ছাড়পত্র বিহীন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে মাংস বিক্রি

ভোলায় ছাড়পত্র বিহীন বিক্রির উদ্দেশ্যে যত্রতত্র জবাই হচ্ছে গবাদি পশু। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রয়েছে এসব পশুর মাংসের দোকান। প্রাণিসম্পদ বিভাগে চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়া এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসছে মাংসের দোকান। গ্রাম্য হাটবাজারে অবাধে গবাদি পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ভোলা - বরিশাল এবং ভোলা- লক্ষীপুর সড়কের মাঝখানে গড়ে উঠেছে মাংসের দোকান। তিন দিকে হাইওয়ে সড়কের যানবাহন চলাচলের উড়ন্ত ধুলোবালিতে আচ্ছাদিত অবস্থায় ঝুলানো রয়েছে গরুর মাংস। ভোলা সদর উপজেলার পরানগঞ্জ বাজার, জংশন বাজার,জনতা বাজার, ব্যাংকের হাট, বেলুমিয়া বাজার সহ প্রায় সকল বাজারেই দেখা যায় এমন দৃশ্য।
পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই, এমন প্রশ্নের জবাবে পরান গঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মোঃ মাইনুদ্দিন বলেন আমরা সুস্থ সবল রোগমুক্ত ভালো গরু জবাই করি, তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তদারকি করে ছাড়পত্র দিয়ে জবাই করার আদেশ দিলে সবচেয়ে ভালো হতো। ভালো হওয়ার কারন ব্যাখা দিয়ে বলেন এতে করে অবৈধ ভাবে চোরাই বা অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি বন্ধ হতো। অসাধু কিছু মাংস বিক্রেতা সুস্থ অসুস্থ পশু মিলিয়ে কারচুপি করেন তবে তদারকি থাকলে এরকমটা করতে পারতেন না বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ইন্দ্রজিৎ মন্ডল বলেন, প্রতিদিন বাজারে গিয়ে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মতো জনবল আমাদের নেই। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও ছাড়পত্র দেওয়া স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব, তবে ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের উপসহকারী রয়েছেন তারা মনিটরিং করে।
তিনি জানান ভোলাতে পৌর এরিয়ায় সাতকোটি টাকা ব্যায়ে একটি স্বাস্থ্য সম্মত আধুনিক কসাইখানা স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিলো জায়গা না পাওয়ার কারনে করা সম্ভব হয়নি।তবে দেশে মোট ১৮ টি আধুনিক কসাইখানা স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। তার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও বরগুনায় নির্মিত হচ্ছে আধুনিক কসাইখানা।
টিআর
