জাবিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে ছাত্রদল-বামদলগুলোর হট্টগোল
ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আসন্ন ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে তীব্র হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতির কারণে সভাটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এই সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই পরিচয়পর্ব চলাকালে ছাত্রশিবিরের পাঁচজন নেতা-কর্মী নিজেদের পরিচয় দিলে ছাত্রদল ও বামপন্থী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তাদের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলা হয়।
ছাত্রদলের কর্মী মো. শরীফ শিবির নেতাদের উপস্থিতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং জানান, শিবির থাকলে তারা সভায় অংশ নেবেন না। এর পরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বামপন্থী, ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন সভা বর্জন করে সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দেয়।
বামপন্থী সংগঠনগুলোর দাবি, ১৯৮৯ সালে জাবিতে কবির হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সংগঠক সজিব আহমেদ বলেন, “শিবির একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের সঙ্গে আমরা কোনো আলোচনায় বসতে পারি না। কিন্তু আজ আমাদের বিরুদ্ধে ‘বাকশাল ও মুজিববাদের সহযোগী’ বলে স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা দুঃখজনক।”
অন্যদিকে, জাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি হারুনুর রশীদ রাফি বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে আমরা অগ্রসৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। মত প্রকাশের অধিকার ও ছাত্র সংসদে বৈধ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ জানান, “উপাচার্য অসুস্থ থাকায় আজকের সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই নতুন তারিখে সভা অনুষ্ঠিত হবে।”
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের অবস্থান তুলে ধরে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে।