দুই দশক পর যুবদলের সম্মেলন, ৪ পদে প্রার্থী ১৫
দীর্ঘ দুই দশক পর সিলেটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুবদলের সম্মেলন। আগামী ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর সম্মেলনকে সামনে রেখে ফের চাঙ্গা হচ্ছে সংগঠনটি। তারিখ ঘোষণা হওয়ায় উজ্জীবিত তৃণমূলের কর্মীরাও। পদ-পদবী না পাওয়া ত্যাগী নেতারাও সম্মেলনের মাধ্যমে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন বলে মনে করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
সম্মেলনকে সামনে রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ইতোমধ্যে ২৯ ও ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ হাজার টাকা প্রদান পূর্বক মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনারের নিকট সভাপতি পদে মনোনয়ন ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করে মনোনয়নপত্র জমা করবেন প্রার্থীরা।
১লা সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাচাই ও প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময়সীমা, ২ সেপ্টেম্বর থেকে গণসংযোগ প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। ২দিন ব্যাপী সম্মেলনের ১ম দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ২য় দিন সিলেট মহানগর যুবদলের সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
যুবদলের কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আসুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কাউন্সিলে ৪ পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে জেলার সভাপতি পদে ৩ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন এবং মহানগরে সভাপতি পদে ২ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন। এর মধ্যে জেলা যুবদলের সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহেদ আহমদ চমন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন- জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মকসুদ আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি লিটন আহমদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান নেছার ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এখলাছুর রহমান মুন্না। অপরদিকে- মহানগর যুবদলের দুই পদে প্রার্থী হয়েছেন ৮ জন। তাদের মধ্যে সভাপতি পদে যুবদল নেতা মো. নজরুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ।
এএজেড