বন্ধ বার্ন ইউনিট, অগ্নিদগ্ধরা সার্জারি বিভাগে
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীরা।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলছেন, হাসপাতালে বর্তমানে বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সার্জারি ওয়ার্ডের ফ্লোরে তাদের স্বজনদের চিকিৎসা চলছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্স জানিয়েছেন, ইউনিটটি চালু না থাকায় অগ্নিদগ্ধ রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকায় যেতে না পারা রোগীরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রোগীরা জানান, সার্জারি বিভাগে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরাই রোগীদের একমাত্র ভরসা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু করা হয়েছিল। বিভাগে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্সের পদ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। চালু থাকা পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত বছরের এপ্রিল মাসে শেবাচিমের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ আজাদের রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত অচল হয়ে পরেছে বার্ন ইউনিটটি। সর্বশেষ ওই বছরের ১৫ মে থেকে ইউনিটটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ যেসব রোগী আছেন, তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অতিদ্রুত শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ রোগীদের জন্য চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে প্রায় এক হাজার যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরের দিয়াকুল গ্রামে এলাকায় ভেড়ানো হয়।
এসএ/