আজই হতে পারে রাজশাহী সিটি বাস সার্ভিসের শেষ দিন
রাজশাহী নগরীতে অটো রিকশা চালকদের ধর্মঘট পরিস্থিতিতে যাত্রী দূর্ভোগ কমাতে সিটি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগের পরপরই ধর্মঘট ভেঙ্গে মাঠে নেমেছে চালকরা। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে এমন উদ্দেগ্যের বিষয়ে জানার পরপরই নগরীতে ধর্মঘট ভেঙ্গে স্বাভাবিক হতে শুরু করে অটো রিকশা চলাচল। সোমবার দুপুর থেকে নগরীর রেলগেট থেকে কোর্ট, কোট থেকে সাহেব বাজার, নওহাটা থেকে সাহেব বাজার, কাটাখালি থেকে কোর্ট রুটে ১৬ টি বাস নামানোর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি কোন কোন রুটে বাস চলবে তার তালিকাও দেয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) নগরী ঘুরে দেখা যায়, সিটি বাস সার্ভিস চালুর কথা থাকলেও সেভাবে কোন রুটেই তেমন বাস নামে নি। সিটি সার্ভিস লিখা সম্বলিত দুই একটি বাস নগরীতে চলাচল করছে। সেখানেও যাত্রীদের তেমন একটা আগ্রহ দেখা যায় নি। অটো রিকশা চালাচল করাই সবাই পূর্বের ভাড়ায় এই গাড়িতেই চলাচল করছে।
এই উদ্যোগে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো জানান, সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বিবেচনা করে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নগরীতে ১৫-১৬ টি বাস চালু করা হয়েছিলো। এটা সাময়িক দুর্ভোগ বিবেচনায়। গাড়ি নামানোর পরপরই দেখলাম অটো রিকশা চলাচল শুরু করেছে। এখন জনদুর্ভোগ যদি দূর হয়ে যায় তবে বাস চালানোর প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরও জানান, যেহেতু চালু করেছি। আজকের দিনটা অন্তত বাস চালানো হবে। আর সাধারণ মানুষের সাপোর্ট থাকলে এটা দীর্ঘ-মেয়াদী রুপ পেতে পারে। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ বনি আহসান জানান, রাজশাহী নগরীতে সিটি বাস সার্ভিস আনলেই যে যানজট কমে যাবে এমনটা না। আর রাজশাহী নগরীতে সর্বোচ্চ ২-৫ মিনিটের যানজট তৈরি হয় অটো রিকশার কারণে। এখই দুটো বিষয়েরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে প্রায় ১০-১৫ হাজার মানুষ অটো রিকশা চালিয়ে বা এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। যদি সিটি বাস সার্ভিস চালু করা হয়, তবে অনেক মানুষ কর্ম হারাবে। আর রাজশাহীতে বড় তেমন কোন ইন্ডাস্ট্রি বা কলকার খানা নেই। যার কারণে সিটি করপোরেশনের মেয়রও অটো বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তবে ভাড়ার বিষয়টা সব-পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, সুবিধা-অসুবিধা ও বাস্তবতার নিরিক্ষেই হতে হবে। হঠাৎ এমন আন্দোলন কাম্য না।
এএজেড