লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: শেবাচিমে ৩৩ রোগীর শারীরিক উন্নতি হচ্ছে
ঝলকাঠিতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৩ দগ্ধের শারীরিক উন্নতি হচ্ছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে আসা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এমন মত দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ১০টায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের টিম রোগীদের ড্রেসিং এবং ওটি’র কাজ শুরু করেন। তাদের মতে হাসপাতালে ভর্তি দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী সংকটজনক অবস্থায় নেই। তাদের চিকিৎসায় সব ধরনের সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. মাসরুলুর রহমান বলেন, ‘আমারা এখানে থেকে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। এছাড়া আমারা আসার আগে বরিশালের যে সকল ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। এখানে যতদিন আমাদের প্রয়োজন ততদিন এখানে থেকে চিকিৎসা দিবো।’ তিনি জানান, ঢাকায় যারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছেন ঢাকায় থাকা তাদের সহকর্মীরা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ঝালকাঠি অগ্নিকাণ্ডের পর এখানে মোট ৮১ দগ্ধজন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে ৩০ জন এবং আইসিইউতে ৩ জন রয়েছেন। তাদের মধ্য পুরুষ ১৮ জন, নারী ১২ জন এবং শিশু ৩ জন। ইতোমধ্যে ১৯ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং ২৯ জন হাসপাতাল ছেড়েছে। রোগীদের সব প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা বেডে এসে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে সরবরাহ নেই এমন মূল্যবান সব ওষুধ স্থানীয়ভাবে কিনে রোগীদের সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমরা রোগী এবং ডাক্তার সবাইকে সহযোগিতা করছি। আমারা চাই সবাই দ্রুত সুস্থ হোক। চিকিৎসার জন্য যেখানে যা প্রয়োজন আমারা কোনো কিছুতে পিছু হটবো না।’
এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তত্বাবধানে চিকিৎসা পাওয়াতে রোগীরা যেমন খুশি, তেমনি সন্তুষ্ট তাদের স্বজনরা।
এসএম/এএন