রাতের আঁধারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো নির্মাণাধীন ৮ দোকান
যশোরের মণিরামপুরে রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন আটটি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের বটতলা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। তবে কে বা কারা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন দোকান ঘর মালিক আয়নাল হক।
এ প্রসঙ্গে আয়নাল হক বলেন, জমিটি আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এ জমি ভোগ দখল করে আসছি। এখন সেখানে আটটি দোকান ঘর নির্মাণ করছি। দোতলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এক সপ্তাহ আগে কাজ শুরু করেছি। গত শনিবার শ্রমিকরা কাজ করেছেন। পরে রাতে কে বা কারা দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে আয়নাল হকদের নির্মাণাধীন দোকানের জায়গাটি সরকারি বলে দাবি করছেন ঝাঁপা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা। সরকারি জমিতে ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলায় প্রতিকার চেয়ে ৩-৪ দিন আগে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।
সোহেল রানা জানান, রাজগঞ্জ বাজারের একটি চক্র প্রস্তাবিত সমবায় মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও পাবলিক লাইব্রেরীর জন্য সরকারি ১৬ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা। অজানা কারণে নিরব স্থানীয় প্রশাসন ও রাজগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটি।
তিনি জানান, এই জমির পাশে আয়নাল হকদের ৩ শতক জমি আছে। সেখানে তারা আগে ভবন নির্মাণ করেছেন। এখন সরকারি জমি দখলে নিয়ে দোকান ঘর তুলছেন। সহকারি জজ এক ভাইয়ের ক্ষমতায় তারা এ কাজ করছেন।
তবে সোহেল রানার কথার সঙ্গে মিলছে না চালুয়াহাটি ইউনিয়নে কর্মরত সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) শফিউর রহমানের বক্তব্য।
শফিউর রহমান জানান, জমিটি খাসের। অকৃষি খাস জমি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয় চলতি বছরে তাদের নামে ১২ শতক জমি স্থায়ী বরাদ্দ দিয়েছে। তাদের নামে রেকর্ড সংশোধনী হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক বানী ইসরাইল জানান, কাগজপত্র দেখলে বুঝা যাবে জমির মালিককে। এ ব্যাপারে এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।
এসআইএইচ