শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

'ইলেকশন আয়, আর আমরা নৌকায় ভোট দেই'। কারণ আমরা আপনার বাপেরে খুব ভালোবাসি। বাপ বাইচা থাকলে আইজকে আমাদের কথা বলার লাগতো নায়। আইজ বাপ বাইচে নেই,আপনি আছেন। আপনি আমাদের মা। আপনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের কোনো দল নেই। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীকে এভাবেই নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চা শ্রমিক রিতা পানিতা। এ সময় রিতা পানিতা বলেন, শ্রমিকদের পক্ষে আপনাকে দেবার কিচ্ছু নেই মা। আপনাকে শুধু অনুরোধ করবো আমাদের বাগানে এসে একবার চা খেয়ে যাবেন।

চা শ্রমিকদের জন্য আজকের দিনটি ছিল একটি মাহেন্দ্রক্ষণ। স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন চা শ্রমিকদের সাথে। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জসহ দেশের চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে গিয়ে এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চা শ্রমিকরা।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে ভার্চুয়ালি এই মতবিনিময় সভায় শুরুতেই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মৌলভীবাজার থেকে দুই নারী শ্রমিক কথা বলা শুরু করেন। জেলার কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানের দলই ক্লাব থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থল থেকে রিতা পানিতা ও সোনমানি রাজ হংসিমান। বক্তৃতাকালে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এ দুই জন। ধরা কণ্ঠে চোখের জল ফেলে প্রধানমন্ত্রী এভাবে সরাসরি কথা বলায় তাঁরা অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানস্থল থেকে চা শ্রমিকদের গাওয়া রেকর্ডেড দুটি গান পরিবেশন করে প্রধানমন্ত্রীকে শুনানো হয়।

এদিকে সিলেটের লাক্কাতুড়া গলফ ক্লাব মাঠে চা শ্রমিকদের এই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে চা শ্রমিকদের কথা শোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণ দীর্ঘায়িত করেন নি। চা শ্রমিকদের মধ্য থেকে শুরুতেই কথা বলার সুযোগ পান কমলগঞ্জের মির্তিঙ্গা চা বাগানের ঋতা মানিকা। ঋতা মানিকা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উত্তীর্ণ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন- 'আপনে আমাদের মা, আপনার কথা আমরা সবসময় ভাবি। আপনি যা বলবেন আমরা তাই শুনবো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো আপনিও আমাদের পাশে থাকবেন। আপনি আমাদেরকে কখনো ছেড়ে যাবেন না'।

কমলগঞ্জের দলই চা বাগানে চা শ্রমিকদের বৈঠকস্থলে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদসহ আওয়ামী লীগের আরও বহু নেতাকর্মীরা। এর আগে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ ভাষণের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে শহীদ চা শ্রমিকদের স্মরণ করেন।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শ্রমিক এবং এই চা শিল্প নিয়ে কাজ করে গেছেন। দেশে চা নিয়ে কোনো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ছিলো বঙ্গবন্ধু শ্রীমঙ্গলে দেশের একমাত্র চা গবেষণা ইন্সটিটিউট গঠন করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারও আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন- চা শিল্প আমাদের দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। চা বাগান দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এই চা শিল্প আমাদের অর্থখাতের জন্যও ভীষণ দরকারি। তাই এই চা শিল্প যেন ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আমি আমার সকল চা শ্রমিক ভাইদেরকেও অনুরোধ জানাবো এই চা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সিলেটের চা শ্রমিকদের মাঝে ছিল আজ এক উৎসবমুখর দিন। চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, লাক্কাতুরা চা বাগানের গলফ মাঠে শামিয়ানা টানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছে। স্থানীয় অতিথিরা স্বাচ্ছন্দ্যে বসতে পারেন সে জন্য অনুষ্ঠানস্থলের চারদিকে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ফগার মিশিন দিয়ে মশকনিধন ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। এছাড়াও সিসিকের উদ্যোগে রাখা হয়েছে 'ভ্রাম্যমাণ পাবলিক টয়লেট'।

উল্লেখ্য, দৈনিক মজুরি ১২০ থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীতকরণের দাবিতে সিলেটসহ সারা দেশের চা শ্রমিকরা টানা ১৯ দিন আন্দোলন করেছেন। গত ৮ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে গত ২২ আগস্ট শ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও আরেক অংশ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিলেন।

চা শ্রমিকদের টানা ধর্মঘটে সারাদেশের বাগান থেকে চা-পাতা উত্তোলন, কারখানায় প্রক্রিয়াজাত ও উৎপাদন বন্ধ থাকে। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশের চা শিল্প। এ অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট শনিবার বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বৈঠকে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি আনুপাতিক হারে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে। সবমিলিয়ে দৈনিক মজুরি হবে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর ২৮ আগস্ট থেকে সিলেট বিভাগের সকল বাগানের চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত