধন করে সময় বাড়ানো হয়েছে সাড়ে সাত বছর। ব্যয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ১৫ কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাড়ে ১০ বছর পর প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে গত জুনে; কিন্তু তারপরও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন না করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গলদ থেকে গেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সম্প্রতি একটি নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাতেই এ প্রকল্পের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে।

 

  • প্রকল্প পরিচালক ছিলেন ১৫ জন
  • বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন হয়নি ৩ কমপ্লেক্সে
  • নষ্ট হয়ে গেছে নাটোর কমপ্লেক্সের টাইলস
  • ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে দুটির

 

উল্লেখ্য, জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে প্রথমে ৪৮ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। তা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন দেয় সরকার। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের জুন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।

মূল ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুসারে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে সেটি বাড়িয়ে ধরা হয় ১৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা। সর্ব শেষ প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে ২৬৭ শতাংশ, আর ব্যয় বাড়ে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ। গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয় ১৩৩ কোটি টাকা বা ৮৭ শতাংশ।

সব জেলায় একটি করে পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের উপর তিনতলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে নিচতলায় দোকানের মাধ্যমে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা, দ্বিতীয় তলায় কমিউনিটি সেন্টার ও তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসের ব্যবস্থা করা।

প্রথমে শুধু প্রকল্প পরিচালকের রুমে যন্ত্রপাতি রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সংশোধনের সময় সব উপজেলা কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ও ফার্নিচার, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধের বই ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রথম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ২০১১ সালের ২ মে থেকে ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মজিবুল হক। আর ২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট থেকে ১৫তম পিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ-সচিব ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ।

কাজের গুণগত মান দেখার জন্য মন্ত্রণালয়ে বছরে চারটি করে পিআইসি ও পিইসি মিটিং করার কথা। কিন্তু গত ১০ বছরে মাত্র ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) ও ৮টি প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিইসি) মিটিং হয়েছে। এরফলে প্রকল্পের মেয়াদ গত জুনে শেষ হয়ে গেলেও গলদ থেকে গেছে কাজে। তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অফিস করা হলেও ওঠানামার জন্য কোনো লিফটের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রকল্পের পরিকল্পনাতেই ত্রুটি ধরা পড়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বারবার প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিলেট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে টেন্ডার ডকুমেন্টের চেয়ে বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্সটি ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ করায় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। অথচ ঠিকাদারকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র দেখভাল করার কোনো লোকবল নেই।

বান্দরবান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা ভবনের সম্পূর্ণ ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। লিফটের জায়গায় ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। ভবনের ভেতর-বাহিরের রং মানসম্মত না হওয়ায় দেয়াল থেকে তা খসে পড়ছে। ভবনে বৈদ্যুতিক ও পানির ব্যবস্থা নেই। দরজার পাল্লায় লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণে অভাবে সেনেটারী, প্লাম্পিং ও ফ্লোরের টাইলস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নাটোর কমপ্লেক্স ভবনের বিভিন্ন স্থানে টাইলসও ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। মূল নকশা অনুযায়ী নিচ তলায় ৯টি দোকানের ব্যবস্থা করা হয়। কোনো কোনো ভবনে ১৯টি দোকান করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রেতা বা ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি।

রাজশাহী কমপ্লেক্সের নিচতলায় যাদের দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে তারা নকশা পরিবর্তন করে অতিরিক্ত অংশ বাড়িয়েছে। কক্সবাজার ও বান্দরবান কমপ্লেক্সের প্রথম থেকে তৃতীয় তলার সব ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও সিলেট, বগুড়া, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন করা হয়নি। রাজশাহী, মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অনেক ভবনে র‍্যাম নেই। শুধু তা-ই নয়, খুলনা কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। তারপরও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ভবনের সামনে যানবাহন পার্কিং করার জন্য কোনো জায়গাও নেই। যেসব ভবন ভাড়া দেওয়া যায়নি, সেসব ভবনের কোনো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। অনেক ভবনে ইতিমধ্যে ফাটলও দেখা দিয়েছে। ২৫টি কমপ্লেক্সের মধ্যে ১২টি দোকান ফাঁকা পড়ে আছে। ২৫ জেলায় ১২ শ মুক্তিযোদ্ধা, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এতো গলদ কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইএমইডি’র সদ্য সাবেক সচিব এবং পকিল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা জাতির বীর। তাদের কল্যাণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু ডিপিপি অনুযায়ী কাজ হয়নি। বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে। এটা দুঃখজনক। যারা এসব কাজ করেছে ঠিক করেনি। নিবিড় পরিবীক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কোথায় কোথায় ত্রুটি ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে।’

প্রকল্প পরিচালক ড. সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্প যখন শেষ পর্যায়ে তখন আমি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আইএমইডি যে রিপোর্ট করেছে তা খারাপ হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে আমার দ্বিমত আছে। যেমন–ডিজাইনের ব্যাপারে যে ত্রুটি ধরা হয়েছে। যখন এটা প্রণয় করা হয়েছিল তখন বলা উচিত ছিল। কাজ শেষে বলে লাভ কী? আগেই মনিটরিং করা দরকার ছিল। রিপোর্টে ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে সংশোধনের সুযোগ ছিল। কেন ঠিকমতো ডিজাইন করা হয়নি তাও আমার জানা নেই।’ পিসিআর রির্পোট হয়নি। তাই সব তথ্য ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়নি বলেও জানান তিনি।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের