শীতলক্ষ্যায় এমভি রূপসীর মাস্টার-লস্করের অবহেলায় লঞ্চডুবি: পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর মাস্টার, লস্করসহ যারা জাহাজটি চালাচ্ছিলেন তাদের দায় পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট এলাকায় নৌ-পুলিশের এসপির কার্যালয়ে রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের প্রথম শ্রেণির মাস্টার রমজান আলী ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার নূরুল আলমের দেওয়া বক্তব্যে বিষয়টি ওঠে আছে।
তারা বলেন, 'চলাচলের সময় ২ জন শ্রমিকের (লস্কর) কার্গো জাহাজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার নিয়ম আছে। অন্তত একজনকে অবশ্যই থাকতে হবে। তারা জাহাজের সামনে থাকা নৌযান সম্পর্কে মাস্টারকে জানাবেন। কিন্তু 'এমভি রূপসী-৯' কার্গো জাহাজে সামনে দায়িত্বপ্রাপ্ত লস্করদের একজনও ছিলেন না। এ কারণেই ছোট লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয় এমভি রূপসী-৯।'
এ সময় ২ মাস্টারের উদ্দেশে মিনা মাহমুদ বলেন, 'এখানে আপনারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। লস্কর না থাকার ব্যাপারটা আপনাদের দেখা উচিত ছিল।'
মিনা মাহমুদ পরে গণমাধ্যমকে বলেন, 'আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ৬ জনের সম্পৃক্ততা না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'
মামলার বাদী বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য গণমাধ্যমকে বলেন, 'কার্গো জাহাজের মাস্টার, ইঞ্জিনিয়ার, লস্করসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবহেলায় লঞ্চটি ডুবেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।'
নৌ থানায় আটক রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার নূরুল আলম বলেন, 'লস্কর সুমন ও ইয়াছিন ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। আমি দুইজনকেই বলেছিলাম, জাহাজের সামনে থাকার জন্য। কিন্তু তাদের কেউ সেখানে ছিল না। এ কারণে ছোট লঞ্চটিকে দেখা যায়নি।'
এ সময় লস্কর সুমন ও ইয়াছিন তার পাশে বসে থাকলেও কোনো জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে 'এমভি রূপসী-৯' কার্গো জাহাজের ধাক্কায় 'এমএল আফসার উদ্দিন' নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় সোমবার বিকাল পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ আছেন ৪ জন যাত্রী।
এমএসপি