শৈলকুপায় ১৬ দিনে ৬ খুন
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার আর নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে দ্বন্দ্বে ১৬ দিনে খুন হয়েছেন ৬ জন। স্বজনহারা পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারী।
এ নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। করা হচ্ছে ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা। সচেতন মহল বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণেই এ সহিংসতা। এসব রোধ করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ আর পুলিশ বিভাগের নিরপেক্ষতা।
খুনের ঘটনায় ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। নাজেহাল হয়ে অনেকে ছেড়েছে বাড়িঘর। প্রশাসনের অসহযোগিতা ও দূরদর্শিতার অভাবকেই দুষছেন নিহতের স্বজনরা। দ্রুত সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আর আসামি গ্রেপ্তারের দাবি নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, খুনের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে মাত্র ২০ জন আসামিকে। নিহতরা হলেন, শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে স্বপন শেখ, কৃত্তিনগর আবাসনের বাসিন্দা হারান বিশ্বাস, ভাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে জসিম হোসেন, বারইহুদা গ্রামের কল্লোল খন্দকার, কাতলাগাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম ও অখিল বিশ্বাস।
ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সায়েদুল আলম জানান, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতার মাধ্যমে পুলিশের নিরপেক্ষ কঠোর হস্তক্ষেপে সম্ভব এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা। তা না হলে এ সংঘাত আরও চলতে থাকবে।
শৈলকুপার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা চালাচ্ছে। সহিংসতা এড়াতে শৈলকুপার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
/এএন